নিউইয়র্ক ০৮:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আবারও বানোয়াট বিবৃতি চর্চায় বিএনপি, সাদি থেকে মুশফিক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:০৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
  • / ৫২৯ বার পঠিত

ঢাকা: এবার জাতিসংঘের বিবৃতিকে মিথ্যা উদ্ধৃত করে খবর ছাপিয়ে সুবিধা নিতে চেয়েছে বিএনপি-জামায়াত। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির পর জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে যে খবর বেরিয়েছে তা পুরোপুরি বানোয়াট ও মিথ্যাচার বলে প্রমাণিত হয়েছে।
রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত সভা-সমাবেশে নিয়মিতভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন এমন ব্যক্তিরা জাতিসংঘের মিডিয়া ক্রেডেনশিয়াল নিয়ে এ ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মুশফিক ফজল আনসারী নামের এক ব্যক্তিকে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। খালেদা জিয়ার ফরেন অ্যাফেয়াার্স কমিটির সদস্য সচিব বলে পরিচয় দিচ্ছেন এই মুশফিক ফজল আনসারী। খালেদা জিয়া দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলে এই মুশফিক ফজল আনসারী তার সহকারী প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের অভিযোগ, জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংগুলোতে হাজির হয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে, নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়ার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি, যুবদল এবং জাসাসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন এই মুশফিক ফজল আনসারী। তাকেই দেখা যাচ্ছে জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে। আর ব্রিফিং থেকে বের হয়ে নিজের ইচ্ছামতো বানোয়াট খবর বানিয়ে মিডিয়ায় প্রচার করছেন। খালেদা জিয়ার গ্রেফতারী পরোয়ানায় জাতিসংঘের উদ্বেগের খবরটি তার সবশেষ সংযোজন।
এদিকে, জাতিসংঘের বুধবারের (২৫ ফেব্রুয়ারী) ব্রিফ্রিংয়ে উদ্বেগের কথা কথা আদৌ ছিলো না, তা জানা গেছে ওয়েবসাইটে তুলে ধরা বিস্তারিত বর্ণনায়। এতে দেখা গেছে, জাতিসংঘ মুখপাত্র তার প্রারম্ভিক বক্তৃতায় সেক্রেটারী জেনারেলের প্যারাগুয়ে সফর, উপ সেক্রেটারী জেনারেলের ক্রিমিনাল জাস্টিস ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক মন্তব্য, লিবিয়া, আফগানিস্তান, গাজা, মিয়ানমার, কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পরিস্থিতির বর্ণনা তুলে ধরেন। এতে আরও ছিলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রসঙ্গ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিয়ে বক্তব্য।
এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। এই পর্বেই বিএনপি জামায়াতের লবিস্ট মুশফিক ফজল আনসারী একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন। তিনি বলতে থাকেন খালেদা জিয়াকে ৪০-৫০ দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সরকার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে। জাতিসংঘ ও উন্নয়ন সহযোগীরা যখন সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। তারা সংলাপের শান্তি পূর্ণ সমাধানের কথা বলছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী….
এই পর্যায়ে মুখোপাত্র তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, বিষয়গুলো আমরা অবহিত আপনি প্রশ্ন করুন।
এতেও দমে না গিয়ে খালেদা জিয়ার ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য সচিব মুশফিক ফজল আনসারী বলেন, সরকার বলছে তারা জাতিসংঘ বা কোনও পশ্চিমা দেশের চাপ সহ্য করবে না। এ অবস্থায় জাতিসংঘের অবস্থান কি?
উত্তরে মুখপাত্র বলেন, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার বিষয়টি আমাদের জানা রয়েছে। এ ব্যাপারে মহাসচিব নিজেও সজাগ রয়েছেন। বাংলাদেশে যে উত্তেজনাকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে, রাজনৈতিক সহিংসতা চলছে তাও আমাদের নজরে রয়েছে। বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য এই অবস্থার দ্রুত নিরসনের উদ্যোগ নিতে সকল রাজনৈতিক নেতার প্রতি জাতিসংঘ আবারও আহ্বান জানাচ্ছে।
প্রশ্নকর্তা এবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-র‌্যাব, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে সেনাবাহিনীকে উজ্জিবিত করার চেষ্টার জন্য গ্রেফতার করেছে উল্লেখ করে র‌্যাবের প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক এই ফোরামে বিষোদগার করতে থাকেন। এই র‌্যাব সেনাবাহিনীর সদস্যদের দিয়ে গঠিত উল্লেখ করে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগে তাদের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন এর আগেও তিনি বিষয়টি বারবার তুলেছেন কিন্তু জাতিসংঘ তাতে গুরুত্ব দেয়নি।
মুখপাত্র বলেন, আমি আপনার প্রশ্ন বুঝতে পেরেছি। গতকালও একই বিষয়ে আমি আপনাকে পুরোপুরি বোঝানো চেষ্টা করেছি। আপনি জানেন যে বিষয়ে আপনি কথা বলছেন আর যাদের কথা বলছেন তাদের সম্পর্কে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। শান্তিরক্ষা বিভাগ একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উর্দিধারী সেনাদের নিয়োগ করে।
এরপরেও নাছোরবান্দা এই ব্যক্তি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্টের বরাত দিয়ে বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যার কথা তুলে ধরেন। সম্প্রতি আট ব্যক্তির হত্যার উদাহরণ দেন।
উত্তরে মুখপাত্র বলেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট তারা দেখেননি। এপর্যায়ে তিনি আবার বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন।
এদিকে, মুশফিক ফজলের মতো রাজনৈতিক নেতারা কিভাবে জাতিসংঘের মিডিয়া ক্রেডেনশিয়াল পাচ্ছেন সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন। এরই মধ্যে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তার কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে মিশন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিচয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অপর প্রবাসী জাহিদ এফ সরদার সাদী একই ধরনের অপতৎপরতা চালিয়ে ধরা পড়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। কংগ্রেসম্যানদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিবৃতি তৈরি করেন জাহিদ সরদার সাদী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

আবারও বানোয়াট বিবৃতি চর্চায় বিএনপি, সাদি থেকে মুশফিক

প্রকাশের সময় : ০১:০৪:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

ঢাকা: এবার জাতিসংঘের বিবৃতিকে মিথ্যা উদ্ধৃত করে খবর ছাপিয়ে সুবিধা নিতে চেয়েছে বিএনপি-জামায়াত। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির পর জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বলে যে খবর বেরিয়েছে তা পুরোপুরি বানোয়াট ও মিথ্যাচার বলে প্রমাণিত হয়েছে।
রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত সভা-সমাবেশে নিয়মিতভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন এমন ব্যক্তিরা জাতিসংঘের মিডিয়া ক্রেডেনশিয়াল নিয়ে এ ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মুশফিক ফজল আনসারী নামের এক ব্যক্তিকে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। খালেদা জিয়ার ফরেন অ্যাফেয়াার্স কমিটির সদস্য সচিব বলে পরিচয় দিচ্ছেন এই মুশফিক ফজল আনসারী। খালেদা জিয়া দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলে এই মুশফিক ফজল আনসারী তার সহকারী প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের অভিযোগ, জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংগুলোতে হাজির হয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে, নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়ার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি, যুবদল এবং জাসাসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন এই মুশফিক ফজল আনসারী। তাকেই দেখা যাচ্ছে জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে। আর ব্রিফিং থেকে বের হয়ে নিজের ইচ্ছামতো বানোয়াট খবর বানিয়ে মিডিয়ায় প্রচার করছেন। খালেদা জিয়ার গ্রেফতারী পরোয়ানায় জাতিসংঘের উদ্বেগের খবরটি তার সবশেষ সংযোজন।
এদিকে, জাতিসংঘের বুধবারের (২৫ ফেব্রুয়ারী) ব্রিফ্রিংয়ে উদ্বেগের কথা কথা আদৌ ছিলো না, তা জানা গেছে ওয়েবসাইটে তুলে ধরা বিস্তারিত বর্ণনায়। এতে দেখা গেছে, জাতিসংঘ মুখপাত্র তার প্রারম্ভিক বক্তৃতায় সেক্রেটারী জেনারেলের প্যারাগুয়ে সফর, উপ সেক্রেটারী জেনারেলের ক্রিমিনাল জাস্টিস ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক মন্তব্য, লিবিয়া, আফগানিস্তান, গাজা, মিয়ানমার, কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পরিস্থিতির বর্ণনা তুলে ধরেন। এতে আরও ছিলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রসঙ্গ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিয়ে বক্তব্য।
এরপর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব। এই পর্বেই বিএনপি জামায়াতের লবিস্ট মুশফিক ফজল আনসারী একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন। তিনি বলতে থাকেন খালেদা জিয়াকে ৪০-৫০ দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সরকার তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে। জাতিসংঘ ও উন্নয়ন সহযোগীরা যখন সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। তারা সংলাপের শান্তি পূর্ণ সমাধানের কথা বলছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী….
এই পর্যায়ে মুখোপাত্র তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, বিষয়গুলো আমরা অবহিত আপনি প্রশ্ন করুন।
এতেও দমে না গিয়ে খালেদা জিয়ার ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য সচিব মুশফিক ফজল আনসারী বলেন, সরকার বলছে তারা জাতিসংঘ বা কোনও পশ্চিমা দেশের চাপ সহ্য করবে না। এ অবস্থায় জাতিসংঘের অবস্থান কি?
উত্তরে মুখপাত্র বলেন, বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার বিষয়টি আমাদের জানা রয়েছে। এ ব্যাপারে মহাসচিব নিজেও সজাগ রয়েছেন। বাংলাদেশে যে উত্তেজনাকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে, রাজনৈতিক সহিংসতা চলছে তাও আমাদের নজরে রয়েছে। বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য এই অবস্থার দ্রুত নিরসনের উদ্যোগ নিতে সকল রাজনৈতিক নেতার প্রতি জাতিসংঘ আবারও আহ্বান জানাচ্ছে।
প্রশ্নকর্তা এবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-র‌্যাব, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে সেনাবাহিনীকে উজ্জিবিত করার চেষ্টার জন্য গ্রেফতার করেছে উল্লেখ করে র‌্যাবের প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক এই ফোরামে বিষোদগার করতে থাকেন। এই র‌্যাব সেনাবাহিনীর সদস্যদের দিয়ে গঠিত উল্লেখ করে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিভাগে তাদের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন এর আগেও তিনি বিষয়টি বারবার তুলেছেন কিন্তু জাতিসংঘ তাতে গুরুত্ব দেয়নি।
মুখপাত্র বলেন, আমি আপনার প্রশ্ন বুঝতে পেরেছি। গতকালও একই বিষয়ে আমি আপনাকে পুরোপুরি বোঝানো চেষ্টা করেছি। আপনি জানেন যে বিষয়ে আপনি কথা বলছেন আর যাদের কথা বলছেন তাদের সম্পর্কে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। শান্তিরক্ষা বিভাগ একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উর্দিধারী সেনাদের নিয়োগ করে।
এরপরেও নাছোরবান্দা এই ব্যক্তি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্টের বরাত দিয়ে বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যার কথা তুলে ধরেন। সম্প্রতি আট ব্যক্তির হত্যার উদাহরণ দেন।
উত্তরে মুখপাত্র বলেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট তারা দেখেননি। এপর্যায়ে তিনি আবার বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন।
এদিকে, মুশফিক ফজলের মতো রাজনৈতিক নেতারা কিভাবে জাতিসংঘের মিডিয়া ক্রেডেনশিয়াল পাচ্ছেন সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন। এরই মধ্যে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তার কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে মিশন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিচয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অপর প্রবাসী জাহিদ এফ সরদার সাদী একই ধরনের অপতৎপরতা চালিয়ে ধরা পড়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। কংগ্রেসম্যানদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিবৃতি তৈরি করেন জাহিদ সরদার সাদী।