নিউইয়র্ক ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে বিদায় বাংলাদেশ : ভারত সেমিফাইনালে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০১৫
  • / ১৫৪৫ বার পঠিত

ঢাকা: বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গেছে বাংলাদেশ। আর ১১০ রানে জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে ভারত। অষ্ট্রেরিয়ার মেলবোর্নে ১৯ মার্চ বৃহস্প্রতিবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ ১৯৩ রানে অল আউট হয়ে যায়। খেলায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত করেছিল ৬ উইকেটে ৩০২ রান। এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলো ।
এদিকে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে আম্পায়ারিং-এ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। আম্পায়ারের একাধিক সিদ্ধান্ত বিতর্কিত হয়েছে এবং সিদ্ধান্তগুলো ভারতের পক্ষে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিতর্কিত আম্পায়ারিং-এর জন্য দেশ-প্রবাসে বাংলাদেশ দলের সমর্থকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ব্যাটে, বলে ভুল আম্পায়ারিং এর শিকারে বাংলাদেশের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। বিতর্কিত আম্পায়ারিং এ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আইসিসি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)।
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বাংলাদেশ দলের উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস ৩৩ রান তুলে ফেলেন। কিন্তু এই রানে দাঁড়িয়ে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ২৫ বলে ২৫ রানে উমেশ যাদবের বলে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ধরা পড়ে ফেরেন তামিম। পরের বলে অযথা রান নিতে গিয়ে রান আউটের খাঁড়ায় পড়ে ফেরেন ইমরুল কায়েস। আর দলীয় ৭৩ রানে মোহাম্মদ শামীর বলে ব্যক্তিগত ৩১ বলে ২১ রানে আউট হয়েছেন। আর সৌম্য সরকার ৪৩ বলে ২৯ রানে ফিরেছেন। আর সাকিব করেছেন ১০ রান। সাব্বির ও নাসির হোসেন সপ্তম উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়ে লড়তে থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪৫ ওভারে ১৯৩ রানে বাংলাদেশর ইনিংস থেমে যায়।
এর আগে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতের সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ৩০২ রান। রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি ও আম্পায়ারদের বাজে সিদ্ধান্তে ভারত টাইগারদের বিপক্ষে ৫০ ওভার শেষে ৩শ ছাড়ানো ইনিংস দাঁড় করাতে সক্ষম হয়। ভারতের দুই ওপেনার বেশ সতর্ক সূচনা করেছিলেন। ওপেনিংয়ে শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা ৭৫ রানের জুটি গড়ে দলকে ভাল সূচনা এনে দেন। সেখান থেকেই ১৬.৩ ওভারের সময় ভারতের ব্যাটিং দুর্গে প্রথম আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। ৩০ রান করা শিখর ধাওয়ানকে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। এরপর ভারতের স্কোর বোর্ডে মাত্র তিন রান যোগ হতেই কোহলি ব্যক্তিগত ৩ রানে আউট হয়ে যান ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই। তাকে আউট করেন রুবেল হোসেন। রোহিতের সঙ্গে এরপর হাল ধরেন আজিঙ্কা রাহানে। কিন্তু তাকেও খুব বেশি দূর যেতে দেননি তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদ। ১৯ রান করে রাহানে আউট হলে একপাশ আগলে রাখেন রোহিত। তার সঙ্গে যোগ দেন সুরেশ রায়না। চতুর্থ উইকেটে ১২২ রানের জুটি গড়ে দলকে আবারও ম্যাচে ফেরান এই দু’জন। তবে দু’জনকেই নিশ্চিত দুুটি আউট থেকে জীবন দিয়েছেন মাঠের আম্পায়াররা। শেষ পর্যন্ত রায়নাকে ৬৫ রানে আউট করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৯০তম উইকেটটি তুলে নেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর রোহিতকে দলীয় ২৭৩ রানের সময় ফিরিয়ে দেন। তার সংগ্রহ ১২৬ বলে ১৩৭ রান ১৪টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে। এরপর ভারতের অধিনায়ক ধোনি দলের জন্য মাত্র ৬ রানের অবদান রেখে তাসকিনের তৃতীয় আঘাতের শিকার হন। শেষ পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ৩০২ রান ৬ উইকেট হারিয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন ৬৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট। এছাড়া মাশরাফি, সাকিব, রুবেল একটি করে উইকেট পান।
ভারত: ৩০২/৬ (রোহিত ১৩৭, রায়না ৬৫, শিখর ধাওয়ান ৩০, জাদেজা ২৩, রাহানে ১৯, ধোনি ৬, কোহলি ৩, অশ্বিন ৩, তাসকিন ৬৯/৩, মাশরাফি ৬৯/১, রুবেল ৫৬/১, সাকিব ৫৮/১)
বাংলাদেশ: ১৯৩/১০(৪৫) (নাসির হোসেন ৩৫, সাব্বির ৩০, সৌম্য ২৯, মুশফিক ২৭, তামিম ২৫, রিয়াদ ২১, সাকিব ১০, কায়েস ৫, মাশরাফি ১. উমেশ যাদব ৩১/৪, সামি ৩৭/২, জাদেজা ৪২/২, শর্মা ৩৬/১)
ফল : ভারত ১০৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রোহিত শর্মা (ভারত)
ICC_Lotas Kamal.বিতর্কিত আম্পায়ারিং, ক্ষুব্ধ লোটাস কামাল: ব্যাটে, বলে ভুল আম্পায়ারিং এর শিকার বাংলাদেশ। ভারতের কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে বিতর্কিত আম্পায়ারিং এ ক্ষুব্ধ আইসিসি সভাপতি আহম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)। অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশী মিডিয়াকে তিনি বলেছেন, বিষয়টি আইসিসির পরবর্তী সভায় বিষয়টি তুলবেন। প্রয়োজনে আইসিসির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি। ম্যাচের দুই অন ফিল্ড আম্পায়ার ইংল্যান্ডের ইয়ান গোল্ড ও পাকিস্তানের আলিম দারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে এলোমেলো হয়ে যায় টাইগারদের লড়াই। তৃতীয় আম্পায়ার স্টিভ ডেভিসও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিয়ে ওই দুই আম্পায়ারের পাশে দাঁড়ান। ফলে লড়াইয়ে থাকা একটি ম্যাচের পরিণতি হয় কোন প্রতিদ্বন্ধিতা ছাড়া। বাজে আম্পায়ারিং-এ আলোচনা সমালোচনা চলছে সারা ক্রিকেট দুনিয়ায়। দেশের কোটি ক্রিকেট ভক্ত হতাল ক্ষুব্ধ এমন ঘটনায়। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশী ক্রিকেট প্রেমীদের পাশে দাঁড়ালেন খোদ আইসিসি সভাপতি।
পাঠক গ্যালারি- বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয়া হল: বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ কি হের গেল নাকি বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয়া হল এমন প্রশ্ন করেছেন অনেকে।
প্রশ্ন উঠতে পারে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সততা নিয়ে, প্রশ্ন উঠতে পারে আইসিসির মনোনীত আম্পায়ারদের স্বচ্ছতা নিয়েও। সেই সঙ্গে ভারতকে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) হীন মানসিকতা নিয়েও সমালোচনার ঝড় উঠতেই পারে। বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে অন-ফিল্ড আম্পায়ার ও থার্ড আম্পায়াররা যে নগ্ন পক্ষপাত দুষ্টতা দেখিয়েছেন এরপর এমন প্রশ্ন উঠলে তাতে বিন্দুমাত্র বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।
রোহিত শর্মার নিশ্চিত আউটকে ‘নো বল’ ডেকে বাংলাদেশকে হতাশ করেছেন ইংলিশ আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড।
কমেন্ট্রি বক্সে বসে কিংবদন্তি লেগ-স্পিনার শেন ওয়ার্ন আলিম দারের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন। এটি স্পষ্টতই আউট ছিল বলে জানান তিনি। টুইট করে বাংলাদেশী ক্রিকেটেরদের পাশেই দাঁড়ান ভিভিএস লক্ষ্মণ। তিনিও জানান যে ওটি নো বল নয়, একটি বৈধ ডেলিভারি ছিল।
এর পর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিডিয়া সেলের সহকারী সাংবাদিক আশরাফুল আলম খোকন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘হেরেছে ক্রিকেট……জিতেছে আইসিসি এবং ইন্ডিয়া, এই জয়ে ইন্ডিয়ানদেরও ‘লজ্জা’ পাওয়া উচিত (যদি থাকে)……….’
চ্যানেল আই’র নিউইয়র্ক-এর প্রতিনিধি সাংবাদিক আবিদুর রহমান লিখেছেন ‘ভারত তোমার লজ্জা ঢাকো! বাংলার টাইগারদের কাছে পরাজয় বরণ করলে আরেকবার! এবং করবে বারবার’
ম্যালয়েশিয়া প্রবাসী হেমায়াতে হোসেন হিমু লিখেছেন ‘মাঠে ১০ জন ফিল্ডার, ১জন ভারতীয় ২ জন আম্পায়ার। আররও ২জন সহযোগীসহ থার্ড আম্পায়ার!! তবুও আমি আমার দেশের জন্য গর্বিত, সাবাশ বাংলাদেশ১! ষোলজনের বিরুদ্ধে জেতা সম্ভব নয়!! আইসিসি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, নিজেরাও খেলছে ভারতের পক্ষে- সাবাশ!!’
কানাডা প্রবাসী লেখক-সাংবাদিক জসিম মল্লিক লিখেছেন ‘ক্রিকেট আর ভদ্রলোকের খেলা নেই। ক্রিকেট এখন মাফিয়াদের খপ্পরে। তাই বলব বাংলাদেশ হারেনি, হেরেছে ক্রিকেট, হেরেসে আইসিসি, হেরেছে ভারতের নৈতিকতা’।
দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র রিপোর্টার দেবব্রত মুখোপাধ্যায় তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘কাল রাতেই বলছিলাম, ‘ভারতকে জেতানোর চেষ্টা হয়তো বাজিকররা করবে না। তবে ওরা যাতে না হারে, সে জন্য আইসিসির প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে পিয়ন, সবাই জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করবে। তা-ই করছে। ১১টা ছেলে এক বিভৎস অসম লড়াই লড়ছে।’
দৈনিক সকালের খবরের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক আরিফুর রহমান বাবু তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ইংরেজরা এখন ভারতের চামচা হয়ে গেছে। এটা কি নো বল?’
গাজী টিভির ক্রীড়া প্রতিবেদক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এটা যদি নো বল হয় তাহলে আমার সাংবাদিকতাই ছেড়ে দেয়া উচিত। ডেফিনেটলি ইটস নট এ নো বল। ইউ নো ওয়াট! ইটস এ ক্রাইম।’
চ্যানেল টুয়েন্টিফোর -এর প্রতিবেদক শোয়েব তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩ জন খেলছে।’
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের এই ম্যাচটিতে আম্পায়ারদের একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। দিনের শুরুতে টস ভাগ্য বাংলাদেশের বিপরীতে গেছে। এরপর ভারতের ব্যাটিং ইনিংস চলাকালে দুবার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিয়ে বাংলাদেশের উজ্জীবিত ক্রিকেটে পানি ঢেলেছেন আম্পায়াররা। পরবর্তীতে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে পর পর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিপক্ষেও দেওয়া হয়েছে এক বিতর্কিত আউটের সিদ্ধান্ত।
এবার আসা যাক শুরুতে কেন ভারতীয় ক্রিকেটারদের সততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংস চলাকালে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট ছুঁয়ে বাতাসে ভাসা বলটি বাউন্ডারি সীমানায় দ্বিতীয় চেষ্টায় তালুবন্দী করেছেন ধাওয়ান। কিন্তু বলটি তিনি যখন তালুবন্দী করেছেন তখন তার পা বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করেছিল। কিন্তু থার্ড আম্পায়ার তা উপেক্ষা করেই মাহমুদউল্লাহকে আউট ঘোষণা করেছেন।
যদিও টিভি রিপ্লেতে এবং স্টিল ফটোগ্রাফিতে স্পষ্টই দেখা গেছে ধাওয়ানের পা লাইন স্পর্শ করেছে। যারা এই আউটের সিদ্ধান্তকে সাপোর্ট করেছেন তাদের দাবি বাউন্ডারি লাইন ও ধাওয়ানের পা’র মধ্যে ইঞ্চি খানেক ফাঁক ছিল।
আইসিসির মূল আয়ের ৮০ শতাংশ ভারতের অবদান। এ কথা ক্রিকেট বিশ্বে সর্বজন স্বীকৃত ‘ওপেন সিক্রেট’। যে কোনো আসরে ভারতের টিকে থাকা মানে আইসিসির লাভের অ্যাকাউন্ট ফুলে ফেঁপে ওঠা।
মাশরাফিদের উদ্দীপ্ত ক্রিকেটের জোয়ারে মহেন্দ্র সিং ধোনিদের অস্তিত্ব যেন বিলীন হয়ে না যায়, কে জানে হয়তো সে কারণেই আম্পায়ারদের নির্দেশনা দিয়েই মাঠে ঠেলেছে ক্রিকেটের বিশ্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। যাকে নিয়ে অনেকেই মজা করে বলে থাকেন-আইসিসি মানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল নয়, ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল!
সে যাই হোক, বৃহস্পতিবার ১৬ কোটি বাংলাদেশীর মন ভেঙ্গে দিয়েছে আম্পায়ারদের বিতর্কিত আচরণ। যার ছবি ফুটে উঠেছে ফেসবুক ও টুইটারসহি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে।
উল্লেখ্য, ম্যাচের দুই অন ফিল্ড আম্পায়ারের একজন পাকিস্তানের আলিম দার, অন্যজন ইংল্যান্ডের ইয়ান গোল্ড। থার্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ডেভিস। আর চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ক্রিকেটার পল রাইফেল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে বিদায় বাংলাদেশ : ভারত সেমিফাইনালে

প্রকাশের সময় : ০৯:২৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০১৫

ঢাকা: বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গেছে বাংলাদেশ। আর ১১০ রানে জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে ভারত। অষ্ট্রেরিয়ার মেলবোর্নে ১৯ মার্চ বৃহস্প্রতিবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ ১৯৩ রানে অল আউট হয়ে যায়। খেলায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত করেছিল ৬ উইকেটে ৩০২ রান। এই পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলো ।
এদিকে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে আম্পায়ারিং-এ পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। আম্পায়ারের একাধিক সিদ্ধান্ত বিতর্কিত হয়েছে এবং সিদ্ধান্তগুলো ভারতের পক্ষে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিতর্কিত আম্পায়ারিং-এর জন্য দেশ-প্রবাসে বাংলাদেশ দলের সমর্থকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ব্যাটে, বলে ভুল আম্পায়ারিং এর শিকারে বাংলাদেশের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। বিতর্কিত আম্পায়ারিং এ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন আইসিসি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)।
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত বিবরণ: অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বাংলাদেশ দলের উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস ৩৩ রান তুলে ফেলেন। কিন্তু এই রানে দাঁড়িয়ে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ২৫ বলে ২৫ রানে উমেশ যাদবের বলে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে ধরা পড়ে ফেরেন তামিম। পরের বলে অযথা রান নিতে গিয়ে রান আউটের খাঁড়ায় পড়ে ফেরেন ইমরুল কায়েস। আর দলীয় ৭৩ রানে মোহাম্মদ শামীর বলে ব্যক্তিগত ৩১ বলে ২১ রানে আউট হয়েছেন। আর সৌম্য সরকার ৪৩ বলে ২৯ রানে ফিরেছেন। আর সাকিব করেছেন ১০ রান। সাব্বির ও নাসির হোসেন সপ্তম উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়ে লড়তে থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪৫ ওভারে ১৯৩ রানে বাংলাদেশর ইনিংস থেমে যায়।
এর আগে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতের সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ৩০২ রান। রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি ও আম্পায়ারদের বাজে সিদ্ধান্তে ভারত টাইগারদের বিপক্ষে ৫০ ওভার শেষে ৩শ ছাড়ানো ইনিংস দাঁড় করাতে সক্ষম হয়। ভারতের দুই ওপেনার বেশ সতর্ক সূচনা করেছিলেন। ওপেনিংয়ে শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা ৭৫ রানের জুটি গড়ে দলকে ভাল সূচনা এনে দেন। সেখান থেকেই ১৬.৩ ওভারের সময় ভারতের ব্যাটিং দুর্গে প্রথম আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। ৩০ রান করা শিখর ধাওয়ানকে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। এরপর ভারতের স্কোর বোর্ডে মাত্র তিন রান যোগ হতেই কোহলি ব্যক্তিগত ৩ রানে আউট হয়ে যান ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই। তাকে আউট করেন রুবেল হোসেন। রোহিতের সঙ্গে এরপর হাল ধরেন আজিঙ্কা রাহানে। কিন্তু তাকেও খুব বেশি দূর যেতে দেননি তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদ। ১৯ রান করে রাহানে আউট হলে একপাশ আগলে রাখেন রোহিত। তার সঙ্গে যোগ দেন সুরেশ রায়না। চতুর্থ উইকেটে ১২২ রানের জুটি গড়ে দলকে আবারও ম্যাচে ফেরান এই দু’জন। তবে দু’জনকেই নিশ্চিত দুুটি আউট থেকে জীবন দিয়েছেন মাঠের আম্পায়াররা। শেষ পর্যন্ত রায়নাকে ৬৫ রানে আউট করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৯০তম উইকেটটি তুলে নেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। এরপর রোহিতকে দলীয় ২৭৩ রানের সময় ফিরিয়ে দেন। তার সংগ্রহ ১২৬ বলে ১৩৭ রান ১৪টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে। এরপর ভারতের অধিনায়ক ধোনি দলের জন্য মাত্র ৬ রানের অবদান রেখে তাসকিনের তৃতীয় আঘাতের শিকার হন। শেষ পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ৩০২ রান ৬ উইকেট হারিয়ে। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন ৬৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট। এছাড়া মাশরাফি, সাকিব, রুবেল একটি করে উইকেট পান।
ভারত: ৩০২/৬ (রোহিত ১৩৭, রায়না ৬৫, শিখর ধাওয়ান ৩০, জাদেজা ২৩, রাহানে ১৯, ধোনি ৬, কোহলি ৩, অশ্বিন ৩, তাসকিন ৬৯/৩, মাশরাফি ৬৯/১, রুবেল ৫৬/১, সাকিব ৫৮/১)
বাংলাদেশ: ১৯৩/১০(৪৫) (নাসির হোসেন ৩৫, সাব্বির ৩০, সৌম্য ২৯, মুশফিক ২৭, তামিম ২৫, রিয়াদ ২১, সাকিব ১০, কায়েস ৫, মাশরাফি ১. উমেশ যাদব ৩১/৪, সামি ৩৭/২, জাদেজা ৪২/২, শর্মা ৩৬/১)
ফল : ভারত ১০৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রোহিত শর্মা (ভারত)
ICC_Lotas Kamal.বিতর্কিত আম্পায়ারিং, ক্ষুব্ধ লোটাস কামাল: ব্যাটে, বলে ভুল আম্পায়ারিং এর শিকার বাংলাদেশ। ভারতের কাছে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে বিতর্কিত আম্পায়ারিং এ ক্ষুব্ধ আইসিসি সভাপতি আহম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)। অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশী মিডিয়াকে তিনি বলেছেন, বিষয়টি আইসিসির পরবর্তী সভায় বিষয়টি তুলবেন। প্রয়োজনে আইসিসির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি। ম্যাচের দুই অন ফিল্ড আম্পায়ার ইংল্যান্ডের ইয়ান গোল্ড ও পাকিস্তানের আলিম দারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে এলোমেলো হয়ে যায় টাইগারদের লড়াই। তৃতীয় আম্পায়ার স্টিভ ডেভিসও বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিয়ে ওই দুই আম্পায়ারের পাশে দাঁড়ান। ফলে লড়াইয়ে থাকা একটি ম্যাচের পরিণতি হয় কোন প্রতিদ্বন্ধিতা ছাড়া। বাজে আম্পায়ারিং-এ আলোচনা সমালোচনা চলছে সারা ক্রিকেট দুনিয়ায়। দেশের কোটি ক্রিকেট ভক্ত হতাল ক্ষুব্ধ এমন ঘটনায়। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাংলাদেশী ক্রিকেট প্রেমীদের পাশে দাঁড়ালেন খোদ আইসিসি সভাপতি।
পাঠক গ্যালারি- বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয়া হল: বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ কি হের গেল নাকি বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয়া হল এমন প্রশ্ন করেছেন অনেকে।
প্রশ্ন উঠতে পারে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সততা নিয়ে, প্রশ্ন উঠতে পারে আইসিসির মনোনীত আম্পায়ারদের স্বচ্ছতা নিয়েও। সেই সঙ্গে ভারতকে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে টিকিয়ে রাখতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) হীন মানসিকতা নিয়েও সমালোচনার ঝড় উঠতেই পারে। বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে অন-ফিল্ড আম্পায়ার ও থার্ড আম্পায়াররা যে নগ্ন পক্ষপাত দুষ্টতা দেখিয়েছেন এরপর এমন প্রশ্ন উঠলে তাতে বিন্দুমাত্র বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।
রোহিত শর্মার নিশ্চিত আউটকে ‘নো বল’ ডেকে বাংলাদেশকে হতাশ করেছেন ইংলিশ আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড।
কমেন্ট্রি বক্সে বসে কিংবদন্তি লেগ-স্পিনার শেন ওয়ার্ন আলিম দারের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন। এটি স্পষ্টতই আউট ছিল বলে জানান তিনি। টুইট করে বাংলাদেশী ক্রিকেটেরদের পাশেই দাঁড়ান ভিভিএস লক্ষ্মণ। তিনিও জানান যে ওটি নো বল নয়, একটি বৈধ ডেলিভারি ছিল।
এর পর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিডিয়া সেলের সহকারী সাংবাদিক আশরাফুল আলম খোকন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘হেরেছে ক্রিকেট……জিতেছে আইসিসি এবং ইন্ডিয়া, এই জয়ে ইন্ডিয়ানদেরও ‘লজ্জা’ পাওয়া উচিত (যদি থাকে)……….’
চ্যানেল আই’র নিউইয়র্ক-এর প্রতিনিধি সাংবাদিক আবিদুর রহমান লিখেছেন ‘ভারত তোমার লজ্জা ঢাকো! বাংলার টাইগারদের কাছে পরাজয় বরণ করলে আরেকবার! এবং করবে বারবার’
ম্যালয়েশিয়া প্রবাসী হেমায়াতে হোসেন হিমু লিখেছেন ‘মাঠে ১০ জন ফিল্ডার, ১জন ভারতীয় ২ জন আম্পায়ার। আররও ২জন সহযোগীসহ থার্ড আম্পায়ার!! তবুও আমি আমার দেশের জন্য গর্বিত, সাবাশ বাংলাদেশ১! ষোলজনের বিরুদ্ধে জেতা সম্ভব নয়!! আইসিসি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, নিজেরাও খেলছে ভারতের পক্ষে- সাবাশ!!’
কানাডা প্রবাসী লেখক-সাংবাদিক জসিম মল্লিক লিখেছেন ‘ক্রিকেট আর ভদ্রলোকের খেলা নেই। ক্রিকেট এখন মাফিয়াদের খপ্পরে। তাই বলব বাংলাদেশ হারেনি, হেরেছে ক্রিকেট, হেরেসে আইসিসি, হেরেছে ভারতের নৈতিকতা’।
দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র রিপোর্টার দেবব্রত মুখোপাধ্যায় তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘কাল রাতেই বলছিলাম, ‘ভারতকে জেতানোর চেষ্টা হয়তো বাজিকররা করবে না। তবে ওরা যাতে না হারে, সে জন্য আইসিসির প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে পিয়ন, সবাই জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করবে। তা-ই করছে। ১১টা ছেলে এক বিভৎস অসম লড়াই লড়ছে।’
দৈনিক সকালের খবরের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক আরিফুর রহমান বাবু তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ইংরেজরা এখন ভারতের চামচা হয়ে গেছে। এটা কি নো বল?’
গাজী টিভির ক্রীড়া প্রতিবেদক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এটা যদি নো বল হয় তাহলে আমার সাংবাদিকতাই ছেড়ে দেয়া উচিত। ডেফিনেটলি ইটস নট এ নো বল। ইউ নো ওয়াট! ইটস এ ক্রাইম।’
চ্যানেল টুয়েন্টিফোর -এর প্রতিবেদক শোয়েব তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩ জন খেলছে।’
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের এই ম্যাচটিতে আম্পায়ারদের একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। দিনের শুরুতে টস ভাগ্য বাংলাদেশের বিপরীতে গেছে। এরপর ভারতের ব্যাটিং ইনিংস চলাকালে দুবার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিয়ে বাংলাদেশের উজ্জীবিত ক্রিকেটে পানি ঢেলেছেন আম্পায়াররা। পরবর্তীতে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে পর পর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিপক্ষেও দেওয়া হয়েছে এক বিতর্কিত আউটের সিদ্ধান্ত।
এবার আসা যাক শুরুতে কেন ভারতীয় ক্রিকেটারদের সততা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংস চলাকালে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট ছুঁয়ে বাতাসে ভাসা বলটি বাউন্ডারি সীমানায় দ্বিতীয় চেষ্টায় তালুবন্দী করেছেন ধাওয়ান। কিন্তু বলটি তিনি যখন তালুবন্দী করেছেন তখন তার পা বাউন্ডারি লাইন স্পর্শ করেছিল। কিন্তু থার্ড আম্পায়ার তা উপেক্ষা করেই মাহমুদউল্লাহকে আউট ঘোষণা করেছেন।
যদিও টিভি রিপ্লেতে এবং স্টিল ফটোগ্রাফিতে স্পষ্টই দেখা গেছে ধাওয়ানের পা লাইন স্পর্শ করেছে। যারা এই আউটের সিদ্ধান্তকে সাপোর্ট করেছেন তাদের দাবি বাউন্ডারি লাইন ও ধাওয়ানের পা’র মধ্যে ইঞ্চি খানেক ফাঁক ছিল।
আইসিসির মূল আয়ের ৮০ শতাংশ ভারতের অবদান। এ কথা ক্রিকেট বিশ্বে সর্বজন স্বীকৃত ‘ওপেন সিক্রেট’। যে কোনো আসরে ভারতের টিকে থাকা মানে আইসিসির লাভের অ্যাকাউন্ট ফুলে ফেঁপে ওঠা।
মাশরাফিদের উদ্দীপ্ত ক্রিকেটের জোয়ারে মহেন্দ্র সিং ধোনিদের অস্তিত্ব যেন বিলীন হয়ে না যায়, কে জানে হয়তো সে কারণেই আম্পায়ারদের নির্দেশনা দিয়েই মাঠে ঠেলেছে ক্রিকেটের বিশ্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। যাকে নিয়ে অনেকেই মজা করে বলে থাকেন-আইসিসি মানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল নয়, ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল!
সে যাই হোক, বৃহস্পতিবার ১৬ কোটি বাংলাদেশীর মন ভেঙ্গে দিয়েছে আম্পায়ারদের বিতর্কিত আচরণ। যার ছবি ফুটে উঠেছে ফেসবুক ও টুইটারসহি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে।
উল্লেখ্য, ম্যাচের দুই অন ফিল্ড আম্পায়ারের একজন পাকিস্তানের আলিম দার, অন্যজন ইংল্যান্ডের ইয়ান গোল্ড। থার্ড আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ ডেভিস। আর চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা ক্রিকেটার পল রাইফেল।