নিউইয়র্ক ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘কমিউনিটি বিনির্মাণে বাতিঘরের ভুমিকা পালন করে মিডিয়া’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • / ৯৩১ বার পঠিত

নিউইয়র্কঃ আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের (এবি প্রেসক্লাব) রিভারক্রুজ অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় বক্তারা নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কমিউনিটি ও বাংলা মিডিয়ার সম্পর্ক আঙ্গাঅঙ্গি ও অবিচ্ছেদ্য বলে অভিহিত করেছেন। প্রবাসে বাংলাদেশী কমিউনিটি বিনির্মাণে মিডিয়ার ভূমিকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি মিডিয়ায় পেশাদারিত্ব সৃষ্টি ও বজায় রাখতে কমিউনিটির নেতা-ব্যবসায়ী, সুধী ও বোদ্ধা পাঠকের দায়িত্বশীল ভূমিকাও অপরিহায়-বলে বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন। তারা বলেন, কমিউনিটি বির্মিাণে বাতিঘরের ভুমিকা পালন করে মিডিয়া। আবার অপ-সাংবাদিকতা কমিউনিটিতে অস্বস্থির ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক সাংবাদিকতা কমিউনিটিকে দিক-নির্দেশনা দেয়। বক্তারা বাংলাদেশী কমিউনিটিকে মূলধারায় স্থান করে নিতে এবং নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যত রচনায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান। বিভিন্ন সংগঠনে বিরোধ কমিয়ে এনে একে-অন্যের মধ্যে কীভাবে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির সম্পর্ক জোরদার করা যায়-এ নিয়ে সকলকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহবান জানান তারা। গত ২৯ আগষ্ট এই রিভারক্রুজ অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বের বাণিজ্যিক নগরী ম্যানহাটানের পাশে ইষ্ট রিভার ও হাডসন রিভারে।
অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ও অতিথি ভয়েজ অব আমেরিকা’র বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার সাংবাদিকতা সম্পর্কে বলেছেন, একজন সাংবাদিকের প্রধান ও অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে সঠিক সংবাদ পরিবেশন। ভুল তথ্য বা ভুল সংবাদ পরিবেশন অথবা বিকৃত সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকের কোন গৌরব নেই। বরং তা অনেক লজ্জার। তিনি আরো বলেন-সমাজ গঠনের দায়িত্ব সাংবাদিকদের। সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ থাকতে পারে, মত বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু তারা কাজ শেষে এক কাতারে এসে বসবেন। তাদের মধ্যে বিরোধ থাকবে কেন? সাংবাদিকদের সমাজের প্রতি, পরস্পরের প্রতি দায়িত্ব আছে। এই দায়িত্ব পালন করতে পারলেই সাংবাদিকদের স্বার্থকতা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুল আহসান এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাঈদ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দর্পণ কবীর। আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন ঠিকানা পত্রিকার সম্পাদক লাবলু আনসার, বর্ণমালা পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনু ও রাজনীতিবিদ গিয়াস আহমেদ।
ঠিকানা সম্পাদক লাবলু আনসার বলেন, আমরা সবসময় সাহসী সাংবাকিতা করতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রে বাস করে স্বাধীন সাংবাদিকতা কেন করবো না। নেগেটিভ বা পজিটিভি বুঝি না, যা ঘটবে, তাই লিখবো। দীর্ঘ ২৫ বছর আমরা তাই করে আসছি। কমিউনিটির নেতারা আমাদের সাহসী সাংবাদিকতার সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়ে আসছেন। তিনি আরো বলেন-নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভক্তি নেই। আমরা একে-অন্যের ডাকে পাশে দাঁড়াই। এক সাথে চলি। কাজ করি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা থাকতেও চাই।
বর্ণমালা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বলেন, নিউইয়র্কে কোয়ালিটি সাংবাদিকতা এবং কমিউনিটির নেতার অভাব। আমাদের কমিউনিটি বড় হচ্ছে অথচ সে তুলনায় যোগ্য নেতা বা পেশাদার সাংবাদিক তেমন দেখিনা। তিনি আরো বলেন-যে কেউ অভিজ্ঞতাহীন ব্যক্তি পত্রিকা বের করে ফেলে। সাংবাদিকতার নামে অপ-সাংবাদিকতা দেখছি। এ সব রোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক সমাজ ও কমিউনিটির নেতা-ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জালিয়াত-প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে এবং একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যারা কৃতিত্ব দেখাচ্ছেন তাদের কথা ফলাও করে প্রচার করা উচিত।
বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনু বলেন, আমরা সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাস করি। আমারা চাই গণতান্ত্রিক নেতা। সর্ব ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা চাই। আমাদের কমিউনিটিতেও এমন চাই। তিনি আরো বলেন-বিভেদ নয়-ঐক্য চাই। বাংলাদেশ সোসাইটি সকলের। সকলের সহযোগিতায় এই সংগঠনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে মিডিয়া। শুধু নেতিবাচক সংবাদ নয়, গঠনমূলক সমালোচনা দেখতে চাই মিডিয়ায়।
রাজনীতিবিদ গিয়াস আহমেদ বলেন, সমাজ বা দেশ গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকদের মধ্যে সবসময় ঐক্য থাকা সমাজের জন্য বেশি জরুরি। অথচ দেশ ও প্রবাসে সাংবাদিকদের মধ্যে অনৈক্য দেখি। এটা কারো জন্য মঙ্গলজনক নয়। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা আগে নির্যাতিত হলে সকল সাংবাদিকরা প্রতিবাদে ফেটে পড়তেন। আজকাল এমন দেখিনা। কারণ, সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্য নেই। এই অবস্থার অবসান হওয়া উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে নাজমুল আহসান বলেন-মিডিয়া হচ্ছে তথ্য। তথ্য হচ্ছে শক্তি। এই শক্তি বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়। একজন সাংবাদিক বিবেক দ্বারা পরিচালিত হলে তবেই সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেন। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকতায় নেগিটিভ বা পজিটিভ বলে কিছু নেই। যা ঘটবে, তাই সংবাদ।
আলোচনা সভার পর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তারা হলেন বিশিষ্ট রিয়েল স্টেট ইনভেষ্টটর আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার, জালালাবাদ এসোসিয়েশন-এর সাবেক সভাপতি বদরুন্নাহার খান মিতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জেবিবিএ-এর আহবায়ক কমিটির সদস্য সাইদ রহমান মান্নান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
AB Press Club River Cruse_Sha Mahbubএই রিভারক্রুজে নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন শহরে বসবাসরত মিডিয়র কর্মীরা সপরিবারে এবং বাংলাদেশি কমিউিনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন। ২৭০জন অংশ নেয়া এই নৌ-ভ্রমণে আলোচনা ছাড়াও ছিল মনোজ্ঞ সঙ্গীতানুষ্ঠান। সঙ্গীত পরিবশেন করেন একুশে পদক পাওয়া স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহীদ হাসান, বীণা মজুমদার, শাহ মাহবুব ও শারমিন দিনার। তাদের সুললিত কণ্ঠে বাংলা ফোক গান সমবেত দর্শক-শ্রোতাদের টেনে নিয়ে যায় মোহনীয় এক ইন্দ্রজালে। ইষ্ট রিভারে ঢেউয়ে ঢেউয়ে এই সুরের পেলব স্পর্শ যেন ছুঁয়ে গিয়েছিল এদিন। বিশেষ করে রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহীদ হাসানের কণ্ঠে গাওয়া ‘তীর হারা ঐ ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে’ গানটি দর্শক-শ্রোতাদের আবেগ-আপ্লূত করে তোলে। গানটি শেষ হলে সমবেত সকলে দাঁড়িয়ে শিল্পীদের সম্মান জানান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

‘কমিউনিটি বিনির্মাণে বাতিঘরের ভুমিকা পালন করে মিডিয়া’

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্কঃ আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের (এবি প্রেসক্লাব) রিভারক্রুজ অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় বক্তারা নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কমিউনিটি ও বাংলা মিডিয়ার সম্পর্ক আঙ্গাঅঙ্গি ও অবিচ্ছেদ্য বলে অভিহিত করেছেন। প্রবাসে বাংলাদেশী কমিউনিটি বিনির্মাণে মিডিয়ার ভূমিকা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি মিডিয়ায় পেশাদারিত্ব সৃষ্টি ও বজায় রাখতে কমিউনিটির নেতা-ব্যবসায়ী, সুধী ও বোদ্ধা পাঠকের দায়িত্বশীল ভূমিকাও অপরিহায়-বলে বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন। তারা বলেন, কমিউনিটি বির্মিাণে বাতিঘরের ভুমিকা পালন করে মিডিয়া। আবার অপ-সাংবাদিকতা কমিউনিটিতে অস্বস্থির ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক সাংবাদিকতা কমিউনিটিকে দিক-নির্দেশনা দেয়। বক্তারা বাংলাদেশী কমিউনিটিকে মূলধারায় স্থান করে নিতে এবং নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যত রচনায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান। বিভিন্ন সংগঠনে বিরোধ কমিয়ে এনে একে-অন্যের মধ্যে কীভাবে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির সম্পর্ক জোরদার করা যায়-এ নিয়ে সকলকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহবান জানান তারা। গত ২৯ আগষ্ট এই রিভারক্রুজ অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বের বাণিজ্যিক নগরী ম্যানহাটানের পাশে ইষ্ট রিভার ও হাডসন রিভারে।
অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ও অতিথি ভয়েজ অব আমেরিকা’র বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার সাংবাদিকতা সম্পর্কে বলেছেন, একজন সাংবাদিকের প্রধান ও অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে সঠিক সংবাদ পরিবেশন। ভুল তথ্য বা ভুল সংবাদ পরিবেশন অথবা বিকৃত সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকের কোন গৌরব নেই। বরং তা অনেক লজ্জার। তিনি আরো বলেন-সমাজ গঠনের দায়িত্ব সাংবাদিকদের। সাংবাদিকদের মধ্যে বিভেদ থাকতে পারে, মত বিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু তারা কাজ শেষে এক কাতারে এসে বসবেন। তাদের মধ্যে বিরোধ থাকবে কেন? সাংবাদিকদের সমাজের প্রতি, পরস্পরের প্রতি দায়িত্ব আছে। এই দায়িত্ব পালন করতে পারলেই সাংবাদিকদের স্বার্থকতা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুল আহসান এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাঈদ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দর্পণ কবীর। আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে আরো বক্তব্য রাখেন ঠিকানা পত্রিকার সম্পাদক লাবলু আনসার, বর্ণমালা পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনু ও রাজনীতিবিদ গিয়াস আহমেদ।
ঠিকানা সম্পাদক লাবলু আনসার বলেন, আমরা সবসময় সাহসী সাংবাকিতা করতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রে বাস করে স্বাধীন সাংবাদিকতা কেন করবো না। নেগেটিভ বা পজিটিভি বুঝি না, যা ঘটবে, তাই লিখবো। দীর্ঘ ২৫ বছর আমরা তাই করে আসছি। কমিউনিটির নেতারা আমাদের সাহসী সাংবাদিকতার সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়ে আসছেন। তিনি আরো বলেন-নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভক্তি নেই। আমরা একে-অন্যের ডাকে পাশে দাঁড়াই। এক সাথে চলি। কাজ করি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা থাকতেও চাই।
বর্ণমালা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বলেন, নিউইয়র্কে কোয়ালিটি সাংবাদিকতা এবং কমিউনিটির নেতার অভাব। আমাদের কমিউনিটি বড় হচ্ছে অথচ সে তুলনায় যোগ্য নেতা বা পেশাদার সাংবাদিক তেমন দেখিনা। তিনি আরো বলেন-যে কেউ অভিজ্ঞতাহীন ব্যক্তি পত্রিকা বের করে ফেলে। সাংবাদিকতার নামে অপ-সাংবাদিকতা দেখছি। এ সব রোধ করতে হবে। এ ব্যাপারে সাংবাদিক সমাজ ও কমিউনিটির নেতা-ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জালিয়াত-প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হবে এবং একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যারা কৃতিত্ব দেখাচ্ছেন তাদের কথা ফলাও করে প্রচার করা উচিত।
বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আজমল হোসেন কুনু বলেন, আমরা সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাস করি। আমারা চাই গণতান্ত্রিক নেতা। সর্ব ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা চাই। আমাদের কমিউনিটিতেও এমন চাই। তিনি আরো বলেন-বিভেদ নয়-ঐক্য চাই। বাংলাদেশ সোসাইটি সকলের। সকলের সহযোগিতায় এই সংগঠনকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে মিডিয়া। শুধু নেতিবাচক সংবাদ নয়, গঠনমূলক সমালোচনা দেখতে চাই মিডিয়ায়।
রাজনীতিবিদ গিয়াস আহমেদ বলেন, সমাজ বা দেশ গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকদের মধ্যে সবসময় ঐক্য থাকা সমাজের জন্য বেশি জরুরি। অথচ দেশ ও প্রবাসে সাংবাদিকদের মধ্যে অনৈক্য দেখি। এটা কারো জন্য মঙ্গলজনক নয়। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা আগে নির্যাতিত হলে সকল সাংবাদিকরা প্রতিবাদে ফেটে পড়তেন। আজকাল এমন দেখিনা। কারণ, সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্য নেই। এই অবস্থার অবসান হওয়া উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে নাজমুল আহসান বলেন-মিডিয়া হচ্ছে তথ্য। তথ্য হচ্ছে শক্তি। এই শক্তি বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়। একজন সাংবাদিক বিবেক দ্বারা পরিচালিত হলে তবেই সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারেন। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকতায় নেগিটিভ বা পজিটিভ বলে কিছু নেই। যা ঘটবে, তাই সংবাদ।
আলোচনা সভার পর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তারা হলেন বিশিষ্ট রিয়েল স্টেট ইনভেষ্টটর আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ এ খান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার, জালালাবাদ এসোসিয়েশন-এর সাবেক সভাপতি বদরুন্নাহার খান মিতা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জেবিবিএ-এর আহবায়ক কমিটির সদস্য সাইদ রহমান মান্নান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
AB Press Club River Cruse_Sha Mahbubএই রিভারক্রুজে নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন শহরে বসবাসরত মিডিয়র কর্মীরা সপরিবারে এবং বাংলাদেশি কমিউিনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন। ২৭০জন অংশ নেয়া এই নৌ-ভ্রমণে আলোচনা ছাড়াও ছিল মনোজ্ঞ সঙ্গীতানুষ্ঠান। সঙ্গীত পরিবশেন করেন একুশে পদক পাওয়া স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহীদ হাসান, বীণা মজুমদার, শাহ মাহবুব ও শারমিন দিনার। তাদের সুললিত কণ্ঠে বাংলা ফোক গান সমবেত দর্শক-শ্রোতাদের টেনে নিয়ে যায় মোহনীয় এক ইন্দ্রজালে। ইষ্ট রিভারে ঢেউয়ে ঢেউয়ে এই সুরের পেলব স্পর্শ যেন ছুঁয়ে গিয়েছিল এদিন। বিশেষ করে রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহীদ হাসানের কণ্ঠে গাওয়া ‘তীর হারা ঐ ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে’ গানটি দর্শক-শ্রোতাদের আবেগ-আপ্লূত করে তোলে। গানটি শেষ হলে সমবেত সকলে দাঁড়িয়ে শিল্পীদের সম্মান জানান।