নিউইয়র্ক ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জেনে নিন চুমুর উপকারিতা !

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৫:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৪
  • / ২৮৫৯ বার পঠিত

‘চুমু’ শব্দটি কানে এলে সাধারণত যুবক-যুবতীদের মনে শুধু স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যকার চুমুর কথাটিই মনে পড়ে। কিন্তু বিষয়টি কি আসলেই তাই। আপনি যদি শুধু এমনটিই ভাবেন তাহলে ভুল করবেন।

আপনি আপনার আদরের ছোট্ট সন্তানকে চুমু দিতে পারেন বা আপনার আশপাশের ছোট্ট বাচ্চাকে চুমু দিতে পারেন। এছাড়া নিজের বাবা-মা তো আছেন। তবে আপনি কেন চুমু দেবেন এটি জানেন তো। চুমুর কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে।

শুক্রবার টাইমস অব ইনডিয়ার এক প্রতিবেদনে চুমুর কয়েকটি উপকারিতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

বন্ধন সুদৃঢ় করে: চুমু দিলে স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যকার বন্ধন সুদৃঢ় হয়। চিকিৎসকদের ভাষায়, চুমু দিলে ‘অক্সিটোসিন’ হরমোন উৎপাদন হয়। এটি একে অন্যের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।

যৌন মিলনে অতিরিক্ত আনন্দ দেয়: যৌন মিলন যে স্বামী-স্ত্রীকে শারীরিক আনন্দ দেয় এটি নতুন করে বলার কোনও প্রয়োজন পড়ে না। তবে চুমু তাদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: চুমুর মাধ্যমে নারী-পুরুষের একে অপরের থুথু বিনিময় হয়। এটি মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং মানুষের শরীরের ইমমুনি সিস্টেম স্বাভাবিক রাখে।

মানুষকে সুখী রাখে: যদি কোনও কারণে কেউ মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত থাকে তাহলে তার কোনও মনোবিদের কাছে যাওয়ার দরকার নেই। সে তার স্ত্রীকে চুম্বন করলেই তার মানসিক হতাশা দূর হয়ে যাবে।

ব্যথা প্রশমন করে: যতি কখনও কারও মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা করে তাহলে স্ত্রী বা স্বামীকে খুব কাছে টেনে নিয়ে ‘লিপ কিস’ করুন। তাহলে দেখবেন সঙ্গে সঙ্গেই আপনার ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

চাপ কমায়: চুমু মানুষের শরীরের ‘স্ট্রেস হরমোন’র কার্যক্ষমতা কমিয়ে আনে। এটি মানুষকে বিষাদের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকতে সাহায্য করে।

চেহারায় তারুণ্য ভাব বজায় রাখে: চুমু মানুষের চেহারায় তারুণ্য ভাব বজায় রাখে। যদিও এর কারণে শরীরের কিছু ক্যালোরি ক্ষয় হয় তারপরও এটি মানুষের শরীরের জন্যে খুব উপকারী।

এছাড়াও চুমুর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি মানুষের মধ্যে শুধু আন্তরিকতার বন্ধনই বৃদ্ধি করে না এটি মানুষের স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও অনেক কার্যকরী।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

জেনে নিন চুমুর উপকারিতা !

প্রকাশের সময় : ১১:১৫:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৪

‘চুমু’ শব্দটি কানে এলে সাধারণত যুবক-যুবতীদের মনে শুধু স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যকার চুমুর কথাটিই মনে পড়ে। কিন্তু বিষয়টি কি আসলেই তাই। আপনি যদি শুধু এমনটিই ভাবেন তাহলে ভুল করবেন।

আপনি আপনার আদরের ছোট্ট সন্তানকে চুমু দিতে পারেন বা আপনার আশপাশের ছোট্ট বাচ্চাকে চুমু দিতে পারেন। এছাড়া নিজের বাবা-মা তো আছেন। তবে আপনি কেন চুমু দেবেন এটি জানেন তো। চুমুর কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে।

শুক্রবার টাইমস অব ইনডিয়ার এক প্রতিবেদনে চুমুর কয়েকটি উপকারিতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

বন্ধন সুদৃঢ় করে: চুমু দিলে স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যকার বন্ধন সুদৃঢ় হয়। চিকিৎসকদের ভাষায়, চুমু দিলে ‘অক্সিটোসিন’ হরমোন উৎপাদন হয়। এটি একে অন্যের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।

যৌন মিলনে অতিরিক্ত আনন্দ দেয়: যৌন মিলন যে স্বামী-স্ত্রীকে শারীরিক আনন্দ দেয় এটি নতুন করে বলার কোনও প্রয়োজন পড়ে না। তবে চুমু তাদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: চুমুর মাধ্যমে নারী-পুরুষের একে অপরের থুথু বিনিময় হয়। এটি মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং মানুষের শরীরের ইমমুনি সিস্টেম স্বাভাবিক রাখে।

মানুষকে সুখী রাখে: যদি কোনও কারণে কেউ মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত থাকে তাহলে তার কোনও মনোবিদের কাছে যাওয়ার দরকার নেই। সে তার স্ত্রীকে চুম্বন করলেই তার মানসিক হতাশা দূর হয়ে যাবে।

ব্যথা প্রশমন করে: যতি কখনও কারও মাথায় প্রচণ্ড ব্যথা করে তাহলে স্ত্রী বা স্বামীকে খুব কাছে টেনে নিয়ে ‘লিপ কিস’ করুন। তাহলে দেখবেন সঙ্গে সঙ্গেই আপনার ব্যথা দূর হয়ে যাবে।

চাপ কমায়: চুমু মানুষের শরীরের ‘স্ট্রেস হরমোন’র কার্যক্ষমতা কমিয়ে আনে। এটি মানুষকে বিষাদের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকতে সাহায্য করে।

চেহারায় তারুণ্য ভাব বজায় রাখে: চুমু মানুষের চেহারায় তারুণ্য ভাব বজায় রাখে। যদিও এর কারণে শরীরের কিছু ক্যালোরি ক্ষয় হয় তারপরও এটি মানুষের শরীরের জন্যে খুব উপকারী।

এছাড়াও চুমুর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি মানুষের মধ্যে শুধু আন্তরিকতার বন্ধনই বৃদ্ধি করে না এটি মানুষের স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও অনেক কার্যকরী।