ব্রঙ্কস ইউনাইটেড ও যুব সংঘ ফাইনালে
- প্রকাশের সময় : ০৭:৪৮:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
- / ৯৪৭ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিল অব আমেরিকা আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টে ব্রঙ্কস ইউনাইটেড ও ওজনপার্ক যুব সংঘ ফাইনালে উঠেছে। দল দু’টি আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর রোববার ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। কুইন্সের নিউটাউন অ্যাথলেটিক মাঠে রোববার অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে ব্রঙ্কস ইউনাইটেড সহজেই ৬-০ গোলে ব্রঙ্কস স্টারকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠে। দিনের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ওজনপার্ক যুব সংঘ ৩-২ গোলে ওজনপার্ক এফসি কে পরাজিত করে ফাইনালে উঠে। এদিন লন্ডন ও কানাডা থেকে আগত ১০/১২জন খেলোয়ার ব্রঙ্কস ইউনাইটেড, ওজনপার্ক যুব সংঘ আর ওজনপার্ক এফসি’র পক্ষে মাঠে চমৎকার খেলা উপহার দেন। ব্রঙ্কস ইউনাইটেড-এর পক্ষে লন্ডন থেকে আগত চারজন, কানাডা থেকে আগত যুব সংঘের পক্ষে তিন জন এবং লন্ডন থেকে আগত ওজনপার্ক এফসি’র পক্ষে চারজন খেলেন বলে স্পোর্টস কাউন্সিল সূত্রে জানা গেছে। ব্রঙ্কস ইউনাইটেড-এর পক্ষে যারা খেলেন তারা হলেন সাদিক, ওমর, ফজজুল ও মোতালেব। যুব সংঘের পক্ষে খেলেন শাকিল, আবু ও নবি। এছাড়া ওজনপার্ক এফসি’র পক্ষে খেলেন লিটন, জয়নাল, মাসুদ ও শহিদ,
প্রথম সেমিফাইনাল: বিকেল পৌনে চারটার দিকে শুরু হওয়া ব্রঙ্কস ইউনাইটেড ও ব্রঙ্কস স্টারের মধ্যকার প্রথম সেমিফাইনালে ছিলো না তেমন আকর্ষণ। খেলায় এক চেটিয়া প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে ব্রঙ্কস ইউনাইটেড জয় ছিনিয়ে নেয়। খেলার প্রথমার্ধে দুই গোলে এগিয়ে থাকে ব্রঙ্কস ইউনাইটেড। এই অর্ধের ২০ মিনিটের সময় সাদিক প্রথম গোল করেন (১-০)। এরপর খেলার ২৫ মিনিটের সময় কফিল দ্বিতীয় গোল করেন (২-০)। খেলার দ্বিতীয়ার্ধেও প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে ব্রঙ্কস ইউনাইটেড। এই অর্ধের খেলা শুরু হতে না হতেই ২ মিনিটের মাথায় সিদ্দিক গোল করেন (৩-০)। এরপর ৬ মিনিটের সময় কফিল নিজের দ্বিতীয় ও দলের পক্ষে চতুর্থ গোল করেন (৪-০)। এছাড়া খেলার ১৮ মিনিটের সময় রাজু (৫-০) এবং ২৮ মিনিটের সময় ফয়জুল গোল করেন (৬-০)। খেলায় অখেলোয়ারী সুলভ আচরণের জন্য ব্রঙ্কস স্টারের রকি পরপর দুটি হলুদ কার্ড দেখানো হয়।
দ্বিতীয় সেমিফাইনাল: বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শুরু হওয়া দিনের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ওজনপার্ক যুব সংঘ ৩-২ গোলে ওজনপার্ক এফসি কে পরাজিত করে ফাইনালে উঠে। খেলটি ছিলো চরম উত্তেজনায় ভরপুর। ছিলো আক্রমন পাল্টা আক্রমন। খেলার প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই উভয় দল জয় লাভের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। এই অর্ধের ১০ মিনিটের সময় বিজয়ী দল যুব সংঘের পক্ষে কানাডা থেকে আগত শাকিল ডি বক্সের কাছ থেকে দর্শনীয় শটে প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান (১-০)। এরপর ওজনপার্ক এফসি পাল্টা আক্রমন চালিয়ে সফলতা অর্জন করে। খেলার ১৩ মিনিটের সময় জামাল দলের প্রথম প্রথম গোল করে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন (১-১)। আবার পাল্টা আক্রম চালিয়ে গোল করে যুব সংঘ। দলের পক্ষে ২০ মিনিটের সময় শরিফ গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান (২-১)। জমে উঠে খেলা। আক্রমণ পাল্টা আক্রমন আর উত্তেজনা মাঠে। গোল খেলে সংঘবদ্ধ আক্রমন চালিয়ে দুই মিনিটের মধ্যেই সমতা ফিরিয়ে আসেন ওজনপার্ক এফসি। খেলার ২২ মিনিটের সময় ওজনপার্ক এফসি’র পক্ষে রাসেল গোল করে আবার খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন (২-২)। আবার মাঠে আক্রমণ পাল্টা আক্রমন আর উত্তেজনা। খেলার ৩২ মিনিটের সময় সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে বল পেয়ে বিজয়ী দলের পক্ষে সোহেল ডি বক্সের কাছ থেকে চমৎকার শর্টে কাঙ্খিত গোল করেন (৩-২)। দর্শকদের কেউ কেউ যুব সংঘ ও ওজনপার্ক এফসি’র খেলাকে ঢাকার আবাহনী-মোহামেডানের খেলার সাথে তুলনা করেন।
বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ’র সভাপতি আজিমুর রহমান বুরহান, আব্দুল মান্নান সহ বিপুল সংখ্যক দর্শক-শ্রোতা সেমি ফাইনালের খেলা দুটি উপভোগ করেন।
স্পোর্টস কাউন্সিলের কর্মকর্তাদের মধ্যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও উপদেষ্টা আব্দুর রহিম বাদশা, উপদেষ্টা আতাউর রহমান সেলিম ও ছদরুন নূর, সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাসিত খান সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে আনোয়ার হোসাইন, জাকির হোসেন, মিসবাহ আবদীন, সাইকুল ইসলাম, শাহাদৎ হোসেন, আবু তাহির আসাদ, আব্দুল কাদির লিপু, মোহাম্মদ রশিদ রানা ও জহির উদ্দিন জুয়েল মাঠে উপস্থিত ছিলেন।