নিউইয়র্ক ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রধানমন্ত্রী আসছেন রোববার : ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ভাষণ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • / ৭৩২ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিনিধি: জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক আসছেন আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রোববার। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার। এর পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ মিশনে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হবেন এবং এদিন দুপুরে টাইমস স্কোয়ার সংলগ্ন ম্যারিয়ট মার্কাস হোটেলের বলরুমে নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। উল্লেখ্য, ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’র সভাপতি আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের এই দিনে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব পালনকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নিউইয়র্কে তাঁর জন্মদিন পালন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের দিনই আয়োজিত হচ্ছে সংবর্ধনা সভা। ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে এবার অষ্টমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে এই সংবর্ধনা। ফলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে তিনি ইতিহাস করতে চলেছেন। ইতিপূর্বে দলের কোন সভাপতির নেতৃত্বে এতোবার সংবর্ধনার আয়োজন সম্ভব হয়নি বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আসবেন। তিনি বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন। জাতিসংঘে এটি হবে তার ১৬তম ভাষণ এবং যথারীতি অতীতের মতো তিনি বাংলায় ভাষণ দেবেন। এছাড়াও জলবায়ু, টেকসই উন্নয়ন এবং জনস্বাস্থ্য, শরণার্থী বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনেও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেয়ার কথা। এছাড়াও রোহিঙ্গা ইস্যুও এবার আলোচনায় জোড়ালো স্থান পাবে। জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন তাঁর সকল কার্যক্রমের সমন্বয় করবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফল উপলক্ষ্যে ঢাকা থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন আগেভাগেই নিউইয়র্ক আসছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেনও যথারীতি আগেই নিউইয়র্কে আসবেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের প্রধানদের সাথে শেখ হাসিনার বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মিশন সূত্রে জানা গেলেও তা এখনো চুড়ান্ত হয়নি। এবার প্রধানমন্ত্রীসহ তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা হোটেল প্যালেসে থাকবেন। সেই হোটেলে যুক্তনরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিসহ বেশ ক’টি দেশের প্রেসিডেন্ট/প্রধানমন্ত্রীরা থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীর অধিকাংশই থাকবেন ম্যানহাটানের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে। বরাবরের মতোই মন্ত্রী, এমপি ও সরকারী আমলা ছাড়াও ব্যবসায়ী, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পেশাজীবির প্রতিনিধি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গীর তালিকায়।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে জেএফকে বিমানবন্দরে বিপুলভাবে অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি চলছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবারে। এই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে জনসংযোগ শুরু চলছে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাদারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে ছলছে এসব কর্মকান্ড। প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সফল করতে চলছে টাউন হল মিটিং। ইতিমধ্যেই জ্যামাইকা ও ওয়াশিংটন ডিসিতে সভা হয়েছে।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে সাংগঠনিক বিরোধ এবং সম্মেলনের দাবিতে পৃথক সভা-সমাবেশ চলছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়মী লীগ ও আওয়ামী পরিবারের ব্যাপনারে। এই ব্যনারেও শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সফরের সফলতা কামনা করার পাশাপাশি সম্মেলনের মাধ্যনে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দাবী উঠছে। এই অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়মী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও বাকসু’র সাবেক জিএস ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আলম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা আয়োজন সম্পর্কে সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আমি গর্বিত এবং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে চির কৃতজ্ঞ। দলের সভাপতি হিসেবে আমার আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছেন। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের দিনই নিউইয়র্কে তাঁর সম্মানে সংবর্ধনার আয়োজন করা হচ্ছে। আমি মনে করি এটি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবার সহ সকল প্রবাসীদের জন্য ‘গড গিফটেড চমক’। তিনি বলেন, আমার জানা মতে ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী জন্মদিন পালন পছন্দ করেন না। তারপরও দলীয় নেতা-কর্মীদের আবেগকে সম্মান জানাতে হয়। তাই তাঁর জন্মদিনের আবহে ২৮ সেপ্টেম্বর সংবর্ধনা অয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। ম্যানহাটানের অভিজাত ম্যারিয়ট মার্কাস হোটেলে এদিন দুপুর ১২টায় এই সংবর্ধনা হল বলরুমের দরজা খোলা হবে। বেলা ২টায় প্রধানমন্ত্রী আসবেন সমবর্ধনাস্থলে। প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সফল করতে তিনি সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিগত বছরগুলোতে জন্মদিনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জন্মদিন আনুষ্ঠানিকভাবে পালনের অনুমতি দেননি কাউকেই। এসময়ে নিউইয়র্কে থাকলে তার হোটেলের স্যুইটে একান্ত পারিবারিক আয়োজনে জন্মদিন পালন করেছেন। আর ওয়াশিংটনে থাকলে তাঁর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের ভার্জিনিয়ার বাসভবনে জন্মদিন পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কৃষি বিজ্ঞানী ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নাগরিক সংবর্ধনায় দলীয় প্রধানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নাগরিক সংবর্ধনায় ভিন্ন মাত্রা আবহাওয়া। আর তাই এবারের সংবর্ধনা আগের সকল সংবর্ধনার চেয়ে জাকঁজমকপূর্ণ হবেই আশা করছি।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ জানান প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সফল করতে শুধু নিউইয়র্ক নয়, পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে দলের শাখা ও সহযোগী সংগঠনগুলোতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সেই সাথে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিদিন হচ্ছে টাউন হল মিটিং ও প্রস্তুতি সভা।
ড. সিদ্দিক-সামাদের বিবৃতি: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, সকল ষ্টেট, মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সার্বিকভাবে অংশগ্রহণকল্পে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আবেদন রাখছি। আগামী ২২ শে সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা, শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রাখবেন আপনাদের অকৃত্রিম আস্থা ও বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ভাগ্যবান যে প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে আসেন আমাদের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য। এ জন্যে আমরা বিশেষভাবে তাঁর নিকট কৃতজ্ঞ। আমরা তাঁর আগমন শুভ ও স্বার্থক হোক এই কামনা করছি।
বিবৃতিতে বলা হয়: আগামী ২৮ সেপ্টম্বরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় এক ঐতিহাসিক প্রবাসী নাগরিক সংবর্ধনা আয়োজন করেছে নিউইয়র্কের হোটেল ম্যারিয়ট মার্কুইস-এর বলরুমে দুপুর ১২ টায়। আসুন, দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে একটানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রথম বারের মতো আগমন উপলক্ষে আমাদের হৃদয় নিংড়ানো সমর্থন দিয়ে সাদরে গ্রহণ করি। আপনাদের সবার পরামর্শ ও সহযোগিতা একান্ত ভাবেই কামনা করছি।(বাংলা পত্রিকা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

প্রধানমন্ত্রী আসছেন রোববার : ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ভাষণ

প্রকাশের সময় : ০৭:৪২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বিশেষ প্রতিনিধি: জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্ক আসছেন আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রোববার। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার। এর পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ মিশনে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হবেন এবং এদিন দুপুরে টাইমস স্কোয়ার সংলগ্ন ম্যারিয়ট মার্কাস হোটেলের বলরুমে নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। উল্লেখ্য, ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’র সভাপতি আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন। ১৯৪৭ সালের এই দিনে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে দায়িত্ব পালনকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নিউইয়র্কে তাঁর জন্মদিন পালন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের দিনই আয়োজিত হচ্ছে সংবর্ধনা সভা। ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে এবার অষ্টমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে এই সংবর্ধনা। ফলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে তিনি ইতিহাস করতে চলেছেন। ইতিপূর্বে দলের কোন সভাপতির নেতৃত্বে এতোবার সংবর্ধনার আয়োজন সম্ভব হয়নি বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আসবেন। তিনি বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন। জাতিসংঘে এটি হবে তার ১৬তম ভাষণ এবং যথারীতি অতীতের মতো তিনি বাংলায় ভাষণ দেবেন। এছাড়াও জলবায়ু, টেকসই উন্নয়ন এবং জনস্বাস্থ্য, শরণার্থী বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনেও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেয়ার কথা। এছাড়াও রোহিঙ্গা ইস্যুও এবার আলোচনায় জোড়ালো স্থান পাবে। জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন তাঁর সকল কার্যক্রমের সমন্বয় করবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফল উপলক্ষ্যে ঢাকা থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন আগেভাগেই নিউইয়র্ক আসছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেনও যথারীতি আগেই নিউইয়র্কে আসবেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের প্রধানদের সাথে শেখ হাসিনার বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মিশন সূত্রে জানা গেলেও তা এখনো চুড়ান্ত হয়নি। এবার প্রধানমন্ত্রীসহ তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা হোটেল প্যালেসে থাকবেন। সেই হোটেলে যুক্তনরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিসহ বেশ ক’টি দেশের প্রেসিডেন্ট/প্রধানমন্ত্রীরা থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীর অধিকাংশই থাকবেন ম্যানহাটানের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে। বরাবরের মতোই মন্ত্রী, এমপি ও সরকারী আমলা ছাড়াও ব্যবসায়ী, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পেশাজীবির প্রতিনিধি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গীর তালিকায়।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে জেএফকে বিমানবন্দরে বিপুলভাবে অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি চলছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবারে। এই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে জনসংযোগ শুরু চলছে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাদারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে ছলছে এসব কর্মকান্ড। প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সফল করতে চলছে টাউন হল মিটিং। ইতিমধ্যেই জ্যামাইকা ও ওয়াশিংটন ডিসিতে সভা হয়েছে।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগে সাংগঠনিক বিরোধ এবং সম্মেলনের দাবিতে পৃথক সভা-সমাবেশ চলছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়মী লীগ ও আওয়ামী পরিবারের ব্যাপনারে। এই ব্যনারেও শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সফরের সফলতা কামনা করার পাশাপাশি সম্মেলনের মাধ্যনে নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার দাবী উঠছে। এই অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়মী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ও বাকসু’র সাবেক জিএস ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মিসবাহ আহমেদ, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আলম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা আয়োজন সম্পর্কে সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আমি গর্বিত এবং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে চির কৃতজ্ঞ। দলের সভাপতি হিসেবে আমার আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছেন। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এবার প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের দিনই নিউইয়র্কে তাঁর সম্মানে সংবর্ধনার আয়োজন করা হচ্ছে। আমি মনে করি এটি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী পরিবার সহ সকল প্রবাসীদের জন্য ‘গড গিফটেড চমক’। তিনি বলেন, আমার জানা মতে ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী জন্মদিন পালন পছন্দ করেন না। তারপরও দলীয় নেতা-কর্মীদের আবেগকে সম্মান জানাতে হয়। তাই তাঁর জন্মদিনের আবহে ২৮ সেপ্টেম্বর সংবর্ধনা অয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। ম্যানহাটানের অভিজাত ম্যারিয়ট মার্কাস হোটেলে এদিন দুপুর ১২টায় এই সংবর্ধনা হল বলরুমের দরজা খোলা হবে। বেলা ২টায় প্রধানমন্ত্রী আসবেন সমবর্ধনাস্থলে। প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সফল করতে তিনি সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিগত বছরগুলোতে জন্মদিনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জন্মদিন আনুষ্ঠানিকভাবে পালনের অনুমতি দেননি কাউকেই। এসময়ে নিউইয়র্কে থাকলে তার হোটেলের স্যুইটে একান্ত পারিবারিক আয়োজনে জন্মদিন পালন করেছেন। আর ওয়াশিংটনে থাকলে তাঁর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের ভার্জিনিয়ার বাসভবনে জন্মদিন পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কৃষি বিজ্ঞানী ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নাগরিক সংবর্ধনায় দলীয় প্রধানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নাগরিক সংবর্ধনায় ভিন্ন মাত্রা আবহাওয়া। আর তাই এবারের সংবর্ধনা আগের সকল সংবর্ধনার চেয়ে জাকঁজমকপূর্ণ হবেই আশা করছি।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ জানান প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সফল করতে শুধু নিউইয়র্ক নয়, পুরো যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে দলের শাখা ও সহযোগী সংগঠনগুলোতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সেই সাথে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিদিন হচ্ছে টাউন হল মিটিং ও প্রস্তুতি সভা।
ড. সিদ্দিক-সামাদের বিবৃতি: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন: যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, সকল ষ্টেট, মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সার্বিকভাবে অংশগ্রহণকল্পে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আবেদন রাখছি। আগামী ২২ শে সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা, শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রাখবেন আপনাদের অকৃত্রিম আস্থা ও বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে। আমরা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ভাগ্যবান যে প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে আসেন আমাদের খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য। এ জন্যে আমরা বিশেষভাবে তাঁর নিকট কৃতজ্ঞ। আমরা তাঁর আগমন শুভ ও স্বার্থক হোক এই কামনা করছি।
বিবৃতিতে বলা হয়: আগামী ২৮ সেপ্টম্বরে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় এক ঐতিহাসিক প্রবাসী নাগরিক সংবর্ধনা আয়োজন করেছে নিউইয়র্কের হোটেল ম্যারিয়ট মার্কুইস-এর বলরুমে দুপুর ১২ টায়। আসুন, দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে একটানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রথম বারের মতো আগমন উপলক্ষে আমাদের হৃদয় নিংড়ানো সমর্থন দিয়ে সাদরে গ্রহণ করি। আপনাদের সবার পরামর্শ ও সহযোগিতা একান্ত ভাবেই কামনা করছি।(বাংলা পত্রিকা)