নিউইয়র্ক ০৪:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সুয়ারেজের ইতিহাস গড়ার দিনে শীর্ষে বার্সা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:২০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৬
  • / ৬৭২ বার পঠিত

ঢাকা:লা লিগায় জমে ওঠা শিরোপা লড়াইয়ে এক দিনেই তিন বার পালা বদল! প্রথম ম্যাচ জিতে শীর্ষে উঠেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। মাঝে কিছুক্ষণ অ্যাটলেটিকো সেটা দখল করলেও স্পোর্টিং গিজনকে উড়িয়ে দিয়ে আবার শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করলো বার্সেলানা। বার্সেলোনার ৬-০ গোলের বিশাল জয়ে চারটি গোলই করেন লুইস সুয়ারেজ। গত ম্যাচেও দেপোর্তিভো লা করুনার বিপক্ষে চার গোল দিয়েছেন। লা লিগার ইতিহাসে এই প্রথম কোনো খেলোয়াড় টানা দুই ম্যাচে চার গোল দিল। অপর দুটি গোল ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর অন্য দুই সদস্য লিওনেল মেসি ও নেইমারের। ক্যাম্প ন্যুতে শনিবার  রাতে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগটা পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তবে সার্জি রবার্তোর ক্রসে তার হেডে বল ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে যায়। একাদশ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগটি কাজে লাগতে পারেনি অতিথিরা। ক্রসে বল পেয়ে ১২ গজ দূর থেকে গোল করতে পারেননি আলেক্স মেনেন্দেস, সোজা বল মারেন গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো বরাবর। পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ইভান রাকিতিচ উঁচিয়ে বল মেরেছিলেন ডি-বক্সে সুয়ারেজের উদ্দেশে। গোলরক্ষক এগিয়ে এসে পাঞ্চ করে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করলে বল চলে যায় মেসির কাছে। হেডে খালি জালে গোল করতে কোনো সমস্যা হয়নি আর্জেন্টিনা অধিনায়কের।
মেসি-সুয়ারেজ দুর্দান্ত খেললেও অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন নেইমার। গত ছয় ম্যাচে মাত্র একটি গোল পাওয়া ব্রাজিল অধিনায়কের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব টের পাওয়া গেছে। ৪০তম মিনিটে ডি-বক্সে বল পেয়ে কয়েকবার শট নেওয়ার সুযোগ এলেও ডিফেন্ডারদের কাটাতে দিয়ে তা নষ্ট করেন তিনি। কয়েক মিনিট পর আবারও শট নিতে ইতস্তত করে সুযোগ হারান নেইমার। প্রথমার্ধের শেষ দিকে সমতায় ফেরা দারুণ সুযোগ পেয়েছিল গিজন। প্রথমে গোলরক্ষক ব্রাভো গোলের প্রচেষ্টা ঠেকানোর পর গোললাইনের একটু সামনে থেকে বল বিপদমুক্ত করেন হাভিয়ের মাসচেরানো। ফিরতি শট একেবারে গোললাইন থেকে কোনোমতে ফেরান জেরার্দ পিকে বিরতির পরও নেইমারের জড়তা কাটেনি। ৫৯তম মিনিটে তো খুব কাছ শট নিলেন গোলরক্ষকের দিকেই।
মেসি-সুয়ারেজ কিন্তু ভয় ছড়িয়েই গেছেন গিজনের রক্ষণভাগে। ৬৩তম মিনিটে মেসির কাছ থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা আড়াআড়ি বল পাঠান সুয়ারেজকে। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠিয়ে গোলের খাতা খোলেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার।
৭৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন সুয়ারেজ। তিন মিনিট পর আবার পেনাল্টি, আবার গোল করে হ্যাটট্রিক সুয়ারেজের। নেইমারকে ডি-বক্সে ফাউল করায় এবারের স্পট কিকের বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
এই মৌসুমে সুয়ারেজের এটি চতুর্থ হ্যাটট্রিক। ৮৬তম মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি থেকে অবশেষে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়া গোলটি পান  নেইমার। দুই মিনিট পরই মেসির পাস থেকে নিজের চতুর্থ গোলটি তুলে নেন সুয়ারেজ। (গোল.কম)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

সুয়ারেজের ইতিহাস গড়ার দিনে শীর্ষে বার্সা

প্রকাশের সময় : ১০:২০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৬

ঢাকা:লা লিগায় জমে ওঠা শিরোপা লড়াইয়ে এক দিনেই তিন বার পালা বদল! প্রথম ম্যাচ জিতে শীর্ষে উঠেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। মাঝে কিছুক্ষণ অ্যাটলেটিকো সেটা দখল করলেও স্পোর্টিং গিজনকে উড়িয়ে দিয়ে আবার শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করলো বার্সেলানা। বার্সেলোনার ৬-০ গোলের বিশাল জয়ে চারটি গোলই করেন লুইস সুয়ারেজ। গত ম্যাচেও দেপোর্তিভো লা করুনার বিপক্ষে চার গোল দিয়েছেন। লা লিগার ইতিহাসে এই প্রথম কোনো খেলোয়াড় টানা দুই ম্যাচে চার গোল দিল। অপর দুটি গোল ‘এমএসএন’ ত্রয়ীর অন্য দুই সদস্য লিওনেল মেসি ও নেইমারের। ক্যাম্প ন্যুতে শনিবার  রাতে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগটা পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তবে সার্জি রবার্তোর ক্রসে তার হেডে বল ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে যায়। একাদশ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগটি কাজে লাগতে পারেনি অতিথিরা। ক্রসে বল পেয়ে ১২ গজ দূর থেকে গোল করতে পারেননি আলেক্স মেনেন্দেস, সোজা বল মারেন গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো বরাবর। পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ইভান রাকিতিচ উঁচিয়ে বল মেরেছিলেন ডি-বক্সে সুয়ারেজের উদ্দেশে। গোলরক্ষক এগিয়ে এসে পাঞ্চ করে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করলে বল চলে যায় মেসির কাছে। হেডে খালি জালে গোল করতে কোনো সমস্যা হয়নি আর্জেন্টিনা অধিনায়কের।
মেসি-সুয়ারেজ দুর্দান্ত খেললেও অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন নেইমার। গত ছয় ম্যাচে মাত্র একটি গোল পাওয়া ব্রাজিল অধিনায়কের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব টের পাওয়া গেছে। ৪০তম মিনিটে ডি-বক্সে বল পেয়ে কয়েকবার শট নেওয়ার সুযোগ এলেও ডিফেন্ডারদের কাটাতে দিয়ে তা নষ্ট করেন তিনি। কয়েক মিনিট পর আবারও শট নিতে ইতস্তত করে সুযোগ হারান নেইমার। প্রথমার্ধের শেষ দিকে সমতায় ফেরা দারুণ সুযোগ পেয়েছিল গিজন। প্রথমে গোলরক্ষক ব্রাভো গোলের প্রচেষ্টা ঠেকানোর পর গোললাইনের একটু সামনে থেকে বল বিপদমুক্ত করেন হাভিয়ের মাসচেরানো। ফিরতি শট একেবারে গোললাইন থেকে কোনোমতে ফেরান জেরার্দ পিকে বিরতির পরও নেইমারের জড়তা কাটেনি। ৫৯তম মিনিটে তো খুব কাছ শট নিলেন গোলরক্ষকের দিকেই।
মেসি-সুয়ারেজ কিন্তু ভয় ছড়িয়েই গেছেন গিজনের রক্ষণভাগে। ৬৩তম মিনিটে মেসির কাছ থেকে ডি-বক্সে বল পেয়ে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা আড়াআড়ি বল পাঠান সুয়ারেজকে। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠিয়ে গোলের খাতা খোলেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার।
৭৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন সুয়ারেজ। তিন মিনিট পর আবার পেনাল্টি, আবার গোল করে হ্যাটট্রিক সুয়ারেজের। নেইমারকে ডি-বক্সে ফাউল করায় এবারের স্পট কিকের বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
এই মৌসুমে সুয়ারেজের এটি চতুর্থ হ্যাটট্রিক। ৮৬তম মিনিটে পাওয়া পেনাল্টি থেকে অবশেষে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেওয়া গোলটি পান  নেইমার। দুই মিনিট পরই মেসির পাস থেকে নিজের চতুর্থ গোলটি তুলে নেন সুয়ারেজ। (গোল.কম)