নিউইয়র্ক ১০:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ১৭ এপ্রিল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৫
  • / ৯১৯ বার পঠিত

ঢাকা: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ১৭ এপ্রিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। আজ থেকে ৪৪ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করে। রচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এর তিন সপ্তাহ পর বৈদ্যনাথতলা নামে পরিচিত ওই বিশাল আমবাগান এলাকাকেই ‘মুজিবনগর’ নাম দিয়ে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশকে পাক হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত করতে মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। মুজিবনগর সরকারের দক্ষ নেতৃত্ব ও পরিচালনায় নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিণতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে বাঙালীর নিজস্ব আবাসভূমি স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
একাত্তরের ১৭ এপ্রিল তাজউদ্দীন আহমদ ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম অন্য নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে সকাল ৯টার দিকে বৈদ্যনাথতলায় পৌঁছান। গ্রামবাসীর পাশাপাশি দেশি-বিদেশি শতাধিক সাংবাদিক এবং ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও আসেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক মার্ক টালি ও পিটার হেস। বহু প্রতীক্ষিত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা ১১টায়। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে অভিবাদন জানান। অভিবাদন গ্রহণের পর স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
গৌরীনগরের বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবেরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য করে স্বাধীন বাংলা অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার গঠন করা হয়। পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
বাংলা, বাঙালী, মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর যেন অভিন্ন নাম। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আ¤্রকাননে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তিমিত হয়েছিল, বাঙালীর সেই স্বাধীনতার সূর্য আবারও উদিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের ভবেরপাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে। একাত্তরের এই দিনে বাঙালী জাতি নতুন করে আবার জেগে ওঠে, মুছে দেয় পরাজয়ের গ্লানি।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের নিকট সঠিকভাবে তুলে ধরা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বলেন, বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তাই মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মুজিবনগর সরকার গঠনে যারা সহযোগিতা করেছিলেন তিনি তাদের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি দেশবাসীকে বঙ্গবন্ধুর কাংক্ষিত ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতামুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। তিনি বলেন, ’৭১-এর ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। পাশাপাশি এ দিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ অনুমোদন করা হয়। সেদিন থেকে এ স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে।
কর্মসূচি: মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালনের জন্য দু’দিনব্যাপী ঢাকায় এবং মুজিবনগরে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। (দৈনিক ইত্তেফাক)
এদিকে বার্তা সংস্থা ইাউএনএ জানায়, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষে ১৭ এপ্রিল রাত ৯টায় জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ১৭ এপ্রিল

প্রকাশের সময় : ০৩:২০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ১৭ এপ্রিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। আজ থেকে ৪৪ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করে। রচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এর তিন সপ্তাহ পর বৈদ্যনাথতলা নামে পরিচিত ওই বিশাল আমবাগান এলাকাকেই ‘মুজিবনগর’ নাম দিয়ে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশকে পাক হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত করতে মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। মুজিবনগর সরকারের দক্ষ নেতৃত্ব ও পরিচালনায় নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিণতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে বাঙালীর নিজস্ব আবাসভূমি স্বাধীন-সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
একাত্তরের ১৭ এপ্রিল তাজউদ্দীন আহমদ ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম অন্য নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে সকাল ৯টার দিকে বৈদ্যনাথতলায় পৌঁছান। গ্রামবাসীর পাশাপাশি দেশি-বিদেশি শতাধিক সাংবাদিক এবং ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও আসেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ব্রিটিশ সাংবাদিক মার্ক টালি ও পিটার হেস। বহু প্রতীক্ষিত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয় বেলা ১১টায়। মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে অভিবাদন জানান। অভিবাদন গ্রহণের পর স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
গৌরীনগরের বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবেরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে মন্ত্রিসভার সদস্য করে স্বাধীন বাংলা অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার গঠন করা হয়। পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
বাংলা, বাঙালী, মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর যেন অভিন্ন নাম। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আ¤্রকাননে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তিমিত হয়েছিল, বাঙালীর সেই স্বাধীনতার সূর্য আবারও উদিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের ভবেরপাড়া গ্রামের বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে। একাত্তরের এই দিনে বাঙালী জাতি নতুন করে আবার জেগে ওঠে, মুছে দেয় পরাজয়ের গ্লানি।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী: ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের নিকট সঠিকভাবে তুলে ধরা সকলের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বলেন, বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তাই মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব ও অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মুজিবনগর সরকার গঠনে যারা সহযোগিতা করেছিলেন তিনি তাদের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমি দেশবাসীকে বঙ্গবন্ধুর কাংক্ষিত ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতামুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়। তিনি বলেন, ’৭১-এর ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। পাশাপাশি এ দিন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ অনুমোদন করা হয়। সেদিন থেকে এ স্থানটি মুজিবনগর নামে পরিচিতি লাভ করে।
কর্মসূচি: মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালনের জন্য দু’দিনব্যাপী ঢাকায় এবং মুজিবনগরে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। (দৈনিক ইত্তেফাক)
এদিকে বার্তা সংস্থা ইাউএনএ জানায়, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন উপলক্ষে ১৭ এপ্রিল রাত ৯টায় জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।