নিউইয়র্ক ০৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে বাংলা প্রিন্ট মিডিয়ার পর এবার লাগামহীন প্রতিযোগিতার মুখে বাংলা টিভি মিডিয়া

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৯:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ মার্চ ২০১৫
  • / ১২৩৪ বার পঠিত

নিউইয়র্কের বাংলা প্রিন্ট মিডিয়ার পর এবার বাংলা টিভি মিডিয়া সম্প্রচারে ব্যাপক উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এই উদ্যোগের ফলে প্রিন্ট মিডিয়াগুলোর মতো শুরুতেই নানা বিপাকে পড়তে যাচ্ছে টিভি মিডিয়াগুলো। এমনই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন মিডিয়া সংশ্লিষ্ট অনেকেই। সবমিলিয়ে অশনি সংকেত দেখা দিচ্ছে নিউইয়র্কের বাংলা মিডিয়া জগতে। নিউইয়র্ক থেকে নিয়মিত/অনিয়মিত মিলে প্রায় দু’ডজন বাংলা পত্র-পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় একাধিক টিভিসহ ঢাকার টিভিগুলোর সহ অবস্থান নিউইয়র্কের মিডিয়া জগতে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করছে। ফলে মহান সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা, আদর্শের চেয়ে মিডিয়াগুলো (হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া) বিজ্ঞাপন সংগ্রহ তথা বাণিজ্য নির্ভর হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে নিউইয়র্কের প্রিন্ট মিডিয়া ফ্রি হওয়ার পাশাপাশি পত্রিকাগুলোর ‘অশুভ’ প্রকাশনার প্রতিযোগিতার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞাপনের রেট অস্বাভাবিক হ্রাস পেয়েছে। ফলে টিকে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে কোন কোন মিডিয়ার। ছাটাই, চাকুরীচুত্য বা অন্য পেশায় ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন পেশাদার সাংবাদিকরা। এরপরও কোন কোন মিডিয়ার আতœপ্রকাশ সচেতন পাঠককে বিস্মিত করছে। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন ছাপানোর জন্যই পত্রিকা প্রকাশ করার মানসিকতা অসুস্থ্য প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করছে বলে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মন্তব্য করেছেন। তাদের বক্তব্য: নতুন নতুন মিডিয়াগুলোর মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য সাংবাদিকতা নয়, বিজ্ঞাপন সংগ্রহ তথা ব্যবসা।
এদিকে নিউইয়র্কের বাংলা মিডিয়াগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রদানের ক্ষেত্রে যেমন কোন নীতি-নীতি নেই, তেমনি বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যেও কোন ‘ফেয়ারনেস’ নেই দেখা যাচ্ছে। ২০/২৫ বছর ধরে যে মিডিয়া প্রকাশিত হচ্ছে, লড়াই-সংগ্রাম করে মিডিয়াটি টিকে রয়েছে, কমিউনিটি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছে সেই মিডিয়া বিজ্ঞাপন না পেয়ে, বা বিজ্ঞাপনদাতাদের পৃষ্ঠপোষকতা না পেয়ে বিজ্ঞাপন পাচ্ছে বা বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে নতুন নতুন মিডিয়াগুলোতে। যারা সংবাদপত্র প্রকাশের নামে শ্রেফ ব্যবসা করছে। কি জন্য, কোন মিডিয়া বিজ্ঞাপন পেতে পারে, কোন মিডিয়ার প্রতি কত পাঠকের আগ্রহ তারও কোন বাছ-বিচার নেই। কোন্্ যোগ্যতায় নতুন নতুন মিডিয়া অর্থাৎ আজ প্রকাশিত হয়ে কালই বিজ্ঞাপন পাচ্ছে! মূলত: বাংলা প্রিন্ট মিডিয়া ফ্রি হওয়ার মধ্য দিয়েই সবার অগোচরেই ‘সর্বনাশ’ হয়ে গেছে প্রবাসের বাংলা সাংবাদিকতায়। যে কারণে বেড়ে গেছে ‘কাট এন্ড পেষ্ট’ সর্বস্ব পত্রিকার প্রকাশনা। সম্পাদক/প্রকাশক হয়েছেন বিজ্ঞাপন কালেক্টরসহ অনেকই। যারা সাংবাদিকতার ‘স’ও জানেন না, বুঝেন না।
এমতাবস্থায় নিউইয়র্কের মিডিয়া জগতে ঢাকার টিভিগুলোর বাণিজ্যিক চিন্তা-চেতনা প্রিন্ট মিডিয়াগুলোর জন্য নতুন আশংকার সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যেই একাধিক টিভি নিউইয়র্কে অফিস গেড়ে বসেছে। লক্ষ্য বিজ্ঞাপন বাণিজ্য। কিন্তু কোথায় বিজ্ঞাপন? কমিউনিটির সামাজিক সংগঠন আর হাতেগোনা কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোথায় বিজ্ঞাপন? নিউইয়র্কে বাংলা মিডিয়াগুলোর জন্য গ্রামীণ ফোন, বাংলা লিংক, ইউনিলিভার-এর মতো প্রতিষ্ঠান যারা বাংলাদেশে টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতে বছরে হাজার হাজার বিজ্ঞাপন প্রদান করে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিউইয়র্কের নতুন একটি টিভি ‘লাইভ অনুষ্ঠান সম্প্রচার’-এর মাধ্যমে ব্যয় নির্বাহের নতুন পন্থা অবলম্বন করলেও সেটি এখন অন্য টিভি ও মিডিয়াগুলোর সৃষ্টি কাটতে শুরু করেছে। ফলে লাইভ টিভি সম্প্রচারে যে রেট বর্তমানে আছে তা তিন অংশ থেকে দুই অংকে চলে আসতে পারে যেকোন সময়। পাশাপাশি স্থানীয় টিভি বিজ্ঞাপনের রেটও ক্রমশ: হ্রাস পাচ্ছে। কমিউনিটিতে আরো কয়েকটি নতুন টিভি চালু করার উদ্যোগের কাথাও শুনা যাচ্ছে। অতি সম্প্রতি নিউইয়র্ক সফরকারী ঢাকার একটি জনপ্রিয় টিভির অন্যতম পরিচালক জানান ঢাকায় ২৬/২৮টির মতো টিভি চ্যানেল রয়েছে। এই চ্যানেলগুলো দৃষ্টি পড়েছে ইউরোপ-আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য সহ নিউইয়র্কের মার্কেটের প্রতি। আর যদি এই ২৬/২৮টি টিভি সত্যি সত্যিই নিউইয়র্কে অফিস স্থাপন করে তাহলে বাণিজ্যিক কেমন হবে তা বলাই বাহুল্য।
কেউ কেউ হয়তো বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছেন। কিন্তু মোদ্দা কথা হচ্ছে- কেউ বা নিজের ‘আইডেনটিটি ক্রাইসিস’ দূর করতে, কেউবা কমিউনিটিতে নিজের দাপট দেখানো বা জাহির করতে, কেউবা নিজের রাজনৈতিক মতবাদ প্রচার করতে নতুন নতুন মিডিয়া (প্রিন্ট/টিভি) ব্যবসায় আসছেন অন্য আর কিছু বিবেচনা না করেই।
২.
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়-এর নাম জড়িয়ে নিউইয়র্কের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর কেন্দ্র করে পত্রিকাটি বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের মতো একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল একটি খবর প্রকাশকে কেন্দ্র করে মিডিয়াটি বয়কট করার বিষয়টি গণতান্ত্রিক চেতনা সমৃদ্ধ নয়। প্রকাশিত খবরে কেউ আহত হলে বা কারো মানহানি ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। এটাই স্বাভাবিক। কোন মিডিয়া বয়কট গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল কাজ নয়। আমরা অনতিবিলম্বে এই বয়কট প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানাই।
৩.
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত চলতি সপ্তাহের উল্লেখযোগ্য পত্রিকাগুলোর মধ্যে সাপ্তাহিক পরিচয়’র ‘আসন্ন স্কুল ছুটিতে বাংলাদেশ ভ্রমণে এয়ার টিকেটের চাহিদা বাড়ছে : প্রতারক ‘ট্রাভেল এজেন্ট’ থেকে সাবধান’, ‘সিটি হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন : হিন্দি গান পরিবেশনে কমিউনিটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া’ সাপ্তাহিক বাঙালী’র ‘প্রথমে যাবেন কেরি : প্রেসিডেন্ট ওবামা বাংলাদেশে যাচ্ছেন’ ও ‘৩০০ মিলিয়ন ডলার দূর্নীতি করলে জয় কেন গ্রেফতার হচ্ছেন না?’, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা’র ‘চক্রান্তের হোতা বিএনপি-জয় : সবার মুখোশ উন্মোচন করে দেবো-সিজার’ ও ‘সেদিন কী ঘটেছিলো জ্যামাইকায়!’ সাপ্তাহিক ঠিকানা’র ‘২৪ বছর পর শূন্য হাতে’, ‘তমা : ভয়ঙ্কর দু:স্বপ্নের প্রেম কাহিনী’ সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত বার্তা সংস্থা ইউএনএ পরিবেশিত ‘জাকারিয়া চৌধুরীকে বহিষ্কার : যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগ ও নিউইয়র্ক মহানগর আ.লীগ মুখোমুখী’ শীর্ষক খবর পাঠকমহলে আলোচিত হয়েছে। ২৭ মার্চ’২০১৫ (সাপ্তাহিক পরিচয়)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কে বাংলা প্রিন্ট মিডিয়ার পর এবার লাগামহীন প্রতিযোগিতার মুখে বাংলা টিভি মিডিয়া

প্রকাশের সময় : ০৯:০৯:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ মার্চ ২০১৫

নিউইয়র্কের বাংলা প্রিন্ট মিডিয়ার পর এবার বাংলা টিভি মিডিয়া সম্প্রচারে ব্যাপক উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এই উদ্যোগের ফলে প্রিন্ট মিডিয়াগুলোর মতো শুরুতেই নানা বিপাকে পড়তে যাচ্ছে টিভি মিডিয়াগুলো। এমনই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন মিডিয়া সংশ্লিষ্ট অনেকেই। সবমিলিয়ে অশনি সংকেত দেখা দিচ্ছে নিউইয়র্কের বাংলা মিডিয়া জগতে। নিউইয়র্ক থেকে নিয়মিত/অনিয়মিত মিলে প্রায় দু’ডজন বাংলা পত্র-পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় একাধিক টিভিসহ ঢাকার টিভিগুলোর সহ অবস্থান নিউইয়র্কের মিডিয়া জগতে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করছে। ফলে মহান সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা, আদর্শের চেয়ে মিডিয়াগুলো (হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া) বিজ্ঞাপন সংগ্রহ তথা বাণিজ্য নির্ভর হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে নিউইয়র্কের প্রিন্ট মিডিয়া ফ্রি হওয়ার পাশাপাশি পত্রিকাগুলোর ‘অশুভ’ প্রকাশনার প্রতিযোগিতার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞাপনের রেট অস্বাভাবিক হ্রাস পেয়েছে। ফলে টিকে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে কোন কোন মিডিয়ার। ছাটাই, চাকুরীচুত্য বা অন্য পেশায় ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন পেশাদার সাংবাদিকরা। এরপরও কোন কোন মিডিয়ার আতœপ্রকাশ সচেতন পাঠককে বিস্মিত করছে। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন ছাপানোর জন্যই পত্রিকা প্রকাশ করার মানসিকতা অসুস্থ্য প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করছে বলে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মন্তব্য করেছেন। তাদের বক্তব্য: নতুন নতুন মিডিয়াগুলোর মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য সাংবাদিকতা নয়, বিজ্ঞাপন সংগ্রহ তথা ব্যবসা।
এদিকে নিউইয়র্কের বাংলা মিডিয়াগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রদানের ক্ষেত্রে যেমন কোন নীতি-নীতি নেই, তেমনি বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যেও কোন ‘ফেয়ারনেস’ নেই দেখা যাচ্ছে। ২০/২৫ বছর ধরে যে মিডিয়া প্রকাশিত হচ্ছে, লড়াই-সংগ্রাম করে মিডিয়াটি টিকে রয়েছে, কমিউনিটি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছে সেই মিডিয়া বিজ্ঞাপন না পেয়ে, বা বিজ্ঞাপনদাতাদের পৃষ্ঠপোষকতা না পেয়ে বিজ্ঞাপন পাচ্ছে বা বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে নতুন নতুন মিডিয়াগুলোতে। যারা সংবাদপত্র প্রকাশের নামে শ্রেফ ব্যবসা করছে। কি জন্য, কোন মিডিয়া বিজ্ঞাপন পেতে পারে, কোন মিডিয়ার প্রতি কত পাঠকের আগ্রহ তারও কোন বাছ-বিচার নেই। কোন্্ যোগ্যতায় নতুন নতুন মিডিয়া অর্থাৎ আজ প্রকাশিত হয়ে কালই বিজ্ঞাপন পাচ্ছে! মূলত: বাংলা প্রিন্ট মিডিয়া ফ্রি হওয়ার মধ্য দিয়েই সবার অগোচরেই ‘সর্বনাশ’ হয়ে গেছে প্রবাসের বাংলা সাংবাদিকতায়। যে কারণে বেড়ে গেছে ‘কাট এন্ড পেষ্ট’ সর্বস্ব পত্রিকার প্রকাশনা। সম্পাদক/প্রকাশক হয়েছেন বিজ্ঞাপন কালেক্টরসহ অনেকই। যারা সাংবাদিকতার ‘স’ও জানেন না, বুঝেন না।
এমতাবস্থায় নিউইয়র্কের মিডিয়া জগতে ঢাকার টিভিগুলোর বাণিজ্যিক চিন্তা-চেতনা প্রিন্ট মিডিয়াগুলোর জন্য নতুন আশংকার সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যেই একাধিক টিভি নিউইয়র্কে অফিস গেড়ে বসেছে। লক্ষ্য বিজ্ঞাপন বাণিজ্য। কিন্তু কোথায় বিজ্ঞাপন? কমিউনিটির সামাজিক সংগঠন আর হাতেগোনা কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া কোথায় বিজ্ঞাপন? নিউইয়র্কে বাংলা মিডিয়াগুলোর জন্য গ্রামীণ ফোন, বাংলা লিংক, ইউনিলিভার-এর মতো প্রতিষ্ঠান যারা বাংলাদেশে টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতে বছরে হাজার হাজার বিজ্ঞাপন প্রদান করে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিউইয়র্কের নতুন একটি টিভি ‘লাইভ অনুষ্ঠান সম্প্রচার’-এর মাধ্যমে ব্যয় নির্বাহের নতুন পন্থা অবলম্বন করলেও সেটি এখন অন্য টিভি ও মিডিয়াগুলোর সৃষ্টি কাটতে শুরু করেছে। ফলে লাইভ টিভি সম্প্রচারে যে রেট বর্তমানে আছে তা তিন অংশ থেকে দুই অংকে চলে আসতে পারে যেকোন সময়। পাশাপাশি স্থানীয় টিভি বিজ্ঞাপনের রেটও ক্রমশ: হ্রাস পাচ্ছে। কমিউনিটিতে আরো কয়েকটি নতুন টিভি চালু করার উদ্যোগের কাথাও শুনা যাচ্ছে। অতি সম্প্রতি নিউইয়র্ক সফরকারী ঢাকার একটি জনপ্রিয় টিভির অন্যতম পরিচালক জানান ঢাকায় ২৬/২৮টির মতো টিভি চ্যানেল রয়েছে। এই চ্যানেলগুলো দৃষ্টি পড়েছে ইউরোপ-আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য সহ নিউইয়র্কের মার্কেটের প্রতি। আর যদি এই ২৬/২৮টি টিভি সত্যি সত্যিই নিউইয়র্কে অফিস স্থাপন করে তাহলে বাণিজ্যিক কেমন হবে তা বলাই বাহুল্য।
কেউ কেউ হয়তো বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছেন। কিন্তু মোদ্দা কথা হচ্ছে- কেউ বা নিজের ‘আইডেনটিটি ক্রাইসিস’ দূর করতে, কেউবা কমিউনিটিতে নিজের দাপট দেখানো বা জাহির করতে, কেউবা নিজের রাজনৈতিক মতবাদ প্রচার করতে নতুন নতুন মিডিয়া (প্রিন্ট/টিভি) ব্যবসায় আসছেন অন্য আর কিছু বিবেচনা না করেই।
২.
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়-এর নাম জড়িয়ে নিউইয়র্কের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর কেন্দ্র করে পত্রিকাটি বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের মতো একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল একটি খবর প্রকাশকে কেন্দ্র করে মিডিয়াটি বয়কট করার বিষয়টি গণতান্ত্রিক চেতনা সমৃদ্ধ নয়। প্রকাশিত খবরে কেউ আহত হলে বা কারো মানহানি ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। এটাই স্বাভাবিক। কোন মিডিয়া বয়কট গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল কাজ নয়। আমরা অনতিবিলম্বে এই বয়কট প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানাই।
৩.
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত চলতি সপ্তাহের উল্লেখযোগ্য পত্রিকাগুলোর মধ্যে সাপ্তাহিক পরিচয়’র ‘আসন্ন স্কুল ছুটিতে বাংলাদেশ ভ্রমণে এয়ার টিকেটের চাহিদা বাড়ছে : প্রতারক ‘ট্রাভেল এজেন্ট’ থেকে সাবধান’, ‘সিটি হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন : হিন্দি গান পরিবেশনে কমিউনিটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া’ সাপ্তাহিক বাঙালী’র ‘প্রথমে যাবেন কেরি : প্রেসিডেন্ট ওবামা বাংলাদেশে যাচ্ছেন’ ও ‘৩০০ মিলিয়ন ডলার দূর্নীতি করলে জয় কেন গ্রেফতার হচ্ছেন না?’, সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা’র ‘চক্রান্তের হোতা বিএনপি-জয় : সবার মুখোশ উন্মোচন করে দেবো-সিজার’ ও ‘সেদিন কী ঘটেছিলো জ্যামাইকায়!’ সাপ্তাহিক ঠিকানা’র ‘২৪ বছর পর শূন্য হাতে’, ‘তমা : ভয়ঙ্কর দু:স্বপ্নের প্রেম কাহিনী’ সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত বার্তা সংস্থা ইউএনএ পরিবেশিত ‘জাকারিয়া চৌধুরীকে বহিষ্কার : যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগ ও নিউইয়র্ক মহানগর আ.লীগ মুখোমুখী’ শীর্ষক খবর পাঠকমহলে আলোচিত হয়েছে। ২৭ মার্চ’২০১৫ (সাপ্তাহিক পরিচয়)