নিউইয়র্ক ১০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রিয়ালের প্রেরণা ইতিহাস ও রোনালদো

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:০১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ মে ২০১৬
  • / ৭০৮ বার পঠিত

ঢাকা: যুদ্ধের আগে হঠাৎ সেনাপতি অসুস্থ হলে যুদ্ধজয়টা তো কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েই। তবে শেষ মুহূর্তে সেই সেনাপতিকে ফিরে পেলে সেটাও কিন্তু বড় টনিক। চোটের জন্য ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগ খেলতে পারেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আজ দ্বিতীয় লেগে রোনালদোকে খুব করেই চাইছে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ পর্যন্ত যা খবর, তাতে আজ শুরু থেকেই খেলার কথা পর্তুগিজ উইঙ্গারের। সেটা হলে রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদানের দুশ্চিন্তা অর্ধেকই কমে যাওয়ার কথা।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে গিয়ে আগের লেগ গোলশূন্য ড্র করে ফিরেছে রিয়াল। আজ একটা গোল হজম করলেই কাজটা কঠিন হয়ে যাবে। তখন জয় ছাড়া উপায় থাকবে না। বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বশেষ ম্যাচের সেই রোনালদোকে পেলে অবশ্য জিদানের চিন্তার কোনো কারণই থাকে না। ভলফসবুর্গের সঙ্গে দুর্দান্ত একটা হ্যাটট্রিকে বার্নাব্যু দর্শকদের অনেক দিন মনে রাখার মতো একটা রাত উপহার দিয়েছিলেন।
ইতিহাস ও ফর্ম, দুটিই রিয়ালের পক্ষে। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে এর আগে প্রথম লেগে আটবার গোলশূন্য ড্র করেছিল রিয়াল। এর মধ্যে সাতবারই পরের পর্বে উঠেছিল। শুধু ১৯৯১ সালে স্পার্তাক মস্কোর সঙ্গে পরের পর্বের শিকে ছেঁড়েনি। আর ইংলিশ দলগুলোর সঙ্গেও বার্নাব্যুতে রিয়ালের রেকর্ড জিদানকে ভরসা দেবে। ১৪টি ম্যাচ খেলে সাতটিই জিতেছে রিয়াল, পাঁচটি ড্র করেছে। হেরেছে মাত্র দুটিতে। এই সিটিকেই তো তিন মৌসুম আগে নিজেদের মাঠে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল রিয়াল।
আর বার্নাব্যুতে এই মৌসুমে রিয়াল যেমন খেলেছে, সেই ধারা বজায় থাকলে জিদান মোটামুটি নির্ভারই থাকতে পারেন। এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্নাব্যুতে পাঁচটি ম্যাচ খেলে সব কটিতেই জিতেছে রিয়াল। গোল দিয়েছে ১৮টি, একটা গোলও হজম করেনি। সব প্রতিযোগিতা মিলে এই মৌসুমে বার্নাব্যুতে ২৩টি ম্যাচের ২০টিতেই জিতেছে। রিয়াল মিডফিল্ডার কাসেমিরো সেটাই মনে করিয়ে দিলেন, ‘ঘরের মাঠ আমাদের পক্ষে যাবে। তবে সমর্থকদের আমাদের সমর্থন দিতে হবে, আমরা তাদের দিকেই তাকিয়ে আছি। আশা করছি, ওরা আমাদের হতাশ করবে না। ম্যান সিটিকে বুঝতে হবে বার্নাব্যু কতটা কঠিন।’ ভলফসবুর্গ ম্যাচের আগেই রিয়ালের মারদাঙ্গা সমর্থক গোষ্ঠী আলট্রা সুরকে ফিরিয়ে এনেছিলেন ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। ওই ম্যাচে বার্নাব্যু যেভাবে গমগম করেছিল, আজ কাসেমিরোর খুব বেশি চিন্তার বোধ হয় কারণ নেই।
বরং খানিকটা অস্বস্তিতে আছেন সিটির কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি। আজকের ম্যাচের জন্য এই সপ্তাহে ইংলিশ লিগে মূল একাদশের আটজনকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন। সাউদাম্পটনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ওই ম্যাচটা ৪-২ গোলে হেরে বসেছে সিটি। পেলেগ্রিনির সেটা নিয়ে হতাশা থাকলেও প্রকাশ করেননি, ‘আবার এ রকম কিছু হলে আমি একই কাজ করব। কারণ, বুধবারের ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
আজকের ম্যাচটা হেরে গেলে পেলেগ্রিনি নিশ্চয় আফসোস করবেন! এএফপি, রয়টার্স।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

রিয়ালের প্রেরণা ইতিহাস ও রোনালদো

প্রকাশের সময় : ১১:০১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ মে ২০১৬

ঢাকা: যুদ্ধের আগে হঠাৎ সেনাপতি অসুস্থ হলে যুদ্ধজয়টা তো কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েই। তবে শেষ মুহূর্তে সেই সেনাপতিকে ফিরে পেলে সেটাও কিন্তু বড় টনিক। চোটের জন্য ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগ খেলতে পারেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আজ দ্বিতীয় লেগে রোনালদোকে খুব করেই চাইছে রিয়াল মাদ্রিদ। শেষ পর্যন্ত যা খবর, তাতে আজ শুরু থেকেই খেলার কথা পর্তুগিজ উইঙ্গারের। সেটা হলে রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদানের দুশ্চিন্তা অর্ধেকই কমে যাওয়ার কথা।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে গিয়ে আগের লেগ গোলশূন্য ড্র করে ফিরেছে রিয়াল। আজ একটা গোল হজম করলেই কাজটা কঠিন হয়ে যাবে। তখন জয় ছাড়া উপায় থাকবে না। বার্নাব্যুতে চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বশেষ ম্যাচের সেই রোনালদোকে পেলে অবশ্য জিদানের চিন্তার কোনো কারণই থাকে না। ভলফসবুর্গের সঙ্গে দুর্দান্ত একটা হ্যাটট্রিকে বার্নাব্যু দর্শকদের অনেক দিন মনে রাখার মতো একটা রাত উপহার দিয়েছিলেন।
ইতিহাস ও ফর্ম, দুটিই রিয়ালের পক্ষে। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে এর আগে প্রথম লেগে আটবার গোলশূন্য ড্র করেছিল রিয়াল। এর মধ্যে সাতবারই পরের পর্বে উঠেছিল। শুধু ১৯৯১ সালে স্পার্তাক মস্কোর সঙ্গে পরের পর্বের শিকে ছেঁড়েনি। আর ইংলিশ দলগুলোর সঙ্গেও বার্নাব্যুতে রিয়ালের রেকর্ড জিদানকে ভরসা দেবে। ১৪টি ম্যাচ খেলে সাতটিই জিতেছে রিয়াল, পাঁচটি ড্র করেছে। হেরেছে মাত্র দুটিতে। এই সিটিকেই তো তিন মৌসুম আগে নিজেদের মাঠে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল রিয়াল।
আর বার্নাব্যুতে এই মৌসুমে রিয়াল যেমন খেলেছে, সেই ধারা বজায় থাকলে জিদান মোটামুটি নির্ভারই থাকতে পারেন। এই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্নাব্যুতে পাঁচটি ম্যাচ খেলে সব কটিতেই জিতেছে রিয়াল। গোল দিয়েছে ১৮টি, একটা গোলও হজম করেনি। সব প্রতিযোগিতা মিলে এই মৌসুমে বার্নাব্যুতে ২৩টি ম্যাচের ২০টিতেই জিতেছে। রিয়াল মিডফিল্ডার কাসেমিরো সেটাই মনে করিয়ে দিলেন, ‘ঘরের মাঠ আমাদের পক্ষে যাবে। তবে সমর্থকদের আমাদের সমর্থন দিতে হবে, আমরা তাদের দিকেই তাকিয়ে আছি। আশা করছি, ওরা আমাদের হতাশ করবে না। ম্যান সিটিকে বুঝতে হবে বার্নাব্যু কতটা কঠিন।’ ভলফসবুর্গ ম্যাচের আগেই রিয়ালের মারদাঙ্গা সমর্থক গোষ্ঠী আলট্রা সুরকে ফিরিয়ে এনেছিলেন ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। ওই ম্যাচে বার্নাব্যু যেভাবে গমগম করেছিল, আজ কাসেমিরোর খুব বেশি চিন্তার বোধ হয় কারণ নেই।
বরং খানিকটা অস্বস্তিতে আছেন সিটির কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি। আজকের ম্যাচের জন্য এই সপ্তাহে ইংলিশ লিগে মূল একাদশের আটজনকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন। সাউদাম্পটনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ওই ম্যাচটা ৪-২ গোলে হেরে বসেছে সিটি। পেলেগ্রিনির সেটা নিয়ে হতাশা থাকলেও প্রকাশ করেননি, ‘আবার এ রকম কিছু হলে আমি একই কাজ করব। কারণ, বুধবারের ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
আজকের ম্যাচটা হেরে গেলে পেলেগ্রিনি নিশ্চয় আফসোস করবেন! এএফপি, রয়টার্স।