বিনোদন ডেস্ক : এক সময়ের নন্দিত টেলিভিশন অভিনেতা টনি ডায়েস এখন যুক্তরাষ্টের স্থায়ী বাসিন্দা। তবে মাঝেমধ্যে সুযোগ পেলেই দেশে আসেন এবং অভিনয় করেন। দীর্ঘদিন পর আবার দেশে এসেছেন এই অভিনেতা, সঙ্গে এসেছেন তার স্ত্রী প্রিয়া ডায়েসও।

প্রযোজক, অভিনেত্রী করভী মিজানের নিমন্ত্রণেই মূলত এবার ঢাকায় এসেছেন তারা, তবে মাত্র এক সপ্তাহের জন্য। করভী মিজানের ছেলের বিবোহোত্তর সবংর্ধনা ছিলো গেলো ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে। এতে অংশ নিতেই গেলো ২ ডিসেম্বর আমেরিকা থেকে উড়াল দিয়ে ঢাকায় এসেছেন তারা। বিমানবন্দরে নেমেই টনি চলে যান বন্ধুদের সঙ্গে মুন্সীগঞ্জের সুবর্ণভূমি রিসোর্টে। অন্যদিকে প্রিয়া চলে যান নন্দিত অভিনেত্রী তারিন জাহানের কাছে।

টনি ডায়েস ও প্রিয়া ডায়েস ৪ ডিসেম্বর বিকেলে সনি সিনেমা হলের কাছেই তার বন্ধু আব্দুল্লা হিল রাকিবের টুয়েলভ’র শো রুম উদ্বোধন করেন। যেখানে ফেরদৌস ও পূর্ণিমাও ছিলো। সেখান থেকে সরাসরি তারা দু’জন ঢাকা ক্লাবে আসেন করভী মিজানের ছেলের বিবাহোত্তর সংবর্ধনায় অংশ নেন। সেখানে টানা প্রায় চার ঘন্টা তারা অবস্থান করেছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রিয়া ডায়েস গানের সাথে নেচেছেন।

মূলকথা যে সময়টার জন্য তারা ঢাকায় এসেছিলেন সেই সবময়টা তারা ভীষণ আন্তরিকতা নিয়ে উপভোগ করেন। টনি ডায়েস বলেন,‘ ২০০৩/২০০৪ সালের কথা। তখন করভী আপার প্রযোজনায় অনেক নাটকে অভিনয় করেছি। যে কারণে তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা আসলে পারিবারিক সম্পর্ক। সেই প্রিয় করভী আপা যখন তার ছেলের অনুষ্ঠানে আমাদের দু’জনকে নিমন্ত্রন করলেন তখন আসলে না এসে থাকতে পারিনি। যদিও খুব অল্প সময়ের জন্য এসেছি, কিন্তু তারপরও ভীষণ ভালো লাগছে। বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন এবং আমি দীর্ঘদিন যেখানে কাজ করেছি সেই মিডিয়ার প্রিয় প্রিয় মানুষদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

আসলে মিডিয়াতো আমার প্রাণের জায়গা, যে জায়গাটার জন্য আমি আজকের টনি ডায়েস। তাই এই অঙ্গনের মানুষগুলোর প্রতি সবসময়ই অন্যরকম ভালো লাগা ভালোবাসা কাজ করে। তবে অল্প সময়ের জন্য এসে চলে যাচ্ছি, এটাই খারাপ লাগছে।’

প্রিয়া ডায়েস বলেন,‘কারো না কারো সঙ্গে প্রতিদিনই দেখা হচ্ছে। আমি প্রচুর কথা বলছি। মন ভরে কথা বলছি। যে কারণে আমার গলাও ভেঙ্গে গেছে। আমি তারিনকে সঙ্গে নিয়ে প্রচুর কেনাকাটা করেছি। সোহেল, সোহাগ, আসাদকে সঙ্গে নিয়ে আড্ডা দিয়েছি। তবে করভী আপার ছেলের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করাটাই যেহেতু মূল উদ্দেশ্য ছিলো, সেখানে থাকতে পেরে ভীষণ ভালো লেগেছে। অনেক প্রিয় মুখ, ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর দেখা হলো। (বাংলাদেশ জার্নাল)