বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
No Result
View All Result
হককথা
  • প্রচ্ছদ
  • নিউইয়র্ক
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • তথ্য প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • প্রবাস
  • এক স্লিপ
  • লাইফ স্টাইল
  • আরো
    • যুক্তরাষ্ট্র
    • স্বাস্থ্য
    • মুক্তাঙ্গন
    • সাহিত্য
    • সাক্ষাতকার
    • সম্পাদকীয়
    • মিডিয়া
    • জাতিসংঘ
    • ইউএস প্রেসিডেন্ট ইলেকশন
    • স্মরণ
    • বিশ্বকাপ ক্রিকেট
    • বিশ্বকাপ ফুটবল
    • ক্লাসিফাইড
  • প্রচ্ছদ
  • নিউইয়র্ক
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • তথ্য প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • প্রবাস
  • এক স্লিপ
  • লাইফ স্টাইল
  • আরো
    • যুক্তরাষ্ট্র
    • স্বাস্থ্য
    • মুক্তাঙ্গন
    • সাহিত্য
    • সাক্ষাতকার
    • সম্পাদকীয়
    • মিডিয়া
    • জাতিসংঘ
    • ইউএস প্রেসিডেন্ট ইলেকশন
    • স্মরণ
    • বিশ্বকাপ ক্রিকেট
    • বিশ্বকাপ ফুটবল
    • ক্লাসিফাইড
হককথা
No Result
View All Result
Home মুক্তাঙ্গন

সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর বাংলাদেশ

হক কথা by হক কথা
মে ১৪, ২০১৫
in মুক্তাঙ্গন
0

আবু জাফর মাহমুদ: সমৃদ্ধির পথে দ্রুত এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। রাজনৈতিক অচলাবস্থা এড়িয়ে চলছে দেশ। পরাশক্তি হবার লক্ষ্যে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ কোন জটিলতায় বন্দি থাকতে পারেনা। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দল গোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে চলবার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহীরা।আমদানী-রফতানী,শিল্প-বাণিজ্য আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে।
ব্যাঙ্কার-ব্যবসায়ী পারস্পরিক মিলিত ধারায় নেতৃত্ব নিয়েছে দেশের রাজধানীর কর্তৃত্বের। তা কার্যকরে সহায়ক হচ্ছে চট্টগ্রাম শহর,বন্দর ও বঙ্গোপসাগরের নিয়ন্ত্রনের বিষয়টি বিবেচনার অগ্রাধিকারে নেয়ায়। সিটি নির্বাচনে গণতন্ত্রের শ্রীলতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ঠিকই। তারপরেও দূর্বল গণতান্ত্রিকতা, অনুন্নত মানবিকতা এবং সামাজিক-রাজনৈতিক নিরাপত্তাহীনতার বাস্তবতায় ক্ষমতার পেছনের শক্তিগুলোর এহেন মুন্সিয়ানার প্রশংসা করতেই কলম ধরেছি।
প্রায়ই দুবছর পরেই আবার কলাম লেখায় আমার হাত দেয়া। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিতে হওয়ায় স্বাধীন মতামত প্রকাশে আমাকে বিপাকে পড়ার ঝুঁকিতে থাকতে হবে, তবুও অপ্রিয় হলেও একাজ আমি করছি আমার প্রিয় দেশের প্রতি ব্যক্তিগত দায় থেকে। বিনয়ের সাথে বলছি, আমি সিটি মেয়রদেরকে সমর্থন করছি।
আশা করছি তারা অচিরেই তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা দেবে। অতীতের অপরাজনীতির আবর্জনা ও অপরাধ সরিয়ে জায়গা করে দেবে উন্নয়ন, সৌন্দর্য্য ও সমৃদ্ধির।
মেয়র হবার রাজনৈতিক পথ-পন্থা নিয়ে তর্কে-বিতর্কে নয়, বাংলাদেশকে নজর রাখতে হচ্ছে, হিমালয় ও বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিবর্তন ও অগ্রগতিতে বাংলাদেশ সম্মুখ কাতারে দৃপ্ত পায়ে এগিয়ে যাবার পথের বাধা অতিক্রমের ধারায়। বাংলাদেশ জানে বিশ্বশক্তি কোন ক্ষুদ্রের রাজনৈতিক পঙ্গুত্ব বা অসহায়ত্বকে দয়া করতে গিয়ে নিজের যাত্রা থামায়না। চলার গতিও কমায়না। উক্ত অঞ্চলেও হবেনা ব্যতিক্রম।
বাংলাদেশ-ভারত-বার্মা পাকিস্তান-আফগানিস্তান জুড়ে তাদের লক্ষ্যবস্তু বহু আগেই স্থির করা আছে। সে লক্ষ্যেই ব্যস্ত রয়েছে উল্লেখিত দেশগুলোর পরিকল্পনাও অপারেশনের মাষ্টাররা। পিছিয়ে পড়া রাজনৈতিক শক্তিগুলোর শোকের গানে কান দেয়ার ফরসত নেই তাদের।
বাংলাদেশের সরকার পরিচালনা সব সময় অতীতের মডেলে হবে কেন? বিশ্বে বহু নতুন নতুন নজির আছে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রার। বাংলাদেশও পারে নতুন পথের উম্মোচন করতে। এখানেও দেখা যাবে নতুন উদ্ভাবন। এটা ঠিক, বেশ ঝুঁকি নিয়েই তিন সিটির মেয়রদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে কড়া নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে কম্যুনিষ্ট শাসন অথবা একনায়কতান্ত্রিক ফ্যাসিষ্ট কায়দায়। ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ঘটেছে এই নিয়ন্ত্রণ। সরকার এতে সফল হয়েছে স্বার্থক হয়েছে। বদনামের দাগ গায়ে মেখেও করেছে একাজ। মিডিয়ায় কড়াকড়ি থাকলেও খবর বেরিয়ে এসেছে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের বদৌলতে। দেখা গেছে গণতন্ত্রের বিধ্বস্ত বীভৎস চেহারা। অনেকেই ক্ষুদ্ধ হয়েছে এসব চিত্র দেখে। বলছে ফ্যাসিবাদের উদ্ভব করছে আওয়ামী লীগ।
তবে একটি পক্ষ দাবী করছে, গায়ে ব্যথা নিয়ে আক্রান্তরা কাঁদতে পারে এ পরিস্থিতিতে। রোগী ছট্ফট্্ করতে পারেন। কিন্তু জীবন বাঁচাতে চালানো চিকিৎসায় সব সময় ঔষধ খাইয়ে কি করা যায়? সার্জারি লাগে। জোর খাটানো লাগে। এতে কষ্ট পাওয়ার খবরে অতীষ্ট হবার কিছু নেই।
বাংলাদেশের ইতিহাস কি বলে? ইতিপূর্বে বহুবার দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে গণতন্ত্রকে নিজের বশে এনে। তখনও হয়েছে বন্দুকের চাপে, ক্ষমতার উম্মাতাল দাপটে। তাই মনে রাখা দরকার। গণতন্ত্রের বশীভূতকরণের ম্যাজিক বাংলাদেশে নতুন নয়। অঞ্চলেও নতুন নয়। পাশের বার্মার অবস্থা আরো খারাপ। ভয়ানক, ভয়াল-বীভৎস। এবার ভারতের কেন্দ্রীয় সহ অনেক রাজ্যের নির্বাচনেও জোর খাটাতে হয়েছে পরিস্থিতির প্রয়োজনে।
বাংলাদেশের সংবিধানে অতীতের অপনির্বাচনগুলোকে আইনসিদ্ধ করা হয়েছে। দলগুলো সময়ের পরিবর্তনে একে অপরকে কোলাকুলি করে পরস্পরে ভাগাভাগির করে নেয় নিজেদের সুখ-দুঃখ।নিজের স্বার্থে শাসনতন্ত্র বদলায়। এতে রাজনীতিক, আইনবিদ, শাসনতন্ত্রবিদ, শিক্ষাবিদ, পত্রিকার সম্পাদক, প্রেসক্লাবের নেতাসহ সবাই সমর্থন করেই বাংলাদেশের আজকের অবস্থার সৃষ্টি করার ক্ষেত্র সাজিয়ে এনেছে ক্রমান্বয়ে।
বলা যেতে পারে, এসব অপারেশনে এমনকি রোগীকে সব সময় ক্লোরফর্ম দিয়ে অবশ করা হয়নি। রোগীর ব্যাথায় চিৎকারে স্বাভাবিক পরিবেশের বিঘœ হয়েছেনা অনেকবার? তাতে কি? নীরব বুদ্ধিজীবী! আপোষের গুণে নুয়ে যায় মাথা। তাদের সমর্থনে প্রতিবার অপরাজনীতি লতার মতো বেয়ে উঠে সমাজ-রাষ্ট্রের ছাদে।
এবার ঢাকায় সিটি কর্পোরেশনে মেয়র বসাতে সরকার বিচক্ষণতার সাথে ম্যানেজ করেই নেমেছে। শেষ পর্যন্ত সফলও হয়েছে। সরকার বলতে কেবল রাজনৈতিক দলকে বুঝায় না। রাজনৈতিক দলীয় সাংসদ অথবা মন্ত্রীরা কেবল সরকার নয়। রাজনৈতিক দলের বাহিরেও সরকারের বিচার, আইন, নির্বাহীর অন্য সকল বিভাগ নিয়েই সরকার। যারা মেয়র হয়েছে তাদেরকে প্রথমেই সমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের সংগঠন এফবিসিসি আই-দেশের অর্থব্যবস্থার প্রধাননেতা এই সংগঠন।
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে বিশ্বযোগাযোগের প্রধান এযোগসূত্রকে এবার বিকল্পশক্তিরূপে উত্থান হতে দেখা গেছে বাংলাদেশে। উত্থানটি ঘটাতে রাজনৈতিক নির্বাচনের পেছনে যারা দূর্ভেদ্য শক্তিরূপে সক্রিয় ছিলো তারাও ভোটার, ভালবাসে দেশকে। কিন্তু অন্যদের মতো ফুলের মালা গলায় নেয়ার অভ্যাস তাদের নেই। দেখা যায়না তাদেরকে কৃতিত্বের প্রতিযোগিতায় টিভির পর্দায় অথবা পত্রিকার পাতায়।
রাজনীতিকের সাথে একাতœ হয়ে জাতির স্বার্থে বিশেষ সংঘাত নিরসনে অথবা অচলাবস্থা অতিক্রম করার জন্যে দুনিয়ার অনেকে দেশেই ভিন্ন ভিন্ন কৌশল নেয়া হতে দেখা যায়।বাংলাদেশে এধরণের একটা নিরীক্ষা হয়ে গেলো সম্প্রতি।এক ঢিলে একাধিক শিকার। বন্ধ হলো জ্যান্ত মানুষ পোড়ানোর তৎপরতা এবং অর্থ ও বাণিজ্য প্রবাহের হলো দুয়ার খোলা। একৌশলকে এখনো রাজনীতি বলার সময় আসেনি, বরঞ্চ বলা যেতে পারে ইন্টেলিজেন্স ইনিশিয়েটিভ। প্রশ্ন করতে পারেন, এটি কি বাংলাদেশী সংস্থার মেধা নাকি বিদেশী সক্ষমতা? নাকি বিদেশী-বাংলাদেশী সংস্থার যৌথ ব্যবস্থাপনা অথবা বিদেশী মুরুব্বী সংস্থার অধীনে নির্দ্দেশনায় দেশী সংস্থাগুলোর তৎপরতা?
তবে সিটি নির্বাচনে পক্ষগুলো নেমে পড়ায় পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। আগুণ নিভে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রামে সিটি নির্বাচনের হাওয়ার তোড়ে। এসে গেছে এক বিচক্ষণ সাহসী সিদ্ধান্ত। যে সিদ্ধান্তের মুখে দেশ জুড়ে দীর্ঘ অনিশ্চয়তা ধোঁয়ায় উবে গেলো।
নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও তার আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে ঠিকই। তবে এতে ভয় ছড়ানোর ভয়াল আক্রমণের আকস্মিকতা বিনা নোটিশে লা-পাত্তা হলো। বাসে বাসে আগুণ এলোই বা কোত্থেকে? নিষ্কৃয় করলো কারা? এনিয়ে তর্ক-বিতর্কের শেষ এখনো হয়নি। বড় রাজনীতিকরা প্রতিপক্ষকে দোষ দেয়ার জিগির করেছিলেন। দোষারোপ বিতর্কে জাতির মনোযোগ আঁটকে রেখেছিলেন তারা। বেশ জমেওছিলো বিতর্ক-জিগির!
তবে রাজনীতিতে আগণিত নিষ্ঠুরতা সামাজিক ভীতি ও বানিজ্যিক অস্থিরতা বাড়ানোর ফলে বাংলাদেশকে নৈরাজ্যিক রাষ্ট্রের বদনাম সইতে হয়েছিলো। এধরণের ভয়ানক ঘটনার পেছনে থাকা মূল মিলিট্যান্ট সিন্ডিক্যাট কারা? জবাব দেয়া কঠিন। তবে তা উদ্ঘাটনের এখতিয়ার মূলতঃ ইন্টেলিজেন্স বা গোয়েন্দা সংস্থার। এহেন তৎপরতার আভাস অনুসন্ধান এবং মোকাবেলা ও তাদেরই কাজ।
কোন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আগুণ আক্রমণে পোড়েনি। দেখেছি আওয়ামী লীগ বা বিএনপির নেতা পুড়েছে এ আগুণে? পুড়েছে কিছু অরাজনৈতিক নাগরিক। তবে আওয়ামী লীগ-বিএনপির দোষারোপ ফতুয়াগুলো প্রমাণ করেছে পাবলিক নয়, রাজনীতিবিদ সমাজই করেছে এ ভয়ানক অপরাধ।
মিলিটারী ক্ষমতা দখলের জন্যে একাজ করেছে তেমন কথা কেউ বলেনি। তাই রাজনৈতিক সমাজকেই নিতে হবে নীরিহ মানুষদের আগুনে পোড়ানোর দায়।দলের নাম যা-ই বলুন, টিভি ও পত্রিকার রেকর্ড বলছে এ দায় দায়িত্ব রাজনীতিকদেরই। তারাই একে অন্যের দোষ জানিয়ে দিয়েছেন প্রকাশ্যেই। এতেই শেষ নয়। তবে, পর্যবেক্ষকগণ খুঁজছে, ভয় ছড়ানোর কাজে মানুষকে জ্বালানি বানানোর এভীতিপ্রদ কৌশলের বেনিফিসিয়ারি আসলে কারা?
বিশ্বসভ্যতার বর্তমান জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তায় পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহের গুরুত্ব সর্বাধিক। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষা, আভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় এবং আর্থিক সমৃদ্ধায়নে নিজস্ব ইন্টেলিজেন্স সংস্থার কার্যকারিতার সুফল পেয়ে চলেছে সকল আধুনিক রাষ্ট্র।বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই যুক্তি প্রযোজ্য। অন্যথা হলে, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রের কাতারে যাওয়ার গল্প কেবল রাজনৈতিক গল্পেই থেমে থাকবে। বাস্তবে ফল আসবেনা।
শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা বর্তমানে প্রচুর রাষ্ট্রের রক্ষাকবচরূপে রাষ্ট্র ও সরকারকে বাঁচিয়ে রাখছে। কোন কোন রাজনীতিক নিজের ব্যক্তিগত অথবা বিশেষ গোষ্টীর স্বার্থে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ সারেন্ডার করে নিজের ফায়দায় রাষ্ট্রকে বিপদাপন্ন করে। এতে অনেক সময় রাজনীতিক নিজেই ভয়ংকর বিপদের পিচ্ছিল পথে ঢুকে যেতে পারেন। মেধাবী ও সক্ষম কার্যকর ইন্টেলিজেন্স সংস্থাই তেমন পরিস্থিতিতে হতে পারেন ভরসার কেন্দ্র।
এহেন অর্থে এবার ঢাকা-চট্টগ্রামে নতুন সিটি মেয়র সিলেকশানের পেছনের শক্তির বিশেষ লক্ষ্য আছে মনে করা যায়। নির্বাচনে প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতিনীতি তেমন একটা মানা হয়নি বলে অনেকের আপত্তি। তবে মেয়র বসানোর কাজে যেভাবে মিলিট্যাণ্ট অপারেশন দেখা গেছে তাতে অনেকেই ভীত হয়েছে। তবে এমন নির্বাচন পৃথিবীতে এর আগেও হয়েছে। কেউ কেউ রসিকতা করে বলছে, এবার রাজনৈতিক আওয়ামী লীগের পরিবর্তে ‘মিলিটারি আওয়ামীলীগ’-এর সূচনা হয়েছে। মিলিটারি শব্দ দেখে মিলিটারী ক্ষমতায় মনে করার কোন কারণ নেই।
ইলেকশানের আগে আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগরের জাঁদরেল মাস্তান মন্ত্রীদের মতামত অগ্রাহ্য হয়েছে পুলিশ-মিলিটারি-র‌্যাব সমর্থিত দুই মেয়র প্রার্থীতার বেলায়। চট্টগ্রামেও একই ধারায় কাজ হয়েছে। চট্টগ্রাম শহর, চট্টগ্রাম বন্দর এবং বে-অব বেঙ্গল ঘিরে ব্যবসার স্বার্থকে প্রাধান্যে রেখেই রশিতে নাটাই লাগানো হয়েছে পেছন হতে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোসহ সকল নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশের ব্যাবসা-বাণিজ্যের স্বার্থকে প্রাধান্যে আনতেই হয়তো এবার চ্যালেঞ্জে নেমেছেন।
রাজনৈতিক দলের ট্রেডিশানেল কর্তৃত্বকে একটু ফুঁ মেরে দিয়েছে। রাজধানী ও বন্দর নগর চট্টগ্রামে প্রশাসনিক নতুন ধারা চালু নিয়ে আর কারো কথা শুনলেও এতে নতুন আলামত দিয়েছে দেখা। সরকার প্রধানের সাথে বুঝাপড়ায় এমন ঘটনার যৌক্তিকতা বাংলাদেশ শাসনের নতুন অধ্যায়ের ধারা বলে ধরে নেয়া যায়। মেয়রদের এনার্জেটিক মনে হয়েছে। ওরা নিউ জেনারেশন।
বাংলাদেশ অনেক বছর যাবত অপরাধের আঞ্চলিক স্বর্গরাজ্য। এখানে বিদেশী অপরাধ নেট ওয়ার্ক যেমন বিস্তৃত, বিদেশী ইন্টেলিজেন্সও তেমন ভাবে সক্রিয়। অপরাধ জগত অথবা বে-আইনী ব্যবসার চাঁদা ও সহায়তায় রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতা অনেকাংশে নির্ভরশীল থাকায় রাষ্ট্র অপরাধ-গহবরে আছে বলতে আপত্তি নেই।
সরকার বাংলাদেশে পুলিশের সংখ্যা বাড়াচ্ছে শোনেছি। অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং কর্মক্ষেত্র তৈরির যুক্তিতে এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে এক্ষেত্রে ভয়ানক অপরাধের উৎস ও অপরাধের পেছনে বড় ক্ষমতাধরদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ তৎপরতা অগ্রাধিকারে থাকলে আরো উত্তম হবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ জরুরী।
নচেৎ তাড়াহুড়ো করে কাউকে অস্ত্রধারী করার পরিণতি হতে পারে আফসোসের অন্যতম কারণ। এমনিতেই পুলিশের অনেকের সম্পর্কে শৃংখলা ভঙ্গের ভয়ানক অভিযোগ বেড়েছে ইদানিং। পুলিশের কাঁধে বদনামের বোঝা দেয়া ঠিক হবেনা, পুলিশ রাজনীতিক নয়, নাগরিক নিরাপত্তার শেষ ভরসা।
লেখক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতি কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও রাজনীতি বিশ্লেষক। (নিউইয়র্ক, ১০ মে ২০১৫).

Tags: BD Go Ahed by Abu J Mahmud
Previous Post

টাঙ্গাইলে ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ : হতাহত ৪ : বন্ধ ঘোষণা

Next Post

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন : অন্ধকারের প্রতিফলন

Related Posts

বুদ্ধিজীবীর দলীয় আনুগত্যের বিপদ
বাংলাদেশ

বুদ্ধিজীবীর দলীয় আনুগত্যের বিপদ

by হক কথা
ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
ভাসানী-মুজিব সম্পর্ক এবং পথ ও মত
মুক্তাঙ্গন

ভাসানী-মুজিব সম্পর্ক এবং পথ ও মত

by হক কথা
নভেম্বর ১৭, ২০২২
মুক্তচিন্তা ও সংগ্রামের পথপ্রদর্শক
মুক্তাঙ্গন

মুক্তচিন্তা ও সংগ্রামের পথপ্রদর্শক

by হক কথা
নভেম্বর ১৭, ২০২২
নিউইয়র্কে প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দুর্গাপূজা
মুক্তাঙ্গন

নিউইয়র্কে প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দুর্গাপূজা

by হক কথা
সেপ্টেম্বর ১, ২০২২
‘পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার’
মুক্তাঙ্গন

‘পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার’

by হক কথা
জুন ২৩, ২০২২
Next Post

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন : অন্ধকারের প্রতিফলন

বিবিসি’র প্রতিবেদন : সালাহউদ্দিন আহমেদকে চোখ বাঁধা অবস্থায় বারবার গাড়ি বদল করা হয় : মেঘালয় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ : রেড নোটিশের বিষয়টি গুজব-আইজিপি : ভিসার অপেক্ষায় স্ত্রী : নিষ্ঠুর মন্তব্য নয়-বিএনপি

সর্বশেষ খবর

পুতিনের ‘সাবেক প্রেমিকার’ ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাজ্য

পুতিনের ‘সাবেক প্রেমিকার’ ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাজ্য

ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
ঢাকায় বৃটেনের পরবর্তী হাইকমিশনার সারাহ কুক

ঢাকায় বৃটেনের পরবর্তী হাইকমিশনার সারাহ কুক

ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব সকলের: যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব সকলের: যুক্তরাষ্ট্র

ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
শীতে শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়াবেন কেন

শীতে শিশুদের তুলসী পাতা খাওয়াবেন কেন

ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
সাংবাদিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করলো তুরস্ক

সাংবাদিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করলো তুরস্ক

ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
গুগল ‘বার্ডের’ ভুল উত্তর, ১০০ বিলিয়ন ডলার হারাল অ্যালফাবেট

গুগল ‘বার্ডের’ ভুল উত্তর, ১০০ বিলিয়ন ডলার হারাল অ্যালফাবেট

ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
ভারতেও নজরদারি চালিয়েছে চীনের গোয়েন্দা বেলুন, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ভারতেও নজরদারি চালিয়েছে চীনের গোয়েন্দা বেলুন, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
ফের বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা

ফের বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা

ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
ADVERTISEMENT
হককথা

Editor: ABM Salahuddin Ahmed
Ass. Editor: Samiul Islam

Mailing Address: 87-50 Kingston Pl,
Apt #5H, Jamaica, NY 11432
Contact: +1 347-848-3834
E-mail: hakkathany@gmail.com
Published by WEEKLY HAKKATHA Inc.

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (সকাল ৮:৩৮)
  • ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৭ই রজব, ১৪৪৪ হিজরি
  • ২৬শে মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 ১২৩৪৫
৬৭৮৯১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮  

হককথা বিশেষ সংখ্যা

  • Terms
  • Policy
  • Contact Us

© 2021 Hakkatha - Develop by Tech Avalon.

No Result
View All Result
  • হক কথা
  • নিউইয়র্ক
  • বাংলাদেশ
  • প্রবাস
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • তথ্য প্রযুক্তি
  • ক্লাসিফাইড
  • এক স্লিপ
  • আরো খবর
    • ইউএস প্রেসিডেন্ট ইলেকশন
    • ইতিহাসের এই দিনে
    • জাতিসংঘ
    • বিশ্বকাপ ক্রিকেট
    • বিশ্বকাপ ফুটবল
    • মিডিয়া
    • মুক্তাঙ্গন
    • লাইফ স্টাইল
    • সম্পাদকীয়
    • সাক্ষাতকার
    • সাহিত্য
    • স্বাস্থ্য
    • স্মরণ

© 2021 Hakkatha - Develop by Tech Avalon.