নিউইয়র্ক ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

হিন্দুস্তান টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার পরামর্শ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৩১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০১৫
  • / ৫৮১ বার পঠিত

ঢাকা: হিন্দুস্তান টাইমস অভিজিৎ রায়ের হত্যাকান্ডের বিষয়ে গত ২ মার্চের এক নিবন্ধে বলেছে, বাংলাদেশের অবনতিশীল পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনাকে তার হিস্যার দায় কাঁধে নিতে হবে। যদিও তাঁর শক্তিশালী ধর্মনিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্যতা আছে। কিন্তু তিনি চাপের মুখে স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা দেখিয়ে চলেছেন। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, যিনি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা, তিনি নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট সদস্য, একজন বিশিষ্ট আইনবিদ এবং স্টার সম্পাদককে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছেন। হিন্দুস্তান টাইমস নিবন্ধে বলেছে, ওই গ্রেপ্তারের আহ্বান তিনি যে অভিযোগের ভিত্তিতে করেছেন তা স্পষ্টত ভিত্তিহীন। প্রধানমন্ত্রী হাসিনার উচিত হবে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া থেকে দৃঢ়তার সঙ্গে বিরত থাকা এবং দেশকে আরও বেশি নৈরাজ্যের দিকে না ঠেলে দিতে পারে এমন ঝুঁকি না নেয়া।
অভিজিৎ রায়ের হত্যাকান্ড বাংলাদেশের ভেঙ্গে যাওয়া রাজনীতির প্রতিফল। অভিজিৎ হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ সাহসিকতার সঙ্গে এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু ধর্মীয় চরমপন্থিরা ভবিষ্যতে তাদের শক্তি পরীক্ষায় নামবে। তবে তার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা কেবল বিশ্বাসযোগ্য রাষ্ট্রীয় সামর্থ্যরে উপর নির্ভর করবে, আর সেটা এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সামান্যই রয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। চরমপন্থিরা প্রকাশ্যে রায়কে হুমকি দিতে পেরেছে এবং দ্রষ্টব্য স্থানে তাকে হত্যা করতে পেরেছে। বাংলাদেশের রাজনীতি ভেঙ্গে পড়েছে। এবং তার আইনের শাসনও দুর্বল হয়ে পড়েছে। এতে আরও বলা হয়, দেশটি এত বেশি বিশৃঙ্খলা দেখেছে যে, দৈনন্দিন ভিত্তিতে ঠিক কোন ব্যবস্থা কাজ করে তা নির্দিষ্ট করে অনুভব করা কঠিন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া ২ মার্চে প্রকাশিত এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশে অসহিষ্ণুতা যে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে তার সর্বশেষ উদাহরণ হলো অভিজিৎ হত্যাকান্ড। যদিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবর্মূতি রয়েছে কিন্তু তারা ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের কাছে পুনঃপুন পরাজয় স্বীকার করে চলেছে। রায়ের হত্যাকান্ড ধর্মীয় মৌলবাদীদের দ্বারা সৃষ্ট হুমকি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, সরকার তাদেরকে প্রায়শ সাহায্য করে থাকে। কারণ মৌলবাদীদের তোয়াজ করে চলতে এবং ভুক্তভোগীদের দোষারোপ করতে সরকারের স্বাভাবিক প্রবণতা রয়েছে। এই বিষয়টি অবশ্য ভারতীয় সমাজেও অজ্ঞাত নয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া আরও উল্লেখ করে যে, গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশ উচ্চমাত্রার সহিংসতা এবং বিপুল রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের দ্বারা আলোড়িত হচ্ছে। তার ভঙ্গুর অর্থনীতির জন্য এটা খুবই ক্ষতিকর। হাসিনা সরকারের উচিত হবে এই ধারা উল্টে দেয়া অন্যথায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের পথে যেতে পারে। (দৈনিক মানবজমিন)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

হিন্দুস্তান টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার পরামর্শ

প্রকাশের সময় : ০১:৩১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ ২০১৫

ঢাকা: হিন্দুস্তান টাইমস অভিজিৎ রায়ের হত্যাকান্ডের বিষয়ে গত ২ মার্চের এক নিবন্ধে বলেছে, বাংলাদেশের অবনতিশীল পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনাকে তার হিস্যার দায় কাঁধে নিতে হবে। যদিও তাঁর শক্তিশালী ধর্মনিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্যতা আছে। কিন্তু তিনি চাপের মুখে স্বৈরতান্ত্রিক প্রবণতা দেখিয়ে চলেছেন। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, যিনি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা, তিনি নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট সদস্য, একজন বিশিষ্ট আইনবিদ এবং স্টার সম্পাদককে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছেন। হিন্দুস্তান টাইমস নিবন্ধে বলেছে, ওই গ্রেপ্তারের আহ্বান তিনি যে অভিযোগের ভিত্তিতে করেছেন তা স্পষ্টত ভিত্তিহীন। প্রধানমন্ত্রী হাসিনার উচিত হবে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া থেকে দৃঢ়তার সঙ্গে বিরত থাকা এবং দেশকে আরও বেশি নৈরাজ্যের দিকে না ঠেলে দিতে পারে এমন ঝুঁকি না নেয়া।
অভিজিৎ রায়ের হত্যাকান্ড বাংলাদেশের ভেঙ্গে যাওয়া রাজনীতির প্রতিফল। অভিজিৎ হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ সাহসিকতার সঙ্গে এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু ধর্মীয় চরমপন্থিরা ভবিষ্যতে তাদের শক্তি পরীক্ষায় নামবে। তবে তার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা কেবল বিশ্বাসযোগ্য রাষ্ট্রীয় সামর্থ্যরে উপর নির্ভর করবে, আর সেটা এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সামান্যই রয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। চরমপন্থিরা প্রকাশ্যে রায়কে হুমকি দিতে পেরেছে এবং দ্রষ্টব্য স্থানে তাকে হত্যা করতে পেরেছে। বাংলাদেশের রাজনীতি ভেঙ্গে পড়েছে। এবং তার আইনের শাসনও দুর্বল হয়ে পড়েছে। এতে আরও বলা হয়, দেশটি এত বেশি বিশৃঙ্খলা দেখেছে যে, দৈনন্দিন ভিত্তিতে ঠিক কোন ব্যবস্থা কাজ করে তা নির্দিষ্ট করে অনুভব করা কঠিন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া ২ মার্চে প্রকাশিত এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশে অসহিষ্ণুতা যে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে তার সর্বশেষ উদাহরণ হলো অভিজিৎ হত্যাকান্ড। যদিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবর্মূতি রয়েছে কিন্তু তারা ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের কাছে পুনঃপুন পরাজয় স্বীকার করে চলেছে। রায়ের হত্যাকান্ড ধর্মীয় মৌলবাদীদের দ্বারা সৃষ্ট হুমকি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, সরকার তাদেরকে প্রায়শ সাহায্য করে থাকে। কারণ মৌলবাদীদের তোয়াজ করে চলতে এবং ভুক্তভোগীদের দোষারোপ করতে সরকারের স্বাভাবিক প্রবণতা রয়েছে। এই বিষয়টি অবশ্য ভারতীয় সমাজেও অজ্ঞাত নয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া আরও উল্লেখ করে যে, গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশ উচ্চমাত্রার সহিংসতা এবং বিপুল রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের দ্বারা আলোড়িত হচ্ছে। তার ভঙ্গুর অর্থনীতির জন্য এটা খুবই ক্ষতিকর। হাসিনা সরকারের উচিত হবে এই ধারা উল্টে দেয়া অন্যথায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের পথে যেতে পারে। (দৈনিক মানবজমিন)