জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বর্ণিল নববর্ষ উদযাপন
- প্রকাশের সময় : ০২:০২:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৫
- / ১০৯০ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বাংলা নতুন বছরকে আবাহন করতে পহেলা বৈশাখে, ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বাঙালী জাতির চিরন্তন ঐতিহ্যে সাজে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন। লোকায়ত সংস্কৃতির ডালা সাজিয়ে বর্ণিল উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিশন বরণ করে নিয়েছে ১৪২২ বঙ্গাব্দকে।
একতারা, কুলা, বেলুন, ফেস্টুন, গ্রামবাংলার চিত্র, নকশী কাঁথা এবং রং-বেরং ফুল দিয়ে সুশোভিত মিশনের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠান শুরু হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাণী “মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা। অগ্নি¯œানে শুচি হোক ধরা” ধারণ করে।
নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বাঙালীরা জড়ো হন মিশনের এই নববর্ষের মনোরম আয়োজনে। কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, মিডিয়া প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের বাঙালী সমবেত হন অনুষ্ঠানে।
জাতিসংঘে ফিজির স্থায়ী প্রতিনিধি পিটার থমসন, নেপাল, মায়ানমার, ভূটান, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকও মিশনের এই বর্ষবরণের আয়োজন উপভোগ করেন। অতিথিদের মধ্যে নিউইয়র্ক সফররত স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাঙালী সাজে যোগ দেয়া অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, অশুভকে বিদায় দিয়ে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে একটি সুখী, সুন্দর ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়াই হবে আমাদের নতুন বছরের প্রত্যাশা। যেখানে গণতন্ত্রের অযুহাতে জ্বালাও-পোড়াও থাকবে না, ধর্মান্ধতা বিদায় নেবে।
ফিজির স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অনুপাতের বিচারে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বের উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রযাত্রাও প্রশংসিত হচ্ছে।
স্থায়ী মিশনের নববর্ষ উদযাপনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পারফর্মিং আর্টস এর মনোজ্ঞ গীতি-আলেখ্য “বৈশেখিতে রং মাখাবি”। সেলিনা আশরাফের পরিচালনায় এই শিল্পীগোষ্ঠী নববর্ষের সঙ্গীত, আবৃতি, নৃত্য পরিবেশন করে নতুন বছরকে স্বাগত জানান।
মুড়ি-মুড়কি, বিভিন্ন ধরনের পিঠা, পান্তা-ইলিশ, মশলাযুক্ত বাঙালী খাবার, মিষ্টান্ন পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রাণবন্ত নববর্ষ উৎসব আয়োজন।