নিউইয়র্ক ০২:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • / ৬৪২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুল আহসান এক বিবৃতিতে বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারী’২০১৭ নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কাজী শামসুল হক, রাশেদ আহম্মদ ও আকবর হায়দার কিরণ কর্তৃক প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১১ মার্চ আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত গত ১৬ জানুয়ারী রোববার অনুষ্ঠিত ক্লাবের কার্যকরী কমিটির ১৯ মার্চ’২০১৭ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তের সাথে সম্পুর্ণ সাংঘর্ষিক।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের ২.৫.৮ বিধি অনুযায়ী গঠনতন্ত্রে উল্লেখ থাকুক বা না থাকুক সংগঠনের যেকোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কার্যকরী কমিটির থাকবে। অতএব সংগঠনের গঠনতন্ত্রের উক্ত বিধি অনুযায়ী ১৯ মার্চ’২০১৭ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে সিদ্ধান্ত কার্যকরী কমিটির সভায় গ্রহণ করা হয়েছে তা বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারী আকবর হায়দার কিরণ কর্তৃক সকল সদস্য ও সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রেরিত চিঠিতে অচিরেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে শীর্ষক বিজ্ঞপ্তির পরপরই গত ১ ফেব্রুুয়ারী’২০১৭ আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে একটি পত্র পাঠানো হয়।
দু:খ এবং বিস্ময়ের সাথে উল্লেখ করতে হয়, নির্বাচন কমিশন প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সাথে আনুষ্ঠানিক কোন পরামর্শমূলক বৈঠকের প্রয়োজন অনুভব না করে গত ১১ মার্চ শনিবার ২০১৭ তারিখে ’আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের’ সাধারণ সদস্যদের সাথে একটি তথাকথিত ’মতবিনিময়’ সভার আয়োজন করে। ১১ মার্চ নির্বাচন কমিশন উক্ত বৈঠক অনুষ্ঠানের ব্যাপারে গত ৮ ফেব্রুয়ারী নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় সংবাদও ছাপা হয়। অথচ উক্ত বৈঠকের ব্যাপারে আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ আরো বেশ কয়েকজন সদস্যকে কিছুই জানানো হয়নি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সংগঠনের একজন সাবেক সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের গৃহীত পদক্ষেপ আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থী, সংগঠনে বিভক্তি সৃষ্টির জন্য উস্কানীমুলক, ভাবমুর্তি বিনষ্ট এবং ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণায় জড়িত একটি গ্রুপের প্রতি পক্ষপাতমুলক প্রমাণিত হওয়ায় সংগঠনের গঠনতন্ত্রের সভাপতির দায়িত্ব- ২.৪.১: (ক) এর বিধি ‘সমিতির লক্ষ্য বাস্তবায়নে যেকোন কর্মসুচি গ্রহণে সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যকরী কমিটিকে অবহিত করা’র বিধান অনুযায়ী কাজী শামসুল হক, রাশেদ আহম্মদ ও আকবর হায়দার কিরনকে নিয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে উক্ত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গৃহীত সকল সিদ্ধান্ত বাতিল করার ঘোষণা প্রদান করা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে। কার্যকরী কমিটির সর্বশেষ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯ মার্চ’২০১৭ আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নির্ধারিত নির্বাচন ও সাধারণ সভা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে এবং অবিলম্বে নতুন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।
গঠনতন্ত্রের ২.৪.১: (ক) এর বিধি অনুযায়ী সভাপতির দায়িত্ব হিসেবে ‘সমিতির লক্ষ্য বাস্তবায়নে যেকোন কর্মসুচি গ্রহণে সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যম কার্যকরী কমিটিকে অবহিত করার জন্য এ চিঠির অনুলিপি কার্যকরী কমিটির সকল সদস্য ও সাধারণ সদস্যবৃন্দের কাছে প্রেরণ করা হল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

প্রকাশের সময় : ০৩:৪০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

নিউইয়র্ক: আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুল আহসান এক বিবৃতিতে বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারী’২০১৭ নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কাজী শামসুল হক, রাশেদ আহম্মদ ও আকবর হায়দার কিরণ কর্তৃক প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ১১ মার্চ আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত গত ১৬ জানুয়ারী রোববার অনুষ্ঠিত ক্লাবের কার্যকরী কমিটির ১৯ মার্চ’২০১৭ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তের সাথে সম্পুর্ণ সাংঘর্ষিক।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের ২.৫.৮ বিধি অনুযায়ী গঠনতন্ত্রে উল্লেখ থাকুক বা না থাকুক সংগঠনের যেকোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কার্যকরী কমিটির থাকবে। অতএব সংগঠনের গঠনতন্ত্রের উক্ত বিধি অনুযায়ী ১৯ মার্চ’২০১৭ নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে সিদ্ধান্ত কার্যকরী কমিটির সভায় গ্রহণ করা হয়েছে তা বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারী আকবর হায়দার কিরণ কর্তৃক সকল সদস্য ও সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রেরিত চিঠিতে অচিরেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে শীর্ষক বিজ্ঞপ্তির পরপরই গত ১ ফেব্রুুয়ারী’২০১৭ আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে একটি পত্র পাঠানো হয়।
দু:খ এবং বিস্ময়ের সাথে উল্লেখ করতে হয়, নির্বাচন কমিশন প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সাথে আনুষ্ঠানিক কোন পরামর্শমূলক বৈঠকের প্রয়োজন অনুভব না করে গত ১১ মার্চ শনিবার ২০১৭ তারিখে ’আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের’ সাধারণ সদস্যদের সাথে একটি তথাকথিত ’মতবিনিময়’ সভার আয়োজন করে। ১১ মার্চ নির্বাচন কমিশন উক্ত বৈঠক অনুষ্ঠানের ব্যাপারে গত ৮ ফেব্রুয়ারী নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় সংবাদও ছাপা হয়। অথচ উক্ত বৈঠকের ব্যাপারে আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ আরো বেশ কয়েকজন সদস্যকে কিছুই জানানো হয়নি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সংগঠনের একজন সাবেক সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের গৃহীত পদক্ষেপ আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থী, সংগঠনে বিভক্তি সৃষ্টির জন্য উস্কানীমুলক, ভাবমুর্তি বিনষ্ট এবং ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণায় জড়িত একটি গ্রুপের প্রতি পক্ষপাতমুলক প্রমাণিত হওয়ায় সংগঠনের গঠনতন্ত্রের সভাপতির দায়িত্ব- ২.৪.১: (ক) এর বিধি ‘সমিতির লক্ষ্য বাস্তবায়নে যেকোন কর্মসুচি গ্রহণে সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যকরী কমিটিকে অবহিত করা’র বিধান অনুযায়ী কাজী শামসুল হক, রাশেদ আহম্মদ ও আকবর হায়দার কিরনকে নিয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে উক্ত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গৃহীত সকল সিদ্ধান্ত বাতিল করার ঘোষণা প্রদান করা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে। কার্যকরী কমিটির সর্বশেষ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯ মার্চ’২০১৭ আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নির্ধারিত নির্বাচন ও সাধারণ সভা যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে এবং অবিলম্বে নতুন একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।
গঠনতন্ত্রের ২.৪.১: (ক) এর বিধি অনুযায়ী সভাপতির দায়িত্ব হিসেবে ‘সমিতির লক্ষ্য বাস্তবায়নে যেকোন কর্মসুচি গ্রহণে সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যম কার্যকরী কমিটিকে অবহিত করার জন্য এ চিঠির অনুলিপি কার্যকরী কমিটির সকল সদস্য ও সাধারণ সদস্যবৃন্দের কাছে প্রেরণ করা হল।