নিউইয়র্ক ০৮:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

যুক্তরাষ্ট্রের অমানবিক মৃত্যুদন্ডের নিন্দায় জাতিসংঘ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১১০ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: বিশ্ব মানবতার কন্ডারি যুক্তরাষ্ট্রে অমানবিক মৃত্যুদন্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারী) বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক আসামিকে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগে কার্যকর করেছে মৃত্যুদন্ড। তার নাম ছিল ‘কেনেথ স্মিথ’। দেশটির এমন পদক্ষেপে ভীষণ ক্ষেপেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। আর এই নিয়েই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ওয়াশিংটন। মৃত্যুদন্ডের প্রক্রিয়াটিকে শুক্রবার ‘নির্যাতন’ বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক।
সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তুর্ক বলেন, ‘আমি গুরুতর উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও আলাবামায় কেনেথ ইউজিন স্মিথের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার জন্য গভীরভাবে অনুশোচনা করছি। নাইট্রোজেন গ্যাস দ্বারা শ্বাসরোধের অপ্রয়োজনীয় পদ্ধতিটি নির্যাতন, নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ।’
যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপে মুখ খুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। ইইউর একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদ্ধতিটি একটি বিশেষ নিষ্ঠুর এবং অস্বাভাবিক শাস্তি।’ মৃত্যুর আগে একটি দীর্ঘ বিবৃতিতে স্মিথ বলেছিলেন, ‘আজ রাতে আলাবামা মানবতাকে এক ধাপ পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা রাজ্যে নাইট্রোজেন হাইপোক্সিয়ার মাধ্যমে কার্যকর করা হয় স্মিথের মৃত্যুদন্ড। মাস্কের সাহায্যে নাইট্রোজেন গ্যাস তার শরীরে প্রবেশ করানো হয়। প্রচন্ড খিঁচুনি দিয়ে ২২ মিনিটের মাথায় মৃত্যু হয় তার। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী ইনজেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হতো। সূত্র: এএফপি, সিএনএন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

যুক্তরাষ্ট্রের অমানবিক মৃত্যুদন্ডের নিন্দায় জাতিসংঘ

প্রকাশের সময় : ০৩:৪২:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক: বিশ্ব মানবতার কন্ডারি যুক্তরাষ্ট্রে অমানবিক মৃত্যুদন্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারী) বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক আসামিকে নাইট্রোজেন গ্যাস প্রয়োগে কার্যকর করেছে মৃত্যুদন্ড। তার নাম ছিল ‘কেনেথ স্মিথ’। দেশটির এমন পদক্ষেপে ভীষণ ক্ষেপেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। আর এই নিয়েই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ওয়াশিংটন। মৃত্যুদন্ডের প্রক্রিয়াটিকে শুক্রবার ‘নির্যাতন’ বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক।
সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তুর্ক বলেন, ‘আমি গুরুতর উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও আলাবামায় কেনেথ ইউজিন স্মিথের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার জন্য গভীরভাবে অনুশোচনা করছি। নাইট্রোজেন গ্যাস দ্বারা শ্বাসরোধের অপ্রয়োজনীয় পদ্ধতিটি নির্যাতন, নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ।’
যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপে মুখ খুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। ইইউর একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদ্ধতিটি একটি বিশেষ নিষ্ঠুর এবং অস্বাভাবিক শাস্তি।’ মৃত্যুর আগে একটি দীর্ঘ বিবৃতিতে স্মিথ বলেছিলেন, ‘আজ রাতে আলাবামা মানবতাকে এক ধাপ পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা রাজ্যে নাইট্রোজেন হাইপোক্সিয়ার মাধ্যমে কার্যকর করা হয় স্মিথের মৃত্যুদন্ড। মাস্কের সাহায্যে নাইট্রোজেন গ্যাস তার শরীরে প্রবেশ করানো হয়। প্রচন্ড খিঁচুনি দিয়ে ২২ মিনিটের মাথায় মৃত্যু হয় তার। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী ইনজেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হতো। সূত্র: এএফপি, সিএনএন।