খালেদা জিয়ার গ্রেফতারী পরোয়ানায় জাতিসংঘ মহাসচিবের গভীর উদ্বেগ
- প্রকাশের সময় : ১২:১৬:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
- / ৫১২ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ উদ্বেগের কথা জানান মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডোজাররিক।
সাংবাদিক সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার জারির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিউইয়র্কে অবস্থানরত জাস্ট নিউজ সম্পাদক জানতে চান- বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৪০/৫০ দিন ধরে দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ আছেন। সরকার ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে। যখন জাতিসংঘসহ সকল উন্নয়ন সহযোগী রাষ্ট্র সংলাপের মাধ্যমে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের উপায় খুঁজতে বলছেন- ইতিমধ্যে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘসহ পশ্চিমা বিশ্বকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ চান না বলে জানিয়েছেন। এমতাবস্থায় জাতিসংঘের অবস্থান কি?
জবাবে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিবের পদমর্যাদার ওই মুখপাত্র বলেন, অবশ্যই আমরা (জাতিসংঘ) বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির বিষয়ে সচেতন রয়েছি। এই ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। জাতিসংঘ বাংলাদেশের চলমান ঘটনা প্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশে ব্যাপক অস্থিরতা ও রাজনৈতিক সহিংসতা চলছে।
স্টিফেন ডোজাররিক বলেন, জাতিসংঘর মহাসচিব বর্তমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি বার বার তাগিদ দিয়ে আসছেন যাতে করে বাংলাদেশে চলমান সংকটের অবসান হয় এবং দেশটি দীর্ঘ মেয়াদী উন্নয়ন ও স্থিতির দিকে অগ্রসর হয়।
এ সময় অপর এক সাংবাদিক খালেদা জিয়ার পাশাপাশি মাহমুদুর রহমান মান্নার আটক এবং শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কর্মরত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কয়েকজন কর্মকর্তা মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার বিষয়ে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, এ বিষয়ে যথাযথ তথ্যউপাথ্য নিয়ে পরবর্তীতে জানানো হবে।
অপর এক প্রশ্নে বাংলাদেশের সাংবাদিক মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) প্রকাশিত অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্টের দৃষ্টি আকর্ষন করে জানতে চান- ওই রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্ঘলা বাহিনী কর্তৃক বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি মঙ্গলবারও একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। কারাগারে আটক বিরোধী নেতৃবৃন্দকে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করা হচ্ছে। এডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর মতো নেতাকেও দীর্ঘদিন ধরে রিমান্ডে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ কি?
জবাবে মুখপাত্র ডোজাররিক বলেন, আমি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট দেখিনি। আমি মনে করি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের সমঝোতার আহ্বান এখানে আমি আবারো দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করতে চাই। কেবল এর মাধ্যমেই রাজনৈতিক সমাধান ও শান্তিপূর্ণসংকট উত্তরণ সম্ভব। (জাস্ট নিউজ.কম)