নিউইয়র্ক ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

টাইম টিভি ও টিবিএন২৪’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা, ঠিকানা’র মূল্য হ্রাস, দর্পণ বন্ধ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৫
  • / ১৬৬২ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশী কমিউনিটিতে বিদায় বছরে (ইংরেজী ২০১৪) বাংলা মিডিয়া জগতের আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিলো নিজস্ব স্টুডিও থেকে টাইম টেলিভিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্র। এছাড়া টিবিএন২৪ চ্যানেলেরও আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু এই বছরে। গত ২২ জুন কুইন্স প্যালেসে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে টিবিএন২৪ চ্যানেলের উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া সাপ্তাহিক ঠিকানা’র মূল্য দেড় ডলার হ্রাস করে এক ডলার নির্ধারণ, চলতি ডিসেম্বর মাস থেকে সাপ্তাহিক দর্পণ-এর প্রকাশনা আকস্মিকভাবে বন্ধ, সাপ্তাহিক আজকাল-এর সম্পাদক পদ থেকে বিশিষ্ট লেখক আহমেদ মুসা’র বিদায় এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক-লেখক মনজুর আহমদ-এর আজকাল-এ সম্পাদক হিসেবে যোগদান ছিলো কমিউনিটির বাংলা মিডিয়া জগতের অন্যতম আলোচিত বিষয়। অপরদিকে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের কর্মকর্তাদের সাথে বিভিন্ন সময়ে ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএফইউজে’র সভাপতি শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী রওনক হোসেন, দৈনিক মানব জমিন-এর উপ সম্পাদক মনির হায়দার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাস ও নারায়নগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ও দৈনিক কালের কন্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, দৈনিক  ইত্তেফাক-এর নির্বাহী সম্পাদক শাহীন রেজা নূর, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম ও সিনিয়র ফটো সাংবাদিক লুৎফর রহমান বিনুর’র সাথে মতবিনিময় সভা ছিলো উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
টাইম টেলিভিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানটির খবর সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা সেই সপ্তাহে লীড আইটেম হিসেবে প্রকাশ করে। ‘নতুন প্রজন্ম ও অভিবাসী কমিউনিটির মধ্যে সেতুবন্ধনের অঙ্গীকার : উত্তর আমেরিকায় টাইম টেলিভিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা’ শীর্ষক শিরোনামে বাংলা পত্রিকা’র বিশেষ প্রতিবেদনটি (সংক্ষেপিত) ছিলো নিম্নরূপ:
উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী নতুন প্রজন্ম ও অভিবাসী কমিউনিটির মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে যাত্রা শুরু করে বহুল প্রত্যাশিত টাইম টেলিভিশন। ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আমন্ত্রিত ৬ শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে চোখ ধাঁধানো এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টাইম টেলিভিশনের শুভ যাত্রার ঘোষণা দেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনুস। আর রিমোট টিপে টাইমের আনুষ্ঠানিক পথচলার সূচনা করেন নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত ইউএস কংগ্রেস সদস্য হ্যাকিম জ্যাফরী। এসময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ঢাকার দৈনিক মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউ ইয়র্কে বাংলদেশ কন্সুলেটের কন্সাল জেনারেল শামীম আহসান, নিউইয়র্ক ষ্টেট সিনেটর হোজে প্যারেলটা, নিউইয়র্ক ষ্টেট সিনেটর হোজে প্যারালটা, ষ্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান লুইস সেপুলভেদা, সিটি কাউন্সিলম্যান রাফায়েল ইস্পানিয়ল, এস্টোরিয়া থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলম্যান কস্টা কনস্টান্টিডেজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টাইম টিভি কর্তৃপক্ষ সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, এটা হবে প্রবাসে অভিবাসী বাংলাভাষীদের জন্য ঐক্য, সমৃদ্ধি এবং এগিয়ে যাওয়ার সোপান। এজন্য সবাইকে টাইম টেলিভিশনের দূত হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন টাইম টিভি কর্তৃপক্ষ। টাইম টিভি’র উদ্বোধন উপলক্ষে নিউইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়ায় অবস্থিত ‘এস্টোরিয়া ওয়ার্ল্ড ম্যানর‘-এর গ্র্যান্ড বলরুমে আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। এজন্য হলের প্রবেশমুখে লাল গালিচায় সম্বর্ধিত করা হয় অতিথিদের।
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ছাড়াও ব্রুকলীন বরো প্রেসিডেন্ট এ্যরিক এ্যাডামের প্রতিনিধি এবং নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের কয়েকজনসহ নিউইয়র্ক সফররত বাংলাদেশের সিনিয়র সাংবাদিক মনির হায়দার, ভারতীয় আমেরিকান ও মূলধারার রাজনীতিবিদ উমা সেন গুপ্ত, পিপল এন টেক-এর কর্ণধার ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিপ, কোপেল এর সেলস ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মুহুমুর্হু করতালী, উচ্ছাস আর ফুলেল শুভেচ্ছায় রিমোট টিপে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর সূচনা করেন হাকিম জ্যাফরী। এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্যে টাইম টেলিভিশনের প্রধান আবু তাহের বলেন, টাইম টিভি বিশেষ কোন দল বা গোষ্ঠির মুখপাত্র হবে না। এটি হবে উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রতিবিম্ব। এতে সকলেই তাদের চেহারা দেখার সুযোগ পাবেন। টাইম টেলিভিশন হবে দলমত নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশীর।
অনুষ্ঠানে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টাইম টেলিভিশনের নব যাত্রা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আজ থেকে নিউইয়র্কে আমাদের নিজেদের কথা বলার একটি নিজস্ব প্ল্যাটফরম তৈরি হলো। অনুষ্ঠানে টাইম টিভি’র পর্যায়ক্রমিক আগ্রগতি নিয়ে প্রদর্শন করা হয় একটি প্রামাণ্য চিত্র।
অনুষ্ঠানের ব্যতিক্রম ছিল প্রবাসে বেড়ে উঠা বাংলাদেশী শিশু শিল্পী মাহির একক আমেরিকান গান। এছাড়া নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রমিত চৌধুরী। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার এস আই টুটুলের পরিবেশনা ছিল পুরো অনুষ্ঠানের বাড়তি আকর্ষন। অনুষ্ঠানের শেষে ছিল টাইম টিভি’র ‘থিম সং’। উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট শিল্পী রাজীব রহমানের সুরে আটজন শিল্পী সঙ্গীতটি পরিবেশন করেন। শিল্পীরা হচ্ছেন রাজীব রহমান, তানভীর শাহীন, শামীম সিদ্দিকী, শাহ মাহবুব, চন্দ্রা রায়, জিনাত রেহানা রতœা, নওরিন খন্দকার নিঝু ও মারিয়া আক্তার মৌ। এছাড়াও বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী এস আই টুটুল ও শিশু শিল্পী মাহীসহ প্রবাসের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
টিবিএন২৪ চ্যানেলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বাংলা পত্রিকা’র প্রতিবেদন (বিশেষ অংশ) ছিলো নিম্নরূপ: জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কে প্রস্তুতিমূলক সম্প্রচার শুরু করেছে তিনটি আমেরিকান বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল। মঙ্গলবার জ্যাকসন হাইট্সের একটি রেস্টুরেন্টে টিবিএন টোয়ান্টিফোর, টিবিএন মিউজিক, টিবিএন সিনেমার প্রস্তুতিমূলক সম্প্রচার শুরু হয়। সুইচ টিপে চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার শুরু করেন যথাক্রমে সাংবাদিক মনজুর আহমেদ, সংগীতশিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় ও নাট্যব্যক্তিত্ব জামাল উদ্দিন হোসেন। মাস দুয়েক আগে ‘টিবিএন ওয়েদার’ নামে একই গ্রুপের আরো একটি চ্যানেলের সম্প্রচার শুরু হয়। এই টিভি চ্যানেলগুলো দর্শকরা প্রাথমিকভাবে আমেরিকার বাংলাদেশি সবচেয়ে বড় ক্যাবল অপারেটর প্রতিষ্ঠান টোটাল ক্যাবলে দেখতে পাবেন।
একই অনুষ্ঠানে টোটাল ক্যাবল নেটওয়ার্কের বর্তমান ৭০টি চ্যানেলের সাথে নতুনভাবে সম্প্রচার শুরু হয় আরো ছয়টি চ্যানেলের। চ্যানেলগুলো হলোÑ বাংলাদেশের জাতীয় টেলিভিশন-বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড, বাংলাদেশের প্রাইভেট স্যাটেলাইট টেলিভিশন ‘চ্যানেল টুয়েন্টিফোর’ ও ‘গানবাংলা’ এবং চীনের জাতীয় টেলিভিশন সিসিটিভি নিউজ। আমেরিকায় এই চ্যানেলগুলোর আনুষ্ঠানিক সম্প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন যথাক্রমে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশের ক্যাবল অপারেটর প্রতিষ্ঠান-কোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনোয়ার পারভেজ ও আমেরিকায় বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ।
বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় বাংলাদেশের বাইরে প্রবাসে প্রথম চব্বিশ ঘণ্টার বাংলা সঙ্গীতবিষয়ক চ্যানেল টিবিএন মিউজিকের প্রস্তুতিমূলক সম্প্রচারের উদ্বোধন করেন। টোটাল ক্যাবল ইউএসএ ও টিবিএন গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার-সিইও আহমদুল বারভূইয়া পুলক বলেন, আমেরিকায় বাংলাদেশিরাই সম্ভবত একমাত্র জাতি, যে জাতির নতুন প্রজন্ম একসাথে হলে বাংলায় কথা বলে না। অভিভাবকরাও কখনো কখনো ইংরেজিতে কথা বলায় উৎসাহ দেন। আমরা টিবিএন-এর মাধ্যমে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চাই যেখানে আমাদের নতুন প্রজন্ম তাদের সৃষ্টিশীলতার বহি:প্রকাশ ঘটাতে পারবে। তিনি টোটাল ক্যাবলের নেটওয়ার্কে আরো নিত্যনতুন চ্যানেল সংযোজনের আশ্বাস দেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, টোটাল ক্যাবল চ্যানেলের সংখ্যা, ছবির মানের দিক দিয়ে এমন একটি জায়গায় নিয়ে গেছে, যেখানে আমাদের সার্ভিস কেউ নিলে পরিবারের সবার চাহিদা পূরণ হবে। তিনি আরো বলেন, টোটাল ক্যাবল বা টিবিএন গ্রুপে যারা কাজ করেন সবাই বাংলাদেশী। ছোট পরিসরে হলেও আমরা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছি।
অনুষ্ঠানের শেষপর্বটি যেন জমকালো আয়োজনকে আরো জাঁকজমক করে তুলে। সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, শহীদ হাসান ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী।

 

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

টাইম টিভি ও টিবিএন২৪’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা, ঠিকানা’র মূল্য হ্রাস, দর্পণ বন্ধ

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৫

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক তথা উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশী কমিউনিটিতে বিদায় বছরে (ইংরেজী ২০১৪) বাংলা মিডিয়া জগতের আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিলো নিজস্ব স্টুডিও থেকে টাইম টেলিভিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্র। এছাড়া টিবিএন২৪ চ্যানেলেরও আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু এই বছরে। গত ২২ জুন কুইন্স প্যালেসে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে টিবিএন২৪ চ্যানেলের উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া সাপ্তাহিক ঠিকানা’র মূল্য দেড় ডলার হ্রাস করে এক ডলার নির্ধারণ, চলতি ডিসেম্বর মাস থেকে সাপ্তাহিক দর্পণ-এর প্রকাশনা আকস্মিকভাবে বন্ধ, সাপ্তাহিক আজকাল-এর সম্পাদক পদ থেকে বিশিষ্ট লেখক আহমেদ মুসা’র বিদায় এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক-লেখক মনজুর আহমদ-এর আজকাল-এ সম্পাদক হিসেবে যোগদান ছিলো কমিউনিটির বাংলা মিডিয়া জগতের অন্যতম আলোচিত বিষয়। অপরদিকে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের কর্মকর্তাদের সাথে বিভিন্ন সময়ে ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বিএফইউজে’র সভাপতি শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী রওনক হোসেন, দৈনিক মানব জমিন-এর উপ সম্পাদক মনির হায়দার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আলতাফ মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাস ও নারায়নগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ও দৈনিক কালের কন্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, দৈনিক  ইত্তেফাক-এর নির্বাহী সম্পাদক শাহীন রেজা নূর, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম ও সিনিয়র ফটো সাংবাদিক লুৎফর রহমান বিনুর’র সাথে মতবিনিময় সভা ছিলো উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
টাইম টেলিভিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানটির খবর সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা সেই সপ্তাহে লীড আইটেম হিসেবে প্রকাশ করে। ‘নতুন প্রজন্ম ও অভিবাসী কমিউনিটির মধ্যে সেতুবন্ধনের অঙ্গীকার : উত্তর আমেরিকায় টাইম টেলিভিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা’ শীর্ষক শিরোনামে বাংলা পত্রিকা’র বিশেষ প্রতিবেদনটি (সংক্ষেপিত) ছিলো নিম্নরূপ:
উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী নতুন প্রজন্ম ও অভিবাসী কমিউনিটির মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে যাত্রা শুরু করে বহুল প্রত্যাশিত টাইম টেলিভিশন। ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আমন্ত্রিত ৬ শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে চোখ ধাঁধানো এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টাইম টেলিভিশনের শুভ যাত্রার ঘোষণা দেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনুস। আর রিমোট টিপে টাইমের আনুষ্ঠানিক পথচলার সূচনা করেন নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত ইউএস কংগ্রেস সদস্য হ্যাকিম জ্যাফরী। এসময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ঢাকার দৈনিক মানবজমিন-এর প্রধান সম্পাদক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউ ইয়র্কে বাংলদেশ কন্সুলেটের কন্সাল জেনারেল শামীম আহসান, নিউইয়র্ক ষ্টেট সিনেটর হোজে প্যারেলটা, নিউইয়র্ক ষ্টেট সিনেটর হোজে প্যারালটা, ষ্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান লুইস সেপুলভেদা, সিটি কাউন্সিলম্যান রাফায়েল ইস্পানিয়ল, এস্টোরিয়া থেকে নির্বাচিত কাউন্সিলম্যান কস্টা কনস্টান্টিডেজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টাইম টিভি কর্তৃপক্ষ সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, এটা হবে প্রবাসে অভিবাসী বাংলাভাষীদের জন্য ঐক্য, সমৃদ্ধি এবং এগিয়ে যাওয়ার সোপান। এজন্য সবাইকে টাইম টেলিভিশনের দূত হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন টাইম টিভি কর্তৃপক্ষ। টাইম টিভি’র উদ্বোধন উপলক্ষে নিউইয়র্ক সিটির এস্টোরিয়ায় অবস্থিত ‘এস্টোরিয়া ওয়ার্ল্ড ম্যানর‘-এর গ্র্যান্ড বলরুমে আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। এজন্য হলের প্রবেশমুখে লাল গালিচায় সম্বর্ধিত করা হয় অতিথিদের।
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ ছাড়াও ব্রুকলীন বরো প্রেসিডেন্ট এ্যরিক এ্যাডামের প্রতিনিধি এবং নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের কয়েকজনসহ নিউইয়র্ক সফররত বাংলাদেশের সিনিয়র সাংবাদিক মনির হায়দার, ভারতীয় আমেরিকান ও মূলধারার রাজনীতিবিদ উমা সেন গুপ্ত, পিপল এন টেক-এর কর্ণধার ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিপ, কোপেল এর সেলস ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মুহুমুর্হু করতালী, উচ্ছাস আর ফুলেল শুভেচ্ছায় রিমোট টিপে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর সূচনা করেন হাকিম জ্যাফরী। এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্যে টাইম টেলিভিশনের প্রধান আবু তাহের বলেন, টাইম টিভি বিশেষ কোন দল বা গোষ্ঠির মুখপাত্র হবে না। এটি হবে উত্তর আমেরিকার বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রতিবিম্ব। এতে সকলেই তাদের চেহারা দেখার সুযোগ পাবেন। টাইম টেলিভিশন হবে দলমত নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশীর।
অনুষ্ঠানে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে টাইম টেলিভিশনের নব যাত্রা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আজ থেকে নিউইয়র্কে আমাদের নিজেদের কথা বলার একটি নিজস্ব প্ল্যাটফরম তৈরি হলো। অনুষ্ঠানে টাইম টিভি’র পর্যায়ক্রমিক আগ্রগতি নিয়ে প্রদর্শন করা হয় একটি প্রামাণ্য চিত্র।
অনুষ্ঠানের ব্যতিক্রম ছিল প্রবাসে বেড়ে উঠা বাংলাদেশী শিশু শিল্পী মাহির একক আমেরিকান গান। এছাড়া নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রমিত চৌধুরী। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার এস আই টুটুলের পরিবেশনা ছিল পুরো অনুষ্ঠানের বাড়তি আকর্ষন। অনুষ্ঠানের শেষে ছিল টাইম টিভি’র ‘থিম সং’। উত্তর আমেরিকা প্রবাসী বিশিষ্ট শিল্পী রাজীব রহমানের সুরে আটজন শিল্পী সঙ্গীতটি পরিবেশন করেন। শিল্পীরা হচ্ছেন রাজীব রহমান, তানভীর শাহীন, শামীম সিদ্দিকী, শাহ মাহবুব, চন্দ্রা রায়, জিনাত রেহানা রতœা, নওরিন খন্দকার নিঝু ও মারিয়া আক্তার মৌ। এছাড়াও বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী এস আই টুটুল ও শিশু শিল্পী মাহীসহ প্রবাসের শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
টিবিএন২৪ চ্যানেলের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বাংলা পত্রিকা’র প্রতিবেদন (বিশেষ অংশ) ছিলো নিম্নরূপ: জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কে প্রস্তুতিমূলক সম্প্রচার শুরু করেছে তিনটি আমেরিকান বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল। মঙ্গলবার জ্যাকসন হাইট্সের একটি রেস্টুরেন্টে টিবিএন টোয়ান্টিফোর, টিবিএন মিউজিক, টিবিএন সিনেমার প্রস্তুতিমূলক সম্প্রচার শুরু হয়। সুইচ টিপে চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার শুরু করেন যথাক্রমে সাংবাদিক মনজুর আহমেদ, সংগীতশিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় ও নাট্যব্যক্তিত্ব জামাল উদ্দিন হোসেন। মাস দুয়েক আগে ‘টিবিএন ওয়েদার’ নামে একই গ্রুপের আরো একটি চ্যানেলের সম্প্রচার শুরু হয়। এই টিভি চ্যানেলগুলো দর্শকরা প্রাথমিকভাবে আমেরিকার বাংলাদেশি সবচেয়ে বড় ক্যাবল অপারেটর প্রতিষ্ঠান টোটাল ক্যাবলে দেখতে পাবেন।
একই অনুষ্ঠানে টোটাল ক্যাবল নেটওয়ার্কের বর্তমান ৭০টি চ্যানেলের সাথে নতুনভাবে সম্প্রচার শুরু হয় আরো ছয়টি চ্যানেলের। চ্যানেলগুলো হলোÑ বাংলাদেশের জাতীয় টেলিভিশন-বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড, বাংলাদেশের প্রাইভেট স্যাটেলাইট টেলিভিশন ‘চ্যানেল টুয়েন্টিফোর’ ও ‘গানবাংলা’ এবং চীনের জাতীয় টেলিভিশন সিসিটিভি নিউজ। আমেরিকায় এই চ্যানেলগুলোর আনুষ্ঠানিক সম্প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন যথাক্রমে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশের ক্যাবল অপারেটর প্রতিষ্ঠান-কোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনোয়ার পারভেজ ও আমেরিকায় বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ।
বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় বাংলাদেশের বাইরে প্রবাসে প্রথম চব্বিশ ঘণ্টার বাংলা সঙ্গীতবিষয়ক চ্যানেল টিবিএন মিউজিকের প্রস্তুতিমূলক সম্প্রচারের উদ্বোধন করেন। টোটাল ক্যাবল ইউএসএ ও টিবিএন গ্রুপের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার-সিইও আহমদুল বারভূইয়া পুলক বলেন, আমেরিকায় বাংলাদেশিরাই সম্ভবত একমাত্র জাতি, যে জাতির নতুন প্রজন্ম একসাথে হলে বাংলায় কথা বলে না। অভিভাবকরাও কখনো কখনো ইংরেজিতে কথা বলায় উৎসাহ দেন। আমরা টিবিএন-এর মাধ্যমে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চাই যেখানে আমাদের নতুন প্রজন্ম তাদের সৃষ্টিশীলতার বহি:প্রকাশ ঘটাতে পারবে। তিনি টোটাল ক্যাবলের নেটওয়ার্কে আরো নিত্যনতুন চ্যানেল সংযোজনের আশ্বাস দেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, টোটাল ক্যাবল চ্যানেলের সংখ্যা, ছবির মানের দিক দিয়ে এমন একটি জায়গায় নিয়ে গেছে, যেখানে আমাদের সার্ভিস কেউ নিলে পরিবারের সবার চাহিদা পূরণ হবে। তিনি আরো বলেন, টোটাল ক্যাবল বা টিবিএন গ্রুপে যারা কাজ করেন সবাই বাংলাদেশী। ছোট পরিসরে হলেও আমরা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছি।
অনুষ্ঠানের শেষপর্বটি যেন জমকালো আয়োজনকে আরো জাঁকজমক করে তুলে। সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, শহীদ হাসান ও বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী।