নিউইয়র্ক ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ছাত্রদলের হরতাল, আওয়ামী লীগের সমাবেশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৫
  • / ৬৮৩ বার পঠিত

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আজ সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিরোধী দল বিএনপির দেওয়া লাগাতার অবরোধের মধ্যেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল আজ ঢাকা সহ ১৪টি জেলায় হরতাল কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। তবে ঢাকা মহানগরীকে হরতালের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। সংগঠনটি বলেছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ রাখার প্রতিবাদে ও আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে তারা আজ এ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে। খালেদা জিয়া গত ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে এখনো তার গুলশান কার্যালয়েই রয়েছেন। এ ছাড়া তার দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ জানুয়ারি। আটক হয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শমসের মোবিন চৌধুরী ও শামসুজ্জামান দুদু।
৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঘোষিত সমাবেশের জন্য নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় যেতে চাইলেও কার্যালয় থেকে বের হতে পারেননি তিনি। ওই দিনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির প্রেক্ষিতে পুলিশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সভা সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সমাবেশে যেতে না পেরে খালেদা জিয়া সেদিনই পরবর্তী কর্মসূচি না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরপর দিন তার কার্যালয়ের সামনে থেকে ইট বালুর ট্রাক সরানো হলেও রবিবার রাত থেকে তার কার্যালয়ের সামনে নুতন করে বালুর ট্রাক রাখা হয়েছে।
এদিকে এর আগে পুলিশ ঢাকায় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও আওয়ামী লীগের আজকের সমাবেশের জন্যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপিকে যখন সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না তখন আওয়ামী লীগ কিভাবে এই সমাবেশ করবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বিবিসিকে বলেছেন এটি সাধারণ জনসভার মতো নয়। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে জাতির জনক পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। এরপর থেকে প্রতিবছরই দিনটি পালন করি সাড়ম্বরে সারা দেশে। ঢাকায় একটি বড় সমাবেশ হয়। যখনি যে সরকার থাকুক সবার উচিত দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা।
কিন্তু কিছুদিন আগে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেননি আর এখন নিজেরা সমাবেশ করছেন, এটিকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা হতোনা। কিন্তু তাদের প্রস্তুতি ছিল এ সমাবেশের ভেতর দিয়ে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করবেন। তার দাবি হরতাল সন্ত্রাস করা হবে এমন পরিকল্পনাই ছিল বিএনপির। বিএনপি তো বলছে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা। তার আগেই কিভাবে বলছেন যে নাশকতা হবে। জবাবে মিস্টার লেনিন বলেন, আমরা সরকারে আছি। তাদের পরিকল্পনা আমরা জানি।
৫ জানুয়ারির সমাবেশ করলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর সরকার নজর রাখলে কি আজকের এ অবস্থা হতো কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ সমাবেশে বাধা দেওয়া হতো না। খালেদা জিয়া আগেও সমাবেশ করেছেন। কিন্তু এবার নিরীহ কর্মসূচির আড়ালে যে অশান্তির আয়োজন করেছিল তারা সেটা তো আমাদের জানা আছে। সমাবেশের আগেই বিএনপি কিভাবে প্রমাণ করবে যে তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মিস্টার লেনিন বলেন, বাংলাদেশ ছোট দেশ। কে কি করে, কার বাড়িতে কি রান্না হয় সেটাও আমরা জানতে পারি।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

ছাত্রদলের হরতাল, আওয়ামী লীগের সমাবেশ

প্রকাশের সময় : ১২:৪৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জানুয়ারী ২০১৫

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আজ সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিরোধী দল বিএনপির দেওয়া লাগাতার অবরোধের মধ্যেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল আজ ঢাকা সহ ১৪টি জেলায় হরতাল কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। তবে ঢাকা মহানগরীকে হরতালের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। সংগঠনটি বলেছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ রাখার প্রতিবাদে ও আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে তারা আজ এ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে। খালেদা জিয়া গত ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে এখনো তার গুলশান কার্যালয়েই রয়েছেন। এ ছাড়া তার দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ জানুয়ারি। আটক হয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শমসের মোবিন চৌধুরী ও শামসুজ্জামান দুদু।
৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঘোষিত সমাবেশের জন্য নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় যেতে চাইলেও কার্যালয় থেকে বের হতে পারেননি তিনি। ওই দিনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির প্রেক্ষিতে পুলিশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সভা সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সমাবেশে যেতে না পেরে খালেদা জিয়া সেদিনই পরবর্তী কর্মসূচি না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরপর দিন তার কার্যালয়ের সামনে থেকে ইট বালুর ট্রাক সরানো হলেও রবিবার রাত থেকে তার কার্যালয়ের সামনে নুতন করে বালুর ট্রাক রাখা হয়েছে।
এদিকে এর আগে পুলিশ ঢাকায় সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করলেও আওয়ামী লীগের আজকের সমাবেশের জন্যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপিকে যখন সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না তখন আওয়ামী লীগ কিভাবে এই সমাবেশ করবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বিবিসিকে বলেছেন এটি সাধারণ জনসভার মতো নয়। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে জাতির জনক পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। এরপর থেকে প্রতিবছরই দিনটি পালন করি সাড়ম্বরে সারা দেশে। ঢাকায় একটি বড় সমাবেশ হয়। যখনি যে সরকার থাকুক সবার উচিত দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা।
কিন্তু কিছুদিন আগে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেননি আর এখন নিজেরা সমাবেশ করছেন, এটিকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা হতোনা। কিন্তু তাদের প্রস্তুতি ছিল এ সমাবেশের ভেতর দিয়ে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করবেন। তার দাবি হরতাল সন্ত্রাস করা হবে এমন পরিকল্পনাই ছিল বিএনপির। বিএনপি তো বলছে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা। তার আগেই কিভাবে বলছেন যে নাশকতা হবে। জবাবে মিস্টার লেনিন বলেন, আমরা সরকারে আছি। তাদের পরিকল্পনা আমরা জানি।
৫ জানুয়ারির সমাবেশ করলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর সরকার নজর রাখলে কি আজকের এ অবস্থা হতো কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ সমাবেশে বাধা দেওয়া হতো না। খালেদা জিয়া আগেও সমাবেশ করেছেন। কিন্তু এবার নিরীহ কর্মসূচির আড়ালে যে অশান্তির আয়োজন করেছিল তারা সেটা তো আমাদের জানা আছে। সমাবেশের আগেই বিএনপি কিভাবে প্রমাণ করবে যে তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মিস্টার লেনিন বলেন, বাংলাদেশ ছোট দেশ। কে কি করে, কার বাড়িতে কি রান্না হয় সেটাও আমরা জানতে পারি।