নিউইয়র্ক ১০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ : ইতিহাসগড়া জয়, ধবলধোলাই

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০১৫
  • / ৫৬৮ বার পঠিত

ঢাকা: ইতিহাসগড়া জয়, ধবলধোলাই পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ডের পর বাংলাওয়াশের শিকার পাকিস্তানও। এ পর্যন্ত যতবার হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ, ততবারই তা কাজে লাগানোর দৃষ্টান্ত রাখলো। শাবাশ বাংলাদেশ, শাবাশ! যে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬ বছর কোন জয়ের মুখ দেখা যায়নি সেই পাকিস্তানকে পর পর তিন ম্যাচে নাকানি-চুবানি। কোন নাটকীয়তা নয়, কোন রহস্য নয়, একেবারে সোজাসাপ্টা জয়। শতভাগ সাফল্যে শেষ হলো বাংলাদেশের ওয়ানডে মিশন। ড্যান কেক ওয়ানডে সিরিজের ফল বাংলাদেশ ৩-০ পাকিস্তান। বুধবার (২২ এপ্রিল) হোম অব ক্রিকেট মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের ২৫০ রান বাংলাদেশ টপকে যায় ৪০তম ওভারে আট উইকেট হাতে রেখে। খেলার সাড়ে ১০ ওভার তখনও বাকি ছিল। প্রথম ওয়ানডেতে ৭৯ রানে এবং দ্বিতীয়টিতে ৭ উইকেটের পর আট উইকেটে জয়। এত সহজ বিজয় কল্পনারও বাইরে ছিল। ২৫১ রানের লক্ষ্যে উদ্বোধনী উইকেটে তামিম ইকবাল আর সৌম্য সরকার অসাধারণ দৃঢ়তা দেখিয়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে নেন নিজেদের করে। আগের দুই খেলায় নিষ্প্রভ সৌম্য সরকার বুধবার তার জাত চেনালেন। সাতক্ষীরার ছেলে সৌম্য, বয়স মাত্র ২২। কি আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং। ১১০ বলে ১৩৭ রানের হার না মানা ইনিংস। ১৩টি চারের পাশাপাশি ছক্কাও ৬টি। শতরানে পৌঁছেন রাজকীয় কায়দায়। ৩৪তম ওভারে আজহার আলীর বল উড়িয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে। আগের ৯ ওয়ানডেতে ছিল মাত্র এক ফিফটি। ব্যাটসম্যানদের ত্রাস উমর গুলও ছাড় পাননি তার ব্যাট থেকে। ৩৮তম ওভারে গুলের পরপর তিন বলে ৪, ৪ ও ৬ রান আদায় করেন সৌম্য। ম্যাচ সেরাও হন তিনি। আর সিরিজসেরা সর্বসম্মতিতে তিনশ’র বেশি রান করা তামিম ইকবাল। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রধান জাহিদ আহসান রাসেল, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ঢাকা আইসক্রিম লিমিটেড-এর কর্মকর্তা। এ সিরিজে অর্জন শুধু হোয়াইটওয়াশই নয়, আইসিসি’র ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে পয়েন্ট বাড়লো তিনটি। বর্তমানে বাংংলাদেশ ৯ নম্বরে আছে ৮১ পয়েন্ট নিয়ে। এ সিরিজ হারের পর পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিচে নেমে আট নম্বরে চলে এসেছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আট নম্বরে উঠতে পারলে ২০১৭-তে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ খেলতে পারবে সরাসরি। এ বছর বাংলাদেশ সিরিজ খেলবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ২০১৭-এর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকতে পারলে সরাসরি খেলতে পারবে ২০১৯ বিশ্বকাপ।
দুরু দুরু বুকে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর পরই পুরো দলের খোলনলচে যেন পাল্টে গেছে। নিউজিল্যান্ডকেও প্রায় হারাতে বসেছিল, ভারতও ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তখন থেকে আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান দলের প্রতিটি সদস্য। কোন এক যাদুর কাঠি তাদের মনের জোর বাড়িয়ে দিয়েছে অসীম। কেউ কারও চেয়ে কম নয়। একজন না পারলে আরেক জন দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। যে মাহমুদুল্লাহ ব্যাটিং চমকে বিশ্ব কাঁপালো বাংলাদেশ তিনি দেশে এসে ম্লান। টানা দুই সেঞ্চুরি করা এ ব্যাটসম্যান তিন খেলায় করলেন ৫, ১৭ আর ৪। যে তামিম ইকবালের ওপর সমালোচকদের খড়গ ঝুলছিল, যাকে বাদ দেয়ার জোট বাঁধছিলেন তারা, তিনিই জ্বলে উঠলেন এবার। তারও টানা দুই সেঞ্চুরি। বুধবারও যাচ্ছিলেন সে পথে। কিন্তু কপাল মন্দ ৬৪ রানে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে যান তামিম। এমন বলে-কয়ে সিরিজ জয়ের নজির ইতিহাসে বিরল। বাংলাদেশের ইতিহাসে তো নেই-ই। পাকিস্তান দল আসার আগেই ক্রিকেটারদের মুখে মুখে ফিরতে থাকে এবারই তাদের হারানোর বড় সুযোগ। এ সিরিজে বাংলাদেশই ফেভারিট। শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো। তিন তিনটি খেলার একটিতেও দেখা গেল না ক্রিকেটের চিরায়ত আবেগ আর উত্তেজনার কোন রেশ। যেন আগে থেকেই সব ছক আঁটা। কি ব্যাটে, কি বলে। সমান দেখালো বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি পাকিস্তান। আগের দুই খেলায় হারের পর বুধবার দলে তিনজন পরিবর্তন করে খেলতে নেমেছিল তারা। কিন্তু ফল ওই একই, যথা পূর্বং, তথা পরং। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা এমন নিখুঁত ক্রিকেট সিরিজ আর কখনও দেখেনি। প্রতিপক্ষ কেনিয়া বা জিম্বাবুয়ে নয়, পাকিস্তানের মতো দল যারা বিশ্বকাপও জয় করেছে।
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে দারুণ শুরু করেছিল পাকিস্তান। প্রথম উইকেটে ৯১ রানের জুটি। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৯৮ রান। মনে হয়েছিল সংগ্রহটা সাড়ে তিনশ’ও হতে পারে। আজহার আলীর প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে উজ্জীবিতই মনে হচ্ছিল পাকিস্তানীদের। তিনি ১০১ রান করে ২০৩ রানের মাথায় সাকিবের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হওয়ার পর থেকেই ঘূর্ণাবর্তে পাক খেতে থাকে পাকিস্তান দল। হঠাৎই ধসে যায় তাদের প্রতিরোধ। একের একের এক সাফল্য পেতে থাকেন স্পিনার আরাফাত, সাকিব, পেসার মাশরাফি-রুবেল। কেউ আর বলতে পারবে না বাংলাদেশ স্পিন বানিয়ে সব সুবিধা আদায় করে নিয়েছে। মাত্র ২৫০ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের রানের চাকা। ৪৮ রানের মধ্যে হারায় তারা ৮টি উইকেট। সফরের একমাত্র টি-২০ খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার একই মাঠে।
টি-টোয়েন্টি দলে মুস্তাফিজ-লিটন: পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৪ সদস্যের দলে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন ২০ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস। পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করা দল থেকে টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাননি মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ও পেসার রুবেল হোসেন। একমাত্র টি-টোয়েন্টি হবে শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।
টি-টোয়েন্টি দল: তামিম ইকবাল খান, রনি তালুকদার, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহ, নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, তাসকিন আহমেদ, আবুল হাসান রাজু, মুস্তাফিজুর রহমান ও আরাফাত সানি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ : ইতিহাসগড়া জয়, ধবলধোলাই

প্রকাশের সময় : ০৩:২৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা: ইতিহাসগড়া জয়, ধবলধোলাই পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ডের পর বাংলাওয়াশের শিকার পাকিস্তানও। এ পর্যন্ত যতবার হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ, ততবারই তা কাজে লাগানোর দৃষ্টান্ত রাখলো। শাবাশ বাংলাদেশ, শাবাশ! যে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬ বছর কোন জয়ের মুখ দেখা যায়নি সেই পাকিস্তানকে পর পর তিন ম্যাচে নাকানি-চুবানি। কোন নাটকীয়তা নয়, কোন রহস্য নয়, একেবারে সোজাসাপ্টা জয়। শতভাগ সাফল্যে শেষ হলো বাংলাদেশের ওয়ানডে মিশন। ড্যান কেক ওয়ানডে সিরিজের ফল বাংলাদেশ ৩-০ পাকিস্তান। বুধবার (২২ এপ্রিল) হোম অব ক্রিকেট মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের ২৫০ রান বাংলাদেশ টপকে যায় ৪০তম ওভারে আট উইকেট হাতে রেখে। খেলার সাড়ে ১০ ওভার তখনও বাকি ছিল। প্রথম ওয়ানডেতে ৭৯ রানে এবং দ্বিতীয়টিতে ৭ উইকেটের পর আট উইকেটে জয়। এত সহজ বিজয় কল্পনারও বাইরে ছিল। ২৫১ রানের লক্ষ্যে উদ্বোধনী উইকেটে তামিম ইকবাল আর সৌম্য সরকার অসাধারণ দৃঢ়তা দেখিয়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে নেন নিজেদের করে। আগের দুই খেলায় নিষ্প্রভ সৌম্য সরকার বুধবার তার জাত চেনালেন। সাতক্ষীরার ছেলে সৌম্য, বয়স মাত্র ২২। কি আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং। ১১০ বলে ১৩৭ রানের হার না মানা ইনিংস। ১৩টি চারের পাশাপাশি ছক্কাও ৬টি। শতরানে পৌঁছেন রাজকীয় কায়দায়। ৩৪তম ওভারে আজহার আলীর বল উড়িয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে। আগের ৯ ওয়ানডেতে ছিল মাত্র এক ফিফটি। ব্যাটসম্যানদের ত্রাস উমর গুলও ছাড় পাননি তার ব্যাট থেকে। ৩৮তম ওভারে গুলের পরপর তিন বলে ৪, ৪ ও ৬ রান আদায় করেন সৌম্য। ম্যাচ সেরাও হন তিনি। আর সিরিজসেরা সর্বসম্মতিতে তিনশ’র বেশি রান করা তামিম ইকবাল। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রধান জাহিদ আহসান রাসেল, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ঢাকা আইসক্রিম লিমিটেড-এর কর্মকর্তা। এ সিরিজে অর্জন শুধু হোয়াইটওয়াশই নয়, আইসিসি’র ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে পয়েন্ট বাড়লো তিনটি। বর্তমানে বাংংলাদেশ ৯ নম্বরে আছে ৮১ পয়েন্ট নিয়ে। এ সিরিজ হারের পর পাকিস্তান ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিচে নেমে আট নম্বরে চলে এসেছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আট নম্বরে উঠতে পারলে ২০১৭-তে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ খেলতে পারবে সরাসরি। এ বছর বাংলাদেশ সিরিজ খেলবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ২০১৭-এর ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকতে পারলে সরাসরি খেলতে পারবে ২০১৯ বিশ্বকাপ।
দুরু দুরু বুকে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারানোর পরই পুরো দলের খোলনলচে যেন পাল্টে গেছে। নিউজিল্যান্ডকেও প্রায় হারাতে বসেছিল, ভারতও ভয় পেয়ে গিয়েছিল। তখন থেকে আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান দলের প্রতিটি সদস্য। কোন এক যাদুর কাঠি তাদের মনের জোর বাড়িয়ে দিয়েছে অসীম। কেউ কারও চেয়ে কম নয়। একজন না পারলে আরেক জন দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। যে মাহমুদুল্লাহ ব্যাটিং চমকে বিশ্ব কাঁপালো বাংলাদেশ তিনি দেশে এসে ম্লান। টানা দুই সেঞ্চুরি করা এ ব্যাটসম্যান তিন খেলায় করলেন ৫, ১৭ আর ৪। যে তামিম ইকবালের ওপর সমালোচকদের খড়গ ঝুলছিল, যাকে বাদ দেয়ার জোট বাঁধছিলেন তারা, তিনিই জ্বলে উঠলেন এবার। তারও টানা দুই সেঞ্চুরি। বুধবারও যাচ্ছিলেন সে পথে। কিন্তু কপাল মন্দ ৬৪ রানে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে যান তামিম। এমন বলে-কয়ে সিরিজ জয়ের নজির ইতিহাসে বিরল। বাংলাদেশের ইতিহাসে তো নেই-ই। পাকিস্তান দল আসার আগেই ক্রিকেটারদের মুখে মুখে ফিরতে থাকে এবারই তাদের হারানোর বড় সুযোগ। এ সিরিজে বাংলাদেশই ফেভারিট। শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো। তিন তিনটি খেলার একটিতেও দেখা গেল না ক্রিকেটের চিরায়ত আবেগ আর উত্তেজনার কোন রেশ। যেন আগে থেকেই সব ছক আঁটা। কি ব্যাটে, কি বলে। সমান দেখালো বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি পাকিস্তান। আগের দুই খেলায় হারের পর বুধবার দলে তিনজন পরিবর্তন করে খেলতে নেমেছিল তারা। কিন্তু ফল ওই একই, যথা পূর্বং, তথা পরং। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা এমন নিখুঁত ক্রিকেট সিরিজ আর কখনও দেখেনি। প্রতিপক্ষ কেনিয়া বা জিম্বাবুয়ে নয়, পাকিস্তানের মতো দল যারা বিশ্বকাপও জয় করেছে।
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে দারুণ শুরু করেছিল পাকিস্তান। প্রথম উইকেটে ৯১ রানের জুটি। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৯৮ রান। মনে হয়েছিল সংগ্রহটা সাড়ে তিনশ’ও হতে পারে। আজহার আলীর প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে উজ্জীবিতই মনে হচ্ছিল পাকিস্তানীদের। তিনি ১০১ রান করে ২০৩ রানের মাথায় সাকিবের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হওয়ার পর থেকেই ঘূর্ণাবর্তে পাক খেতে থাকে পাকিস্তান দল। হঠাৎই ধসে যায় তাদের প্রতিরোধ। একের একের এক সাফল্য পেতে থাকেন স্পিনার আরাফাত, সাকিব, পেসার মাশরাফি-রুবেল। কেউ আর বলতে পারবে না বাংলাদেশ স্পিন বানিয়ে সব সুবিধা আদায় করে নিয়েছে। মাত্র ২৫০ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের রানের চাকা। ৪৮ রানের মধ্যে হারায় তারা ৮টি উইকেট। সফরের একমাত্র টি-২০ খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার একই মাঠে।
টি-টোয়েন্টি দলে মুস্তাফিজ-লিটন: পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৪ সদস্যের দলে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন ২০ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস। পাকিস্তানকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করা দল থেকে টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাননি মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ও পেসার রুবেল হোসেন। একমাত্র টি-টোয়েন্টি হবে শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।
টি-টোয়েন্টি দল: তামিম ইকবাল খান, রনি তালুকদার, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহ, নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, তাসকিন আহমেদ, আবুল হাসান রাজু, মুস্তাফিজুর রহমান ও আরাফাত সানি।