নিউইয়র্ক ১১:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সাংবাদিক সাদেক খান আর নেই

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৮:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০১৬
  • / ৮৭০ বার পঠিত

ঢাকা: প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামনিস্ট সাদেক খান আর নেই। বার্ধক্যজনিত রোগে ১৬ মে সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি……….রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। ১৭ মে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তার মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবে নেয়া হবে। বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে নামাজে জানাজার পর বনানী কবরস্থানে তার পিতার সমাধিতে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার আবদুল জব্বার খানের বড় ছেলে সাদেক খান গত শতকের পঞ্চাশের দশকে দৈনিক সংবাদে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘হলিডে’তে লিখেছেন।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী সাদেক খান কেবল সাংবাদিকতা নয়, চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন অঙ্গনে রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর। তরুণ বয়সে চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। তার নদী ও নারী সিনেমাটি মুক্তি পায় ষাটের দশকে। রাজনৈতিক দর্শনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অনুসারী ছিলেন সাদেক খান। সাদেক খানের ভাইবোনদের মধ্যে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবু জাফর মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ খান একজন জাঁদরেল সচিব ও বিখ্যাত কবি ছিলেন। আরেক ভাই সাবেক মন্ত্রী এনায়েতুল্লাহ খান ছিলেন সাপ্তাহিক হলিডে ও ইংরেজি দৈনিক নিউএজ-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তিনি রাষ্ট্রদূতও ছিলেন। অন্যভাই ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং বর্তমান সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। আরেক ভাই শহীদুল্লাহ খান বাদল ঢাকা ব্যাংকের একজন পরিচালক এবং নিউএজের পরিচালনা পর্যদেও যুক্ত। বোনদের মধ্যে সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী সেলিমা রহমান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান।
সাদেক খানের গাড়ি চালক নজরুল ইসলাম জানান, বেলা ১১টার দিকে তিনি গোসল করতে বাথরুমে ঢোকেন। এরপর দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে বেলা ১২টার দিকে দরজা ভেঙে তাকে বাথরুমের ভেতরে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে খবর দেয়া হলে তিনি এসে সাদেক খানের মরদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে সাদেক খানের মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক শোকবার্তায় বলেন, গণতান্ত্রিক চেতনা নির্মাণে মুক্তমত এক অনিবার্য শর্ত, সেইজন্য মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সাদেক খানের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃত মরহুম সাদেক খান বস্তনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মহান ব্রতকে সামনে রেখে নিরলস কাজ করেছেন। বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ইতিহাসে একজন প্রথিতযশা কলমসৈনিক হিসেবে স্বাধীনতা পূর্বাপর ধাপে ধাপে স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল গণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর শানিত লেখনি ছিল নিঃসন্দেহে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকারের পক্ষে। খালেদা জিয়া মরহুম সাদেক খানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি সমবেদনা জানান।
এছাড়াও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক দুই তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বিএফইউজে একাংশের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজে একাংশের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার জেড আই এম মোস্তফা আলী মুকুল ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ শোক জানিয়েছেন।
সাংবাদিক সাদেক খানের ইন্তেকালে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে তার বিদেহী আতœার শান্তি কামনা করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

সাংবাদিক সাদেক খান আর নেই

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৮:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০১৬

ঢাকা: প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামনিস্ট সাদেক খান আর নেই। বার্ধক্যজনিত রোগে ১৬ মে সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি……….রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। ১৭ মে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তার মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবে নেয়া হবে। বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে নামাজে জানাজার পর বনানী কবরস্থানে তার পিতার সমাধিতে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার আবদুল জব্বার খানের বড় ছেলে সাদেক খান গত শতকের পঞ্চাশের দশকে দৈনিক সংবাদে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ইংরেজি সাপ্তাহিক ‘হলিডে’তে লিখেছেন।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী সাদেক খান কেবল সাংবাদিকতা নয়, চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন অঙ্গনে রেখেছেন প্রতিভার স্বাক্ষর। তরুণ বয়সে চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। তার নদী ও নারী সিনেমাটি মুক্তি পায় ষাটের দশকে। রাজনৈতিক দর্শনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অনুসারী ছিলেন সাদেক খান। সাদেক খানের ভাইবোনদের মধ্যে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবু জাফর মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ খান একজন জাঁদরেল সচিব ও বিখ্যাত কবি ছিলেন। আরেক ভাই সাবেক মন্ত্রী এনায়েতুল্লাহ খান ছিলেন সাপ্তাহিক হলিডে ও ইংরেজি দৈনিক নিউএজ-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। তিনি রাষ্ট্রদূতও ছিলেন। অন্যভাই ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং বর্তমান সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। আরেক ভাই শহীদুল্লাহ খান বাদল ঢাকা ব্যাংকের একজন পরিচালক এবং নিউএজের পরিচালনা পর্যদেও যুক্ত। বোনদের মধ্যে সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী সেলিমা রহমান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান।
সাদেক খানের গাড়ি চালক নজরুল ইসলাম জানান, বেলা ১১টার দিকে তিনি গোসল করতে বাথরুমে ঢোকেন। এরপর দীর্ঘ সময় সাড়া না পেয়ে বেলা ১২টার দিকে দরজা ভেঙে তাকে বাথরুমের ভেতরে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে খবর দেয়া হলে তিনি এসে সাদেক খানের মরদেহ ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে সাদেক খানের মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক শোকবার্তায় বলেন, গণতান্ত্রিক চেতনা নির্মাণে মুক্তমত এক অনিবার্য শর্ত, সেইজন্য মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সাদেক খানের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃত মরহুম সাদেক খান বস্তনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মহান ব্রতকে সামনে রেখে নিরলস কাজ করেছেন। বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ইতিহাসে একজন প্রথিতযশা কলমসৈনিক হিসেবে স্বাধীনতা পূর্বাপর ধাপে ধাপে স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল গণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাঁর শানিত লেখনি ছিল নিঃসন্দেহে গণতন্ত্র ও মানুষের মৌলিক অধিকারের পক্ষে। খালেদা জিয়া মরহুম সাদেক খানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি সমবেদনা জানান।
এছাড়াও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক দুই তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, এনডিপির চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বিএফইউজে একাংশের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজে একাংশের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি ও সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার জেড আই এম মোস্তফা আলী মুকুল ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ শোক জানিয়েছেন।
সাংবাদিক সাদেক খানের ইন্তেকালে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে তার বিদেহী আতœার শান্তি কামনা করেছেন।