নিউইয়র্ক ১০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সাংবাদিক হোসাইন জাকির আর নেই

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
  • / ৭৯৭ বার পঠিত

ঢাকা: বিশিষ্ট সাংবাদিক হোসাইন জাকির আর নেই। মরণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে পরাস্ত হয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন তিনি। রাজধানীর মিরপুরে ডেল্টা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি থাকাবস্থায় ২১ ফেব্রুয়ারী শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি (ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। তিনি স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কন্যা নিলয় (১৪), ছেলে আকাশ (১১) ও দেড় বছরের শিশুপুত্র স্বপ্নসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও সহকর্মী রেখে গেছেন।
সদা হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হোসাইন জাকির প্রায় ১৮ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় কমর্রত ছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ক্যান্সার ধরা পড়ার পর প্রথমে তাকে ডেল্টা মেডিকেলে ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য হোসাইন জাকিরকে গত বছরের মধ্য অক্টোবরে ভারতের মুম্বাইয়ে টাটা মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে ফেরত আসার পর তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ঢাকার ডেল্টা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
শনিবার রাত ৮টায় হোসাইন জাকিরের মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার প্রিয় প্রতিষ্ঠান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) চত্বরে। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়ায় নেয়া হয়। রোববার বাদ জোহর জানাজার পর জাকিরের বাবা মরহুম ডা. আবদুল হাফিজের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
সহকর্মীদের সঙ্গে সব সময় হাসিমুখে কথা বলতেন হোসাইন জাকির। পান খাওয়া, গল্প বলা আর অমায়িক আচরণ সহকর্মীদের তিনি সহজেই কাছে টানতে পারতেন। এই প্রিয় সহকর্মীকে হারিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমসহ যুগান্তর পরিবার। এছাড়াও গভীর শোক জানিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি আলতাফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন। শোক জানিয়েছেন আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ বদিউজ্জামান ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিশন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হুমায়ূন কবির এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন, মাওলানা মতীন স্মৃতি সংসদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার ও মহাসচিব দেলোয়ার হোসেন সাঈদ।
হোসাইন জাকিরের সাংবাদিকতা জীবন শুরু চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী পত্রিকার মাধ্যমে। এর পর থেকে দীর্ঘ ১৮ বছর তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন দৈনিকে কাজ করেন। তিনি দৈনিক যুগান্তরে সিনিয়র রিপোর্টার ও পরে বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে অত্যন্ত যোগ্যতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে দৈনিক যুগান্তর ছেড়ে তিনি আলোকিত বাংলাদেশের প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেন। এরপর সর্বশেষ তিনি প্রকাশিতব্য দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন। তার আগে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকাতে কাজ করেন। তিনি সাংবাদিকতায় সেরা প্রতিবেদনের জন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে ২০০৪, ২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৯ সালে এবং ২০১১ সালে ইউনিসেফ পুরস্কার লাভ করেন। (দৈনিক যুগান্তর)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

সাংবাদিক হোসাইন জাকির আর নেই

প্রকাশের সময় : ০৩:৪১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫

ঢাকা: বিশিষ্ট সাংবাদিক হোসাইন জাকির আর নেই। মরণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে পরাস্ত হয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন তিনি। রাজধানীর মিরপুরে ডেল্টা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি থাকাবস্থায় ২১ ফেব্রুয়ারী শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি (ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। তিনি স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন এবং কন্যা নিলয় (১৪), ছেলে আকাশ (১১) ও দেড় বছরের শিশুপুত্র স্বপ্নসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও সহকর্মী রেখে গেছেন।
সদা হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হোসাইন জাকির প্রায় ১৮ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় কমর্রত ছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ক্যান্সার ধরা পড়ার পর প্রথমে তাকে ডেল্টা মেডিকেলে ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য হোসাইন জাকিরকে গত বছরের মধ্য অক্টোবরে ভারতের মুম্বাইয়ে টাটা মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই হাসপাতাল থেকে ফেরত আসার পর তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ঢাকার ডেল্টা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
শনিবার রাত ৮টায় হোসাইন জাকিরের মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার প্রিয় প্রতিষ্ঠান ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) চত্বরে। সেখানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়ায় নেয়া হয়। রোববার বাদ জোহর জানাজার পর জাকিরের বাবা মরহুম ডা. আবদুল হাফিজের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
সহকর্মীদের সঙ্গে সব সময় হাসিমুখে কথা বলতেন হোসাইন জাকির। পান খাওয়া, গল্প বলা আর অমায়িক আচরণ সহকর্মীদের তিনি সহজেই কাছে টানতে পারতেন। এই প্রিয় সহকর্মীকে হারিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমসহ যুগান্তর পরিবার। এছাড়াও গভীর শোক জানিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি আলতাফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ, সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন। শোক জানিয়েছেন আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ বদিউজ্জামান ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিশন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হুমায়ূন কবির এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন, মাওলানা মতীন স্মৃতি সংসদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সরকার ও মহাসচিব দেলোয়ার হোসেন সাঈদ।
হোসাইন জাকিরের সাংবাদিকতা জীবন শুরু চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদী পত্রিকার মাধ্যমে। এর পর থেকে দীর্ঘ ১৮ বছর তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন দৈনিকে কাজ করেন। তিনি দৈনিক যুগান্তরে সিনিয়র রিপোর্টার ও পরে বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে অত্যন্ত যোগ্যতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরে দৈনিক যুগান্তর ছেড়ে তিনি আলোকিত বাংলাদেশের প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে যোগ দেন। এরপর সর্বশেষ তিনি প্রকাশিতব্য দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক ছিলেন। তার আগে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকাতে কাজ করেন। তিনি সাংবাদিকতায় সেরা প্রতিবেদনের জন্য ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি থেকে ২০০৪, ২০০৬, ২০০৭ ও ২০০৯ সালে এবং ২০১১ সালে ইউনিসেফ পুরস্কার লাভ করেন। (দৈনিক যুগান্তর)