নিউইয়র্ক ০৫:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রকাশের পথে আরো পত্রিকা ॥ বাংলা টাইমস’র পুন: প্রকাশ ॥ বাড়ছে তোষামোদীর সাংবাদিককতা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০১৭
  • / ১২৩৫ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে বাংলা সাংবাদিকতার প্রায় পাঁচ দশক চলছে। দীর্ঘ এই সময়ে কয়েক ডজন বাংলা প্রিন্ট মিডিয়া (দৈনিক/সাপ্তাহিক/পাক্ষিক/মাসিক) প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর মধ্যে কয়েক ডজন বন্ধও হয়ে গেছে। বর্তমানে প্রায় দুই ডজন বাংলা প্রিন্ট মিডিয়া প্রকাশিত হচ্ছে। প্রবাসের বাংলা সাংবাদিকতায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে ঢাকার শীর্ষ স্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো’র উত্তর আমেরিকা সংস্করণ। গত ২৬ মার্চ থেকে ‘প্রথম আলো’ উত্তর আমেরিকার বাজারে এসেছে। এদিকে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলা টাইমস প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর গত ৯ এপ্রিল থেকে পুনরায় প্রকাশিত হচ্ছে। অপরদিকে আরো একাধিক পত্রিকা নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশের পথে বলে জানা গেছে।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব আমেরিকা (ইউএনএ)’র অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিউইয়র্কের বাংলা মিডিয়াগুলোতে বিশেষ করে এক শ্রেনীর ‘আইডেনটিটি ক্রাইসিস’ সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের সম্পৃক্ততা আর ফ্রি পত্রিকা প্রকাশনার ফলে ‘মর্যাদা সম্পন্ন একটি ক্রিয়েটিভ পেশা’ হিসেবে উত্তর আমেরিকার বাংলা সাংবাদিকতা বিপথগামীতার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব আর মর্যাদা হারাতে বসেছে। ফলে প্রকৃত সংবাদকর্মীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। ‘হু কেয়ার্স’-এর দেশে কারো কারো ‘যোগ্যতা থাক বা না থাক, পেশাগত অভিজ্ঞতা থাক বা না থাক’ একটি ইনকরপোরেট খুলে মিডিয়ার তথাকথিত সম্পাদক বনে যাচ্ছেন। বিজ্ঞাপনের বাজার যাচাই-বাছাই না করেই কমিউনিটি পত্রিকাগুলো প্রকাশের ফলে বিজ্ঞাপনদাতারাও বিপাকে পড়ছেন। ফলে পেশাদারিত্বপূর্ণ মিডিয়াগুলো সবদিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি এক শ্রেনীর পাঠকের অসহেযোগিতা আর বিজ্ঞাপনদাতাদের চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছে প্রাচীন মিডিয়াগুলো। মিডিয়া সচেতন ব্যক্তিবর্গের মতে ইন্টারনেট যুগের সহজ পথে পত্রিকা প্রকাশের সুযোগ আর ‘কাট এন্ড পেষ্ট’ সাংবাদিকতার ফলে মিডিয়া প্রকাশনা এখন ‘ডাল-ভাতে’ বা ‘আলু-পটলের ব্যবসায়’ পরিণত হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সময় আর বাস্তবতায় প্রকৃত পেশাজীবি সাংবাদিকরা কিছুই করতে পারছেন না। ফলে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন আবার অনেকে এই পেশা বদলের চিন্তা-ভাবনা করছেন। আর এই সুযোগে অযোগ্য, অপেশাদারিত্ব সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ পেশাদার সাংবাদিকদের জায়গা দখল করে চলেছেন। কারো কারো ‘দু লাইন লেখার যোগ্য না থাকলেও’ পত্রিকার সম্পাদক হয়েছেন বলে কমিউনিটিতে কানাঘুষা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটি সাংবাদিকতায় ‘প্রকৃত সাংবাদিকতা’র বদলে ‘তোষামোদীর সাংবাদিকতা’র প্রভাব বেড়ে যাচ্ছে। নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত মিডিয়াগুলো (হাতেগোনা দু’চারটি ছাড়া) পর্যালোচনা করলেই তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাংবাদিক নামধারী কেউ কেউ আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ‘অর্ডারী সাংবাদিকতা’ করছেন বলে অভিজ্ঞমহল অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তথা কথিত কোন কোন ‘নিউজ এজেন্সী’ এমন সাংবাদিকতাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে কোন কোন নিউজ এজেন্সীর খবরে কতিপয় ব্যক্তি বিশেষকে গুরুত্ব দিয়ে খবর পরিবেশন করা হচ্ছে। আর দু:খজনক হলেও সত্য যে, যথাযথ সম্পাদনা ব্যতিরেকেই এসব খবর প্রবাসের মিডিয়াগুলো ছাড়াও ঢাকার কোন কোন মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হচ্ছে।
এদিকে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হওয়ার পর ঐ পত্রিকার সম্পাদক কোন মিডিয়ায় নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ না পেয়ে নিজেই নতুন একটি সাপ্তাহিক প্রকাশের কথা ভাবছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। আবার আরেকটি মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা নতুন করে তার পত্রিকা প্রকাশের কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে সাপ্তাহিক ঠিকানা, সাপ্তাহিক পরিচয়, সাপ্তাহিক বাঙালী, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ, সাপ্তাহিক দেশবাংলা, সাপ্তাহিক জন্মভূমি, সাপ্তাহিক আজকাল, সাপ্তাহিক বর্ণমালা, সাপ্তাহিক প্রবাস, সাপ্তাহিক রানার, সাপ্তাহিক প্রথম আলো ইউএসএ, সাপ্তাহিক জনতার কন্ঠ, মাসিক জেমিনি প্রভৃতি পত্রিকা। নতুন পত্রিকা প্রথম আলো ও সন্দ্বীপ’র পাশাপাশি পুনরায় প্রকাশিত হচ্ছে সাপ্তাহিক বাংলা টাইমস আর পত্রিকাটির সম্পাদনার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রকাশক ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান। ডা. চৌধুরী নিউইয়র্কের প্রথম ফ্রি পত্রিকা সাপ্তাহিক দেশবাংলা’রও সম্পাদক। অনিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে সাপ্তাহিক মুক্তকন্ঠ আর সাপ্তাহিক বর্তমান বাংলা। বন্ধ হয়ে গেছে সাপ্তাহিক বিজয়। প্রিন্টের বদলে ওয়েব পোর্টাল হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে এখন সময় ও হককথা। প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর মধ্যে সাপ্তাহিক ঠিকানা ও সাপ্তাহিক প্রথম আলো এক ডলারে বিক্রি করা হচ্ছে, অন্য সকল পত্রিকা পাঠকদের জন্য ফ্রি।
অপরদিকে নিউইয়র্কের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত একাধিক সাংবাদিক সাম্প্রতিককাল কর্মক্ষেত্র রদবদল করেছেন। টাইম টেলিভিশনের সাবেক নিউজ প্রেজেন্টার ও সাংবাদিক শাহাদৎ হোসেন সবুজ সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকা (ভোয়া)-এর প্রধান কার্যালয়ে (ওয়াশিংটন ডিসি) যোগ দিয়েছেন। টাইম টেলিভিশন ছাড়ার পর সবুজ কিছুদিন আরটিভি ইউএসএ’র সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকার জনপ্রিয় নিউজ প্রেজেন্টার দিমানেফার তিতি সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা ছেড়ে টাইম টিভি’র নিউজ প্রেজেন্টার ও হোস্ট হিসেবে যোগ দিয়েছেন। সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকার চীফ রিপোর্টার মমিন মজুমদার পত্রিকাটি ছেড়ে ‘বিএ নিউজ’ নামক অনলাইন পত্রিকা সম্পাদনার পাশাপাশি নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সাপ্তাহিক বাংলাদেশ-এর চীফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দিয়েছেন সাংবাদিক মোহাম্মদ সোলায়মান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

প্রকাশের পথে আরো পত্রিকা ॥ বাংলা টাইমস’র পুন: প্রকাশ ॥ বাড়ছে তোষামোদীর সাংবাদিককতা

প্রকাশের সময় : ০৬:০৬:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০১৭

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে বাংলা সাংবাদিকতার প্রায় পাঁচ দশক চলছে। দীর্ঘ এই সময়ে কয়েক ডজন বাংলা প্রিন্ট মিডিয়া (দৈনিক/সাপ্তাহিক/পাক্ষিক/মাসিক) প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর মধ্যে কয়েক ডজন বন্ধও হয়ে গেছে। বর্তমানে প্রায় দুই ডজন বাংলা প্রিন্ট মিডিয়া প্রকাশিত হচ্ছে। প্রবাসের বাংলা সাংবাদিকতায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে ঢাকার শীর্ষ স্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো’র উত্তর আমেরিকা সংস্করণ। গত ২৬ মার্চ থেকে ‘প্রথম আলো’ উত্তর আমেরিকার বাজারে এসেছে। এদিকে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলা টাইমস প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর গত ৯ এপ্রিল থেকে পুনরায় প্রকাশিত হচ্ছে। অপরদিকে আরো একাধিক পত্রিকা নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশের পথে বলে জানা গেছে।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব আমেরিকা (ইউএনএ)’র অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিউইয়র্কের বাংলা মিডিয়াগুলোতে বিশেষ করে এক শ্রেনীর ‘আইডেনটিটি ক্রাইসিস’ সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের সম্পৃক্ততা আর ফ্রি পত্রিকা প্রকাশনার ফলে ‘মর্যাদা সম্পন্ন একটি ক্রিয়েটিভ পেশা’ হিসেবে উত্তর আমেরিকার বাংলা সাংবাদিকতা বিপথগামীতার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব আর মর্যাদা হারাতে বসেছে। ফলে প্রকৃত সংবাদকর্মীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। ‘হু কেয়ার্স’-এর দেশে কারো কারো ‘যোগ্যতা থাক বা না থাক, পেশাগত অভিজ্ঞতা থাক বা না থাক’ একটি ইনকরপোরেট খুলে মিডিয়ার তথাকথিত সম্পাদক বনে যাচ্ছেন। বিজ্ঞাপনের বাজার যাচাই-বাছাই না করেই কমিউনিটি পত্রিকাগুলো প্রকাশের ফলে বিজ্ঞাপনদাতারাও বিপাকে পড়ছেন। ফলে পেশাদারিত্বপূর্ণ মিডিয়াগুলো সবদিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি এক শ্রেনীর পাঠকের অসহেযোগিতা আর বিজ্ঞাপনদাতাদের চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছে প্রাচীন মিডিয়াগুলো। মিডিয়া সচেতন ব্যক্তিবর্গের মতে ইন্টারনেট যুগের সহজ পথে পত্রিকা প্রকাশের সুযোগ আর ‘কাট এন্ড পেষ্ট’ সাংবাদিকতার ফলে মিডিয়া প্রকাশনা এখন ‘ডাল-ভাতে’ বা ‘আলু-পটলের ব্যবসায়’ পরিণত হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সময় আর বাস্তবতায় প্রকৃত পেশাজীবি সাংবাদিকরা কিছুই করতে পারছেন না। ফলে অনেকেই এই পেশা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন আবার অনেকে এই পেশা বদলের চিন্তা-ভাবনা করছেন। আর এই সুযোগে অযোগ্য, অপেশাদারিত্ব সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ পেশাদার সাংবাদিকদের জায়গা দখল করে চলেছেন। কারো কারো ‘দু লাইন লেখার যোগ্য না থাকলেও’ পত্রিকার সম্পাদক হয়েছেন বলে কমিউনিটিতে কানাঘুষা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটি সাংবাদিকতায় ‘প্রকৃত সাংবাদিকতা’র বদলে ‘তোষামোদীর সাংবাদিকতা’র প্রভাব বেড়ে যাচ্ছে। নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত মিডিয়াগুলো (হাতেগোনা দু’চারটি ছাড়া) পর্যালোচনা করলেই তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাংবাদিক নামধারী কেউ কেউ আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ‘অর্ডারী সাংবাদিকতা’ করছেন বলে অভিজ্ঞমহল অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তথা কথিত কোন কোন ‘নিউজ এজেন্সী’ এমন সাংবাদিকতাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে কোন কোন নিউজ এজেন্সীর খবরে কতিপয় ব্যক্তি বিশেষকে গুরুত্ব দিয়ে খবর পরিবেশন করা হচ্ছে। আর দু:খজনক হলেও সত্য যে, যথাযথ সম্পাদনা ব্যতিরেকেই এসব খবর প্রবাসের মিডিয়াগুলো ছাড়াও ঢাকার কোন কোন মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হচ্ছে।
এদিকে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার প্রকাশনা বন্ধ হওয়ার পর ঐ পত্রিকার সম্পাদক কোন মিডিয়ায় নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ না পেয়ে নিজেই নতুন একটি সাপ্তাহিক প্রকাশের কথা ভাবছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। আবার আরেকটি মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা নতুন করে তার পত্রিকা প্রকাশের কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে সাপ্তাহিক ঠিকানা, সাপ্তাহিক পরিচয়, সাপ্তাহিক বাঙালী, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ, সাপ্তাহিক দেশবাংলা, সাপ্তাহিক জন্মভূমি, সাপ্তাহিক আজকাল, সাপ্তাহিক বর্ণমালা, সাপ্তাহিক প্রবাস, সাপ্তাহিক রানার, সাপ্তাহিক প্রথম আলো ইউএসএ, সাপ্তাহিক জনতার কন্ঠ, মাসিক জেমিনি প্রভৃতি পত্রিকা। নতুন পত্রিকা প্রথম আলো ও সন্দ্বীপ’র পাশাপাশি পুনরায় প্রকাশিত হচ্ছে সাপ্তাহিক বাংলা টাইমস আর পত্রিকাটির সম্পাদনার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রকাশক ডা. চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান। ডা. চৌধুরী নিউইয়র্কের প্রথম ফ্রি পত্রিকা সাপ্তাহিক দেশবাংলা’রও সম্পাদক। অনিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে সাপ্তাহিক মুক্তকন্ঠ আর সাপ্তাহিক বর্তমান বাংলা। বন্ধ হয়ে গেছে সাপ্তাহিক বিজয়। প্রিন্টের বদলে ওয়েব পোর্টাল হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে এখন সময় ও হককথা। প্রকাশিত পত্রিকাগুলোর মধ্যে সাপ্তাহিক ঠিকানা ও সাপ্তাহিক প্রথম আলো এক ডলারে বিক্রি করা হচ্ছে, অন্য সকল পত্রিকা পাঠকদের জন্য ফ্রি।
অপরদিকে নিউইয়র্কের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত একাধিক সাংবাদিক সাম্প্রতিককাল কর্মক্ষেত্র রদবদল করেছেন। টাইম টেলিভিশনের সাবেক নিউজ প্রেজেন্টার ও সাংবাদিক শাহাদৎ হোসেন সবুজ সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকা (ভোয়া)-এর প্রধান কার্যালয়ে (ওয়াশিংটন ডিসি) যোগ দিয়েছেন। টাইম টেলিভিশন ছাড়ার পর সবুজ কিছুদিন আরটিভি ইউএসএ’র সাংবাদিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকার জনপ্রিয় নিউজ প্রেজেন্টার দিমানেফার তিতি সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা ছেড়ে টাইম টিভি’র নিউজ প্রেজেন্টার ও হোস্ট হিসেবে যোগ দিয়েছেন। সাপ্তাহিক বাংলাদেশ পত্রিকার চীফ রিপোর্টার মমিন মজুমদার পত্রিকাটি ছেড়ে ‘বিএ নিউজ’ নামক অনলাইন পত্রিকা সম্পাদনার পাশাপাশি নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সাপ্তাহিক বাংলাদেশ-এর চীফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দিয়েছেন সাংবাদিক মোহাম্মদ সোলায়মান।