নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে মানবাধিকার ও টেকসই শান্তি নিশ্চিত করতে ‘জাতির পিতা’র দেখানো পথে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ
- প্রকাশের সময় : ০১:০১:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০১৭
- / ১০০৪ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: ‘বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে এবং নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে মানবাধিকার ও টেকসই শান্তি নিশ্চিত করতে ‘জাতির পিতা’র দেখানো পথে কাজ করে যাচ্ছে’। গত ১৩ মার্চ সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে কমিশন অন দ্যা স্টাটাস অব উইমেন (সিএসডব্লিউ)-এর ৬১তম সভায় বাংলাদেশ মিশন আয়োজিত ‘Women and Sustainable Peace: Essential for Human Rights to Peace’ শীর্ষক এক সাইড ইভেন্টে একথা বলেন, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সোমবার সকালে শুরু হওয়া সিএসডব্লিউ’র এই ৬১তম সভার উদ্বোধন করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ। আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত এ সভার কার্যক্রম চলবে।
রাষ্ট্রদূত মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের বুকে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী অর্জন করেছেন সাম্প্রতিক সময়ের ইউএন উইমেন এর ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও গ্লোবাল পার্টনারশীপ ফোরামের ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার’।
মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মোমেন বলেন, ‘মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার মূলনীতি ও ধারাসমূহকে ধারণ করেই প্রণয়ন করা হয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান। বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার রক্ষা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে জেনেভাস্থ মানবাধিকার রক্ষা কাউন্সিল কর্তৃক ‘মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শান্তি নিশ্চিত’ করার আলোচনায় শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি ও অসহিংসতা’ বিকাশের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রবক্তা।
নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যক্রমে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময়ই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হাইতি ও কঙ্গোতে বাংলাদেশই প্রথম নারী পুলিশ কন্টিনজেন্ট প্রেরণ করে। জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত নারীর সুরক্ষা ও যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ বিষয়েও বাংলাদেশ সুনির্দিষ্টভাবে ভূমিকা রেখেছে’। এছাড়া ২০১৬ সালে জাতিসংঘ পিস্ বিল্ডিং কমিশন গৃহীত ‘জেন্ডার স্ট্রাটেজি’ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে মর্মে রাষ্ট্রদূত মোমেন তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের খ্যাতনামা কূটনীতিক, জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারী জেনারেল রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করীম চৌধুরী এই সাইড ইভেন্টটির মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন। এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল পিস্ ব্যুরো’র জাতিসংঘের প্রতিনিধি মিজ্ কোরা উইইস্, স্প্যানিস সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস্ ল’র সভাপতি কারলোস ভিল্যান ডোরান, জাতিসংঘের শিশু অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য মিজ মিকিকো ওতানি এবং উইমেন ইউএন রিপোর্ট নেটওয়ার্ক এর সমন্বয়কারী মিজ্ লোইস্ এ. হারম্যান।