নিউইয়র্ক ১০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সাংবাদিক শওকত মাহমুদ গ্রেফতার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৫
  • / ৬২৯ বার পঠিত

ঢাকা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের নানা অনিয়ম ও কারচুপি নিয়ে আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের সাংবাদিক সম্মেলনে যাওয়ার পথে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতা শওকত মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের (বিএফইউজে) সভাপতি এই সাংবাদিক নেতাকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় গাড়ি পোড়ানোর তিন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
শওকত মাহমুদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল মোমিন জানান, ১৮ আগষ্ট মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর রাজধানীর সামুরাই কনভেনশন সেন্টারে প্রবেশের সময় পুলিশ তাকে বাধা দেয়। পরে সাদা পোশাকের পুলিশ সাদা একটি মাইক্রোবাসে তুলে তাকে নিয়ে যায়। শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানোসহ নাশকতার আটটি মামলা আছে বলে জানান তিনি।
বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর পান্থপথের সামুরাই কনভেনশন সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলনটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কনভেনশন সেন্টারের মূল ফটকে পুলিশ তালা দেয়ায় তা পন্ড হয়। এদিকে বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অবিলম্বে শওকত মাহমুদের মুক্তি দাবি করেন বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, শওকত মাহমুদের নামে কয়েকটি মামলা আছে। এ কারণেই তাকে ধরা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, রমনা থানায় ১০ জানুয়ারী দায়ের করা গাড়ি পোড়ানোর মামলায় (মামলা নম্বর ৮) শওকত মাহমুদকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হবে। তাকে বুধবারই আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপ-কমিশনার মাশরুখ খালেদ। আদালতে তোলার আগ পর্যন্ত শওকত মাহমুদকে ডিবি হেফাজতেই রাখা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
গ্রেফতার শওকত মাহমুদের জন্য ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে দিয়ে এসেছেন তার স্ত্রী ফেরদৌসী মাহমুদ। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে স্বামীর প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাবার ও জামাকাপড় দিয়ে আসেন তিনি। ফেরদৌসী সাংবাদিকদের বলেন, তার (শওকত) শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। ১৪ আগষ্ট শুক্রবার তিনি ব্যাংকক থেকে চিকিৎসা করিয়ে দেশে ফিরেছেন। তিনি বলেন, আমি ওষুধ, খাবার ও জামাকাপড় দিয়ে এসেছি। আমাকে বলা হয়েছে, বিকাল সাড়ে ৩টার পর তার কাছে সেসব পৌঁছে দেয়া হবে।
শওকত মাহমুদকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেছে বিএফইউজে ও ডিইউজের নেতারা। প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, এম আবদুল্লাহ, এমএ আজিজ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ। এদিকে তার মুক্তির দাবিতে ১৯ আগষ্ট বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএফইউজে ও ডিইউজে।
শওকত মাহমুদকে গ্রেফতার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক ও অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেছেন আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহবায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ। অবিলম্বে তাকে ছেড়ে দেয়ার দাবি জানান। সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে কনভেনশন সেন্টারের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের যে সিটি নির্বাচন হয়েছিল ওই নির্বাচনে কি কি অসুবিধা ফেস করতে হয়েছিল, অনিয়মের মাত্রাটা কেমন ছিল সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে চেয়েছিলাম। যেন ভবিষ্যতে নির্বাচন চলাকালে বা কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে গেলে এই অনিয়মগুলো সরকার ইচ্ছাপূর্বক বন্ধ করে। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য এখানে উপস্থিত হইনি।
অধ্যাপক এমাজউদ্দীন বলেন, আমি বিএনপির লোক নই। বিএনপির এক টাকা চাঁদা দেয়ার লোকও আমি নই। আমার পাশে যারা রয়েছেন এরাও সম্ভবত তাই। এ সময় তার পাশে ছিলেন ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই তা হচ্ছে- দেশে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা হয় না।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, সাধারণত ঘরোয়া অনুষ্ঠান করতে অনুমতি নিতে হয় না। তারপরও আমরা কলাবাগান থানাকে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছি। থানা আমাদের নিষেধও করেনি। কিন্তু সকালে এসে দেখি হঠাৎ করেই হলরুম বন্ধ। এটা কোনো ভদ্রোচিত কাজ নয়। তিনি বলেন, এই ঘটনা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা যে গণতন্ত্রের কথা বলেন তার বিপরীত। তাই নিন্দাও জানাতে চাই না। শুধু বলতে চাই, তারা (সরকার) যেন নাগরিক অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হয়।
কনভেনশন সেন্টারের কর্মচারী শাহ পরান জানান, সোমবার রাতেই নিরাপত্তার স্বার্থে কলাবাগান থানা পুলিশ এ অনুষ্ঠান বন্ধ করতে আমাদের বলেছিল। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত কলাবাগান থানার ওসি আবিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা স্বাভাবিক ডিউটিতে ছিলাম। সামুরাই কর্তৃপক্ষই অনুষ্ঠান বাতিল করেছে।
এদিকে শওকত মাহমুদকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার (জেইউবি) উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ক্লাবের সামনে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। সভা থেকে শওকত মাহমুদকে মুক্তি দিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়। অন্যথায় শুধু বগুড়া নয়, সারা দেশে রাজপথে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করা হবে জানান জেইউবি নেতারা।
শওকত মাহমুদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে উপজেলায় ২০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধা হরতাল ডেকেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা বিএনপি। মঙ্গলবার বিকালে কুমিল্লা (দক্ষিণ) জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া হরতালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। (দৈনিক যুগান্তর)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

সাংবাদিক শওকত মাহমুদ গ্রেফতার

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৮:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৫

ঢাকা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের নানা অনিয়ম ও কারচুপি নিয়ে আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের সাংবাদিক সম্মেলনে যাওয়ার পথে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতা শওকত মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের (বিএফইউজে) সভাপতি এই সাংবাদিক নেতাকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় গাড়ি পোড়ানোর তিন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
শওকত মাহমুদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল মোমিন জানান, ১৮ আগষ্ট মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর রাজধানীর সামুরাই কনভেনশন সেন্টারে প্রবেশের সময় পুলিশ তাকে বাধা দেয়। পরে সাদা পোশাকের পুলিশ সাদা একটি মাইক্রোবাসে তুলে তাকে নিয়ে যায়। শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে গাড়ি পোড়ানোসহ নাশকতার আটটি মামলা আছে বলে জানান তিনি।
বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর পান্থপথের সামুরাই কনভেনশন সেন্টারে সাংবাদিক সম্মেলনটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কনভেনশন সেন্টারের মূল ফটকে পুলিশ তালা দেয়ায় তা পন্ড হয়। এদিকে বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অবিলম্বে শওকত মাহমুদের মুক্তি দাবি করেন বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, শওকত মাহমুদের নামে কয়েকটি মামলা আছে। এ কারণেই তাকে ধরা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, রমনা থানায় ১০ জানুয়ারী দায়ের করা গাড়ি পোড়ানোর মামলায় (মামলা নম্বর ৮) শওকত মাহমুদকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হবে। তাকে বুধবারই আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপ-কমিশনার মাশরুখ খালেদ। আদালতে তোলার আগ পর্যন্ত শওকত মাহমুদকে ডিবি হেফাজতেই রাখা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
গ্রেফতার শওকত মাহমুদের জন্য ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে দিয়ে এসেছেন তার স্ত্রী ফেরদৌসী মাহমুদ। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে স্বামীর প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাবার ও জামাকাপড় দিয়ে আসেন তিনি। ফেরদৌসী সাংবাদিকদের বলেন, তার (শওকত) শারীরিক অবস্থা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। ১৪ আগষ্ট শুক্রবার তিনি ব্যাংকক থেকে চিকিৎসা করিয়ে দেশে ফিরেছেন। তিনি বলেন, আমি ওষুধ, খাবার ও জামাকাপড় দিয়ে এসেছি। আমাকে বলা হয়েছে, বিকাল সাড়ে ৩টার পর তার কাছে সেসব পৌঁছে দেয়া হবে।
শওকত মাহমুদকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেছে বিএফইউজে ও ডিইউজের নেতারা। প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, এম আবদুল্লাহ, এমএ আজিজ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ। এদিকে তার মুক্তির দাবিতে ১৯ আগষ্ট বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএফইউজে ও ডিইউজে।
শওকত মাহমুদকে গ্রেফতার ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক ও অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেছেন আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহবায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ। অবিলম্বে তাকে ছেড়ে দেয়ার দাবি জানান। সাংবাদিক সম্মেলনের জন্য ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে কনভেনশন সেন্টারের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের যে সিটি নির্বাচন হয়েছিল ওই নির্বাচনে কি কি অসুবিধা ফেস করতে হয়েছিল, অনিয়মের মাত্রাটা কেমন ছিল সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে চেয়েছিলাম। যেন ভবিষ্যতে নির্বাচন চলাকালে বা কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে গেলে এই অনিয়মগুলো সরকার ইচ্ছাপূর্বক বন্ধ করে। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য এখানে উপস্থিত হইনি।
অধ্যাপক এমাজউদ্দীন বলেন, আমি বিএনপির লোক নই। বিএনপির এক টাকা চাঁদা দেয়ার লোকও আমি নই। আমার পাশে যারা রয়েছেন এরাও সম্ভবত তাই। এ সময় তার পাশে ছিলেন ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই তা হচ্ছে- দেশে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা হয় না।
এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, সাধারণত ঘরোয়া অনুষ্ঠান করতে অনুমতি নিতে হয় না। তারপরও আমরা কলাবাগান থানাকে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছি। থানা আমাদের নিষেধও করেনি। কিন্তু সকালে এসে দেখি হঠাৎ করেই হলরুম বন্ধ। এটা কোনো ভদ্রোচিত কাজ নয়। তিনি বলেন, এই ঘটনা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা যে গণতন্ত্রের কথা বলেন তার বিপরীত। তাই নিন্দাও জানাতে চাই না। শুধু বলতে চাই, তারা (সরকার) যেন নাগরিক অধিকারের ব্যাপারে সচেতন হয়।
কনভেনশন সেন্টারের কর্মচারী শাহ পরান জানান, সোমবার রাতেই নিরাপত্তার স্বার্থে কলাবাগান থানা পুলিশ এ অনুষ্ঠান বন্ধ করতে আমাদের বলেছিল। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত কলাবাগান থানার ওসি আবিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা স্বাভাবিক ডিউটিতে ছিলাম। সামুরাই কর্তৃপক্ষই অনুষ্ঠান বাতিল করেছে।
এদিকে শওকত মাহমুদকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার (জেইউবি) উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ক্লাবের সামনে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। সভা থেকে শওকত মাহমুদকে মুক্তি দিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়া হয়। অন্যথায় শুধু বগুড়া নয়, সারা দেশে রাজপথে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করা হবে জানান জেইউবি নেতারা।
শওকত মাহমুদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে উপজেলায় ২০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধা হরতাল ডেকেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা বিএনপি। মঙ্গলবার বিকালে কুমিল্লা (দক্ষিণ) জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া হরতালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। (দৈনিক যুগান্তর)