নিউইয়র্ক ১১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান-২০১৩ : মৃত্তিকা মায়া’র জয়জয়কার ॥ চলচ্চিত্রের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি, ফিল্মসিটি নির্মাণ করবো : প্রধানমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০১৫
  • / ১৬৮১ বার পঠিত

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে বেশি করে চলচ্চিত্র নির্মাণে নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। এর মধ্য দিয়ে জাতিকে গঠনমূলক বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ৪ এপ্রিল শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান-২০১৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র সমাজ জীবনে শক্তিশালী ও সৃজনশীল মাধ্যম। এই মাধ্যম জনমনে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারে, পারে সুন্দর সমাজ গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে। তিনি বলেন, আমরা চলচ্চিত্রের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। চলচ্চিত্রকে বিকশিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এফডিসিকে আধুনিকায়নের জন্য ৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদানের অর্থ বৃদ্ধি করেছি। আগামীতে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করার চেষ্টা করবো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে আমরা চলচ্চিত্র নীতিমালা ২০১০ প্রণয়ন করেছি। অভিনয়ের উৎকর্ষতা সাধন ও প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট চালু করেছি। কবিরপুরে ফিল্মসিটি নির্মাণের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় তথ্য কেন্দ্র স্থাপন, নির্মাণ এবং এর মধ্যে একটি করে সিনেমা হল রাখার উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের বিশ্বাস, আধুুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বিশ্বমানের হয়ে উঠবে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩ প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহ এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ এবং পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী।
২০১৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘মৃত্তিকা মায়া’ (প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর ও গাজী রাকায়েত), শ্রেষ্ঠ পরিচালক গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ সংলাপ গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), প্রধান চরিত্রের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা তিতাস জিয়া (মৃত্তিকা মায়া), প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (যৌথভাবে) মৌসুমী (দেবদাস) ও শর্মিমালা (মৃত্তিকা মায়া), পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ (মৃত্তিকা মায়া), পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী অপর্ণা ঘোষ (মৃত্তিকা মায়া), খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা মামুনুর রশিদ (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক সাইফুল ইসলাম বাদল (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক কাজী সেলিম (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক (যৌথভাবে) শওকত আলী ইমন (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী) ও একে আজাদ (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ গায়ক চন্দন সিনহা (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী), শ্রেষ্ঠ গায়িকা (যৌথভাবে) সাবিনা ইয়াসমিন ও রুনা লায়লা (দেবদাস), শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল (র্পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী), শ্রেষ্ঠ সুরকার কৌশিক হোসেন তাপস (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম রাসেল (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক উত্তম গুহ (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও অঙ্গসজ্জা ওয়াহিদা মল্লিক জলি (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ মেকাপম্যান আলী বাবুল (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী স্বচ্ছ (একই বৃত্তে), শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার সৈয়দা অহিদা সাবরিনা (অন্তর্ধান) এবং শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র শুনতে কি পাও (সারা আফরিন)।
পুরস্কার প্রদান শেষে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে জাহিদ হাসান ও মেহের আফরোজ শাওনের উপস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, শাকিলা জাফর, আঁখি আলমগীর, দিনাত জাহান মুন্নী, কোনাল কিশোর ও তৌসিফ। আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত অভিনেত্রী কবরী অভিনীত বিখ্যাত সিনেমার জনপ্রিয় গানের সঙ্গে পারফরমেন্স করেন ওমর সানি-পিয়া, আমিন খান-নিপুণ, নিরব-মেহজাবিন, জায়েদ খান-শিরিন শিলা, রোজ-তানহা এবং পরীমনি। বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ওয়ার্দা রিহাবের উপস্থাপনা ও পরিচালনায় দেশের গান নিয়ে নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু এবং শেষ হয়।(দৈনিক মানবজমিন)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান-২০১৩ : মৃত্তিকা মায়া’র জয়জয়কার ॥ চলচ্চিত্রের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি, ফিল্মসিটি নির্মাণ করবো : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে বেশি করে চলচ্চিত্র নির্মাণে নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। এর মধ্য দিয়ে জাতিকে গঠনমূলক বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ৪ এপ্রিল শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান-২০১৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র সমাজ জীবনে শক্তিশালী ও সৃজনশীল মাধ্যম। এই মাধ্যম জনমনে গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারে, পারে সুন্দর সমাজ গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে। তিনি বলেন, আমরা চলচ্চিত্রের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। চলচ্চিত্রকে বিকশিত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এফডিসিকে আধুনিকায়নের জন্য ৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদানের অর্থ বৃদ্ধি করেছি। আগামীতে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করার চেষ্টা করবো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে আমরা চলচ্চিত্র নীতিমালা ২০১০ প্রণয়ন করেছি। অভিনয়ের উৎকর্ষতা সাধন ও প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট চালু করেছি। কবিরপুরে ফিল্মসিটি নির্মাণের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় তথ্য কেন্দ্র স্থাপন, নির্মাণ এবং এর মধ্যে একটি করে সিনেমা হল রাখার উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের বিশ্বাস, আধুুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বিশ্বমানের হয়ে উঠবে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৩ প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি একেএম রহমত উল্লাহ এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব মরতুজা আহমেদ এবং পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী।
২০১৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘মৃত্তিকা মায়া’ (প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর ও গাজী রাকায়েত), শ্রেষ্ঠ পরিচালক গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ সংলাপ গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), প্রধান চরিত্রের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা তিতাস জিয়া (মৃত্তিকা মায়া), প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (যৌথভাবে) মৌসুমী (দেবদাস) ও শর্মিমালা (মৃত্তিকা মায়া), পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ (মৃত্তিকা মায়া), পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী অপর্ণা ঘোষ (মৃত্তিকা মায়া), খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা মামুনুর রশিদ (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক সাইফুল ইসলাম বাদল (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক কাজী সেলিম (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক (যৌথভাবে) শওকত আলী ইমন (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী) ও একে আজাদ (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ গায়ক চন্দন সিনহা (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী), শ্রেষ্ঠ গায়িকা (যৌথভাবে) সাবিনা ইয়াসমিন ও রুনা লায়লা (দেবদাস), শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল (র্পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী), শ্রেষ্ঠ সুরকার কৌশিক হোসেন তাপস (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম রাসেল (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক উত্তম গুহ (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও অঙ্গসজ্জা ওয়াহিদা মল্লিক জলি (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ মেকাপম্যান আলী বাবুল (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী স্বচ্ছ (একই বৃত্তে), শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার সৈয়দা অহিদা সাবরিনা (অন্তর্ধান) এবং শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্র শুনতে কি পাও (সারা আফরিন)।
পুরস্কার প্রদান শেষে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে জাহিদ হাসান ও মেহের আফরোজ শাওনের উপস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, শাকিলা জাফর, আঁখি আলমগীর, দিনাত জাহান মুন্নী, কোনাল কিশোর ও তৌসিফ। আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্ত অভিনেত্রী কবরী অভিনীত বিখ্যাত সিনেমার জনপ্রিয় গানের সঙ্গে পারফরমেন্স করেন ওমর সানি-পিয়া, আমিন খান-নিপুণ, নিরব-মেহজাবিন, জায়েদ খান-শিরিন শিলা, রোজ-তানহা এবং পরীমনি। বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ওয়ার্দা রিহাবের উপস্থাপনা ও পরিচালনায় দেশের গান নিয়ে নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু এবং শেষ হয়।(দৈনিক মানবজমিন)