বাংলাদেশের প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইন ও প্রবাসীদের অধিকার
- প্রকাশের সময় : ০৮:০৮:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৭
- / ১৪০৩ বার পঠিত
ডা. ওয়াজেদ এ খান: গত বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে সরকার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করার লক্ষ্যে মন্ত্রীসভায় ‘বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইন ২০১৬’-এর খসড়া অনুমোদন করে, যা জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। তবে এরই মধ্যে নাগরিকত্ব আইনের খসড়ার বেশ কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি উঠায় এটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ এ আইনের খসড়া যে অবস্থায় আছে তা হুবহু কার্যকর হলে, প্রবাসীরা তাদের সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার হারাবেন, বিশেষ করে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের প্রবাসীদের বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার সুযোগ সংকুচিত হয়ে যাবে। এ আইনের কিছু ধারা কিছু মানুষকে রাষ্ট্রহীন করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এগুলো সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার পরিপন্থী। এসব আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে আইনের খসড়া সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তারপরও এ নিয়ে সংশয় এখনো দূর হয়নি। খসড়া আইনে কোন ব্যক্তির বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ, নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা, অযোগ্যতা, নাগরিকত্ব বাতিল ও নিয়ন্ত্রণ করা বিষয়গুলো বিধৃত হয়েছে। এ খসড়াটি মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত হওয়ার আগে এ সম্পর্কে দেশবাসীকে কোন ধারনা দেওয়া হয়নি। মন্ত্রীসভা খসড়াটির অনুমোদন দেয়ার পরই প্রবাসীসহ বাংলাদেশী নাগরিকরা এ নিয়ে ভাবার সুযোগ পেয়েছে।
খসড়া আইনের ৪ ধারায় জন্মসূত্রে অর্জিত নাগরিকত্বের শর্তাবলী বিবৃত হয়েছে। অন্যদিকে ধারা: ৫ (বংশসূত্রে নাগরিকত্ব), ধারা: ৬ (প্রবাসীদের নাগরিকত্ব), ধারা: ৮ (দ্বৈত নাগরিকত্ব), ধারা: ৯ (সম্মানসূচক নাগরিকত্ব), ধারা: ১০ (দেশীয়করণ সূত্রে নাগরিকত্ব), ধারা: ১১ (বৈবাহিক সূত্রে নাগরিকত্ব) এবং ধারা: ১২তে (ভূখন্ড সংযোজন সূত্রে নাগরিকত্ব) ইচ্ছাসূত্রে নাগরিক হওয়ার বিধান রয়েছে। ৬ ধারা অনুযায়ী, “বিদেশে বসবাসকারী কোন ব্যক্তি বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে সরকারের নিকট তাহার আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করিতে পারিবেন, যদি তাঁহার পিতা বা মাতা বা পিতামহ বা মাতামহ তিনি বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণের পূর্বে বাংলাদেশের নাগরিক হইয়া থাকেন।” অর্থাৎ খসড়া আইনটিতে নাগরিকদের মধ্যে শ্রেণি বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনের ধারা: ৭ এর ২ উপধারা অনুযায়ী ধারা: ৬ এর আওতায় নাগরিকত্ব লাভকারী ব্যক্তিরা বিভিন্ন সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার হারাবেন। যেমন, জাতীয় সংসদের সদস্য পদে নির্বাচন, সুপ্রীম কোর্টের বিচারকসহ প্রজাতন্ত্রের কোন দায়িত্বে নিয়োগ লাভ, স্থানীয় সরকারসহ যে কোন পদে নির্বাচন এবং কোন রাজনৈতিক সংগঠন করা। ধারা: ৮ এর ১ উপধারা অনুযায়ী সুপ্রীম কোর্টের বিচারক, জাতীয় সংসদের সদস্য অথবা শৃংখলা বাহিনীতে বা প্রজাতন্ত্রের অসামরিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি তার দায়িত্বে বা পদে নিয়োজিত থাকাকালীন সময়ে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারবেন না। এ আইনের খসড়া বিশ্লেষণ করে আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, এই আইন প্রবাসের তৃতীয়, চতুর্থ প্রজন্মকে বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার পথ রুদ্ধ করে দেবে। একই সাথে যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকবে তারা সরকারী চাকুরি, সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করাসহ সরকারি নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। এছাড়া দ্বৈত নাগরিকত্ব, বংশসূত্রে ও সম্মানসূচক নাগরিত্বসহ বৈবাহিক সূত্রে যারা নাগরিত্ব গ্রহণ করবেন তারা বিভিন্ন সাংবিধানিক অধিকার হারাবেন। যা বৈষম্যমূলক এবং বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮(১) অনুচ্ছেদের লংঘন। কারণ, সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, “কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবে না।” এ ছাড়া খসড়াটি সংবিধানের ৪০ অনুচ্ছেদেরও পরিপন্থী, যেখানে নাগরিকদের পেশা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এটি আইনের দৃষ্টিতে সমতা-সম্পর্কিত সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ, সরকারি নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতা সম্পর্কিত ২৯ অনুচ্ছেদ এবং সংগঠন করার অধিকার সম্পর্কিত ৩৮ অনুচ্ছেদের লংঘন। একইভাবে খসড়া আইনটি ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অফ হিউম্যান রাইটস (ইউডিএইচআর) এর ২, ৭, ২০ ও ২৩(১) ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইউডিএইচআরের ২ ধারায় জন্মনির্বিশেষে সবারই সমান অধিকারের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের খসড়া নাগরিকত্ব আইনের ৬, ৭ ও ১৩ ধারা আইসিসিপিআরের ২, ২৫ ও ২৬ ধারার সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল কভন্যান্ট অন সিভিল এন্ড পলিটিক্যাল রাইটস (আইসিসিপিআর) এর ২৬ ধারা অনুযায়ী, সবাই আইনের চেখে সমান এবং রাষ্ট্রীয় আইন সব ধরনের বৈষম্য নিষিদ্ধ করবে এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বতোভাবে সমান ও কার্যকর সুরক্ষা প্রদান করবে। ধারা: ৭ এ প্রবাসী নাগরিকদের ক্ষেত্রে নানা সীমাবদ্ধতার কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নাগরিকত্ব প্রদান ও বহাল রাখার ক্ষেত্রে সরকারী প্রজ্ঞাপন জারী করে যে কোন শর্ত আরোপ করা। ধারা: ৫-এর ২(ক) উপধারায় বলা হয়েছে, বংশসূত্রে নাগরিকত্ব অর্জনের জন্য জন্মের দুই বছর বা আইনটি বলবৎ হওয়ার দুই বছরের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে জন্মনিবন্ধন করতে হবে। ফলে দুই বছরের মধ্যে জন্মনিবন্ধনে ব্যর্থ হওয়া দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রবাসীরা বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। তা ছাড়া এ ধারায় যেভাবে শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে, তাতে তৃতীয় প্রজন্মের প্রবাসীদের, যাঁদের পিতা বংশসূত্রে নাগরিক হয়েছেন, তারা বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার কোনো সুযোগই পাবেন না। এর ফলে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশী নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিরাট অংশই তৃতীয় প্রজন্মের। এই আইন কার্যকর হলে তাঁরা বংশসূত্রে নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন। এতে অনেকেই আর বাংলাদেশে যেতে ও সেখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন না। একটি পরিসংখ্যান অনুসারে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ১৮ লাখ বাংলাদেশী যাঁরা এই দেশগুলোর নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করছেন। খসড়া আইনটি পাস হলে তাঁরা ভোগান্তির শিকার হবেন। কারণ তাঁরা দ্বৈত নাগরিক। শুধু তাই নয়, আইনটির কিছু ধারা প্রবাসীদের স্বার্থের সরাসরি পরিপন্থী। আইনের ধারা: ৫ ও ১৩ এর মাধ্যমে প্রবাসীদের মূলত দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনের ধারা: ৪/২ (খ), ৫ (৩) এবং ১১ (গ) উপধারায় পিতার অপরাধের জন্য পুত্রকে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। এটি সংবিধান এবং সর্বজনীন মানবাধিকারের পরিপন্থী। পিতা-মাতা বা অভিভাবকদের দায়িত্বহীনতার কারণে শিশুকে শাস্তি দেওয়া যায় না। একবার জাতীয়তা নির্ধারিত হওয়ার পর কাউকে রাষ্ট্রহীন করা যায় না। আইনের ৪(২) উপধারায় বলা হয়েছে, কারও পিতা বা মাতা বিদেশি শত্রু হলে তিনি জন্মসূত্রেও নাগরিক হতে পারবেন না। খসড়া আইনের ধারা: ৩ এ বলা হয়েছে, “আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইন, আইনগত দলিল, রায়, ডিক্রী, ইত্যাদিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।” আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, কোন নাগরিকের নাগরিকত্ব নির্ধারিত হওয়ার পর তাঁকে সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। এটিই আইনের স্বতঃসিদ্ধ নিয়ম। তারা খসড়ার ধারা ২০ কে নাগরিকত্ব আইনের সবচেয়ে ভয়ংকর দিক বলে উল্লেখ করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে, “জন্মসূত্রে প্রাপ্ত নাগরিকত্ব ব্যতীত বাংলাদেশের অন্য যে কোন নাগরিকের নাগরিকত্ব নি¤œবর্ণিত কারণে সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি বাতিল করিতে পারিবে।”
প্রবাসী বাংলাদেশীরা শিক্ষা, অর্থনীতি, উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদেশে পাড়ি জমালেও তাঁদের মন পড়ে থাকে স্বদেশে। তাঁদের শিকড় বাংলাদেশ। তাঁরা শিকড়কে ভালোবাসেন। শিকড়ের টানে দেশে ফিরে বিনিয়োগ করতে চান, প্রবাসের অর্জিত অভিজ্ঞতা দেশকে ফিরিয়ে দিতে চান, বসবাস ও নিয়মিত যাতায়াত করতে চান। খসড়া আইনে আরোপিত নাগরিকত্বের সীমাবদ্ধতার কারণে প্রবাসী ও তাঁদের সন্তান-সন্ততিদের বাংলাদেশবিমুখ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে বাংলাদেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগ, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং মেধা আমদানির সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর এর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পরে।
বিশ্বজুড়ে ইমিগ্রেশন ইস্যু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পৃথিবীর এক প্রান্তের মানুষ অন্য প্রান্তের দেশে গিয়ে অভিবাসী হচ্ছে এবং এক সময়ে ইমিগ্রান্টরা সেসব দেশের নাগরিকত্ব লাভ করছে। সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো অনেক দেশের নাগরিকত্ব আইনে ন্যাচারালাইজেন পদ্ধতিতে নাগরিকত্ব লাভের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উন্নত দেশগুলোতে ইমিগ্রেশন বড় একটি ইস্যু হলেও বাংলাদেশে এটি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ স্থায়ী হওয়া বা নাগরিকত্ব লাভের জন্য বাংলাদেশে বিদেশি ইমিগ্রান্ট প্রবাহ প্রায় শূণ্যের কোটায়। বরং এর উল্টোটাই প্রাধান্য পেয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত মানুষ যাচ্ছে বিদেশে, বিশেষ করে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, অষ্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে। অস্থায়ীভাবে চাকরি নিয়ে প্রবাসী হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। তাই প্রবাসী বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যেখানে এ সত্য প্রতিষ্ঠিত যে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তির অন্যতম প্রধান দিক হল প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশের বাইরে বসবাস করছে। এ সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। চাকরি সূত্রে হোক অথবা স্থায়ীভাবেই বসবাস করুক, এই ১ কোটি ৩০ লাখ বাংলাদেশীর সবাই প্রবাসী। দেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী। সংখ্যার হিসাবেও বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খসড়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যখন বিতর্ক শুরু হয় তখন এক সেমিনারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। প্রবাসী নাগরিকরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অংশগ্রহণে আগ্রহী প্রবাসী নাগরিকদের খুব উপযোগী বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে না। প্রবাসীদের বাংলাদেশে সম্পত্তির পূর্ণাঙ্গ সমমর্যাদা মালিকানা নিশ্চিত করতে হবে নাগরিকত্ব আইনে। প্রবাসী এবং তাদের সন্তানদের সম নাগরিক অধিকার, স্বদেশে তাদের জানমাল, সম্পত্তি ও বিনিয়োগের নিরাপত্তা, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগসহ সব ধরণের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
বি:দ্র: প্রবন্ধটি নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কর্তৃক গত ২৪ এপ্রিল’২০১৭ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইন ও প্রবাসীদের অধিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় পঠিত।
লেখক: ডা. ওয়াজেদ এ খান
আহবায়ক, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব
সম্পাদক, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ