ঢাকা: উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে (২০১৫-২০১৬) শাকিব খান সভাপতি এবং অমিত হাসান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। ৩০ জানুয়ারী শুক্রবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে শাকিব খান ৩৫৬ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আহমেদ শরীফ পেয়েছেন ৭১ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী অমিত হাসান ২৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বনদ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৮৭ ভোট। সহ-সভাপতি পদে নাদের খান ২৯০ এবং ওমর সানি ২৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যান্য পদে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন: সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আরমান (বিনা প্রতিদ্বনিদ্বতায়) সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সুব্রত, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ডন, প্রচার প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক পদে জ্যাকি আলমগীর, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শানু শিবা, কোষাধ্যক্ষ পদে কমল। কার্যনির্বাহী পরিষদে নির্বাচিতরা হলেন- আলীরাজ, মৌসুমী, ফরহাদ, জেসমিন, আফজাল শরীফ, আমিরা, রাকিব খান, আমির সিরাজী, সুশান্ত শহীদুল আলম সাচ্চু ও ববি। নির্বাচনে ‘শাকিব-মিশা’ প্যানেলের অধিকাংশ প্রার্থী জয়লাভ করে।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মিজু আহমেদ জানান, সমিতির ৫৮৩ জন ভোটারের মধ্যে ৪৭৭ জন ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে ৪০টি ভোট বাতিল হয়। রাত ১২টায় ফলাফল ঘোষণা করা হয় বলে তিনি জানান। শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে শুক্রবার দিনভর পুরো এফডিসি ছিল উৎসবমুখর। সিনিয়র, জুনিয়র সব তারকাই এফডিসিতে আসেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সমিতির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে। তবে শিল্পী সমিতির সদস্য নন, এমন বহিরাগতের ভিড়ে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাদের মুঠোফোনে ছবি তোলা নিয়েও শিল্পীরা বেশ বিব্রতবোধ করেন। এফডিসিতে অসংখ্য বহিরাগতের প্রবেশ ও অবাধ বিচরণে নিরাপত্তা নিয়ে নানান প্রশ্নের জন্ম দেয়। তবে মিজু আহমেদের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন বেশ শক্ত হাতে নির্বাচন পরিচালনা করেন। ফলাফল ঘোষণার পর শাকিব খান ও অমিত হাসানের সমর্থকরা আনন্দ মিছিল করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দু’জন নায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।