তিন তারকার জন্মদিন আজ
- প্রকাশের সময় : ০৪:০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৫
- / ১০৩৭ বার পঠিত
ঢাকা: আজ তিন তারকার জন্মদিন। এদের একজনের মাতায় জ্বলজ্বল করে জ্বলছে হলিউডের শিরোপা। আরেকজন কাঁপিয়েছেন বলিউড প্রাঙ্গণ। আর অপরজন কণ্ঠের জাদুকরি ঢেউ তুলে মাতিয়েছেন দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ভক্তকে।
এ তিনজন হলেন ওরল্যান্ডো ব্লুম, ইমরান খান ও ট্রেইস এডকিনস। জন্মদিনে এ তিন তারকার কথা জানাতেই এ প্রতিবেদন। লর্ড অব দ্য রিংসের লেগোলাস চরিত্রটির কথা অনেকেরই মনে আছে। কী নিপুণ কায়দায় একের পর এক তীর ছুঁড়ে বধ করেছে শত্রুদের। সেই থেকেই অরল্যান্ডো ব্লুমের নাম নিয়ে সাড়া পড়ে যায় হলিউডে।
১৯৭৭ সালের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন ব্রিটিশ এ তারকা। শুরু থেকেই অভিনয়ের ঝোঁক ছিলো তার। যদিও খ্যাতির দেখা মেলে অনেক পরে। লর্ড অব দ্য রিংসের সফলতার পরপরই ডাক আসে আরেকটি হিটলিস্টেড মুভি পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ানসে।
সেখানে নায়কের চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে নজরে আসেন বিখ্যাত সব পরিচালকের। এরপর তার ঝুলিতে যোগ হতে থাকে ট্রয়, কিংডম অব হেভেনের মতো একের পর এক সফল ছবি।
ইমরান খানের জন্ম ১৯৮৩ সালে শিল্পী পরিবারে। শুরুতে তার পরিচয়ের মুখ্য বিষয় জুড়ে ছিলো মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানের বোনের ছেলে। এ পরিচিতি মুম্বাই ছবিপাড়ায় তাকে প্রাথমিক জায়গা করে দিলেও পরবর্তীতে ইমরান খান নামেই স্থান গেড়ে বসেন।
আর সেই খ্যাতি এনে দেয় মামার প্রযোজনায় তার অভিনীত প্রথম ছবি জানে তু ইয়া জানে না। প্রথম ছবির চরিত্র, অভিনয়, সাজসজ্জা ইমরান খানকে চকলেট বয় নাম দিয়ে দিলেও পরবর্তীতে বেশ ভিন্ন বেশেই আবির্ভূত হন মারতু কি বিজলি কা মানডোলা ছবির মাধ্যমে।
তবে তার এ ভিন্নতা নিয়ে ছিলো দর্শক ও সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বয়সে কয়েক বছরের বড় কারিনা কাপুরের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি দর্শক কিভাবে গ্রহণ করবে এমন প্রশ্ন থাকলেও ঝুঁকি নিয়ে মাঠে নামেন ইমরান। ফলাফল খুব একটা মন্দ নয়।
এক মেহু অর এক তু এবং গোরি তেরি প্যায়ার মে ছবিতে এ ভিন্ন জুটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। তবে ইমরানের লক্ষ্য এখন হিটলিস্টের সংখ্যা বাড়ানো।
লম্বা চুল, ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি এরমধ্যে কাউবয় হ্যাট। পুরো বিষয়টি যেন খাপে খাপে তার চরিত্রের সঙ্গে মিশে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের যে কয়জন তালিকাভুক্ত কান্ট্রি সিঙ্গার রয়েছেন তাদের মধ্যে প্রথম সারির শিল্পী ট্রেইস অ্যাটকিনস।
তার জন্ম ১৯৬২ সালে। খুব ছোটবেলায় গীটারে হাতেখড়ি। সেই থেকে গানকেই চলার পথে সঙ্গী করে নিয়েছেন। তিন কন্যা সন্তানের এ জনকের প্রতিটি গানের মুখ্য বিষয় ভালোবাসা আর বন্ধুত্ব। একদিন নিজের ছোট মেয়েকে নিয়েই গান বেঁধে বসেন।
বিলবোর্ডের টপচার্টে নাম তোলার পাশাপাশি অসংখ্য পুরস্কারে ঝুলি ভরেছেন অ্যাটকিনস। কণ্ঠের ভারি ভাব আর ভাঙা ঝংকার তাকে সবসময় করেছে অন্যদের চাইতে আলাদা।
– See more at: http://www.breakbd.net/bn/2015/01/13/29621.htm#sthash.SBK87bfv.dpuf