নিউইয়র্ক ০৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কের প্রেসনোট : ঢাকার মিডিয়ায় প্রবাসের খবর, নানা প্রশ্ন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৫
  • / ৯৬৬ বার পঠিত

ঢাকার অনলাইন, প্রিন্ট ও টিভি মিডিয়াগুলোতে নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির খবরাখরের চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে অনেক মিডিয়ায় প্রবাসের পাতাও প্রকাশিত হচ্ছে। কোন কোন মিডিয়া তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি ছাড়াও প্রবাসীদের প্রেরীত সচিত্র খবর/প্রতিবেদন/ফিচার নিয়মিত প্রকাশ ও প্রচার করছে। কিন্তু এইসব খবরাখবর নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে খবরের বস্তুনিষ্ঠতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে সংশ্লিষ্ট খবর/প্রতিবেদন/ফিচার যথাযথ সম্পাদনা হয় কিনা তা নিয়েও। বেশীরভাগ ক্ষেতেই দেখা যাচ্ছে প্রবাসের প্রতিনিধিরা যাই পাঠান তাই ছাপা হয়ে যাচ্ছে। ফলে সাংবাদিকতার ন্যূনতম মানদন্ড বজায় রাখার দায়িত্ব কেউ নিচ্ছেন না। প্রবাস থেকে যারা খবর পাঠান, তাদের মধ্যে দু-একজন সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞ ও পেশাদার হলেও প্রবাস থেকে পাঠানো সংবাদ প্রেরকদের অধিকাংশই সাংবাদিকতার ন্যূনতম ব্যকরণ সম্পর্কে অবহিত নন। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংবাদপত্রে সম্পাদকীয় বিভাগটি পেশাদার ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের দ্বারা পরিচালিত হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংবাদদাতাদের পাঠানো রিপোর্ট যথাযথ যাছাই-বাছাই করে প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশের কোন মিডিয়া প্রবাসী সংবাদদাতা/প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করে কিনা তা জানার সুযোগ নেই। তবে সম্প্রতি ঢাকার বেশ কয়েকটি মিডিয়ার অনলাইন ও প্রিন্ট ভার্সনে প্রকাশিত সংবাদে ভুল ও মনগড়া তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বলে কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজক ও পাঠকরা অভিযোগ করেছেন। বিশেষ করে ঢাকায় পাঠানো বিতর্কিত সংবাদগুলোতে সংবাদ প্রেরকের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে পরবর্তীতে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। নিউইয়র্কে একটি রাজনৈতিক দলের নেতা অভিযোগ করেছেন ঢাকার একটি মিডিয়ার নিউইয়র্ক সংবাদদাতা ‘কমিশন ছাড়া’ কোন খবর পাঠান না।
যতদূর জানা গেছে, সংবাদ পাঠানোর জন্য নিউইয়র্কে দু-একজন ছাড়া আর কাউকে ঢাকার কোন মিডিয়া সম্মানী দেয় না। তারপরও সংবাদ প্রেরকদের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকার একটি মিডিয়া নিউইয়র্কের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মীকে বিনাবেতনে সংবাদদাতা নিয়োগ করে শুধু আইডি কার্ড-ই দেয়নি, তাদের নিকট থেকে কিছু আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছে বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে। সামাজিক প্রভাব বিস্তারের পেশা হিসেবে পরিচিত সাংবাদিকতার প্রতি আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু সাংবাদিকতার ন্যূনতম নিয়ম-কানুন ও ব্যকরণ না জেনে সাংবাদিকতায় অনুপ্রবেশ সমাজের জন্য ক্ষতিকর। দেশে-প্রবাসে মিডিয়াকর্মীদের মূল আগ্রহটা সৎ, বস্তুনিষ্ঠ ও বিবেকবান সাংবাদিকতার প্রতি নিবেদিত থাকলে সমাজ ও কমিউনিটি বিনির্মানে সঠিক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। ৩০ অক্টোবর’২০১৫ (সাপ্তাহিক পরিচয়)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কের প্রেসনোট : ঢাকার মিডিয়ায় প্রবাসের খবর, নানা প্রশ্ন

প্রকাশের সময় : ০৮:০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০১৫

ঢাকার অনলাইন, প্রিন্ট ও টিভি মিডিয়াগুলোতে নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির খবরাখরের চাহিদা বাড়ছে। বর্তমানে অনেক মিডিয়ায় প্রবাসের পাতাও প্রকাশিত হচ্ছে। কোন কোন মিডিয়া তাদের নিজস্ব প্রতিনিধি ছাড়াও প্রবাসীদের প্রেরীত সচিত্র খবর/প্রতিবেদন/ফিচার নিয়মিত প্রকাশ ও প্রচার করছে। কিন্তু এইসব খবরাখবর নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে খবরের বস্তুনিষ্ঠতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে সংশ্লিষ্ট খবর/প্রতিবেদন/ফিচার যথাযথ সম্পাদনা হয় কিনা তা নিয়েও। বেশীরভাগ ক্ষেতেই দেখা যাচ্ছে প্রবাসের প্রতিনিধিরা যাই পাঠান তাই ছাপা হয়ে যাচ্ছে। ফলে সাংবাদিকতার ন্যূনতম মানদন্ড বজায় রাখার দায়িত্ব কেউ নিচ্ছেন না। প্রবাস থেকে যারা খবর পাঠান, তাদের মধ্যে দু-একজন সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞ ও পেশাদার হলেও প্রবাস থেকে পাঠানো সংবাদ প্রেরকদের অধিকাংশই সাংবাদিকতার ন্যূনতম ব্যকরণ সম্পর্কে অবহিত নন। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সংবাদপত্রে সম্পাদকীয় বিভাগটি পেশাদার ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের দ্বারা পরিচালিত হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংবাদদাতাদের পাঠানো রিপোর্ট যথাযথ যাছাই-বাছাই করে প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশের কোন মিডিয়া প্রবাসী সংবাদদাতা/প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করে কিনা তা জানার সুযোগ নেই। তবে সম্প্রতি ঢাকার বেশ কয়েকটি মিডিয়ার অনলাইন ও প্রিন্ট ভার্সনে প্রকাশিত সংবাদে ভুল ও মনগড়া তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বলে কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজক ও পাঠকরা অভিযোগ করেছেন। বিশেষ করে ঢাকায় পাঠানো বিতর্কিত সংবাদগুলোতে সংবাদ প্রেরকের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে পরবর্তীতে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। নিউইয়র্কে একটি রাজনৈতিক দলের নেতা অভিযোগ করেছেন ঢাকার একটি মিডিয়ার নিউইয়র্ক সংবাদদাতা ‘কমিশন ছাড়া’ কোন খবর পাঠান না।
যতদূর জানা গেছে, সংবাদ পাঠানোর জন্য নিউইয়র্কে দু-একজন ছাড়া আর কাউকে ঢাকার কোন মিডিয়া সম্মানী দেয় না। তারপরও সংবাদ প্রেরকদের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকার একটি মিডিয়া নিউইয়র্কের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মীকে বিনাবেতনে সংবাদদাতা নিয়োগ করে শুধু আইডি কার্ড-ই দেয়নি, তাদের নিকট থেকে কিছু আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছে বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে। সামাজিক প্রভাব বিস্তারের পেশা হিসেবে পরিচিত সাংবাদিকতার প্রতি আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু সাংবাদিকতার ন্যূনতম নিয়ম-কানুন ও ব্যকরণ না জেনে সাংবাদিকতায় অনুপ্রবেশ সমাজের জন্য ক্ষতিকর। দেশে-প্রবাসে মিডিয়াকর্মীদের মূল আগ্রহটা সৎ, বস্তুনিষ্ঠ ও বিবেকবান সাংবাদিকতার প্রতি নিবেদিত থাকলে সমাজ ও কমিউনিটি বিনির্মানে সঠিক ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। ৩০ অক্টোবর’২০১৫ (সাপ্তাহিক পরিচয়)