নিউইয়র্ক ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিউইয়র্কের প্রেসনোট : কমিউনিটি সাংবাদিকতার ভিন্ন রূপ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • / ৯৩৮ বার পঠিত

সম্প্রতি ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ব্রঙ্কসের একটি অনুষ্ঠানের খবরে দর্শক-শ্রোতার ৭ হাজার উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে। দৈনিকটির অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদক জেএফেকে বিমানবন্দর হয়ে নিউইয়র্কে আসার কয়েক ২/১দিনের মাথায় প্রতিবেদনটি ঢাকায় পাঠান এবং তা প্রকাশও হয়ে যায়। ঐ দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে একই দিনে প্রকাশিত উপরোক্ত বিষয়ে স্থানীয় বিশেষ প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদনে দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি বলা হয়েছে ৫ হাজার। মজার ব্যাপার হলো, ব্রঙ্কসের যে রাজপথে অনুষ্ঠানটি হয়েছে সেখানে ৫/৭ হাজার তো দূরে থাকুক, হাজার দেড়েকও মানুষ দাঁড়িয়ে থাকার জায়গা নেই। জানা গেছে, ঢাকার বিভিন্ন কাগজের অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ প্রিন্ট ভার্সনে ছাপা হয় না। একাধিক পাঠক সাপ্তাহিক পরিচয়-কে ফোনে জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকার অনেকগুলোতেই সম্পাদনার প্রয়োজন হয় না। বিজ্ঞাপন সর্বস্ব পত্রিকাগুলো বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে কিছু লেখা ছাপিয়ে দিতে হয়। তথ্যগত ভুল যাচাই-বাছাইয়ের বালাই সেখানে নেই। কিন্তু বাংলাদেশের দায়িত্বশীল জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোর ক্ষেত্রে তা হবে কেনো।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঢাকার বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক প্রিন্ট ভার্সনের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী পাঠকদের জন্য অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করেছে। এই সংস্করণগুলোর সাংবাদিকতা যাচাই-বাছাই বা দেখভাল করার জন্য আলাদা জনবল রয়েছে। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাপ্ত েেক পাঠানো প্রতিবেদন সম্পাদনা ও যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রকাশিত হচ্ছে। সম্প্রতি বিষয়টি বিপুল সংক্যক পাঠকের দৃষ্টি কাটতে শুরু করেছে। সাংবাদিকতার নূন্যতম দিকসমূহ অনুসরণ ব্যতিরেকে অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনসমূহে অহেতুক প্রশংসা, স্তুুতি, ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ ও ভুল তথ্যে নির্ভর- এমন অভিযোগ অনেক পাঠকের। যাই পাঠানো হয়, তাই ছাপানো যায় এমন একটি প্রক্রিয়া নির্ভরশীল ঢাকার দৈনিকগুরোর অনলাইন সাংবাদিকতার মূল চরিত্র হনণের কারণ। অনলাইন সংস্করণে পাঠানোগুলোর রচয়িতাদের বেশীরভাগই সাংবাদিকতা পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট নন। এরা মূলত নিজ নিজ এলাকায় প্রভাব বিস্তারের ফেরীওয়ালা। যেকোনমূল্যে সাংবাদিক সাজতে পারলে প্রভাব বিস্তারে ফেরীওয়ালার ভালো আয় করাও সম্ভব বলে জানা গেছে। জাতীয় দৈনিকগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও অনলাইন সাংবাদিকতা গজিয়ে উঠেছে। যারা এর সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের অনেকেই পেশাগত সাংবাদিক নন। তাদের পেশা অন্য থাকলেও অনলাইন মিডিয়ার সাইবোর্ড ব্যবহার করে তারা সাংবাদিক। তারা এই সাংবাদিক পরিচয়ে আসল পেশা লুকিয়ে কমিউনিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রথম সারির আসন দখল করা, ব্যক্তি ও সংগঠন বিশেষে স্তুতি ও লাগামহীন প্রচারণার কাজে নিয়োজিত হয়। ফলে সাংবাদিকতার নীতিমালা বর্জিত ‘অনলাইন সাংবাদিকতা’র কারণে পুরো সাংবাদিকতা পেশাই আজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। সত্যিকারের বিবেক নির্ভর সাংবাদিকতার মাশ্যমে পাঠকের আস্থা অর্জন জরুরী হয়ে পড়েছে এই সময়ে। ১৮ সেপ্টেম্বর’২০১৫
(সাপ্তাহিক পরিচয়)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

নিউইয়র্কের প্রেসনোট : কমিউনিটি সাংবাদিকতার ভিন্ন রূপ

প্রকাশের সময় : ০১:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সম্প্রতি ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ব্রঙ্কসের একটি অনুষ্ঠানের খবরে দর্শক-শ্রোতার ৭ হাজার উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে। দৈনিকটির অনলাইন সংস্করণের প্রতিবেদক জেএফেকে বিমানবন্দর হয়ে নিউইয়র্কে আসার কয়েক ২/১দিনের মাথায় প্রতিবেদনটি ঢাকায় পাঠান এবং তা প্রকাশও হয়ে যায়। ঐ দৈনিকের অনলাইন সংস্করণে একই দিনে প্রকাশিত উপরোক্ত বিষয়ে স্থানীয় বিশেষ প্রতিনিধির পাঠানো প্রতিবেদনে দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতি বলা হয়েছে ৫ হাজার। মজার ব্যাপার হলো, ব্রঙ্কসের যে রাজপথে অনুষ্ঠানটি হয়েছে সেখানে ৫/৭ হাজার তো দূরে থাকুক, হাজার দেড়েকও মানুষ দাঁড়িয়ে থাকার জায়গা নেই। জানা গেছে, ঢাকার বিভিন্ন কাগজের অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ প্রিন্ট ভার্সনে ছাপা হয় না। একাধিক পাঠক সাপ্তাহিক পরিচয়-কে ফোনে জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকার অনেকগুলোতেই সম্পাদনার প্রয়োজন হয় না। বিজ্ঞাপন সর্বস্ব পত্রিকাগুলো বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে কিছু লেখা ছাপিয়ে দিতে হয়। তথ্যগত ভুল যাচাই-বাছাইয়ের বালাই সেখানে নেই। কিন্তু বাংলাদেশের দায়িত্বশীল জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোর ক্ষেত্রে তা হবে কেনো।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঢাকার বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক প্রিন্ট ভার্সনের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী পাঠকদের জন্য অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করেছে। এই সংস্করণগুলোর সাংবাদিকতা যাচাই-বাছাই বা দেখভাল করার জন্য আলাদা জনবল রয়েছে। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাপ্ত েেক পাঠানো প্রতিবেদন সম্পাদনা ও যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রকাশিত হচ্ছে। সম্প্রতি বিষয়টি বিপুল সংক্যক পাঠকের দৃষ্টি কাটতে শুরু করেছে। সাংবাদিকতার নূন্যতম দিকসমূহ অনুসরণ ব্যতিরেকে অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনসমূহে অহেতুক প্রশংসা, স্তুুতি, ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ ও ভুল তথ্যে নির্ভর- এমন অভিযোগ অনেক পাঠকের। যাই পাঠানো হয়, তাই ছাপানো যায় এমন একটি প্রক্রিয়া নির্ভরশীল ঢাকার দৈনিকগুরোর অনলাইন সাংবাদিকতার মূল চরিত্র হনণের কারণ। অনলাইন সংস্করণে পাঠানোগুলোর রচয়িতাদের বেশীরভাগই সাংবাদিকতা পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট নন। এরা মূলত নিজ নিজ এলাকায় প্রভাব বিস্তারের ফেরীওয়ালা। যেকোনমূল্যে সাংবাদিক সাজতে পারলে প্রভাব বিস্তারে ফেরীওয়ালার ভালো আয় করাও সম্ভব বলে জানা গেছে। জাতীয় দৈনিকগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেও অনলাইন সাংবাদিকতা গজিয়ে উঠেছে। যারা এর সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের অনেকেই পেশাগত সাংবাদিক নন। তাদের পেশা অন্য থাকলেও অনলাইন মিডিয়ার সাইবোর্ড ব্যবহার করে তারা সাংবাদিক। তারা এই সাংবাদিক পরিচয়ে আসল পেশা লুকিয়ে কমিউনিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রথম সারির আসন দখল করা, ব্যক্তি ও সংগঠন বিশেষে স্তুতি ও লাগামহীন প্রচারণার কাজে নিয়োজিত হয়। ফলে সাংবাদিকতার নীতিমালা বর্জিত ‘অনলাইন সাংবাদিকতা’র কারণে পুরো সাংবাদিকতা পেশাই আজ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে। সত্যিকারের বিবেক নির্ভর সাংবাদিকতার মাশ্যমে পাঠকের আস্থা অর্জন জরুরী হয়ে পড়েছে এই সময়ে। ১৮ সেপ্টেম্বর’২০১৫
(সাপ্তাহিক পরিচয়)