নিউইয়র্ক ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কের প্রেসনোট : বাংলা সাংবাদিকতার ‘এথিক্স’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অগাস্ট ২০১৫
  • / ৭৭৮ বার পঠিত

নিউইয়র্কে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকতার মান-মর্যাদা, নিয়ম-কানুন তথা সাংবাদিকতার এথিক্স নিয়ে সচেতন পাঠকমহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে নিউইয়র্কের বাংলা সাংবাদিকতা পেশা, না নেশা, না ব্যবসা? কমিউনিটি সাংবাদিকতার নামে নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকার মিডিয়াগুলোতে যা প্রকাশ বা সম্প্রচার করা হচ্ছে তা কি সাংবাদিকতার নীতিমালার আওতাধীন? না কি শ্রেফ সাংবাদিকতার নামে ‘জ্বি হুজুর’ মার্কা প্রতিবেদন বা স্তুতি সর্বস্ব প্রতিবেদন তুলে ধরা। যা অধিকাংশ মিডিয়াগুলোতেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে মহান পেশা সাংবাদিকতা ও কমিউনিটি মারাত্ত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে সচেতন ফাটকদের অভিমত। অথচ কমিউনিটি বিনির্মাণে প্রবাসের বাংলা মিডিয়াগুলোর ভূমিকা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
লক্ষ্য করা যাচ্ছে কমিউনিটির সকল ক্ষেত্রেই একটি সিন্ডিকেট সুলভ মানসিকতা বিরাজ করছে। বিজ্ঞাপন পাওয়ার মাধ্যমে ব্যবসায়িক সুবিধা লাভের আশায় অধিকাংশ মিডিয়া পেশাদারিত্বের দিকে না তাকিয়ে সাংবাদিকতার নামে যা করছে তাকে আর যাই বলা হোক প্রকৃত অর্থে সাংবাদিকতা বলা যায় না। কথায় বলে ‘সাংবাদিকদের কোন বন্ধু নেই’। ভালোকে ভালো, আর মন্দকে মন্দ বলাই সাংবাদিকতা। অথচ অপ্রিয় হলেও সত্য যে আমাদের কমিউনিটিতে যৌন হয়রানীর অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি থেকে শুরু করে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াত পর্যন্ত আজ নামেমাত্র বিজ্ঞাপনের বদৌলতে অনেক মিডিয়ার মাধ্যমে কমিউনিটি নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি! পাশাপাশি অপেশাদারদের অনেকেই মিডিয়া ব্যবসায় সম্পৃক্ত হওয়ায় এবং পেশাদার সাংবাদিকরা মিডিয়ার মালিক, প্রকাশ বা সম্পাদক না হওয়ার সুযোগে কমিউনিটির অনেকেই মিডিয়াগুলোকে নিজের সুবিধামত ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে। সেই সাথে কিছু বিজ্ঞাপনদাতা বিজ্ঞাপন প্রদানের বিনিময়ে পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে বিভক্তির দেয়াল ধরে রাখতে সদা তৎপর। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, নিউইয়র্কে কর্মরত অনেক পেশাদার সাংবাদিকের ঐক্যের চেয়ে বিজ্ঞাপনদাতা-ব্যবসায়ীদের অনুগ্রহ অর্জনই মূখ্য হয়ে দাড়িয়েছে। আর এই সুযোগের নেপথ্যে নামধারী কোন কোন সাংবাদিকের ভূমিকাকেও অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। আবার এও লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কেউ কেউ পত্রিকা প্রকাশের প্রত্যাশায় কমিউনিটির বিজ্ঞাপনদাতাদের হাতে রাখার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। অথচ নিয়মিত-অনিয়মিতভাবে বর্তমানে কমিউনিটিতে প্রায় দুই ডজনের মতো পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। সেইসাথে স্থানীয় তিনটি টিভিসহ সম্প্রচারিত হচ্ছে ১৫/২০টির মতো টিভি চ্যানেল। এসব প্রিন্ট আর ইলেক্টনিক মিডিয়ার বিজ্ঞাপন কালেক্টরদের চাপের অতিষ্ট কমিউনিটির বিজ্ঞাপনদাতারা। কমিউনিটির বিজ্ঞাপন বাজার যাচাই-বাছাই না করেই অধিকাংশ মিডিয়া প্রকাশিত হওয়ায় এসব মিডিয়াও নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
সময় এসেছে নিউইয়র্কের পেশাদার মিডিয়াগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে কমিউনিটিতে প্রকৃত সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠা করা, সাংবাদিকতার পেশাদারিত্ব বজায় রাখা।(সাপ্তাহিক পরিচয়)
০৭ আগষ্ট’২০১৫

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কের প্রেসনোট : বাংলা সাংবাদিকতার ‘এথিক্স’

প্রকাশের সময় : ০৮:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অগাস্ট ২০১৫

নিউইয়র্কে বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকতার মান-মর্যাদা, নিয়ম-কানুন তথা সাংবাদিকতার এথিক্স নিয়ে সচেতন পাঠকমহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে নিউইয়র্কের বাংলা সাংবাদিকতা পেশা, না নেশা, না ব্যবসা? কমিউনিটি সাংবাদিকতার নামে নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকার মিডিয়াগুলোতে যা প্রকাশ বা সম্প্রচার করা হচ্ছে তা কি সাংবাদিকতার নীতিমালার আওতাধীন? না কি শ্রেফ সাংবাদিকতার নামে ‘জ্বি হুজুর’ মার্কা প্রতিবেদন বা স্তুতি সর্বস্ব প্রতিবেদন তুলে ধরা। যা অধিকাংশ মিডিয়াগুলোতেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে মহান পেশা সাংবাদিকতা ও কমিউনিটি মারাত্ত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে সচেতন ফাটকদের অভিমত। অথচ কমিউনিটি বিনির্মাণে প্রবাসের বাংলা মিডিয়াগুলোর ভূমিকা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
লক্ষ্য করা যাচ্ছে কমিউনিটির সকল ক্ষেত্রেই একটি সিন্ডিকেট সুলভ মানসিকতা বিরাজ করছে। বিজ্ঞাপন পাওয়ার মাধ্যমে ব্যবসায়িক সুবিধা লাভের আশায় অধিকাংশ মিডিয়া পেশাদারিত্বের দিকে না তাকিয়ে সাংবাদিকতার নামে যা করছে তাকে আর যাই বলা হোক প্রকৃত অর্থে সাংবাদিকতা বলা যায় না। কথায় বলে ‘সাংবাদিকদের কোন বন্ধু নেই’। ভালোকে ভালো, আর মন্দকে মন্দ বলাই সাংবাদিকতা। অথচ অপ্রিয় হলেও সত্য যে আমাদের কমিউনিটিতে যৌন হয়রানীর অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি থেকে শুরু করে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াত পর্যন্ত আজ নামেমাত্র বিজ্ঞাপনের বদৌলতে অনেক মিডিয়ার মাধ্যমে কমিউনিটি নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি! পাশাপাশি অপেশাদারদের অনেকেই মিডিয়া ব্যবসায় সম্পৃক্ত হওয়ায় এবং পেশাদার সাংবাদিকরা মিডিয়ার মালিক, প্রকাশ বা সম্পাদক না হওয়ার সুযোগে কমিউনিটির অনেকেই মিডিয়াগুলোকে নিজের সুবিধামত ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে। সেই সাথে কিছু বিজ্ঞাপনদাতা বিজ্ঞাপন প্রদানের বিনিময়ে পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে বিভক্তির দেয়াল ধরে রাখতে সদা তৎপর। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, নিউইয়র্কে কর্মরত অনেক পেশাদার সাংবাদিকের ঐক্যের চেয়ে বিজ্ঞাপনদাতা-ব্যবসায়ীদের অনুগ্রহ অর্জনই মূখ্য হয়ে দাড়িয়েছে। আর এই সুযোগের নেপথ্যে নামধারী কোন কোন সাংবাদিকের ভূমিকাকেও অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। আবার এও লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কেউ কেউ পত্রিকা প্রকাশের প্রত্যাশায় কমিউনিটির বিজ্ঞাপনদাতাদের হাতে রাখার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। অথচ নিয়মিত-অনিয়মিতভাবে বর্তমানে কমিউনিটিতে প্রায় দুই ডজনের মতো পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। সেইসাথে স্থানীয় তিনটি টিভিসহ সম্প্রচারিত হচ্ছে ১৫/২০টির মতো টিভি চ্যানেল। এসব প্রিন্ট আর ইলেক্টনিক মিডিয়ার বিজ্ঞাপন কালেক্টরদের চাপের অতিষ্ট কমিউনিটির বিজ্ঞাপনদাতারা। কমিউনিটির বিজ্ঞাপন বাজার যাচাই-বাছাই না করেই অধিকাংশ মিডিয়া প্রকাশিত হওয়ায় এসব মিডিয়াও নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
সময় এসেছে নিউইয়র্কের পেশাদার মিডিয়াগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে কমিউনিটিতে প্রকৃত সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠা করা, সাংবাদিকতার পেশাদারিত্ব বজায় রাখা।(সাপ্তাহিক পরিচয়)
০৭ আগষ্ট’২০১৫