নিউইয়র্ক ১০:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আমাদের নেত্রীদ্বয়ের পারস্পরিক ‘বিশ্বাস’ ও অন্যদের ‘জম্বি’ হওয়া!

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৫
  • / ৬৪০ বার পঠিত

টরন্টো (কানাডা): আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, খালেদার চারপাশের শিমুল-পলাশরাই বিএনপিকে সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছে। এদের দিয়ে রাজনীতি হয় না। অতি সম্প্রতি রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) মিলনায়তনে নৌকা সমর্থকগোষ্ঠী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিএনপি এখন আর কোনো গণতান্ত্রিক দল নয়। কেননা, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করে নিজেকে সন্ত্রাসের রানী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কাজেই অপাত্রে ঘি ঢেলে লাভ নেই। এখন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে। আরো বলেছেন, যারা রাজনৈতিক শিষ্টাচার জানে না, তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ কিংবা আলোচনা হতে পারে না। সংলাপের ফটকে তালা দিয়ে বিএনপি চিরতরে তা বন্ধ করে দিয়েছে।
তবে ওই বক্তব্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিএনপি রাজনীতির তিনটি বড় ভুলের কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সময় আলোচনার জন্য বিএনপিকে ডাকলেও আসেনি। দ্বিতীয়ত ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের আগে বেগম খালেদা জিয়াকে নিজে থেকে ফোন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন। নির্দলীয় সরকার না হলেও সর্বদলীয় সরকার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া সেই ডাকে সাড়া দেননি। আর সর্বশেষ গত ২৪ জানুয়ারী শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন দেখা করতে। কিন্তু কার্যালয়ের ফটক তালা মেরে রাখা হয়েছিল। ফলে বেগম খালেদা জিয়া সেদিন দেখা না করে শান্তির পরিবর্তে সন্ত্রাসের পথকেই বেছে নিলেন। এতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে উদ্ধৃত করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘সেদিন সৌজন্য দেখানো হয়নি’। আরো প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগী কথা বলতে পারে না। কিন্তু তবু আমরা দেখতে যাই। সমবেদনা জানাই। এটাই মানবতা। কিন্তু সেদিন বলা হলো ইনজেকশন নিয়ে ঘুমিয়েছেন খালেদা, দেখা করা যাবে না। কিন্তু কথা না হয় নাই হতো। কি হতো একটু চোখের দেখা দেখে আসলে’?
সত্যি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একজন চৌকস রাজনীতিক। তিনি নিজ গুণে যথার্থই বলেছেন। তা বলবেন না কেন? যতটা যৌক্তিক পন্থায় অন্যদের তুলনায় বলতে সফল হবেন, তাতে তার কদর বাড়বে বৈ কমবে না। সে পথেই তিনি সচেষ্ট হয়েছেন। ওকালতি মারপ্যাঁচের মতোই তার সরকারের সুরক্ষা ব্যুহটিকে অব্যর্থ প্রতিপন্ন করেছেন।
কিন্তু বাস্তবে সরকার কী সেই সুরক্ষা ব্যুহে নিরাপদ ও নির্বিঘœ রয়েছে? এই যে লাগাতার বিএনপি অবরোধ-হরতাল অব্যাহত রেখেছে, তাতে কী সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা নিরাপদ ও সাচ্ছন্দ্যপূর্ণ থাকছে? এত যে মানুষ ও সম্পদ মরছে ও পুড়ছে, খেটে-খাওয়া মানুষের আয়-রোজগার বন্ধ হয়েছে এবং রপ্তানি ও সামগ্রিক অর্থনীতি স্থবির হয়েছে, তাতে কী দেশ এগোচ্ছে? এই প্রশ্নগুলো নিশ্চয়ই ওই তিন ভুলের চেয়েও বিষম প্রশ্নবোধক। প্রশ্নবোধক এ কারণে যে, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’ হলে, জাতির এই বিপর্যস্ত ক্রান্তিকালে জনগণ কেনইবা শুনবে বিএনপির এই তিন ভুল? সেই তিন ভুলের মাসুল চাপাতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যে কথাগুলো বলেছেন, তেমনি বিএনপিও তার পাল্টা জবাব দিতে পারে। তাতে লাভ কী?
আপাতঃদৃষ্টিতে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীটি সরকার তার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরেই বাস্তবায়ন করেছে, তাতে বিএনপি আলোচনায় গেলে কী হতো? যে ফোনালাপের কথা বলা হয়েছে, তাতে বিশ্বের কাছে পরিচিত ‘দুই বেগমের লড়াই’-এর দেশে এমন ‘অকস্মাৎ’ ও ‘আজব’ ফোনালাপ কতটা বরফ গলায় তাৎপর্যমন্ডিত? আর সর্বশেষ, গেট বন্ধ ও ঘুমের ইনজেকশনের অজুহাতে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রা বিফল কতটা যৌক্তিক ও অর্থপূর্ণ, যেখানে দেশের সাবেক এক রাষ্ট্রপতি চিকিৎসক হিসেবে বলেছেন, সে সময় বেগম জিয়ার ঘুমটাই প্রয়োজনীয় ছিল এবং বন্ধ গেটের চাবিটা সরকারের হাতেই ছিল। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ তো মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে বলেছেন : প্রধানমন্ত্রীর যাওয়াটা ‘নিছক ছলনা’ ছিল। কারণ আগেই খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে মামলা দেওয়া হয়েছে।
বাস্তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এক জনসভায় বলেছেন, ‘আপনি হরতাল প্রত্যাহার করুন, আলোচনার পথ খোলা আছে। কিন্তু এই হরতাল প্রত্যাহার করে আপনাকে ওয়াদা করে বলতে হবে এই হরতাল দিয়ে আপনি জনগণের জানমাল নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলবেন না’। আর বেগম খালেদা জিয়া সর্বশেষ বলেছেন, ‘দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে আলোচনা শুরু করুন। আমি আজও বলছি, ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব আনুযায়ী সরকার সংলাপের পথে ফিরে আসবে’। এখানে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচল কোথায়? তা হলে কেন তারা আস্থাশীল হয়ে পারস্পরিক মর্যাদায় একটি সহিষ্ণু অবস্থান থেকে সংলাপ শুরু করছেন না? কেন এই পারস্পরিক বিশ্বাস আজ অবদমিত? কেন জনতার কথা ভেবে কেউ তাদের বিশ্বাসকে উজ্জীবিত করতে অপারগ কিংবা পরাভূত?
প্রসঙ্গত রাশিয়ায় শতবষের্র পুরনো এক কবি, ফিওডোর ইভানোভিচ তুচেভ চার লাইনের একটি কবিতা লিখে আজো মহান। যার বাংলা দাঁড়ায় : ‘রাশিয়াকে কিসে পরিমাপ সম্ভব? তার কোনো পরিমাপ যন্ত্র নেই। তার অন্তরাত্বা স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে গড়া। কেবলই বিশ্বাসে মহীয়ান’।
এতে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিকÑ যেখানে নাশকতার আগুনে দেশ জ্বলছে, সেখানে তা নিরসনে আমাদের নেত্রীদ্বয়ের পারস্পরিক ‘বিশ্বাস’টি কী মরে গেছে, নাকি অন্যেরাও আমেরিকান হরর টিভি সিরিজ ‘ওয়াকিং ডেড’-এর মতো তাতে ‘জম্বি’ হয়ে উঠছেন? (দৈনিক আমাদের অর্থনীীত)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

আমাদের নেত্রীদ্বয়ের পারস্পরিক ‘বিশ্বাস’ ও অন্যদের ‘জম্বি’ হওয়া!

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৫

টরন্টো (কানাডা): আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, খালেদার চারপাশের শিমুল-পলাশরাই বিএনপিকে সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দলে পরিণত করেছে। এদের দিয়ে রাজনীতি হয় না। অতি সম্প্রতি রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) মিলনায়তনে নৌকা সমর্থকগোষ্ঠী আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিএনপি এখন আর কোনো গণতান্ত্রিক দল নয়। কেননা, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করে নিজেকে সন্ত্রাসের রানী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কাজেই অপাত্রে ঘি ঢেলে লাভ নেই। এখন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সন্ত্রাসমুক্ত করতে হবে। আরো বলেছেন, যারা রাজনৈতিক শিষ্টাচার জানে না, তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ কিংবা আলোচনা হতে পারে না। সংলাপের ফটকে তালা দিয়ে বিএনপি চিরতরে তা বন্ধ করে দিয়েছে।
তবে ওই বক্তব্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিএনপি রাজনীতির তিনটি বড় ভুলের কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সময় আলোচনার জন্য বিএনপিকে ডাকলেও আসেনি। দ্বিতীয়ত ৫ জানুয়ারী নির্বাচনের আগে বেগম খালেদা জিয়াকে নিজে থেকে ফোন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন। নির্দলীয় সরকার না হলেও সর্বদলীয় সরকার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া সেই ডাকে সাড়া দেননি। আর সর্বশেষ গত ২৪ জানুয়ারী শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন দেখা করতে। কিন্তু কার্যালয়ের ফটক তালা মেরে রাখা হয়েছিল। ফলে বেগম খালেদা জিয়া সেদিন দেখা না করে শান্তির পরিবর্তে সন্ত্রাসের পথকেই বেছে নিলেন। এতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে উদ্ধৃত করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘সেদিন সৌজন্য দেখানো হয়নি’। আরো প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগী কথা বলতে পারে না। কিন্তু তবু আমরা দেখতে যাই। সমবেদনা জানাই। এটাই মানবতা। কিন্তু সেদিন বলা হলো ইনজেকশন নিয়ে ঘুমিয়েছেন খালেদা, দেখা করা যাবে না। কিন্তু কথা না হয় নাই হতো। কি হতো একটু চোখের দেখা দেখে আসলে’?
সত্যি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একজন চৌকস রাজনীতিক। তিনি নিজ গুণে যথার্থই বলেছেন। তা বলবেন না কেন? যতটা যৌক্তিক পন্থায় অন্যদের তুলনায় বলতে সফল হবেন, তাতে তার কদর বাড়বে বৈ কমবে না। সে পথেই তিনি সচেষ্ট হয়েছেন। ওকালতি মারপ্যাঁচের মতোই তার সরকারের সুরক্ষা ব্যুহটিকে অব্যর্থ প্রতিপন্ন করেছেন।
কিন্তু বাস্তবে সরকার কী সেই সুরক্ষা ব্যুহে নিরাপদ ও নির্বিঘœ রয়েছে? এই যে লাগাতার বিএনপি অবরোধ-হরতাল অব্যাহত রেখেছে, তাতে কী সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা নিরাপদ ও সাচ্ছন্দ্যপূর্ণ থাকছে? এত যে মানুষ ও সম্পদ মরছে ও পুড়ছে, খেটে-খাওয়া মানুষের আয়-রোজগার বন্ধ হয়েছে এবং রপ্তানি ও সামগ্রিক অর্থনীতি স্থবির হয়েছে, তাতে কী দেশ এগোচ্ছে? এই প্রশ্নগুলো নিশ্চয়ই ওই তিন ভুলের চেয়েও বিষম প্রশ্নবোধক। প্রশ্নবোধক এ কারণে যে, ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’ হলে, জাতির এই বিপর্যস্ত ক্রান্তিকালে জনগণ কেনইবা শুনবে বিএনপির এই তিন ভুল? সেই তিন ভুলের মাসুল চাপাতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যে কথাগুলো বলেছেন, তেমনি বিএনপিও তার পাল্টা জবাব দিতে পারে। তাতে লাভ কী?
আপাতঃদৃষ্টিতে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীটি সরকার তার সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরেই বাস্তবায়ন করেছে, তাতে বিএনপি আলোচনায় গেলে কী হতো? যে ফোনালাপের কথা বলা হয়েছে, তাতে বিশ্বের কাছে পরিচিত ‘দুই বেগমের লড়াই’-এর দেশে এমন ‘অকস্মাৎ’ ও ‘আজব’ ফোনালাপ কতটা বরফ গলায় তাৎপর্যমন্ডিত? আর সর্বশেষ, গেট বন্ধ ও ঘুমের ইনজেকশনের অজুহাতে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রা বিফল কতটা যৌক্তিক ও অর্থপূর্ণ, যেখানে দেশের সাবেক এক রাষ্ট্রপতি চিকিৎসক হিসেবে বলেছেন, সে সময় বেগম জিয়ার ঘুমটাই প্রয়োজনীয় ছিল এবং বন্ধ গেটের চাবিটা সরকারের হাতেই ছিল। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ তো মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে বলেছেন : প্রধানমন্ত্রীর যাওয়াটা ‘নিছক ছলনা’ ছিল। কারণ আগেই খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে মামলা দেওয়া হয়েছে।
বাস্তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এক জনসভায় বলেছেন, ‘আপনি হরতাল প্রত্যাহার করুন, আলোচনার পথ খোলা আছে। কিন্তু এই হরতাল প্রত্যাহার করে আপনাকে ওয়াদা করে বলতে হবে এই হরতাল দিয়ে আপনি জনগণের জানমাল নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলবেন না’। আর বেগম খালেদা জিয়া সর্বশেষ বলেছেন, ‘দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে আলোচনা শুরু করুন। আমি আজও বলছি, ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব আনুযায়ী সরকার সংলাপের পথে ফিরে আসবে’। এখানে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচল কোথায়? তা হলে কেন তারা আস্থাশীল হয়ে পারস্পরিক মর্যাদায় একটি সহিষ্ণু অবস্থান থেকে সংলাপ শুরু করছেন না? কেন এই পারস্পরিক বিশ্বাস আজ অবদমিত? কেন জনতার কথা ভেবে কেউ তাদের বিশ্বাসকে উজ্জীবিত করতে অপারগ কিংবা পরাভূত?
প্রসঙ্গত রাশিয়ায় শতবষের্র পুরনো এক কবি, ফিওডোর ইভানোভিচ তুচেভ চার লাইনের একটি কবিতা লিখে আজো মহান। যার বাংলা দাঁড়ায় : ‘রাশিয়াকে কিসে পরিমাপ সম্ভব? তার কোনো পরিমাপ যন্ত্র নেই। তার অন্তরাত্বা স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে গড়া। কেবলই বিশ্বাসে মহীয়ান’।
এতে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিকÑ যেখানে নাশকতার আগুনে দেশ জ্বলছে, সেখানে তা নিরসনে আমাদের নেত্রীদ্বয়ের পারস্পরিক ‘বিশ্বাস’টি কী মরে গেছে, নাকি অন্যেরাও আমেরিকান হরর টিভি সিরিজ ‘ওয়াকিং ডেড’-এর মতো তাতে ‘জম্বি’ হয়ে উঠছেন? (দৈনিক আমাদের অর্থনীীত)