নিউইয়র্ক ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিভাজন ভুলে ঐক্যর আহ্বান : নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের জমকালো পুনর্মিলনী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:০০:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৭
  • / ৭৯১ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিকদের সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি-ঐক্য আর পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের পূনর্মিলনী। অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্যে বক্তারা ‘কমিউনিটি ও নতুন প্রজন্মের’ স্বার্থে সকল বিভেদ-বিভাজন ভুলে প্রবাসী সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে একমঞ্চে আসার আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ক্লাবের পূনর্মিলনী। অনুষ্ঠানের শ্লোগান ছিলো ‘অনেক মতের একটি পথ……’। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত প্রায় সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক, সাংবাদিক ছাড়াও প্রবাসী লেখক, কবি, সাহ্যিত্যিক, অভিনেত্রী, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, সংগঠক আর কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সপরিবারে অংশ নেন। ফলে অনুষ্ঠানটি উৎসবমূখর হয়ে হয়ে উঠে, রূপ নেয় মিলন মেলায়। ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের অংশগ্রহণ, আড্ডা আর আলাপচারিতায় সৃষ্ট ভিন্ন পরিবেশে অনেকেই ফিরে যান পুরনো দিনে। কথায় কথায় উঠে আসে ঢাকা সহ দেশ-বিদেশের সাংবাদিক জীবনের নানা স্মৃতি, নানা ঘটনা।
সিটির জ্যাকসন হাইটসস্থ ব্যালাজিনো ব্যাঙ্কুয়েট পার্টি হলে ১৩ জানুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যায় আয়োজিত নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের জমকালো পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি তিনভাগে বিভক্ত ছিলো। প্রথম পর্বে ছিলো সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও ‘বাংলাদেশী আইস্টাইন’ খ্যাত ক্ষুদে বিজ্ঞানী সুবর্ণ আইজ্যাক বারীকে ক্রেষ্ট প্রদান, দ্বিতীয় পর্বে ছিলো নৈশভোজ আর তৃতীয় পর্বে ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি উপলক্ষ্যে ‘পূনর্মিলনী’ শীর্ষক একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদ এ খান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ আবিদুর রহমান। এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। খবর ইউএনএ’র।
আলোচনা পর্বের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদ এ খান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা মনজুর আহমদ, মঈনুদ্দীন নাসের ও আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু, ক্লাবের সাবেক সভাপতি ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান, মাহফুজুর রহমান ও আবু তাহের এবং মেম্বার সেক্রেটারী শিবলী চৌধুরী কায়েস। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দর্পণ কবীর। এরপর ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেন শিবলী চৌধুরী কায়েস। আহ্বায়ক কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যরা হলেন কোষাধ্যক্ষ মমিনুল ইসলাম মজুমদার এবং সদস্য- এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, আলমগীর সরকার, আবিদুর রহীম ভূঁইয়া, হাসানুজ্জামান সাকী ও সৈয়দ ইলিয়াস খসরু। পুরো অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে চমৎকার উপস্থাপনা করেন ক্লাবের সদস্য সাদিয়া খন্দকার ও আবীর আলমগীর।
প্রেসক্লাবের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষন ছিল অবিশ্বাস্য বা বিষ্ময়কর প্রতিভা অধিকারী বাংলাদেশী-আমেরিকান ক্ষুদে বিজ্ঞানী ‘সুবর্ন আইজ্যাক বারী’। মাত্র চার বছর বয়সী এই ক্ষুদে বালকটি মূলধারার পাশাপাশি বাংলাদেশী গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। ফিজিক্স, ম্যাথ ও ক্যামেস্টির অসাধরণ দক্ষতা সুবর্ণের বিষ্ময়কর প্রতিভার বিকাশের খবর ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের নামিদামি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িয়ে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এ বালকটির খ্যাতি পৌঁছে যায় হোয়াইট হাউজ পর্যন্ত। আলোচিত সেই সুবর্ণকে প্রথমবারের মতো কমিউনিটির সান্নিধ্যে নিয়ে আসে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ। এসময় সুবর্ণ আইজ্যাক উপর নির্মিত টাইম টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদন সøাইড শোতে প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে একমাত্র বাংলাদেশী ভবিষ্যৎ এই ‘আইনেস্ট্যাইন’কে স্বীকৃতিও দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রেসক্লাবের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ‘কাজী এন্টাপ্রাইজ’-এর সিইও ‘কাজী এনামুল হক। এসময় মামুন টিউটোরিয়াল-এর প্রেসিডেন্ট শেখ আল মামুন সুবর্ন বারী সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি তুলে ধরেন। প্রেসক্লাবের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুবর্ন বারীর মা-বাবা ও ভাই এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
ক্রেস্ট গ্রহনের আগে অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের সামনেই জটিল একটি ক্যালকুলাস অঙ্কের সহজ সমাধানও করে সুবর্ন সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। এসময় সেখানে উপস্থিত অঙ্ক শাস্ত্র সংশ্লিষ্টরাও অবাক হয়ে যান।
অনুষ্ঠানে ডা. ওয়াজেদ এ খান প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও কর্মকান্ড সংক্ষেপে তুলে ধরে বলেন, প্রবাসী সাংবাদিকদের মধ্যকার সৌহার্দ্য-সম্প্রতি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যেই এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজনের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, প্রবাসে দুটি প্রেসক্লাব থাকলেও আজকের অনুষ্ঠানে অন্য প্রেসক্লাবের প্রায় সকল কর্মকর্তা ও সদস্যদের উপস্থিতি আমাদের মধ্যকার সম্প্রীতির বহি:প্রকাশ। আগামী দিনে পেশাগত মান ও সাংবাদিকদের মর্যাদা রক্ষায় সকল সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সকল সদস্য সহ আমন্ত্রিত সকল অতিথিকে ধন্যবাদ জানান।
মনজুর আহমেদ নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার অন্যতম রূপকার মরহুম ফাজলে রশীদকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম পুনর্র্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজনে ব্যক্তিগতভাবে আমি আনন্দিত। তিনি আহ্বায়ক কমিটির কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং প্রেসক্লাবের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
মঈনুদ্দীন নাসের তার বক্তব্যের শুরুতে মরহুম ফাজলে রশীদ, মরহুম ফটো সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান ও পরলোকগত সাংবাদিক সন্তোষ মন্ডলকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বলেন, ব্যক্তিগভাবে আমি সাংবাদিকদের দ্বিধা-বিভক্তির বিপক্ষে, ঐক্যের পক্ষে। সাংবাদিকরা কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের দ্বিধা-বিভক্তির খবর লিখলেও নিজেরা বিভক্ত। এমনটি হওয়া ঠিক নয়, উচিৎও নয়। তিনি প্রবাসী সাংবাদিকদের ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু দেশে কি প্রবাসে সাংবাদিকদের বিভক্ত নয়, ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজই সুন্দর সমাজ গড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন। তিনি সাংবাদিক ও মিডিয়ার পেশাগত মান বৃদ্ধিরও আহ্বান জানান।
ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান বলেন, একটি নতুন ধারণা নিয়ে আমরাই প্রবাসে প্রথম ফ্রি পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেই। সেই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে আজ প্রায় সকলই পত্রিকাই ফ্রি হয়ে পাঠকেদের হাতে হাতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পাঠকরাই পত্রিকার প্রাণ। তিনি প্রেসক্লাবকে আরো শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রবাসে সাংবাদিকতা পেশার মান বৃদ্ধিতে প্রেসক্লাব আর ক্লাবের কর্মকর্তাদের ভূমিকা রাখতে হবে। সবাই মিলে প্রেসক্লাবকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
আবু তাহের বলেন, প্রবাসে কমিউনিটি বৃদ্ধির পাশাপাশি মিডিয়ার সংখ্যা বাড়লেও পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি পায়নি। তিনি ‘কোয়ানটিটি নয়, কোয়ালিটি’র ভিত্তিতে মিডিয়া প্রকাশের পাশাপাশি পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
দর্পণ কবীর তার বক্তব্যে প্রবাসী সাংবাদিকদের ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমরা ঐক্যর পক্ষে। সাংবাদিকদের ঐক্যের ব্যাপারে আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব যে কোন উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে।
শিবলী চৌধুরী কায়েস তার বক্তব্যে প্রেসক্লাবের আগামী দিনের পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, প্রেসক্লাবের বিদায়ী কমিটি আমাদের হাতে গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন। সবার সহযোগিতায় আমরা এই দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য তিনি ক্লাবের সদস্য, কর্মকর্তা, পৃষ্ঠাপোষক, অতিথি ও প্রবাসী সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আমন্ত্রিত অতিথি ও সাংবাদিক এবং প্রেসক্লাবের কর্মকর্তা-সদস্য সহ সর্বস্তরের তিন শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নৈশভোজে অংশ নেন। এর আগে আমন্ত্রিত অতিথি ও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে পরিচয় করিয়ে দেন ডা. ওয়াজেদ এ খান। পরিচয় প্রদানকালে অতিথিরা অতি সংক্ষেপে তাদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রেসক্লাবের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও শুভ কামনা করেন। প্রেসক্লাবের প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকারী উল্লেখযোগ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ ও ব্যবসায়ী ড. দেলোয়ার হোসেন, প্রবীণ সাংবাদিক ও এখন সময় সম্পাদক কাজী শামসুল হক, সাপ্তাহিক ঠিকানা সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র সভাপতি কামাল আহমেদ, সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর রহীম হাওলাদার, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, সোনালী এক্সচেঞ্জ ইনক-এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও আতাউর রহমান, স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেস-এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ মালেক, লং আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শওকত আলী, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল মালেক, মূলধারার রাজনীতিক গিয়াস আহমেদ ও আব্দুস শহীদ, ফ্লোরিডা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দিনাজ খান ও মোহাম্মদ আরিফ, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার ফরহাদ, পার্কচেষ্টার ব্রঙ্কস রিয়েলটির প্রেসিডেন্ট সালেহ উদ্দিন সাল, এডভোকেট মজিবুর রহমান, এনআরবি’র প্রেসিডেন্ট হাসানুজ্জামান হাসান, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র বার্তা সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, মামুন টিউটোরিয়াল-এর প্রেসিডেন্ট শেখ আল মামুন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সদস্যসহ আমন্ত্রিত বিভিন্ন মিডিয়ার সম্পাদক ও সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক ঠিকানা’র সম্পাদক লাবলু আসনার, নির্বাহী সম্পাদক জাভেদ খসরু ও মিসবাহ উদ্দিন, সাংবাদিক আকবর হায়দার কিরণ, টাইম টেলিভিশনের মেহেরুন্নেসা জোবায়দা, শাহেদ আলম, দিমা নেফারতিতি, ডা. নাহিদ খান, ফয়সাল আহমেদ দীপ ও গোলাম মোর্তুজা, দৈনিক ইত্তেফাক ও সাপ্তাহিক বাঙালীর বিশেষ প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম, এনটিভি ইউএসএ’র পুলক মাহমুদ, টিবিএন২৪ টেলিভিশনের শামীম আল মামুন, এএফ মিসবাহউজ্জামান, আরটিভি’র আশরাফুল হাসান বুলবুল, প্রথম আলো’র শাহাব উদ্দিন সাগর, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা’র হাবিব রহমান, এমদাদ চৌধুরী দীপু ও আলমগীর হোসেন, মিলেরিয়াম টিভি’র সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, সাপ্তাহিক বর্তমান বাংলা ও জেমিনি সম্পাদক বেলাল আহমেদ, এটিএন বাংলা ইউএসএ’র কানু দত্ত, ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকী ও এ হাই স্বপন, সময় টিভি ইউএসএ’র টি এম মামুন, বাংলা ভিশন-এর অভি আজিম, সাপ্তাহিক আজকাল-এর শওকত ওসমান রচি, আনিসুর রহমান ও আবু বকর সিদ্দিকী, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ-এর এস এম সোলায়মান, আজাদ ভিশনের আজাদ আহমেদ, মাসিক ইয়র্ক বাংলা’র রশীদ আহমেদ, সাংবাদিক রিজু মোহাম্মদ প্রমুখ।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম সহ ঢাকার বিভিন্ন মিডিয়ায় সাংবাদিকদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন, ডা. সজল আশফাক, ড. কনক সারোয়ার, ইমরান আনসারী, মাহাথির ফারুকী, শামীম আহমেদ, কারিশমা কামাল, মনজুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশিষ্ট কবি-লেখকদের মধ্যে ড. মাহবুব হাসান, আবু জাফর মাহমুদ, এবিএম সালেউদ্দীন, তমিজ উদ্দীন লোদী, কাজী জহিরুল ইসলাম, এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে এটর্নী বুস ফিসার সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, জেবিবিএ’র সাবেক সভাপতি সাঈদ রহমান মান্নান ও সহ সভাপতি শাহ নেওয়াজ, সাউথ ইস্ট ইউএসএ গ্রুপের সিইও প্রফেসর এহতেশামুল হক, খান টিউটোরিয়াল-এর সিইও নাঈমা খান, পিপল এন্ড টেক-এর সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিপ, অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী আজহার হক ও মোহাম্মদ জান ফাহিম, ফার্মাস্টিট আব্দুল আওয়াল সিদ্দিকী, মোস্তাক আহমেদ ও মোহাম্মদ কবীর, বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ’র সভাপতি আব্দুর রব মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু, নারায়নগঞ্জ জেলা সমিতি ইউএসএ’র সাবেক সভাপতি নির্মল পাল, দ্যা অপটিমিস্ট-এর ভাইস চেয়ারম্যান মিনহাজ আহমেদ সাম্মু, ডেমোক্র্যাটিক ওমেন্স ফোরামের সভাপতি রোকেয়া আক্তার, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট জালাল আহমেদ, আব্দুল বাছির খান, ড. জাহাঙ্গীর কবীর, মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান, এ ইসলাম মামুন, বিশিষ্ট রাজনীতিক সাজ্জাদ পারভেজ, গোলাম ফারুক শাহীন, এম এ বাতেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আহসান হাবিব, সালাম ভুইয়া প্রমুখ।
নৈশভোজের পর তৃতীয় পর্বে শুরু হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। এতে দেশ ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী বিউটি দাস, চন্দন সেন, কৃষ্ণা তিথি ও বকুল একাধিক সঙ্গীত পরিবেশন করে উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করেন। মধ্যরাত পর্যন্ত অতিথিরা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। টাইম টেলিভিশন পুরো আয়োজনটি সরাসরি সম্প্রচার করে।
নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সফল করতে বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন: ভ্যাব-এর চেয়ারম্যান ড. দেলোয়ার হোসেন, কাজী এন্টারপ্রাইজ-এর কাজী এনামুল হক, ল অফিসেস অব এইচ ব্রুস ফিসার পিসি, ল অফিসেস অব টিমোথি বোমপার্ট, পার্কচেষ্টার ব্রঙ্কস রিয়েলটি, মক্কা মাল্টি সার্ভিসেস-এর কবীর চৌধুরী, রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর আনোয়ার ওহাসেন, দি গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু, ডা, তাহেরা নাসরিন, ডা. এএসএম শাহ আলম চৌধুরী, ডা. তামিরা ভ্যান্নয় ডিপিএম, ডা. আতাউল চৌধুরী, মিনা ফারাহ, বাংলা সিডিপিএপি সার্ভিসেস-এর আবু জাফর মাহমুদ, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, এক্সিট রিয়েলটি’র স্বত্তাধিকারী আজহার হক, সিনিয়র লোন অফিসার মোহাম্মদ জান ফাহিম, মান্নান গ্রুপ-এর সাঈদ রহমান মান্নান, বিসমিল্লাহ হালাল লাইভ পোলট্রি মিট এন্ড ফিস মার্কেট-এর সালাম ভুইয়া, পার্কচেষ্টার ফ্যামিলি ফার্মেসী, সাউথইস্ট ইউএসএ গ্রুপের সিইও প্রফেসর এহতেশামুল হক, ব্রাইট অ্যাঞ্জেল গ্রুপের সিইও পারভেজ সাজ্জাদ, খানস টিউটোরিয়াল-এর শেখ আল মামুন, আইএস এনরোল্ড এজেন্ট মিয়া মোহাম্মদ আবজাল, এডভোকেট এন মজুমদার, এনওয়াই ইন্সুরেন্স ব্রোকারেজ-এর শাহ নেওয়াজ, মূলধারার রাজনীতিক মাফ মিসবাহ উদ্দিন, ড. জাহাঙ্গীর এম কবীর ও আব্দুল সাত্তার, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভারসিটি এসোসিয়েশন অব নর্ত আমেরিকা’র সভাপতি মনিরুল ইসলাম, পপুলার ড্রাইভিং স্কুলের আব্দুর রহীম হাওলাদার, খান টিউটেরিয়াল, সোনালী এক্সচেঞ্জ কোম্পানী ইনক, স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেস, আইটিভি, রোকসানা বুটিক, টাইম টেলিভিশন, মতিন সুইটস, আল আসকা রেষ্টুরেন্ট ও বাংলা ট্যুর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বিভাজন ভুলে ঐক্যর আহ্বান : নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের জমকালো পুনর্মিলনী

প্রকাশের সময় : ১২:০০:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৭

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক তথা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিকদের সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি-ঐক্য আর পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের পূনর্মিলনী। অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্যে বক্তারা ‘কমিউনিটি ও নতুন প্রজন্মের’ স্বার্থে সকল বিভেদ-বিভাজন ভুলে প্রবাসী সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে একমঞ্চে আসার আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ক্লাবের পূনর্মিলনী। অনুষ্ঠানের শ্লোগান ছিলো ‘অনেক মতের একটি পথ……’। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত প্রায় সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক, সাংবাদিক ছাড়াও প্রবাসী লেখক, কবি, সাহ্যিত্যিক, অভিনেত্রী, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, সংগঠক আর কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সপরিবারে অংশ নেন। ফলে অনুষ্ঠানটি উৎসবমূখর হয়ে হয়ে উঠে, রূপ নেয় মিলন মেলায়। ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলের অংশগ্রহণ, আড্ডা আর আলাপচারিতায় সৃষ্ট ভিন্ন পরিবেশে অনেকেই ফিরে যান পুরনো দিনে। কথায় কথায় উঠে আসে ঢাকা সহ দেশ-বিদেশের সাংবাদিক জীবনের নানা স্মৃতি, নানা ঘটনা।
সিটির জ্যাকসন হাইটসস্থ ব্যালাজিনো ব্যাঙ্কুয়েট পার্টি হলে ১৩ জানুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যায় আয়োজিত নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের জমকালো পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি তিনভাগে বিভক্ত ছিলো। প্রথম পর্বে ছিলো সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও ‘বাংলাদেশী আইস্টাইন’ খ্যাত ক্ষুদে বিজ্ঞানী সুবর্ণ আইজ্যাক বারীকে ক্রেষ্ট প্রদান, দ্বিতীয় পর্বে ছিলো নৈশভোজ আর তৃতীয় পর্বে ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি উপলক্ষ্যে ‘পূনর্মিলনী’ শীর্ষক একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদ এ খান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ আবিদুর রহমান। এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। খবর ইউএনএ’র।
আলোচনা পর্বের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদ এ খান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা মনজুর আহমদ, মঈনুদ্দীন নাসের ও আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু, ক্লাবের সাবেক সভাপতি ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান, মাহফুজুর রহমান ও আবু তাহের এবং মেম্বার সেক্রেটারী শিবলী চৌধুরী কায়েস। এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দর্পণ কবীর। এরপর ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেন শিবলী চৌধুরী কায়েস। আহ্বায়ক কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যরা হলেন কোষাধ্যক্ষ মমিনুল ইসলাম মজুমদার এবং সদস্য- এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ, আলমগীর সরকার, আবিদুর রহীম ভূঁইয়া, হাসানুজ্জামান সাকী ও সৈয়দ ইলিয়াস খসরু। পুরো অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে চমৎকার উপস্থাপনা করেন ক্লাবের সদস্য সাদিয়া খন্দকার ও আবীর আলমগীর।
প্রেসক্লাবের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষন ছিল অবিশ্বাস্য বা বিষ্ময়কর প্রতিভা অধিকারী বাংলাদেশী-আমেরিকান ক্ষুদে বিজ্ঞানী ‘সুবর্ন আইজ্যাক বারী’। মাত্র চার বছর বয়সী এই ক্ষুদে বালকটি মূলধারার পাশাপাশি বাংলাদেশী গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। ফিজিক্স, ম্যাথ ও ক্যামেস্টির অসাধরণ দক্ষতা সুবর্ণের বিষ্ময়কর প্রতিভার বিকাশের খবর ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের নামিদামি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িয়ে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এ বালকটির খ্যাতি পৌঁছে যায় হোয়াইট হাউজ পর্যন্ত। আলোচিত সেই সুবর্ণকে প্রথমবারের মতো কমিউনিটির সান্নিধ্যে নিয়ে আসে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ। এসময় সুবর্ণ আইজ্যাক উপর নির্মিত টাইম টিভিতে প্রচারিত প্রতিবেদন সøাইড শোতে প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে একমাত্র বাংলাদেশী ভবিষ্যৎ এই ‘আইনেস্ট্যাইন’কে স্বীকৃতিও দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রেসক্লাবের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ‘কাজী এন্টাপ্রাইজ’-এর সিইও ‘কাজী এনামুল হক। এসময় মামুন টিউটোরিয়াল-এর প্রেসিডেন্ট শেখ আল মামুন সুবর্ন বারী সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি তুলে ধরেন। প্রেসক্লাবের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুবর্ন বারীর মা-বাবা ও ভাই এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
ক্রেস্ট গ্রহনের আগে অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের সামনেই জটিল একটি ক্যালকুলাস অঙ্কের সহজ সমাধানও করে সুবর্ন সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। এসময় সেখানে উপস্থিত অঙ্ক শাস্ত্র সংশ্লিষ্টরাও অবাক হয়ে যান।
অনুষ্ঠানে ডা. ওয়াজেদ এ খান প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও কর্মকান্ড সংক্ষেপে তুলে ধরে বলেন, প্রবাসী সাংবাদিকদের মধ্যকার সৌহার্দ্য-সম্প্রতি সুদৃঢ় করার লক্ষ্যেই এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজনের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, প্রবাসে দুটি প্রেসক্লাব থাকলেও আজকের অনুষ্ঠানে অন্য প্রেসক্লাবের প্রায় সকল কর্মকর্তা ও সদস্যদের উপস্থিতি আমাদের মধ্যকার সম্প্রীতির বহি:প্রকাশ। আগামী দিনে পেশাগত মান ও সাংবাদিকদের মর্যাদা রক্ষায় সকল সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সকল সদস্য সহ আমন্ত্রিত সকল অতিথিকে ধন্যবাদ জানান।
মনজুর আহমেদ নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার অন্যতম রূপকার মরহুম ফাজলে রশীদকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম পুনর্র্মিলনী অনুষ্ঠান আয়োজনে ব্যক্তিগতভাবে আমি আনন্দিত। তিনি আহ্বায়ক কমিটির কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং প্রেসক্লাবের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
মঈনুদ্দীন নাসের তার বক্তব্যের শুরুতে মরহুম ফাজলে রশীদ, মরহুম ফটো সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান ও পরলোকগত সাংবাদিক সন্তোষ মন্ডলকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বলেন, ব্যক্তিগভাবে আমি সাংবাদিকদের দ্বিধা-বিভক্তির বিপক্ষে, ঐক্যের পক্ষে। সাংবাদিকরা কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের দ্বিধা-বিভক্তির খবর লিখলেও নিজেরা বিভক্ত। এমনটি হওয়া ঠিক নয়, উচিৎও নয়। তিনি প্রবাসী সাংবাদিকদের ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু দেশে কি প্রবাসে সাংবাদিকদের বিভক্ত নয়, ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজই সুন্দর সমাজ গড়তে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন। তিনি সাংবাদিক ও মিডিয়ার পেশাগত মান বৃদ্ধিরও আহ্বান জানান।
ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান বলেন, একটি নতুন ধারণা নিয়ে আমরাই প্রবাসে প্রথম ফ্রি পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ নেই। সেই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে আজ প্রায় সকলই পত্রিকাই ফ্রি হয়ে পাঠকেদের হাতে হাতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পাঠকরাই পত্রিকার প্রাণ। তিনি প্রেসক্লাবকে আরো শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রবাসে সাংবাদিকতা পেশার মান বৃদ্ধিতে প্রেসক্লাব আর ক্লাবের কর্মকর্তাদের ভূমিকা রাখতে হবে। সবাই মিলে প্রেসক্লাবকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
আবু তাহের বলেন, প্রবাসে কমিউনিটি বৃদ্ধির পাশাপাশি মিডিয়ার সংখ্যা বাড়লেও পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধি পায়নি। তিনি ‘কোয়ানটিটি নয়, কোয়ালিটি’র ভিত্তিতে মিডিয়া প্রকাশের পাশাপাশি পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
দর্পণ কবীর তার বক্তব্যে প্রবাসী সাংবাদিকদের ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, আমরা ঐক্যর পক্ষে। সাংবাদিকদের ঐক্যের ব্যাপারে আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব যে কোন উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে।
শিবলী চৌধুরী কায়েস তার বক্তব্যে প্রেসক্লাবের আগামী দিনের পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, প্রেসক্লাবের বিদায়ী কমিটি আমাদের হাতে গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন। সবার সহযোগিতায় আমরা এই দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবো ইনশাল্লাহ। অনুষ্ঠানটি সফল করার জন্য তিনি ক্লাবের সদস্য, কর্মকর্তা, পৃষ্ঠাপোষক, অতিথি ও প্রবাসী সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আমন্ত্রিত অতিথি ও সাংবাদিক এবং প্রেসক্লাবের কর্মকর্তা-সদস্য সহ সর্বস্তরের তিন শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নৈশভোজে অংশ নেন। এর আগে আমন্ত্রিত অতিথি ও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে পরিচয় করিয়ে দেন ডা. ওয়াজেদ এ খান। পরিচয় প্রদানকালে অতিথিরা অতি সংক্ষেপে তাদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রেসক্লাবের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও শুভ কামনা করেন। প্রেসক্লাবের প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকারী উল্লেখযোগ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ ও ব্যবসায়ী ড. দেলোয়ার হোসেন, প্রবীণ সাংবাদিক ও এখন সময় সম্পাদক কাজী শামসুল হক, সাপ্তাহিক ঠিকানা সম্পাদক মুহাম্মদ ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটি ইনক’র সভাপতি কামাল আহমেদ, সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুর রহীম হাওলাদার, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সাপ্তাহিক প্রবাস সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, সোনালী এক্সচেঞ্জ ইনক-এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও আতাউর রহমান, স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেস-এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ মালেক, লং আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শওকত আলী, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল মালেক, মূলধারার রাজনীতিক গিয়াস আহমেদ ও আব্দুস শহীদ, ফ্লোরিডা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দিনাজ খান ও মোহাম্মদ আরিফ, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার ফরহাদ, পার্কচেষ্টার ব্রঙ্কস রিয়েলটির প্রেসিডেন্ট সালেহ উদ্দিন সাল, এডভোকেট মজিবুর রহমান, এনআরবি’র প্রেসিডেন্ট হাসানুজ্জামান হাসান, সাপ্তাহিক ঠিকানা’র বার্তা সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, মামুন টিউটোরিয়াল-এর প্রেসিডেন্ট শেখ আল মামুন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সদস্যসহ আমন্ত্রিত বিভিন্ন মিডিয়ার সম্পাদক ও সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক ঠিকানা’র সম্পাদক লাবলু আসনার, নির্বাহী সম্পাদক জাভেদ খসরু ও মিসবাহ উদ্দিন, সাংবাদিক আকবর হায়দার কিরণ, টাইম টেলিভিশনের মেহেরুন্নেসা জোবায়দা, শাহেদ আলম, দিমা নেফারতিতি, ডা. নাহিদ খান, ফয়সাল আহমেদ দীপ ও গোলাম মোর্তুজা, দৈনিক ইত্তেফাক ও সাপ্তাহিক বাঙালীর বিশেষ প্রতিনিধি শহীদুল ইসলাম, এনটিভি ইউএসএ’র পুলক মাহমুদ, টিবিএন২৪ টেলিভিশনের শামীম আল মামুন, এএফ মিসবাহউজ্জামান, আরটিভি’র আশরাফুল হাসান বুলবুল, প্রথম আলো’র শাহাব উদ্দিন সাগর, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা’র হাবিব রহমান, এমদাদ চৌধুরী দীপু ও আলমগীর হোসেন, মিলেরিয়াম টিভি’র সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, সাপ্তাহিক বর্তমান বাংলা ও জেমিনি সম্পাদক বেলাল আহমেদ, এটিএন বাংলা ইউএসএ’র কানু দত্ত, ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকী ও এ হাই স্বপন, সময় টিভি ইউএসএ’র টি এম মামুন, বাংলা ভিশন-এর অভি আজিম, সাপ্তাহিক আজকাল-এর শওকত ওসমান রচি, আনিসুর রহমান ও আবু বকর সিদ্দিকী, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ-এর এস এম সোলায়মান, আজাদ ভিশনের আজাদ আহমেদ, মাসিক ইয়র্ক বাংলা’র রশীদ আহমেদ, সাংবাদিক রিজু মোহাম্মদ প্রমুখ।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম সহ ঢাকার বিভিন্ন মিডিয়ায় সাংবাদিকদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন, ডা. সজল আশফাক, ড. কনক সারোয়ার, ইমরান আনসারী, মাহাথির ফারুকী, শামীম আহমেদ, কারিশমা কামাল, মনজুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশিষ্ট কবি-লেখকদের মধ্যে ড. মাহবুব হাসান, আবু জাফর মাহমুদ, এবিএম সালেউদ্দীন, তমিজ উদ্দীন লোদী, কাজী জহিরুল ইসলাম, এস এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে এটর্নী বুস ফিসার সহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, জেবিবিএ’র সাবেক সভাপতি সাঈদ রহমান মান্নান ও সহ সভাপতি শাহ নেওয়াজ, সাউথ ইস্ট ইউএসএ গ্রুপের সিইও প্রফেসর এহতেশামুল হক, খান টিউটোরিয়াল-এর সিইও নাঈমা খান, পিপল এন্ড টেক-এর সিইও ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিপ, অধ্যাপিকা হুসনে আরা বেগম, বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী আজহার হক ও মোহাম্মদ জান ফাহিম, ফার্মাস্টিট আব্দুল আওয়াল সিদ্দিকী, মোস্তাক আহমেদ ও মোহাম্মদ কবীর, বাংলাদেশ সোসাইটির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ’র সভাপতি আব্দুর রব মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু, নারায়নগঞ্জ জেলা সমিতি ইউএসএ’র সাবেক সভাপতি নির্মল পাল, দ্যা অপটিমিস্ট-এর ভাইস চেয়ারম্যান মিনহাজ আহমেদ সাম্মু, ডেমোক্র্যাটিক ওমেন্স ফোরামের সভাপতি রোকেয়া আক্তার, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট জালাল আহমেদ, আব্দুল বাছির খান, ড. জাহাঙ্গীর কবীর, মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান, এ ইসলাম মামুন, বিশিষ্ট রাজনীতিক সাজ্জাদ পারভেজ, গোলাম ফারুক শাহীন, এম এ বাতেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আহসান হাবিব, সালাম ভুইয়া প্রমুখ।
নৈশভোজের পর তৃতীয় পর্বে শুরু হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। এতে দেশ ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী বিউটি দাস, চন্দন সেন, কৃষ্ণা তিথি ও বকুল একাধিক সঙ্গীত পরিবেশন করে উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করেন। মধ্যরাত পর্যন্ত অতিথিরা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। টাইম টেলিভিশন পুরো আয়োজনটি সরাসরি সম্প্রচার করে।
নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সফল করতে বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন: ভ্যাব-এর চেয়ারম্যান ড. দেলোয়ার হোসেন, কাজী এন্টারপ্রাইজ-এর কাজী এনামুল হক, ল অফিসেস অব এইচ ব্রুস ফিসার পিসি, ল অফিসেস অব টিমোথি বোমপার্ট, পার্কচেষ্টার ব্রঙ্কস রিয়েলটি, মক্কা মাল্টি সার্ভিসেস-এর কবীর চৌধুরী, রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর আনোয়ার ওহাসেন, দি গ্রেটার নোয়াখালী সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদ মিন্টু, ডা, তাহেরা নাসরিন, ডা. এএসএম শাহ আলম চৌধুরী, ডা. তামিরা ভ্যান্নয় ডিপিএম, ডা. আতাউল চৌধুরী, মিনা ফারাহ, বাংলা সিডিপিএপি সার্ভিসেস-এর আবু জাফর মাহমুদ, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, এক্সিট রিয়েলটি’র স্বত্তাধিকারী আজহার হক, সিনিয়র লোন অফিসার মোহাম্মদ জান ফাহিম, মান্নান গ্রুপ-এর সাঈদ রহমান মান্নান, বিসমিল্লাহ হালাল লাইভ পোলট্রি মিট এন্ড ফিস মার্কেট-এর সালাম ভুইয়া, পার্কচেষ্টার ফ্যামিলি ফার্মেসী, সাউথইস্ট ইউএসএ গ্রুপের সিইও প্রফেসর এহতেশামুল হক, ব্রাইট অ্যাঞ্জেল গ্রুপের সিইও পারভেজ সাজ্জাদ, খানস টিউটোরিয়াল-এর শেখ আল মামুন, আইএস এনরোল্ড এজেন্ট মিয়া মোহাম্মদ আবজাল, এডভোকেট এন মজুমদার, এনওয়াই ইন্সুরেন্স ব্রোকারেজ-এর শাহ নেওয়াজ, মূলধারার রাজনীতিক মাফ মিসবাহ উদ্দিন, ড. জাহাঙ্গীর এম কবীর ও আব্দুল সাত্তার, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভারসিটি এসোসিয়েশন অব নর্ত আমেরিকা’র সভাপতি মনিরুল ইসলাম, পপুলার ড্রাইভিং স্কুলের আব্দুর রহীম হাওলাদার, খান টিউটেরিয়াল, সোনালী এক্সচেঞ্জ কোম্পানী ইনক, স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেস, আইটিভি, রোকসানা বুটিক, টাইম টেলিভিশন, মতিন সুইটস, আল আসকা রেষ্টুরেন্ট ও বাংলা ট্যুর।