নিউইয়র্ক ১১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ক্যানসারের লক্ষণ শনাক্ত করা যাবে ২০ বছর আগে : গবেষণা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১৫৫ বার পঠিত

উপসর্গ নিয়ে জেঁকে বসনার ১০ থেকে ২০ বছর আগেই ক্যানসারের লক্ষণ শনাক্ত করা যাবে। যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন সুখবর দিয়েছেন। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট গবেষকদের দাবি, তাদের পরীক্ষার মাধ্যমে কোষের প্রাথমিক পর্যায়ের অতি ক্ষুদ্র পরিবর্তন শনাক্ত করা যাবে। কোনো কোষ টিউমার হয়ে আত্মপ্রকাশ করার ১০ থেকে ২০ বছর আগেই চিহ্নিত করা যাবে। ফলে কোষটি যাতে টিউমারে রূপান্তরিত না হয় বা ক্যানসার না ছড়ায়, সে জন্য চিকিৎসার অনেক সময় পাবেন ডাক্তাররা।

ক্যামব্রিজের আর্লি ক্যানসার ইনস্টিটিউট এ গবেষণা করেছে। নতুন এ ইনস্টিটিউটটি এখন পর্যন্ত মাত্র ১১ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা পেয়েছে। তাও পেয়েছে সম্প্রতি। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি এ অর্থ দান করেছেন।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক রেবেকা ফিটজেরাল্ড বলেন, বছরের পর বছর ধরে ক্যানসারের জীবাণু দেহে বাসা বেঁধে একপর্যায়ে পৌঁছে আত্মপ্রকাশ করে। যখন টিউমার আকারে প্রকাশ পায় ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। চিকিৎসা অনেক জটিল হয়ে পড়ে। তাই ক্যানসার শনাক্ত করতে আমাদের পরীক্ষা-পদ্ধতিটাই আমূল বদলে ফেলতে হবে। এমন পরীক্ষার দিকে মনোযোগ দিতে হবে যা ক্যানসার জীবাণু সুপ্ত পর্যায়ে থাকতেই শনাক্ত করতে পারবে।

ফিটজেরাল্ড ও তার দল নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা চালানোর জন্য ‘সাইটোস্পঞ্জ’ উদ্ভাবন করেছেন। পরীক্ষার অংশ হিসেবে স্পঞ্জটি বড়ির মতো গিলে ফেলতে হয়। পেটে একটি স্পঞ্জের মতো প্রসারিত হয়। তার এটি এটি খাদ্যনানি থেকে পথিমধ্যে থাকা কোষগুলো সংগ্রহ করে। এমন সব কোষকে সংগ্রহ করে যেগুলোতে টিএফএফ৩ নামক প্রোটিন থাকে। টিএফএফ৩ এমন একটি প্রোটিন যা কেবল ক্যানসারের আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব অবস্থায় রয়েছে এমন কোষে পাওয়া যায়। আর্লি ক্যানসার ইনস্টিটিউট ক্যানসার শনাক্ত করার জন্য যেসব পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু করেছে সেগুলোর মধ্যে আরেকটি হলো রক্ত পরীক্ষা।

ইনস্টিটিউটের গবেষকদের নেতা জেমি ব্লান্ডেল এ বিষয়ে বলেন, এ পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখতে তারা গর্ভাশয় ক্যানসার পরীক্ষার জন্য জমা দেওয়া প্রায় দুই লাখ রক্ত নমুনা ব্যবহার করতে পেরেছেন। এখানে ১০ থেকে ২০ বছর আগে জমা দেওয়া হয়েছে এমন নমুনাও রয়েছে। এসব নমুন পরীক্ষা করে যাদের পরবর্তীতে ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে এবং যাদের হয়নি তাদের আদালা করা হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, যাদের পরবর্তীতে লিউকেমিয়া হয়েছে তাদের রক্তের জেনেটিক পরিবর্তন সুস্পষ্ট।

হারবীর দেব নামের গবেষক দলের আরেক নেতা পুরুষদের প্রস্টেট বা মূত্রথলির ক্যানসার পরীক্ষার জন্য জমা দেওয়া নমুনা পরীক্ষা করে বিশেষ সাফল্য পেয়েছেন। এ পরীক্ষার নাম বায়োমার্কার। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ক্যানসারের লক্ষণ শনাক্ত করা যাবে ২০ বছর আগে : গবেষণা

প্রকাশের সময় : ০১:৪৭:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০২৪

উপসর্গ নিয়ে জেঁকে বসনার ১০ থেকে ২০ বছর আগেই ক্যানসারের লক্ষণ শনাক্ত করা যাবে। যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন সুখবর দিয়েছেন। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট গবেষকদের দাবি, তাদের পরীক্ষার মাধ্যমে কোষের প্রাথমিক পর্যায়ের অতি ক্ষুদ্র পরিবর্তন শনাক্ত করা যাবে। কোনো কোষ টিউমার হয়ে আত্মপ্রকাশ করার ১০ থেকে ২০ বছর আগেই চিহ্নিত করা যাবে। ফলে কোষটি যাতে টিউমারে রূপান্তরিত না হয় বা ক্যানসার না ছড়ায়, সে জন্য চিকিৎসার অনেক সময় পাবেন ডাক্তাররা।

ক্যামব্রিজের আর্লি ক্যানসার ইনস্টিটিউট এ গবেষণা করেছে। নতুন এ ইনস্টিটিউটটি এখন পর্যন্ত মাত্র ১১ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা পেয়েছে। তাও পেয়েছে সম্প্রতি। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি এ অর্থ দান করেছেন।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক রেবেকা ফিটজেরাল্ড বলেন, বছরের পর বছর ধরে ক্যানসারের জীবাণু দেহে বাসা বেঁধে একপর্যায়ে পৌঁছে আত্মপ্রকাশ করে। যখন টিউমার আকারে প্রকাশ পায় ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। চিকিৎসা অনেক জটিল হয়ে পড়ে। তাই ক্যানসার শনাক্ত করতে আমাদের পরীক্ষা-পদ্ধতিটাই আমূল বদলে ফেলতে হবে। এমন পরীক্ষার দিকে মনোযোগ দিতে হবে যা ক্যানসার জীবাণু সুপ্ত পর্যায়ে থাকতেই শনাক্ত করতে পারবে।

ফিটজেরাল্ড ও তার দল নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা চালানোর জন্য ‘সাইটোস্পঞ্জ’ উদ্ভাবন করেছেন। পরীক্ষার অংশ হিসেবে স্পঞ্জটি বড়ির মতো গিলে ফেলতে হয়। পেটে একটি স্পঞ্জের মতো প্রসারিত হয়। তার এটি এটি খাদ্যনানি থেকে পথিমধ্যে থাকা কোষগুলো সংগ্রহ করে। এমন সব কোষকে সংগ্রহ করে যেগুলোতে টিএফএফ৩ নামক প্রোটিন থাকে। টিএফএফ৩ এমন একটি প্রোটিন যা কেবল ক্যানসারের আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব অবস্থায় রয়েছে এমন কোষে পাওয়া যায়। আর্লি ক্যানসার ইনস্টিটিউট ক্যানসার শনাক্ত করার জন্য যেসব পরীক্ষা পদ্ধতি শুরু করেছে সেগুলোর মধ্যে আরেকটি হলো রক্ত পরীক্ষা।

ইনস্টিটিউটের গবেষকদের নেতা জেমি ব্লান্ডেল এ বিষয়ে বলেন, এ পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখতে তারা গর্ভাশয় ক্যানসার পরীক্ষার জন্য জমা দেওয়া প্রায় দুই লাখ রক্ত নমুনা ব্যবহার করতে পেরেছেন। এখানে ১০ থেকে ২০ বছর আগে জমা দেওয়া হয়েছে এমন নমুনাও রয়েছে। এসব নমুন পরীক্ষা করে যাদের পরবর্তীতে ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে এবং যাদের হয়নি তাদের আদালা করা হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, যাদের পরবর্তীতে লিউকেমিয়া হয়েছে তাদের রক্তের জেনেটিক পরিবর্তন সুস্পষ্ট।

হারবীর দেব নামের গবেষক দলের আরেক নেতা পুরুষদের প্রস্টেট বা মূত্রথলির ক্যানসার পরীক্ষার জন্য জমা দেওয়া নমুনা পরীক্ষা করে বিশেষ সাফল্য পেয়েছেন। এ পরীক্ষার নাম বায়োমার্কার। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান