নিউইয়র্ক ১২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রতিদিন শীতের সকালে আপনার ৯টি ভুল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৫
  • / ২৩৩৭ বার পঠিত

ঢাকা: শিরোনাম পড়ে একটু অবাক লাগা স্বাভাবিক, তবে ব্যাপারটি কিন্তু শতভাগ সত্য। শীতের দিনে বদলে যায় আমাদের লাইফস্টাইল, একটুখানি উষ্ণতার খোঁজে অনেক কিছুই করি আমরা। আর এই অনেক কিছু করতে গিয়ে করে বসি স্বাস্থ্যগত ভুল। হ্যাঁ, এমন কিছু ভুল আছে যেগুলো শীতের সকালে বেশিরভাগ মানুষ করে থাকেন এবং বুঝতেও পারেন না যে এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য কি মারাত্মক হুমকি ডেকে আনছে। চলুন, জেনে নিই ভুলগুলো সম্পর্কে।

১) শীতের সকালে বলাই বাহুল্য ঠাণ্ডা বাতাস থাকে, থাকে কুয়াশাও। আর সব মিলিয়ে অনেকেই বাদ দিয়ে দেন ব্যায়াম করা। যিনি হয়তো গরমের দিয়ে মর্নিং ওয়ার্ক করতে যেতেন, তিনিও ঠাণ্ডার বাহানায় ঘরে বসে থাকেন। এই কাজটি কখনোই করবেন না। বাইরে যাওয়া সম্ভব না হলে ঘরে ব্যায়াম করুন, কিন্তু অবশ্যই করুন।

২) ঘুম থেকে উঠেই উষ্ণতার খোঁজে প্রথমেই সবাই হাত বাড়াই চা কিংবা কফির দিকে। যত ঠাণ্ডাই পড়ুক না কেন, খালি পেটে চা-কফি পান মোটেও ভালো অভ্যাস নয়। এমনকি নাস্তা করার সাথে সাথেও নয়। পান করতে হবে নাস্তার অন্তত এক ঘণ্টা পর।

৩) আলসেমি করে দাঁত ব্রাশ না করার অভ্যাসটিও আছে অনেকের মাঝেই। পানির সংস্পর্শে যেতেই যেন ভয়। রাতে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাবেন, সকালে উঠেই কুলি করে নেবেন ভালো করে। তারপর নাস্তার পর দাঁত ব্রাশ করে নেবেন। এতে অবহেলা চলবে না কিছুতেই।

৪) শীতের সকালে ঠাণ্ডার বাহানায় ত্বকের যত্ন নেন না বলতে গেলে কেউই। কিন্তু ত্বককে অবহেলা করলে চেহারা হয়ে পড়বে অসুন্দর। তাছাড়া শীতের দিনেই ত্বকের চাই বিশেষ যত্ন। সকালে ত্বকের যত্নকে অবহেলা করবেন না মোটেও।

৫) গরমের দিনে আয়োজন করে সকালের নাস্তা করা হলেও শীতের দিনে অনেকেই শর্টকাট খোঁজেন। আবার অনেকেই বেছে নেন বেশি তৈলাক্ত খাবার। যেমন ধরুন শীতের সকালে গরম গরম পরোটা খেতে কিন্তু বেশ লাগে। আবার অনেক বাড়িতে নাস্তায় তৈরি হয় কেবল মাত্র পিঠা। পরোটা উচ্চ ক্যালোরি ও ফ্যাটযুক্ত একটি খাবার। অন্যদিকে পিঠায় আছে উচ্চ মাত্রায় চিনি। এমন খাবার দিয়ে সকাল শুরু করা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

৬) শর্টকাট নাস্তার খোঁজে অনেক বাড়িতেই বেছে নেয়া হয় পাউরুটি, জেলী, কর্ণফ্লেক্স ইত্যাদি। যতই আধুনিক জীবনে এদেরকে প্রাধান্য দেয়া হোক না কেন, নাস্তায় এসব খাবার কখনো স্বাস্থ্যকর নয়। সাদা ময়দায় তৈরি পাউরুটি, অতিরিক্ত মিষ্টি ও রঙ দেয়া জেলী ও কারখানায় তৈরি কর্ণফ্লেক্স কীভাবে স্বাস্থ্যকর হতে পারে?

৭) শীতের দিনের সকালে আরও একটি কাজ সকলে করে থাকেন, আর সেটা হলো ঘুম থেকে উঠেই এক গাদা কাপড় পরে ফেলা। সারা রাত কম্বলের নিচে থাকার পর সকালে একটু ঠাণ্ডা লাগবে। নিজের দৈনন্দিন কাজ করতে শুরু করুন, ঠাণ্ডা ভাবটা কেটে যাবে। খুব বেশি কাপড় পরতে গেলে ঘেমে গিয়ে বুকে ঠাণ্ডা বাঁধিয়ে ফেলতে পারেন।

৮) শীতের সকাল মানেই আলস্য। সঠিক সময়ে ঘুম ভেঙে গেলেও বিছানার মায়া যেন কাটতে চায় না কিছুতেই। সকলেই কম্বল মুড়ি দিয়ে আরও কয় মিনিট বাড়তি ঘুমের বাহানা খোঁজেন। এই কাজটি না করাই উত্তম। কেননা এতে ছেঁকে ধরবে এক রাশ আলস্য আর সারা দিনটাই খারাপ যাবে।

৯) কুয়াশায় ঘেরা বিষণ্ণ পরিবেশন থেকে অনেকেই মন খারাপ ও খিটখিটে মেজাজ নিয়ে শুরু করেন শীতের সকাল। এটার কিন্তু একদম প্রয়োজন নেই। মন খারাপ নিয়ে দিন শুরু করলে সারাদিনে কিছুতেই সফল হতে পারবেন না। শীত একটা চমৎকার মৌসুম আর আমাদের দেশে খুবই অল্প সময়ের জন্য আসে। তাই মজা নিতে চেষ্টা করুন শীতের মৌসুমের।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

প্রতিদিন শীতের সকালে আপনার ৯টি ভুল

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৫

ঢাকা: শিরোনাম পড়ে একটু অবাক লাগা স্বাভাবিক, তবে ব্যাপারটি কিন্তু শতভাগ সত্য। শীতের দিনে বদলে যায় আমাদের লাইফস্টাইল, একটুখানি উষ্ণতার খোঁজে অনেক কিছুই করি আমরা। আর এই অনেক কিছু করতে গিয়ে করে বসি স্বাস্থ্যগত ভুল। হ্যাঁ, এমন কিছু ভুল আছে যেগুলো শীতের সকালে বেশিরভাগ মানুষ করে থাকেন এবং বুঝতেও পারেন না যে এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য কি মারাত্মক হুমকি ডেকে আনছে। চলুন, জেনে নিই ভুলগুলো সম্পর্কে।

১) শীতের সকালে বলাই বাহুল্য ঠাণ্ডা বাতাস থাকে, থাকে কুয়াশাও। আর সব মিলিয়ে অনেকেই বাদ দিয়ে দেন ব্যায়াম করা। যিনি হয়তো গরমের দিয়ে মর্নিং ওয়ার্ক করতে যেতেন, তিনিও ঠাণ্ডার বাহানায় ঘরে বসে থাকেন। এই কাজটি কখনোই করবেন না। বাইরে যাওয়া সম্ভব না হলে ঘরে ব্যায়াম করুন, কিন্তু অবশ্যই করুন।

২) ঘুম থেকে উঠেই উষ্ণতার খোঁজে প্রথমেই সবাই হাত বাড়াই চা কিংবা কফির দিকে। যত ঠাণ্ডাই পড়ুক না কেন, খালি পেটে চা-কফি পান মোটেও ভালো অভ্যাস নয়। এমনকি নাস্তা করার সাথে সাথেও নয়। পান করতে হবে নাস্তার অন্তত এক ঘণ্টা পর।

৩) আলসেমি করে দাঁত ব্রাশ না করার অভ্যাসটিও আছে অনেকের মাঝেই। পানির সংস্পর্শে যেতেই যেন ভয়। রাতে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাবেন, সকালে উঠেই কুলি করে নেবেন ভালো করে। তারপর নাস্তার পর দাঁত ব্রাশ করে নেবেন। এতে অবহেলা চলবে না কিছুতেই।

৪) শীতের সকালে ঠাণ্ডার বাহানায় ত্বকের যত্ন নেন না বলতে গেলে কেউই। কিন্তু ত্বককে অবহেলা করলে চেহারা হয়ে পড়বে অসুন্দর। তাছাড়া শীতের দিনেই ত্বকের চাই বিশেষ যত্ন। সকালে ত্বকের যত্নকে অবহেলা করবেন না মোটেও।

৫) গরমের দিনে আয়োজন করে সকালের নাস্তা করা হলেও শীতের দিনে অনেকেই শর্টকাট খোঁজেন। আবার অনেকেই বেছে নেন বেশি তৈলাক্ত খাবার। যেমন ধরুন শীতের সকালে গরম গরম পরোটা খেতে কিন্তু বেশ লাগে। আবার অনেক বাড়িতে নাস্তায় তৈরি হয় কেবল মাত্র পিঠা। পরোটা উচ্চ ক্যালোরি ও ফ্যাটযুক্ত একটি খাবার। অন্যদিকে পিঠায় আছে উচ্চ মাত্রায় চিনি। এমন খাবার দিয়ে সকাল শুরু করা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

৬) শর্টকাট নাস্তার খোঁজে অনেক বাড়িতেই বেছে নেয়া হয় পাউরুটি, জেলী, কর্ণফ্লেক্স ইত্যাদি। যতই আধুনিক জীবনে এদেরকে প্রাধান্য দেয়া হোক না কেন, নাস্তায় এসব খাবার কখনো স্বাস্থ্যকর নয়। সাদা ময়দায় তৈরি পাউরুটি, অতিরিক্ত মিষ্টি ও রঙ দেয়া জেলী ও কারখানায় তৈরি কর্ণফ্লেক্স কীভাবে স্বাস্থ্যকর হতে পারে?

৭) শীতের দিনের সকালে আরও একটি কাজ সকলে করে থাকেন, আর সেটা হলো ঘুম থেকে উঠেই এক গাদা কাপড় পরে ফেলা। সারা রাত কম্বলের নিচে থাকার পর সকালে একটু ঠাণ্ডা লাগবে। নিজের দৈনন্দিন কাজ করতে শুরু করুন, ঠাণ্ডা ভাবটা কেটে যাবে। খুব বেশি কাপড় পরতে গেলে ঘেমে গিয়ে বুকে ঠাণ্ডা বাঁধিয়ে ফেলতে পারেন।

৮) শীতের সকাল মানেই আলস্য। সঠিক সময়ে ঘুম ভেঙে গেলেও বিছানার মায়া যেন কাটতে চায় না কিছুতেই। সকলেই কম্বল মুড়ি দিয়ে আরও কয় মিনিট বাড়তি ঘুমের বাহানা খোঁজেন। এই কাজটি না করাই উত্তম। কেননা এতে ছেঁকে ধরবে এক রাশ আলস্য আর সারা দিনটাই খারাপ যাবে।

৯) কুয়াশায় ঘেরা বিষণ্ণ পরিবেশন থেকে অনেকেই মন খারাপ ও খিটখিটে মেজাজ নিয়ে শুরু করেন শীতের সকাল। এটার কিন্তু একদম প্রয়োজন নেই। মন খারাপ নিয়ে দিন শুরু করলে সারাদিনে কিছুতেই সফল হতে পারবেন না। শীত একটা চমৎকার মৌসুম আর আমাদের দেশে খুবই অল্প সময়ের জন্য আসে। তাই মজা নিতে চেষ্টা করুন শীতের মৌসুমের।