নিউইয়র্ক ০৫:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

তিন বছর সাত মাস পর মুক্তি পেলেন মাহমুদুর রহমান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ৮৪২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: তিন বছর সাত মাস কারাগারে থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। গত ২৩ নভেম্বর বুধবার দুপুর ১টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে মুক্তি পান তিনি। কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেলার নাসির আহমেদ জানান, মাহমুদুর রহমানের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানোর পর তা যাচাই-বাছাই শেষে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় দৈনিক আমার দেশ এর সাংবাদিক-কর্মচারি ও পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ জেলগেটে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। কারাগার থেকে বের হয়ে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান গুলশানস্থ তার বাসভবনে যান। পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মাহমুদুর রহমানকে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মাহমুদুর রহমান। সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের চেষ্টা ও হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় মাহমুদুর রহমানের জামিন বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতা। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলাসহ সর্বমোট ৭০টি মামলায় জামিন পান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল সকালে মাহমুদুর রহমানকে রাজধানীর কাওরানবাজারের ‘আমার দেশ’ কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় তিনি ‘আমার দেশ’ অফিসেই অবস্থান করছিলেন। আটকের পর বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপে কথোপকথন নিয়ে দৈনিক আমার দেশ-এ সংবাদ প্রকাশের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে আরো অন্তত ৬৯টি মামলা দায়ের করা হয়।
বুধবার কাশিমপুরে কারাফটকে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজচিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, আমার দেশ-এর বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপি’র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন সবুজ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, গাজীপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হালিমুজ্জামান ননি ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা নুরু প্রমুখ। (দৈনিক সংগ্রাম)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

তিন বছর সাত মাস পর মুক্তি পেলেন মাহমুদুর রহমান

প্রকাশের সময় : ০৮:০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৬

নিউইয়র্ক: তিন বছর সাত মাস কারাগারে থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। গত ২৩ নভেম্বর বুধবার দুপুর ১টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে মুক্তি পান তিনি। কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেলার নাসির আহমেদ জানান, মাহমুদুর রহমানের জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানোর পর তা যাচাই-বাছাই শেষে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ সময় দৈনিক আমার দেশ এর সাংবাদিক-কর্মচারি ও পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ জেলগেটে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। কারাগার থেকে বের হয়ে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান গুলশানস্থ তার বাসভবনে যান। পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মাহমুদুর রহমানকে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মাহমুদুর রহমান। সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্যপ্রযুক্তি ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের চেষ্টা ও হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় মাহমুদুর রহমানের জামিন বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতা। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলাসহ সর্বমোট ৭০টি মামলায় জামিন পান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল সকালে মাহমুদুর রহমানকে রাজধানীর কাওরানবাজারের ‘আমার দেশ’ কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কায় তিনি ‘আমার দেশ’ অফিসেই অবস্থান করছিলেন। আটকের পর বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপে কথোপকথন নিয়ে দৈনিক আমার দেশ-এ সংবাদ প্রকাশের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে আরো অন্তত ৬৯টি মামলা দায়ের করা হয়।
বুধবার কাশিমপুরে কারাফটকে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজচিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, আমার দেশ-এর বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপি’র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন সবুজ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, গাজীপুর পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হালিমুজ্জামান ননি ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা নুরু প্রমুখ। (দৈনিক সংগ্রাম)