নিউইয়র্ক ০৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

কাজী জাফরের জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:২৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৫
  • / ৭৬৩ বার পঠিত

ঢাকা: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদের চার দফা নামাজে জানাজায় দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছিল ২৮ আগষ্ট শুক্রবার। মানুষ বিনীত শ্রদ্ধায় তাদের প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানায়। ১৯৩৯ সালের ১ জুলাই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বিখ্যাত চিওড়া কাজী বাড়িতে জন্ম নিয়ে পরবর্তীতে এক বর্ণাঢ্য জনসেবার রাজনীতির জীবন কাটিয়ে ২৯ আগষ্ট শনিবার আবার সেই চিওড়ার মাটিতেই ফিরে যাবেন। সেখানে শেষ শয্যায় শায়িত হবেন তিনি।
একটি ফ্রোজেন অ্যাম্বুলেন্সে রাখা এই প্রবীণ রাজনীতিকের মরদেহ শুক্রবার সকালে নিয়ে যাওয়া হয় টঙ্গী। সকাল ৮টায় সেখানে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম নামাজে জানাজা। জানাজায় প্রাক্তন সংদস সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান উদ্দিন সরকার, প্রাক্তন সংসদ সদস্য গোলাম সারোয়ার, জাতীয় পার্টির ডা. শহীদ, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, আফজাল হোসেন কায়সার, আহম্মদ আলী রুশদী, মরহুমের জামাতা সৈয়দ আলমাস হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টঙ্গী এলাকার সর্বস্তরের কয়েক হাজার মানুষ । টঙ্গী থেকে মরদেহ আনা হয় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমদ আজম খান প্রমুখ।
তৃতীয় নামাজে জানাজা বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। অংশ নেন তার দল জাতীয় পার্টি, বিএনপি, এনপিপি, এনডিপি, সাম্যবাদী দল, সাংস্কৃতিক কর্মী, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, সাংবাদিক নেতা থেকে শুরু করে এরশাদের জাতীয় পার্টির হাজার হাজার নেতা-কর্মী। বাদ আসর চতুর্থ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় গুলশান আজাদ মসজিদে।
রাষ্ট্রীয় সম্মানের আবেদন: এদিকে কাজী জাফরকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে তার পরিবার। কাজী জাফর আহমদের একান্ত সহকারী গোলাম মোস্তফা জানান, তার দাফন জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জাতীয় কবরস্থানে করার ইচ্ছাপোষণ করা হয়েছে। ২৯ আগষ্ট শনিবার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার পরিবার সরকারের এ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবে। সরকার অনুমতি না দিলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
উল্লেখ্য গত ২৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার গুলশানের নিজ বাসভবনে হূদরোগে আক্রান্ত হন কাজী জাফর আহমেদ। এরপর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
কুমিল্লা থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, কাজী জাফর আহমদের জন্মস্থান কুমিল্লায় শনিবার আরও ৩টি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে প্রথম জানাজা শনিবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে, বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা তার নির্বাচনী এলাকা জেলার চৌদ্দগ্রাম হাইস্কুল মাঠে এবং সর্বশেষ গ্রামের বাড়ি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া সরকারি কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

কাজী জাফরের জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল

প্রকাশের সময় : ০২:২৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৫

ঢাকা: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমদের চার দফা নামাজে জানাজায় দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছিল ২৮ আগষ্ট শুক্রবার। মানুষ বিনীত শ্রদ্ধায় তাদের প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানায়। ১৯৩৯ সালের ১ জুলাই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বিখ্যাত চিওড়া কাজী বাড়িতে জন্ম নিয়ে পরবর্তীতে এক বর্ণাঢ্য জনসেবার রাজনীতির জীবন কাটিয়ে ২৯ আগষ্ট শনিবার আবার সেই চিওড়ার মাটিতেই ফিরে যাবেন। সেখানে শেষ শয্যায় শায়িত হবেন তিনি।
একটি ফ্রোজেন অ্যাম্বুলেন্সে রাখা এই প্রবীণ রাজনীতিকের মরদেহ শুক্রবার সকালে নিয়ে যাওয়া হয় টঙ্গী। সকাল ৮টায় সেখানে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম নামাজে জানাজা। জানাজায় প্রাক্তন সংদস সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান উদ্দিন সরকার, প্রাক্তন সংসদ সদস্য গোলাম সারোয়ার, জাতীয় পার্টির ডা. শহীদ, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, আফজাল হোসেন কায়সার, আহম্মদ আলী রুশদী, মরহুমের জামাতা সৈয়দ আলমাস হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টঙ্গী এলাকার সর্বস্তরের কয়েক হাজার মানুষ । টঙ্গী থেকে মরদেহ আনা হয় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমদ আজম খান প্রমুখ।
তৃতীয় নামাজে জানাজা বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। অংশ নেন তার দল জাতীয় পার্টি, বিএনপি, এনপিপি, এনডিপি, সাম্যবাদী দল, সাংস্কৃতিক কর্মী, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, সাংবাদিক নেতা থেকে শুরু করে এরশাদের জাতীয় পার্টির হাজার হাজার নেতা-কর্মী। বাদ আসর চতুর্থ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় গুলশান আজাদ মসজিদে।
রাষ্ট্রীয় সম্মানের আবেদন: এদিকে কাজী জাফরকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে তার পরিবার। কাজী জাফর আহমদের একান্ত সহকারী গোলাম মোস্তফা জানান, তার দাফন জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে জাতীয় কবরস্থানে করার ইচ্ছাপোষণ করা হয়েছে। ২৯ আগষ্ট শনিবার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তার পরিবার সরকারের এ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবে। সরকার অনুমতি না দিলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে।
উল্লেখ্য গত ২৭ আগষ্ট বৃহস্পতিবার গুলশানের নিজ বাসভবনে হূদরোগে আক্রান্ত হন কাজী জাফর আহমেদ। এরপর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হলে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
কুমিল্লা থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, কাজী জাফর আহমদের জন্মস্থান কুমিল্লায় শনিবার আরও ৩টি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে প্রথম জানাজা শনিবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে, বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা তার নির্বাচনী এলাকা জেলার চৌদ্দগ্রাম হাইস্কুল মাঠে এবং সর্বশেষ গ্রামের বাড়ি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া সরকারি কলেজ মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।