নিউইয়র্ক: ‘উই দ্যা পিপল’ অনুষ্ঠানের পরিচালক জ্যাকব মিল্টন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্ঠা সজীব ওয়াজেদ জয় ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন। বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, হুমকী, হামলা, ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদির কারণে ব্যাবসা বাজিজ্যের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে দায়ী করে ব্রুকলীনের ফেডারেল কোর্টে এই মামলা দায়ের করেছেন। গত ২১ আগষ্ট রোববার নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত নিউইয়র্ক পোর্স্ট পত্রিকা এই খবর প্রকাশ করেছে।
নিউইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে চলে আসা স্পষ্টভাষী একজন দাবী করেছেন যে, স্পষ্টবাদিতার কারণে বাংলাদেশ সরকার তার বাক স্বাধীনতা হরণ ও ব্যবসাকে তছনছ করে দিয়েছে। আগুন, ভাঙচুর, ই-মেইল হ্যাক রাস্তাঘাটে প্রকাশ্য হুমকির কারণে গত জানুয়ারী থেকে জ্যাকব মিলন্টন এবং তার পরিবার তটস্থ অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের রিপোর্টে বলা হয়, কুইন্সে অবস্থিত একটি ক্যাবল টেলিভিশনে ‘উই দ্যা পিপল উইথ জ্যাকব মিল্টন’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করার কারণেই তিনি এধরনের আক্রমনের শিকার হচ্ছেন।
জ্যাকব মিল্টন দাবী করেছেন, শেখ হাসিনা সরকার ও কতিপয় প্রভাবশালী পরিবার বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের স্ক্যান্ডাল করে যাচ্ছে। যার সমালোচনা করা হতো তার অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানের দর্শক সংখ্যা ১৭ থেকে মিলিয়ন বলে দাবী করেছেন তিনি।
নিউইয়র্ক পোষ্টের রিপোর্টে বলা হয়, জ্যাকব মিল্টন মনে করেন তিনি এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত তার পরিবার পরিজন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কারণে।
জ্যাকব মিল্টনের দাবী ভয় ভীতির শিকার হওয়ার আশংকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্টানের ক্লায়েন্ট সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এতে মন্দা নেমে এসেছে ব্যাবসায়। এর বাইরে এলমহার্স্টে অবস্থিত তার একটি সম্পত্তিতে আগুন লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগও এনেছেন তিনি। এজন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ তিনি ৫০০ মিলিয়ন ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের সব কর্মকান্ড স্থগিত (ইনজাংশন) করার আবেদন জানিয়েছেন।
এবিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিউইয়র্ক পোস্টে প্রকাশিত রিপোর্টটি আমি দেখেছি। অভিযোগের বিষয়টি পত্রিকা ছাড়া আর কোথাও আমি দেখি নাই। এজন্য অচিরেই কোর্ট থেকে সব কাগজপত্র যোগাড় করে আমরা এবিষয়ে কথা বলবো। (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)