নিউইয়র্ক ১১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশে প্রতি ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন জানুয়ারি থেকে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২২:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ১ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক : আগামী মাস থেকেই দেশের প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেবার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।বুধবার ঢাকা ক্লাবে বিডিসিএল কর্তৃক আয়োজিত ইডিসিএল-এর বার্ষিক জেনারেল মিটিং এ কথা জানান তিনি।খবর বাংলাদেশ জার্নাল

ইতোমধ্যে ৩১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন জোগানের ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিন থেকে প্রতি মাসেই প্রয়োজনীয় পরিমানে ভ্যাকসিন আমাদের হাতে চলে আসছে। এরই মধ্যেই ৭ কোটি প্রথম ডোজ, ৫ কোটি ডাবল ডোজসহ ১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হয়েছে। আর আমাদের লক্ষ্য পুরণ করতে বুস্টার ডোজসহ ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের ৩১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার সংস্থান করা গেছে। কাজেই বুস্টার ডোজসহ আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন লাগলেও আমাদের হাতে আরো ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন হাতেই থাকবে।

স্কুল পর্যায়েসহ বস্তিতে গিয়েও ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আগামী মাস থেকে প্রতি মাসে আমরা অন্তত ৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেবার কাজ শুরু করছি। এজন্য আগামী মাস (জানুয়ারি) থেকেই আমরা দেশের প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেবার উদ্যোগ নিচ্ছি। এতে করে আশা করা যায়, আগামী মে ও জুনের মধ্যেই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবো।

দেশে ইডিসিএল এর উৎপাদন চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানারকম ওষুধের উৎপাদনের চাহিদাও পাচ্ছে ইডিসিএল। কিন্তু সে তুলনায় ইডিসিএল স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অবকাঠামো দুর্বলতা, যন্ত্রপাতির ঘাটতি এবং ফ্যাক্টরির জায়গা স্বল্পতাসহ এখানে নানারকম সমস্যা রয়েছে। তাই ইডিসিএল এর জন্য একটি অত্যাধুনিক মানের কারখানা নির্মাণের বিল এখন একনেকে রয়েছে। এটি দ্রুতই সম্পন্ন হয়ে যাবে। এসব উদ্যোগ সম্পন্ন করার পর ইডিসিএল আরো বেশি শক্তিশালী হবে।

বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর প্রশংসা পেয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সাউথইস্ট এশিয়াতে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে। ব্লুমবার্গ প্রশংসা করেছে। ১ শত ২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন করা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে। হাসপাতাল বেড বাড়ানো হয়েছে। আর দেশে করোনার সময় কোথাও ওষুধ বা অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দেয়নি। সঠিক চিকিৎসা গাইডলাইন ছিল বলেই করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সামনে ওমিক্রনে আবার চাপ বাড়তে পারে। ‘সেক্ষেত্রে শুধু ভ্যাকসিন ওমিক্রন ঠেকাবে না। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি যথার্থ নিয়মে মানতে হবে। তাহলেই ওমিক্রন ছড়াবে না।’

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর শারফুদ্দিন আহমেদ,পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, ডিজিডিএ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবির।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে প্রতি ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন জানুয়ারি থেকে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৮:২২:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

ঢাকা ডেস্ক : আগামী মাস থেকেই দেশের প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেবার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।বুধবার ঢাকা ক্লাবে বিডিসিএল কর্তৃক আয়োজিত ইডিসিএল-এর বার্ষিক জেনারেল মিটিং এ কথা জানান তিনি।খবর বাংলাদেশ জার্নাল

ইতোমধ্যে ৩১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন জোগানের ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিন থেকে প্রতি মাসেই প্রয়োজনীয় পরিমানে ভ্যাকসিন আমাদের হাতে চলে আসছে। এরই মধ্যেই ৭ কোটি প্রথম ডোজ, ৫ কোটি ডাবল ডোজসহ ১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হয়েছে। আর আমাদের লক্ষ্য পুরণ করতে বুস্টার ডোজসহ ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের ৩১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার সংস্থান করা গেছে। কাজেই বুস্টার ডোজসহ আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ২৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন লাগলেও আমাদের হাতে আরো ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন হাতেই থাকবে।

স্কুল পর্যায়েসহ বস্তিতে গিয়েও ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, আগামী মাস থেকে প্রতি মাসে আমরা অন্তত ৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেবার কাজ শুরু করছি। এজন্য আগামী মাস (জানুয়ারি) থেকেই আমরা দেশের প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন দেবার উদ্যোগ নিচ্ছি। এতে করে আশা করা যায়, আগামী মে ও জুনের মধ্যেই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবো।

দেশে ইডিসিএল এর উৎপাদন চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানারকম ওষুধের উৎপাদনের চাহিদাও পাচ্ছে ইডিসিএল। কিন্তু সে তুলনায় ইডিসিএল স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অবকাঠামো দুর্বলতা, যন্ত্রপাতির ঘাটতি এবং ফ্যাক্টরির জায়গা স্বল্পতাসহ এখানে নানারকম সমস্যা রয়েছে। তাই ইডিসিএল এর জন্য একটি অত্যাধুনিক মানের কারখানা নির্মাণের বিল এখন একনেকে রয়েছে। এটি দ্রুতই সম্পন্ন হয়ে যাবে। এসব উদ্যোগ সম্পন্ন করার পর ইডিসিএল আরো বেশি শক্তিশালী হবে।

বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর প্রশংসা পেয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সাউথইস্ট এশিয়াতে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে। ব্লুমবার্গ প্রশংসা করেছে। ১ শত ২০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন করা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতাল করা হয়েছে। হাসপাতাল বেড বাড়ানো হয়েছে। আর দেশে করোনার সময় কোথাও ওষুধ বা অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দেয়নি। সঠিক চিকিৎসা গাইডলাইন ছিল বলেই করোনা এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সামনে ওমিক্রনে আবার চাপ বাড়তে পারে। ‘সেক্ষেত্রে শুধু ভ্যাকসিন ওমিক্রন ঠেকাবে না। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি যথার্থ নিয়মে মানতে হবে। তাহলেই ওমিক্রন ছড়াবে না।’

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর শারফুদ্দিন আহমেদ,পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, ডিজিডিএ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবির।