নিউইয়র্ক ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস কঠোর হস্তে দমন করবো : প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০১৬
  • / ৬২১ বার পঠিত

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস আমরা কঠোর হস্তে দমন করে যাচ্ছি, দমন করে যাব। কাজেই আপনাদের উপর দায়িত্ব থাকবে, প্রতিটি এলাকার মানুষদের সচেতন করে দেয়া। ১১ এপ্রিল সোমবার বিকেলে গণভবনে ঢাকা মহানগরের আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণের নবনির্বাচিত কমিটির নেতারা দেখা করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবারই দায়িত্ব যে, আপনার পাশের বাড়িতে কী হচ্ছে। কোথাও কেউ এ ধরনের সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত কিনাৃ, সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ঢাকা দক্ষিণের আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। মহানগরের নতুন ও পুরাতন কমিটির নেতারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাজনৈতিক নেতাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, এদেশের মানুষের মনে শান্তি, স্বস্তি ফিরিয়ে আনা এটাই কিন্তু রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আমাদের কর্তব্য এটা মনে রাখতে হবে। নেতা শুধু নাম কেনা আর বক্তৃতা দেয়ার জন্য না, মানুষের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য পালন করা।
২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে নিজের গ্রেপ্তারের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক চক্রান্ত, অনেক ষড়যন্ত্র। ওই সময়ের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় মহানগর আওয়ামী লীগের বিরাট ভূমিকা ছিল। দুঃসময়ে দলের নেতা-কর্মীরা যে ভূমিকা পালন করে তার জন্য আজকে আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগকে ‘তিল তিল’ করে গড়ে তোলা ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে নিজের দলের ভূমিকার কথাও নেতা-কর্মীদের মনে করিয়ে দেন। আমাদের সংগঠন সবসময় শক্তিশালী, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এ সংগঠনের উপর দিয়ে অনেক ঝড়-ঝাপটা, ঘাত প্রতিঘাত গিয়েছে।
গত প্রায় অর্ধ শতাব্দিতে স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বিভিন্ন আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আত্মদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, এত আত্মত্যাগ একটি জাতির জন্য আর কোনো দল করেনি, আর কোনো সংগঠন করেনি, আওয়ামী লীগই করেছে। এত ত্যাগের মধ্য দিয়েই এই সংগঠন গড়ে উঠেছে বলে এর ভিত্তি এত মজবুত। বারবার ষড়যন্ত্র হয়েছে, আঘাত এসেছে। কিন্তু এর ভিতটা কেউ নাড়াতে পারেনি। এটাই হল বাস্তবতা। ঢাকা মহানগরের নতুন নেতৃত্ব সংগঠনকে ‘আরও মজবুত’করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। (আমার দেশ)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস কঠোর হস্তে দমন করবো : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ এপ্রিল ২০১৬

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস আমরা কঠোর হস্তে দমন করে যাচ্ছি, দমন করে যাব। কাজেই আপনাদের উপর দায়িত্ব থাকবে, প্রতিটি এলাকার মানুষদের সচেতন করে দেয়া। ১১ এপ্রিল সোমবার বিকেলে গণভবনে ঢাকা মহানগরের আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণের নবনির্বাচিত কমিটির নেতারা দেখা করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবারই দায়িত্ব যে, আপনার পাশের বাড়িতে কী হচ্ছে। কোথাও কেউ এ ধরনের সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত কিনাৃ, সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ঢাকা দক্ষিণের আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। মহানগরের নতুন ও পুরাতন কমিটির নেতারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাজনৈতিক নেতাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, এদেশের মানুষের মনে শান্তি, স্বস্তি ফিরিয়ে আনা এটাই কিন্তু রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আমাদের কর্তব্য এটা মনে রাখতে হবে। নেতা শুধু নাম কেনা আর বক্তৃতা দেয়ার জন্য না, মানুষের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য পালন করা।
২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে নিজের গ্রেপ্তারের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক চক্রান্ত, অনেক ষড়যন্ত্র। ওই সময়ের চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় মহানগর আওয়ামী লীগের বিরাট ভূমিকা ছিল। দুঃসময়ে দলের নেতা-কর্মীরা যে ভূমিকা পালন করে তার জন্য আজকে আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগকে ‘তিল তিল’ করে গড়ে তোলা ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে নিজের দলের ভূমিকার কথাও নেতা-কর্মীদের মনে করিয়ে দেন। আমাদের সংগঠন সবসময় শক্তিশালী, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এ সংগঠনের উপর দিয়ে অনেক ঝড়-ঝাপটা, ঘাত প্রতিঘাত গিয়েছে।
গত প্রায় অর্ধ শতাব্দিতে স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বিভিন্ন আন্দোলনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আত্মদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, এত আত্মত্যাগ একটি জাতির জন্য আর কোনো দল করেনি, আর কোনো সংগঠন করেনি, আওয়ামী লীগই করেছে। এত ত্যাগের মধ্য দিয়েই এই সংগঠন গড়ে উঠেছে বলে এর ভিত্তি এত মজবুত। বারবার ষড়যন্ত্র হয়েছে, আঘাত এসেছে। কিন্তু এর ভিতটা কেউ নাড়াতে পারেনি। এটাই হল বাস্তবতা। ঢাকা মহানগরের নতুন নেতৃত্ব সংগঠনকে ‘আরও মজবুত’করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। (আমার দেশ)