নিউইয়র্ক ০৮:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আহমেদ মুসার বই ‘আম-আমেরিকার এক্সরে রিপোর্ট’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
  • / ১৩১৬ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক প্রবাসী বিশিষ্ট লেখক আহমেদ মুসার আরো একটি বই প্রকাশিত হয় গত বইমেলায়। ‘আম-আমেরিকার এক্সরে রিপোর্ট’ শীর্ষক উপন্যাসটি প্রকাশ করেছিল বিদ্যাপ্রকাশ। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। নিউইয়র্কে মুক্তধারার স্টলেও বইটি পাওয়া যাবে।
লেখক আহমেদ মুসা ‘বইয়ের প্রচার’ শিরোনামে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বইটির প্রচার করতে গিয়ে লিখেছেন-
‘ওরা প্রায়শই সংবিধান ঠিকা নেন। কিন্তু মানুষ তো তাদের কাছে সংবিধান ঠিকা দেয়নি। সংবিধান মানুষের জন্য, মানুষ সংবিধানের জন্য নয়- এটাও কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ বারবার প্রমাণ করেছে।
একটি উদারহণ দেই, এরশাদ-বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের দিনই জনতা তার হাত থেকে সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। কেড়ে নেয়ার সপ্তাহ খানেক পর এরশাদ বিচারপতি সাহাবুদ্দীন সাহেবের কাছে কাগুজেভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। অর্থাৎ সেদিন এরশাদ তা-ই হস্তান্তর করেন যা তার কাছে ছিল না। ব্যাপারটা হাস্যকর হলেও সংবিধানের প্রয়োজনে সেটা প্রয়োজনীয় ছিল। …মাঝখানের সাতদিন সংবিধান এই বলে চিৎকার করছিল যে, আমাকে এডজাস্ট করো, আমাকে এডজাস্ট করো।
আরেকটি উদাহরণও দেয়া যায়, ১৯৯৬ সালের ২৫ মার্চ রাতে আমরা যাকে কালরাত বলে থাকি, বিএনপিওয়ালারা সারা রাত জেগে, হাই তুলতে তুলতে সংবিধান সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছিলেন – এটাও কিন্তু জনতার চাপে।
অতএব, সংবিধান ঠিকা নেওয়ার ভাবটা না ধরলেই ভাল হতো।
কিন্তু সেটা হবার নয়। কারণ, বাংলাদেশের এখনকার রাজনীতিকরা সব সময়ই চালাকির মধ্যে থাকেন। চালাকি করেই করে-কেটে খান। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, তাদের এই চালাকির জন্য মানুষের জানমাল বিপন্ন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ বিপন্ন হয়ে পড়ে।’

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

আহমেদ মুসার বই ‘আম-আমেরিকার এক্সরে রিপোর্ট’

প্রকাশের সময় : ০৩:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক প্রবাসী বিশিষ্ট লেখক আহমেদ মুসার আরো একটি বই প্রকাশিত হয় গত বইমেলায়। ‘আম-আমেরিকার এক্সরে রিপোর্ট’ শীর্ষক উপন্যাসটি প্রকাশ করেছিল বিদ্যাপ্রকাশ। বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। নিউইয়র্কে মুক্তধারার স্টলেও বইটি পাওয়া যাবে।
লেখক আহমেদ মুসা ‘বইয়ের প্রচার’ শিরোনামে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বইটির প্রচার করতে গিয়ে লিখেছেন-
‘ওরা প্রায়শই সংবিধান ঠিকা নেন। কিন্তু মানুষ তো তাদের কাছে সংবিধান ঠিকা দেয়নি। সংবিধান মানুষের জন্য, মানুষ সংবিধানের জন্য নয়- এটাও কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ বারবার প্রমাণ করেছে।
একটি উদারহণ দেই, এরশাদ-বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের দিনই জনতা তার হাত থেকে সমস্ত ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। কেড়ে নেয়ার সপ্তাহ খানেক পর এরশাদ বিচারপতি সাহাবুদ্দীন সাহেবের কাছে কাগুজেভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। অর্থাৎ সেদিন এরশাদ তা-ই হস্তান্তর করেন যা তার কাছে ছিল না। ব্যাপারটা হাস্যকর হলেও সংবিধানের প্রয়োজনে সেটা প্রয়োজনীয় ছিল। …মাঝখানের সাতদিন সংবিধান এই বলে চিৎকার করছিল যে, আমাকে এডজাস্ট করো, আমাকে এডজাস্ট করো।
আরেকটি উদাহরণও দেয়া যায়, ১৯৯৬ সালের ২৫ মার্চ রাতে আমরা যাকে কালরাত বলে থাকি, বিএনপিওয়ালারা সারা রাত জেগে, হাই তুলতে তুলতে সংবিধান সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছিলেন – এটাও কিন্তু জনতার চাপে।
অতএব, সংবিধান ঠিকা নেওয়ার ভাবটা না ধরলেই ভাল হতো।
কিন্তু সেটা হবার নয়। কারণ, বাংলাদেশের এখনকার রাজনীতিকরা সব সময়ই চালাকির মধ্যে থাকেন। চালাকি করেই করে-কেটে খান। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, তাদের এই চালাকির জন্য মানুষের জানমাল বিপন্ন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ বিপন্ন হয়ে পড়ে।’