নিউইয়র্ক ১০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কে প্রবীর সিকদার ও শওকত মাহমুদের মুক্তি দাবি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:২১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অগাস্ট ২০১৫
  • / ৫৮৯ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ এবং সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব। প্রতিবাদ সভায় শওকত মাহমুদ ও প্রবীর সিকদারসহ আটক সকল সাংবাদিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়।
এ দুই সাংবাদিককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৮ আগষ্ট) সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবের জ্যাকসন হাইটসের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেন নিউইয়র্কের সাংবাদিকরা। নিউইয়র্ক বাংলাদেশ পেপ্রসক্লাবের সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ।
প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘আজকে যেভাবে গণমাধ্যমের ওপর দমন-পীড়ন চলছে তা কোনভাবেই কাম্য নয়। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাই বলে রাতের আঁধারে প্রথিতযশা সাংবাদিকদের এভাবে আটক করা দেশের গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে নোটিস দেওয়া যেতে পারতো।’
সহ-সভাপতি রিমন ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখানে বসে প্রতিবাদ করছি ঠিকই; কিন্তু সরকারের কানে তা যাচ্ছে না। দেশের সাংবাদিকদের ওপর যেভাবে নির্যাতন চলছে, তাতে অনেকেই এখন বাধ্য হয়ে আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন। যা দেশের জন্য শুভ ফল বয়ে আনবে না।’
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দফতর সম্পাদক এবং একুশে টিভির ইউএস প্রতিনিধি ইমরান আনসারি বলেন, ‘আইসিটি এ্যাক্ট তথা তথ্যপ্রযুক্তির মত একটি কালো আইনের ৫৭ ধারায় দু’জন প্রখ্যাত সাংবাদিককে গ্রেফতারই প্রমাণ করে সরকার গণমাধ্যমকে কতটা নগ্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। শওকত মাহমুদের মত সাংবাদিক যার পরিবারের সদস্যরা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। একইভাবে প্রবীর সিকদারের পরিবারের মুক্তিযুদ্ধে ত্যাগও সবার জানা। তারপরও এ ধরনের ঘটনায় জাতিকে লজ্জিত করে।’
টাইম টেলিভিশনের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ও দ্য রিপোর্ট-এর নিউইয়র্ক প্রতিনিধি শিবলী চৌধুরী কায়েস বলেন, ‘সাংবাদিক সমাজ ও নেতাদের বিভক্তির কারণেই আজকের এই পরিণতি। আমরা যাদের আদর্শ ভেবে গণমাধ্যমকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি তারাই এখন নিজেদের স্বার্থে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে এর পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে।’
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সিরাজ, যুক্তরাষ্ট্রে এনটিভির সাংবাদিক আবিদুর রহীম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক নয়াদিগন্তের বিশেষ প্রতিনিধি শওকত ওসমান রচি, যমুনা টিভির ইউএসএ প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান সাকি, টাইম টেলিভিশনের কনসালটেন্ট (বার্তা) পুলক মাহমুদ, সৈয়দ ইলিয়াস খসরু, সময় টিভির আনোয়ার হোসেন বাবু, মাসিক সমীক্ষার আবদুর রশীদ প্রমুখ। (দ্যরিপোর্ট২৪.কম)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কে প্রবীর সিকদার ও শওকত মাহমুদের মুক্তি দাবি

প্রকাশের সময় : ০১:২১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অগাস্ট ২০১৫

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ এবং সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাব। প্রতিবাদ সভায় শওকত মাহমুদ ও প্রবীর সিকদারসহ আটক সকল সাংবাদিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়।
এ দুই সাংবাদিককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৮ আগষ্ট) সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবের জ্যাকসন হাইটসের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নেন নিউইয়র্কের সাংবাদিকরা। নিউইয়র্ক বাংলাদেশ পেপ্রসক্লাবের সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ।
প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহের বলেন, ‘আজকে যেভাবে গণমাধ্যমের ওপর দমন-পীড়ন চলছে তা কোনভাবেই কাম্য নয়। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাই বলে রাতের আঁধারে প্রথিতযশা সাংবাদিকদের এভাবে আটক করা দেশের গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে নোটিস দেওয়া যেতে পারতো।’
সহ-সভাপতি রিমন ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখানে বসে প্রতিবাদ করছি ঠিকই; কিন্তু সরকারের কানে তা যাচ্ছে না। দেশের সাংবাদিকদের ওপর যেভাবে নির্যাতন চলছে, তাতে অনেকেই এখন বাধ্য হয়ে আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন। যা দেশের জন্য শুভ ফল বয়ে আনবে না।’
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দফতর সম্পাদক এবং একুশে টিভির ইউএস প্রতিনিধি ইমরান আনসারি বলেন, ‘আইসিটি এ্যাক্ট তথা তথ্যপ্রযুক্তির মত একটি কালো আইনের ৫৭ ধারায় দু’জন প্রখ্যাত সাংবাদিককে গ্রেফতারই প্রমাণ করে সরকার গণমাধ্যমকে কতটা নগ্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। শওকত মাহমুদের মত সাংবাদিক যার পরিবারের সদস্যরা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। একইভাবে প্রবীর সিকদারের পরিবারের মুক্তিযুদ্ধে ত্যাগও সবার জানা। তারপরও এ ধরনের ঘটনায় জাতিকে লজ্জিত করে।’
টাইম টেলিভিশনের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ও দ্য রিপোর্ট-এর নিউইয়র্ক প্রতিনিধি শিবলী চৌধুরী কায়েস বলেন, ‘সাংবাদিক সমাজ ও নেতাদের বিভক্তির কারণেই আজকের এই পরিণতি। আমরা যাদের আদর্শ ভেবে গণমাধ্যমকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি তারাই এখন নিজেদের স্বার্থে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামীতে এর পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে।’
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সিরাজ, যুক্তরাষ্ট্রে এনটিভির সাংবাদিক আবিদুর রহীম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক নয়াদিগন্তের বিশেষ প্রতিনিধি শওকত ওসমান রচি, যমুনা টিভির ইউএসএ প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান সাকি, টাইম টেলিভিশনের কনসালটেন্ট (বার্তা) পুলক মাহমুদ, সৈয়দ ইলিয়াস খসরু, সময় টিভির আনোয়ার হোসেন বাবু, মাসিক সমীক্ষার আবদুর রশীদ প্রমুখ। (দ্যরিপোর্ট২৪.কম)