নিউইয়র্ক ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কের প্রেসনোট : বিভিন্ন বাংলাদেশ সম্মেলন ও কমিউনিটি সাংবাদিকতা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • / ৮২৮ বার পঠিত

উত্তর আমেরিকায় গত ২৯ বছর ধরে অনুষ্ঠিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সম্মেলগুলোতে (তা ফোবানা, এবিসি বা এনএবিসি যে কোন পরিচয়-এ অনুষ্ঠিত হোক না কেন) বাংলা মিডিয়ার সম্পৃক্ততা ছিলো সবচেয়ে বেশী। ১৯৮৭ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত প্রথম ‘বাংলাদেশ সম্মেলন’ থেকে অদ্যবধি অনুষ্ঠিত প্রায় সবগুলো সম্মেলনের নেপথ্যে বিভিন্ন মিডিয়ার ব্যক্তিবর্গের ভূমিকা মাঝে মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হলেও হ্রাস পায়নি। বরং মিডিয়ার ভুমিকাকে আনুষ্ঠানিকতায় স্বীকৃতি দেওয়া হয় মিডিয়া পার্টনার বানিয়ে। ওয়াশিংটন ডিসি’র প্রথম বাংলাদেশ সম্মেলন থেকে শুরু করে পরবর্তী তিনটি সম্মেলনের নেপথ্যে নীতি-নির্ধারনীর ভূমিকা পালনকারী সেই সময় প্রকাশিত একটি পত্রিকার সম্পাদকের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানান সেই সময় প্রকাশিত আরেকটি পত্রিকার কর্তাব্যক্তি। ফলে সেই সময় নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত দু’টি পত্রিকার ‘টাগ অব ওয়ার’-এর দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে যায় বাঙলাদেশ সম্মেলন। পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনগুলোর আয়োজকরা ঐক্যবদ্ধ বাঙলাদেশ সম্মেলন করার ব্যাপারে উত্তর আমেরিকা থেকে প্রকাশিত বাংলা মিডিয়ার বিভাজনকে দায়ী করেন। পরবর্তীতে আয়োজকদের অনেকই নিজেদের নেতৃত্ব দখলে রাখতে মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত হন। ফলে প্রতিবছর ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ সম্মেলন আয়োজনের প্রয়াস চোখে পড়লেও উত্তর আমেরিকায় বিভক্তির দেয়াল এতো শক্ত ভিত্তির উপর দাড়িয়েছে যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক, দুই নয় বিভিন্ন পরিচয়ে তিনটি সম্মেলন হচ্ছে। কেউ কেউ লেবার ডে উইকেন্ডকে উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশীদের ঐক্য প্রদর্শনের পরিবর্তে বিভক্তির সার্কাস শো-এর আয়োজন বলে মনে করেন। আগে উত্তর আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংখা কম হলেও সম্মেলনগুলোতে দুই সহ¯্রাধিক প্রবাসীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সেখানে সাম্প্রতিককালের সম্মেলনগুলোতে ৫০০ প্রবাসীর বেশী লোক চোখে পড়ে না। ইদানিং লেবার ডে উইকেন্ডে বিভিন্ন ব্যনারে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশীদের সম্মেলনগুলো পরিণত হয়েছে কমিউনিটির কতিপয় ‘বুড়ো লোকজন’-এর ইগোর ঠেলাঠেরি উর্বর ভূমি হিসেবে। এবার ঐক্যবদ্ধ ফোবানা সম্মেলনের ঐক্য প্রচেষ্টা সম্মেলন অনুষ্ঠানের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ভেঙে যায়। নেতৃবৃন্দের ইগো ঠেলাঠেলির লাড়াইয়ে সম্প্রতি যোগ হয়েছে মিডিয়ার পার্টনারশীপ। এই মিডিয়া পার্টনারশীপের সংগা কি তা অনেকেরই প্রশ্ন। শ্রেফ বিনা পয়সায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ ও প্রচারের বিনিময়ে পোস্টার বিজ্ঞাপনে মিডিয়ার লগো ছাপানো কিম্বা প্রচার নাকি অন্য কিছু? এবছর অবশ্য ফোবানা কর্তৃপক্ষ নিউইয়র্কে তাদের দুই মিডিয়া পার্টনারকে পুরষ্কৃতও করেছে। বিষয়টি নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কারণ মিডিয়া পার্টনারকে পুরষ্কৃত করার অর্থ কি এবারের আয়োজকেদের কর্মকান্ডকে ইতিবাচক ভূমিকায় প্রকাশ বা প্রচার করতে প্রভাব বিস্তার করা? যাদেরকে পুরষ্কৃত করা হবে তাদেরকে মিডিয়া পার্টনার করার আদৌ প্রয়োজন ছিলো না। আর যদি মিডিয়াগুলো তাদের সাংবাদিকতার যোগ্যতায় পুরষ্কৃত হন তাহলে তাদেরকে মিডিয়া পার্টনার করা কেন- এই প্রশ্ন অনেকেরই।
এবারের ফোবানা সম্মেলন কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকে দুটি দৈনিকের দু’জন সম্পাদককে তাদের এক মিডিয়া পার্টনারের সৌজন্যে সম্মেলনের অথিথি হিসেবে নিয়ে আসেন। কিন্তু, পাশাপাশি নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি পত্রিকার সম্পাদকদের দাওয়াত পর্যন্ত করেননি। সম্মেলনের ২/৩দিন আগে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়েছিলো- সাংবাদিকদের জন্য গেটে টিকিট রাখা থাকবে। সেখান থেকে টিকিট কালেক্টর করতে হবে। অথচ তারা নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত মিডিয়াসমূহের সম্পাদক/পরিচালকদের এতোটুকু সম্মান দেখানোর প্রয়োজন মনে করেননি। অথচ এই সম্মেলনে স্থানীয় দুজন মিডিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে। তাদের নিশ্চয়ই দাওয়াত করা হয়েছিলো। পুরষ্কৃত মিডিয়া ব্যক্তিদের নিশ্চয়ই গেটে টিকিট খুঁজতে হয়নি। এই বৈষম্যের কি প্রয়োজন ছিলো। যতদূর জানা গেছে নিউইয়র্কের একাধিক মিডিয়ার সম্পাদক/পরিচালক/সাংবাদিক এবারের ফোবানা সম্মেলনে যাননি।
উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী কমিউনিটি বিনির্মাণে এখান থেকে প্রকাশিত মিডিয়াসমূহের ভূমিকা সর্বমহলে স্বীকৃত হলেও তাদের যতাযোগ্য মর্যাদায় আমন্ত্রণও করা হয়না। মিডিয়ার বিভাজনের ফায়দা লুটছেন কতিপয় সংগঠক/আয়োজক। আতœসম্মানবোধ সম্পন্ন মিডিয়ার সম্পাদক/মালিক/পরিচালকদের পেশাদার ঐক্য এখন খুবই প্রয়োজন। ১১ সেপ্টেম্বর’২০১৫
(সাপ্তাহিক পরিচয়)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কের প্রেসনোট : বিভিন্ন বাংলাদেশ সম্মেলন ও কমিউনিটি সাংবাদিকতা

প্রকাশের সময় : ১১:৪৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

উত্তর আমেরিকায় গত ২৯ বছর ধরে অনুষ্ঠিত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সম্মেলগুলোতে (তা ফোবানা, এবিসি বা এনএবিসি যে কোন পরিচয়-এ অনুষ্ঠিত হোক না কেন) বাংলা মিডিয়ার সম্পৃক্ততা ছিলো সবচেয়ে বেশী। ১৯৮৭ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত প্রথম ‘বাংলাদেশ সম্মেলন’ থেকে অদ্যবধি অনুষ্ঠিত প্রায় সবগুলো সম্মেলনের নেপথ্যে বিভিন্ন মিডিয়ার ব্যক্তিবর্গের ভূমিকা মাঝে মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হলেও হ্রাস পায়নি। বরং মিডিয়ার ভুমিকাকে আনুষ্ঠানিকতায় স্বীকৃতি দেওয়া হয় মিডিয়া পার্টনার বানিয়ে। ওয়াশিংটন ডিসি’র প্রথম বাংলাদেশ সম্মেলন থেকে শুরু করে পরবর্তী তিনটি সম্মেলনের নেপথ্যে নীতি-নির্ধারনীর ভূমিকা পালনকারী সেই সময় প্রকাশিত একটি পত্রিকার সম্পাদকের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানান সেই সময় প্রকাশিত আরেকটি পত্রিকার কর্তাব্যক্তি। ফলে সেই সময় নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত দু’টি পত্রিকার ‘টাগ অব ওয়ার’-এর দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে যায় বাঙলাদেশ সম্মেলন। পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনগুলোর আয়োজকরা ঐক্যবদ্ধ বাঙলাদেশ সম্মেলন করার ব্যাপারে উত্তর আমেরিকা থেকে প্রকাশিত বাংলা মিডিয়ার বিভাজনকে দায়ী করেন। পরবর্তীতে আয়োজকদের অনেকই নিজেদের নেতৃত্ব দখলে রাখতে মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত হন। ফলে প্রতিবছর ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ সম্মেলন আয়োজনের প্রয়াস চোখে পড়লেও উত্তর আমেরিকায় বিভক্তির দেয়াল এতো শক্ত ভিত্তির উপর দাড়িয়েছে যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক, দুই নয় বিভিন্ন পরিচয়ে তিনটি সম্মেলন হচ্ছে। কেউ কেউ লেবার ডে উইকেন্ডকে উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত বাংলাদেশীদের ঐক্য প্রদর্শনের পরিবর্তে বিভক্তির সার্কাস শো-এর আয়োজন বলে মনে করেন। আগে উত্তর আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংখা কম হলেও সম্মেলনগুলোতে দুই সহ¯্রাধিক প্রবাসীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সেখানে সাম্প্রতিককালের সম্মেলনগুলোতে ৫০০ প্রবাসীর বেশী লোক চোখে পড়ে না। ইদানিং লেবার ডে উইকেন্ডে বিভিন্ন ব্যনারে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশীদের সম্মেলনগুলো পরিণত হয়েছে কমিউনিটির কতিপয় ‘বুড়ো লোকজন’-এর ইগোর ঠেলাঠেরি উর্বর ভূমি হিসেবে। এবার ঐক্যবদ্ধ ফোবানা সম্মেলনের ঐক্য প্রচেষ্টা সম্মেলন অনুষ্ঠানের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ভেঙে যায়। নেতৃবৃন্দের ইগো ঠেলাঠেলির লাড়াইয়ে সম্প্রতি যোগ হয়েছে মিডিয়ার পার্টনারশীপ। এই মিডিয়া পার্টনারশীপের সংগা কি তা অনেকেরই প্রশ্ন। শ্রেফ বিনা পয়সায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ ও প্রচারের বিনিময়ে পোস্টার বিজ্ঞাপনে মিডিয়ার লগো ছাপানো কিম্বা প্রচার নাকি অন্য কিছু? এবছর অবশ্য ফোবানা কর্তৃপক্ষ নিউইয়র্কে তাদের দুই মিডিয়া পার্টনারকে পুরষ্কৃতও করেছে। বিষয়টি নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কারণ মিডিয়া পার্টনারকে পুরষ্কৃত করার অর্থ কি এবারের আয়োজকেদের কর্মকান্ডকে ইতিবাচক ভূমিকায় প্রকাশ বা প্রচার করতে প্রভাব বিস্তার করা? যাদেরকে পুরষ্কৃত করা হবে তাদেরকে মিডিয়া পার্টনার করার আদৌ প্রয়োজন ছিলো না। আর যদি মিডিয়াগুলো তাদের সাংবাদিকতার যোগ্যতায় পুরষ্কৃত হন তাহলে তাদেরকে মিডিয়া পার্টনার করা কেন- এই প্রশ্ন অনেকেরই।
এবারের ফোবানা সম্মেলন কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকে দুটি দৈনিকের দু’জন সম্পাদককে তাদের এক মিডিয়া পার্টনারের সৌজন্যে সম্মেলনের অথিথি হিসেবে নিয়ে আসেন। কিন্তু, পাশাপাশি নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি পত্রিকার সম্পাদকদের দাওয়াত পর্যন্ত করেননি। সম্মেলনের ২/৩দিন আগে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়েছিলো- সাংবাদিকদের জন্য গেটে টিকিট রাখা থাকবে। সেখান থেকে টিকিট কালেক্টর করতে হবে। অথচ তারা নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত মিডিয়াসমূহের সম্পাদক/পরিচালকদের এতোটুকু সম্মান দেখানোর প্রয়োজন মনে করেননি। অথচ এই সম্মেলনে স্থানীয় দুজন মিডিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে। তাদের নিশ্চয়ই দাওয়াত করা হয়েছিলো। পুরষ্কৃত মিডিয়া ব্যক্তিদের নিশ্চয়ই গেটে টিকিট খুঁজতে হয়নি। এই বৈষম্যের কি প্রয়োজন ছিলো। যতদূর জানা গেছে নিউইয়র্কের একাধিক মিডিয়ার সম্পাদক/পরিচালক/সাংবাদিক এবারের ফোবানা সম্মেলনে যাননি।
উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী কমিউনিটি বিনির্মাণে এখান থেকে প্রকাশিত মিডিয়াসমূহের ভূমিকা সর্বমহলে স্বীকৃত হলেও তাদের যতাযোগ্য মর্যাদায় আমন্ত্রণও করা হয়না। মিডিয়ার বিভাজনের ফায়দা লুটছেন কতিপয় সংগঠক/আয়োজক। আতœসম্মানবোধ সম্পন্ন মিডিয়ার সম্পাদক/মালিক/পরিচালকদের পেশাদার ঐক্য এখন খুবই প্রয়োজন। ১১ সেপ্টেম্বর’২০১৫
(সাপ্তাহিক পরিচয়)