নিউইয়র্ক ১১:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ॥ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া : ভারতের বিদায়ে চুরমার হলো অহমিকার : ঢাকার রাজপথে উল্লাস : ২৯ মার্চ ফাইনাল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩৩:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ ২০১৫
  • / ৯০৮ বার পঠিত

ঢাকা: বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে ৯৫ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। ৩২৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৪৬.৫ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান করে ভারত। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন অধিনায়ক ধোনি। এছাড়া ওপেনার ধাওয়ান ৪৫ এবং রাহানে করেন ৪৪ রান। আরেক ওপেনার রোহিত শর্মা করেন ৩৪ রান।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ফকনার তিনটি উইকেট নেন। এছাড়া স্টার্ক এবং জনসন দুটি করে উইকেট নেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সেঞ্চুরি করা স্মিথ পান ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এর আগে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে সাত উইকেট হারিয়ে ৩২৮ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় অষ্ট্রেলিয়া-ভারতের সেমিফাইনাল। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরেছেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ব্যক্তিগত ১২ রানে উমেশ যাদবের বলে বিরাট কোহলির হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। এরপর স্মিথের সেঞ্চুরির উপর ভর করে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
উমেশ যাদবের বলে রোহিত শর্মার হাতে ধরা পড়ার আগে ৯৩ বল খেলে ব্যক্তিগত ১০৫ রান করেন স্মিথ। এরপর দলীয় ৩৭.৩ ওভারে ম্যাক্সওয়েল ১৪ বল খেলে ২৩ রানে এবং ৩৮.২ ওভারে ফিঞ্চ ৮১ রানে আউট হন । এ দুই উইকেটের পতত ঘটে মাত্র এক রানের ব্যবধানে। ৪২.১ ওভারে ক্লার্ক আউট হন ১০ রানে।
এছাড়া ফকনার করেন ২১ রান এবং ওয়াটসন করে ২৮ রান। উমেশ যাদব চারটি, মোহিত শর্মা দুটি এবং আশ্বিন একটি করে উইকেট নেন।
এদিকে প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া।
ভারতীয় দল : মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, আজিঙ্কা রাহানে, সুরেশ রায়না, রবীন্দ্র জাদেজা, রবীচন্দ্রন অশ্বিন, মোহাম্মদ সামি, উমেশ যাদব, মোহিত শর্মা।
অস্ট্রেলিয়া দল : মাইকেল ক্লার্ক (অধিনায়ক), অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার, শেন ওয়াটসন, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ব্র্যাড হাডিন, জেমস ফকনার, মিচেল জনসন, মিচেল স্টার্ক, জশ হাজেলউড।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে এর আগে দশবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। যার সাতবারই জিতেছে অষ্ট্রেলিয়া। ভারতীয়রা জয় পেছে তিনটিতে।
ভারতের বিদায়ে চুরমার হলো তাদের অহমিকা: ভারতের দর্পচূর্ণ করে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া। বৃহস্প্রতিবার সিডনিতে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে ভারতকে ৯৫ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া করেছিল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩২৮ রান। জবাবে ভারত ৪৬.৫ ওভারে অল আউট হয় ২৩৩ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার এ জয়ের মধ্যে দিয়ে বিশ্বকাপে ক্রিকেটের ট্রফি নিশ্চিত করলো আয়োজকরা। ভারতের বিদায়ে চুরমার হলো তাদের অহমিকা।
আম্পায়ারদের সহায়তা নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ভারত। তাই সিডনির সেমিফাইনাল ঘিরে বাংলাদেশে ছিল অন্যরকম উত্তেজনা। ঘরে ঘরে ছিল অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন। ঢাকার রাস্তা-ঘাটে অনেককেই দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ার হলুদ জার্সি গায়ে। ভারতের এক একটি উইকেট পতনের পর ভেসে এসেছে আনন্দ-উল¬াসের শব্দ। ভারতের শেষ উইকেট পতনের পর ‘ইয়া-হু’সব ঘরের এমন আওয়াজ মিশেগেছে রাজপথেও।
এর আগে কখনো বাংলাদেশের মানুষ এভাবে অস্ট্রেলিয়াকে সমর্থন করেনি। কোয়ার্টার ফাইনালে মাশরাফিদের আম্পায়ার দিয়ে হারানোর প্রতিবাদ হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ ভারতের হার কামনা করেছে। সমর্থন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বিশ্বকাপ ক্রিকেট ॥ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া : ভারতের বিদায়ে চুরমার হলো অহমিকার : ঢাকার রাজপথে উল্লাস : ২৯ মার্চ ফাইনাল

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৩:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ ২০১৫

ঢাকা: বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে ৯৫ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। ৩২৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৪৬.৫ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান করে ভারত। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন অধিনায়ক ধোনি। এছাড়া ওপেনার ধাওয়ান ৪৫ এবং রাহানে করেন ৪৪ রান। আরেক ওপেনার রোহিত শর্মা করেন ৩৪ রান।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ফকনার তিনটি উইকেট নেন। এছাড়া স্টার্ক এবং জনসন দুটি করে উইকেট নেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সেঞ্চুরি করা স্মিথ পান ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এর আগে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে সাত উইকেট হারিয়ে ৩২৮ রান সংগ্রহ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় অষ্ট্রেলিয়া-ভারতের সেমিফাইনাল। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরেছেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ব্যক্তিগত ১২ রানে উমেশ যাদবের বলে বিরাট কোহলির হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। এরপর স্মিথের সেঞ্চুরির উপর ভর করে এগিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
উমেশ যাদবের বলে রোহিত শর্মার হাতে ধরা পড়ার আগে ৯৩ বল খেলে ব্যক্তিগত ১০৫ রান করেন স্মিথ। এরপর দলীয় ৩৭.৩ ওভারে ম্যাক্সওয়েল ১৪ বল খেলে ২৩ রানে এবং ৩৮.২ ওভারে ফিঞ্চ ৮১ রানে আউট হন । এ দুই উইকেটের পতত ঘটে মাত্র এক রানের ব্যবধানে। ৪২.১ ওভারে ক্লার্ক আউট হন ১০ রানে।
এছাড়া ফকনার করেন ২১ রান এবং ওয়াটসন করে ২৮ রান। উমেশ যাদব চারটি, মোহিত শর্মা দুটি এবং আশ্বিন একটি করে উইকেট নেন।
এদিকে প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া।
ভারতীয় দল : মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, আজিঙ্কা রাহানে, সুরেশ রায়না, রবীন্দ্র জাদেজা, রবীচন্দ্রন অশ্বিন, মোহাম্মদ সামি, উমেশ যাদব, মোহিত শর্মা।
অস্ট্রেলিয়া দল : মাইকেল ক্লার্ক (অধিনায়ক), অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার, শেন ওয়াটসন, স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ব্র্যাড হাডিন, জেমস ফকনার, মিচেল জনসন, মিচেল স্টার্ক, জশ হাজেলউড।
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপে এর আগে দশবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। যার সাতবারই জিতেছে অষ্ট্রেলিয়া। ভারতীয়রা জয় পেছে তিনটিতে।
ভারতের বিদায়ে চুরমার হলো তাদের অহমিকা: ভারতের দর্পচূর্ণ করে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া। বৃহস্প্রতিবার সিডনিতে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে ভারতকে ৯৫ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া করেছিল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩২৮ রান। জবাবে ভারত ৪৬.৫ ওভারে অল আউট হয় ২৩৩ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার এ জয়ের মধ্যে দিয়ে বিশ্বকাপে ক্রিকেটের ট্রফি নিশ্চিত করলো আয়োজকরা। ভারতের বিদায়ে চুরমার হলো তাদের অহমিকা।
আম্পায়ারদের সহায়তা নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ভারত। তাই সিডনির সেমিফাইনাল ঘিরে বাংলাদেশে ছিল অন্যরকম উত্তেজনা। ঘরে ঘরে ছিল অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন। ঢাকার রাস্তা-ঘাটে অনেককেই দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়ার হলুদ জার্সি গায়ে। ভারতের এক একটি উইকেট পতনের পর ভেসে এসেছে আনন্দ-উল¬াসের শব্দ। ভারতের শেষ উইকেট পতনের পর ‘ইয়া-হু’সব ঘরের এমন আওয়াজ মিশেগেছে রাজপথেও।
এর আগে কখনো বাংলাদেশের মানুষ এভাবে অস্ট্রেলিয়াকে সমর্থন করেনি। কোয়ার্টার ফাইনালে মাশরাফিদের আম্পায়ার দিয়ে হারানোর প্রতিবাদ হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ ভারতের হার কামনা করেছে। সমর্থন দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে।