খুলে দেয়া হলো ফারাক্কা ধেয়ে আসছে পানি ॥ রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানির উচ্চতা প্রতিদিন প্রায় ১২ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে
- প্রকাশের সময় : ০৭:২২:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৬
- / ৮৬১ বার পঠিত
ঢাকা: ভারত ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে বিপজ্জনক গতিতে পানি বাড়ছে। বানের পানিতে কুষ্টিয়ায় প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৩০টি গ্রাম। বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে আশপাশের এলাকায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, প্রতি তিন ঘণ্টায় দুই সেন্টিমিটার করে পানি বাড়ছে। এই হারে পানি বাড়লে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৭ আগষ্ট শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা এই তিন ঘণ্টায় দুই সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এই বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে শনিবারের মধ্যে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মীর মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, গঙ্গার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে ভারত ফারাক্কা বাঁধের ১০৬টি গেটের সবক’টিই খুলে দিয়েছে। ফলে এক সপ্তাহ ধরে রাজশাহী পয়েন্টে পদ্মার পানির উচ্চতা প্রতিদিন প্রায় ১২ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে। হিমালয় থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদীর প্রধান শাখাটি চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, সেখান থেকে নদীটির নাম হয়েছে পদ্মা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, পদ্মা নদীতে পানির বিপদসীমা হচ্ছে ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। সেখানে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পানি প্রবাহিত হয়েছে ১৪ দশমিক ০৬ সেন্টিমিটার উচ্চতায়, যা ছিল পানি বিপদসীমা থেকে মাত্র দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার দূরে। ১৮ই আগস্ট পদ্মায় পানির মাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার। ১৯ আগষ্ট ছিল ১৩ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। ২৫শে আগষ্ট ছিল ১৩ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার।
পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রধান শাখা গড়াই নদীতেও অব্যাহতভাবে পানি বাড়ছে। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ড পদ্মা নদী ও গড়াই নদের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও বাঁধগুলোতে নজর রাখছে। এদিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের কলমিরচর গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পদ্মা নদীর ভাঙনে ১৫০টি পরিবার গৃহহারা হয়েছে। এ নিয়ে গত ২০ দিনের ভাঙনে গ্রামটির প্রায় ৬০০ পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়েছে। এলাকা পরিদর্শন শেষে ভাঙনকবলিত এলাকার গ্রামবাসীকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হোসাইন খান। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা ও পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, ভারতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য দেশটির পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ফারাক্কা বাঁধের প্রায় সব গেট খুলে দেয়ার নির্দেশ দেয় কয়েকদিন আগে। দেশটির কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সমীর সিনহা বুধবার বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, ফারাক্কার ১০৪টি গেটের মধ্যে ১০০টি গেট খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে ১১ লাখ কিউসেক পানি সরে বিহারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে তারা আশা করেছিলেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশকে আগেই নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে এবং এ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে বলেও ভারতীয় ওই কর্মকর্তা দাবি করেন।
বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র এবং যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেছিলেন, বছরের এ সময়টিতে ফারাক্কার গেটগুলো খোলা থাকার কথা। নতুন করে গেট খুলে দেয়ার কিছু নেই। তারা বলেছিলেন, সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার জন্য এ গেটগুলো তৈরি করেছে ভারত। কিন্তু এখন নদীতে পানি প্রবাহ এমনিতেই বেশি থাকায় গেটগুলো বন্ধ থাকার কথা নয়। এদিকে গত মঙ্গলবার (২৩ আগষ্ট) ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে ফারাক্কা বাঁধটিকেই তুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরপরই ফারাক্কার সব গেট খুলে দেয়া হয়।
এদিকে ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেয়ার প্রভাবে ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠছে পদ্মা। ক্রমাগত পানির বৃদ্ধির পর কমতে শুরু করলেও আবারও তা ঊর্ধ্বমুখী। মাত্র সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীর পদ্মার পানি বেড়েছে ৯৩ সেন্টিমিটার। বর্তমানে পদ্মা বিপদসীমার মাত্র ২১ সেন্টিমিটার নিচে ১৮ দশমিক ২৯ মিটারে অবস্থান করেছে। আগামী ২৯শে আগস্ট তা বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে ধারণা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে পদ্মার উভয় তীরে এবং চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি জীবনযাপন করছে। পদ্মাকে কেন্দ্র করে নগরীর চারপাশে গড়ে ওঠা লালন শাহ পার্ক, টি-বাঁধ, আই-বাঁধ ও তালাইমারী শহীদ মিনার পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধের খুব কাছ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নগরীর বিনোদনপিপাসু মানুষ কিছুটা স্বত্বিবোধ করলেও বিপদে আছেন গ্রাম অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র মতে, রাজশাহীতে পদ্মার বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার। প্রতিদিন ১০-১২ সেন্টিমিটার পানি বাড়ছে। যার ফলে যেকোনো সময় অতিক্রম করতে পারে। অথচ পাঁচ মাস আগে ৩১শে মার্চ রাজশাহীতে পদ্মার পানির উচ্চতা ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৯৬ মিটার। স্বাধীনতা-উত্তর রাজশাহীর ৪৫ বছরের ইতিহাসে এটাই ছিল পদ্মায় পানি প্রবাহের সর্বনিম্ন উচ্চতা। এরপর ১ জুন থেকে রাজশাহীতে পদ্মার পানির উচ্চতা বাড়তে থাকে। ওই দিন পানির উচ্চতা ছিল ৭ দশমিক ৯৫ মিটার। গত ৮৫ দিনে পানি বেড়েছে ১০ দশমিক ১০ মিটার। বর্তমানে পদ্মায় যে হারে পানি বাড়ছে, তাতে দুই বছর পর এবার রাজশাহীতে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
অন্যদিকে পদ্মায় অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চল রাজশাহীর গোদাগাড়ী, চারঘাট, বাঘা ও পবা উপজেলার মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। গবাদিপশু নিয়ে পড়েছে বেশি বিপদে। দেখা দিয়েছে গবাদিপশুর খাবার সংকট। এছাড়া কিছু কিছু এলাকায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মখলেছুর রহমান বলেন, এখন বর্ষাকাল। সে হিসেবে পদ্মায় স্বাভাবিক হারেই পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাঝে কয়েক দিন বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পানি কমে গিয়েছিল, এখন তা বাড়ছে। আবার ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ায় পানি কিছুটা বাড়লেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। গত দুই বছরে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবে এবার তা বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে পাউবো প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জানান, সকালের দিকে পদ্মার পানি ১৮ দশমিক ২৬ মিটার এবং বিকাল ৩টায় ১৮ দশমিক ২৯ মিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার রাজশাহীতে পানি বেড়েছে ৬ সেন্টিমিটার সেখানে ভারতের অপেক্ষাকৃত নিকটবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসেবে মতে আগামী ২৯ আগষ্ট পদ্মার পানি বিপদসীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার অতিক্রম করবে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। গত দুই বছর আগেও পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছিল। বর্তমানে যেসব এলাকায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইতিমধ্যে তা মেরামত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ অংশে পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছিল এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিহার অঞ্চলেও পানি আর বাড়ছে না। এখন পানি যা বাড়ছে তাতে ফারাক্কার কিছুটা প্রভাব আছে। তবে ফারাক্কা দিয়ে কত পানি আসছে বা কতটি গেট খোলা হয়েছে সে হিসেবে তাদের কাছে নেই বলেও মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।
ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেয়ায় হু হু করে বাড়াছে পদ্মা নদীর পানি। যে হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা যদি অব্যাহত থাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পানিবিপদ সীমা অতিক্রম করবে। এ সময় তলিয়ে যেতে পারে ভেড়ামারা, ঈশ্বরদীসহ কুষ্টিয়া, পাবনার বহু এলাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিকাল ৩টায় সর্বশেষ পানির মাপ নেয়া হয়েছে। এ সময় পদ্মা নদীতে ১৪ দশমিক ৬ মিটার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির বিপদসীমার মাপ হলো ১৪ দশমিক ২৫ মিটার। সে অনুযায়ী মাত্র ১৭ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, পানি বৃদ্ধির এ মাত্রা অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পানিবিপদ সীমা অতিক্রম করবে। পানির মাপ পর্যবেক্ষণ করার জন্য কুষ্টিয়ায় একটি কন্টোল রুমও খোলা হয়েছে। প্রতি ৩ ঘণ্টা অন্তর অন্তর পানির মাপ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ দিকে ভেড়ামারার সবচেয়ে পুরনো আশ্রয়ণ প্রকল্প-১’র বসতবাড়ি সরিয়ে নেয়া এবং জীবন বাঁচানোর জন্য জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তিমনি চাকমা। একমাত্র বিদ্যালয় সলেমানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও সরিয়ে নেয়া হতে পারে। অথবা চলে যেতে পারে পদ্মানদীর গর্ভে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নৈয়মুল হক জানিয়েছেন, ফারাক্কার বাঁধ খুলে দেয়ায় পদ্মা নদীতে হু হু করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি ৩ ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার করে পানিবৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানিবিপদ সীমা অতিক্রম করবে। তবে ২৫ আগস্ট যে হারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, আজকে পানি বৃদ্ধির মাত্রাটা একটু কম। এই দিন পানির প্রবাহ ছিল ১৩ দশমিক ৯০ মিটার। শুক্রবার (বিকাল ৩টা) তা বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ৬ মিটার। পদ্মায় অব্যবহত পানি বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ভেড়ামারার সবচেয়ে পুরনো আশ্রয়ণ প্রকল্প-১’র বসতবাড়ি সরিয়ে নেয়া এবং জীবন বাঁচানোর জন্য জনসাধারণ কে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তি মনি চাকমা। এরপর থেকেই সরিয়ে নেয়া হচ্ছে ভেড়ামারার সবচেয়ে পুরনো চর গোলাপনগর আশ্রয়ণ প্রকল্প-১’র বসত বাড়িগুলো। পানি বৃদ্ধির আতঙ্কে বাড়ি ঘর ভেঙে, আসবাবপত্র, গরু, ছাগল নৌকায় করে সরিয়ে নিচ্ছে। এ দিকে শিক্ষাব্যবস্থা প্রসারের এক সলেমানিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও এখন হুমকির মুখে। যে কোনো সময় পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে বিদ্যালয়টি। তবে নির্দেশনা পেলে বিদ্যালয়টিও ভেঙে সরিয়ে আনা হতে পারে। ভেড়ামারার মোকারিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার বাবুল আকতার জানিয়েছে, হঠাৎ করেই পদ্মা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। ক্রমশ পানি বৃদ্ধির ফলে তলিয়ে যাচ্ছে ফসলের মাঠ এবং গ্রাম। ইতিমধ্যে চর ঢাকাপাড়া, সলেমানীর চর এবং চর গোলাপনগর তলিয়ে গেছে। সবচেয়ে পুরনো আশ্রয়ণ প্রকল্পটি থেকেও বসতবাড়ি এবং আসবাবপত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যে কোনো সময় সলেমানিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ চর গোলাপনগর পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক এবং উৎকণ্ঠা কাজ করছে বলে তিনি জানান। ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তি মনি চাকমা জানিয়েছেন, উজানে এখনও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যে কারণে পদ্মায় পানি বেড়েই চলেছে। আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে মানুষদের নিরাপদে অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভারতের ফারাক্কার বাঁধগুলো খুলে দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে পদ্মার চিরচেনা সেই রুপ এখন আর নেই। ধু ধু বালুচরের পরিবর্তে এখন শুধুই জলরাশি। কয়েক দিন আগেও যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দাঁড়িয়ে ছিল ধু ধু বালুচরের ওপর। আজ সেখানে পানি আর পানি। পদ্মা যেন নব যৌবন লাভ করেছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১৫টি গার্ডারই এখন দাঁড়িয়ে আছে পানির ওপর।(দৈনিক মানবজমিন)