নিউইয়র্ক ০৯:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

টি-২০ তেও বিস্ময়কর জয় : পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা : আফ্রিদিও দেখলো নতুন এক বাংলাদেশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৫
  • / ৮৪৫ বার পঠিত

ঢাকা: নতুন ফরমেট, নতুন দল। ফল একই, একতরফা। আফ্রিদিও দেখলো নতুন এক বাংলাদেশ। কি ব্যাটে, কি বলে প্রচ- আত্মবিশ্বাসী। ওয়ানডের মতো টি-২০ ট্রফিও জিতে নিলো বাংলাদেশ। সাব্বির-সাকিবের তুলাধুনা করা ব্যাটিং গড়লো নতুন ইতিহাস। দু’জনই মাঠ ছাড়েন হার না মানা অর্ধশত করে। ওয়ানডের অপ্রতিরোধ্য ধারা বজায় রেখে টি-২০তেও পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা। ওয়ানডের মতো এ খেলাতেও পাকিস্তানের বিশ্বসেরা ক্রিকেটাররা কোন প্রতিদ্বদ্বিতাই গড়তে পারেননি। পাকিস্তানের এ দলটিকে কোনভাবেই দুর্বল ভাবার কারণ নেই। বিশ্বকাপজয়ী দলের অনেকেই খেলেছেন কাল। কিন্তু কেউই তাদের আলো ছড়াতে পারেননি। পাকিস্তানের করা ১৪১ রানের স্কোর বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় ২২ বল হাতে রেখে। টি-২০তে এটিই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম জয় আর টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিরুদ্ধে তৃতীয়। টি-২০’র শতভাগ আমেজ ছড়িয়ে বিশ্বজুড়ে সব বাংলাদেশীর মন মাতিয়ে একেবারেই হেসে-খেলে পাকিস্তানকে হারালো বাংলাদেশ দল। ড্যানকেক সিরিজের শেষ তিন খেলায় বাংলাদেশ জিতলো ৭, ৮ আর ৭ উইকেটের ব্যবধানে।
খেলা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার হাতে টি-২০ ট্রফির পর ওয়ানডে সিরিজ ট্রফিও তুলে দেন। এ সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসানও উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ছবিও তোলেন। মাঠে প্রধানমন্ত্রী খানিকটা সময় কাটান বেশ আনন্দচিত্তে। কথা বলেন ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়, ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনসহ কোচ হাতুরুসিংহের সঙ্গেও।
১৪২ রানের জবাবে বাংলাদেশের সূচনাটা ছিল দুর্দান্ত। মোহাম্মদ হাফিজের করা প্রথম ওভারের ৫ বলে তামিম ইকবাল চার-ছক্কায় ১০ রান তুলে নেন। দেশজুড়ে উল্লাসের জোয়ার বইতে থাকে। কিন্তু শেষ বলটিতেই ঘটলো দুর্ঘটনা। আবেগের চোটে অপ্রয়োজনীয় একটি রান নিতে গিয়ে পতন ঘটে প্রথম উইকেটের। আগের খেলাতে শতরান করা সৌম্য সরকারের টি-২০তে অভিষেক হয় শুক্রবার (২৪ এপ্রিল)। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার, কোন বল খেলার সুযোগ না পেয়েই রানআউট হয়ে ফিরে আসতে হয় তাকে। সাঈদ আজমলের ছোড়া বল সরাসরি তার স্টাম্প ভেঙে দেয়। এরপর উমর গুলের প্রথম ওভারে শিকার হন তামিম। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে সিøপে ক্যাচ তুলে দেন ১০ বলে ১৪ রান করা তামিম। দলের রান তখন ১৭। ওয়ান ডাউনে নামা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যোগ দেন মুশফিকুর রহীম। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনা হয় খানিকটা। ওয়ানডেতে তিন নম্বরে নামা মাহমুদুল্লাহকে এবার পিছিয়ে দেয়া হয়। তবে সাকিবকে থামিয়ে মুশফিক শুরু করেন তান্ডব। ১৫ বলে ১৯ রান করে উড়ন্ত মুশফিক ওয়াহাব রিয়াজের বলে বোল্ড হয়ে যান। দলের রান তখন ৩৮। মনের অজান্তেই আশঙ্কা জাগে বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু সাব্বির রহমান সুুযোগ পেয়ে নিজেকে জাহির করতে ভুল করেননি। সেই সঙ্গে ওযানডেতে সুযোগ না পাওয়া সাকিবও তার ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করে পাকিস্তানের সব আক্রমণ তুচ্ছ করতে থাকেন। সাকিব-সাব্বির জুটির একের পর এক চারের মারে মাঠের দর্শকরা যেন দম ফেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। সারা দেশে টেলিভিশনের সামনেও আঠার মতো লেগে থাকেন দর্শকেরা। অভিজ্ঞ সাকিব আর নবীন সাব্বিরের সামনে পাকিস্তানের অভিজ্ঞ বোলার উমর গুল, হাফিজ, আজমল, ওয়াহাব, সোহেল তানভীর খেই হারিয়ে ফেলছিলেন। সাজ ঘরে নিশ্চয়ই তাদের দলের কর্তারা বাংলাদেশের উন্নতিতে বিস্ময় প্রকাশ করে থাকবেন। পরে নেমেও আগে ৫০ পুরো করেন সাব্বির রহমান। ৩১ বলে তার প্রথম টি-২০ ফিফটি করেন এই ২৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। আগের ৫ খেলার চার ইনিংসে তার মোট রান ছিল ৫০। ৩২ বলের ইনিংসে সাব্বির ৭টি চার একটি ছক্কা হাঁকান। তার ছক্কাটি আসে বিশ্বসেরা টি-২০ বোলার উমর গুলের বলে। ম্যাচের সেরা হিসেবে ১০০০ ডলার পুরস্কারও পান তিনি। সাকিব আল হাসান ৪১ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চারের মার। এটি তার পঞ্চম টি-২০ ফিফটি। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে কেবল সোহেল তানভীর কিছুটা সমীহ পান।
এর আগে টসে জিতে পাকিস্তানের অধিনায়ক অভিজ্ঞ শহীদ আফ্রিদি ব্যাটিং বেছে নেন। ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের দুঃখ ভোলাতে নতুন করে শুরুর প্রত্যয় শুনিয়েছিলেন এই আফ্রিদি। কিন্তু হায়! কোন পরিবর্তন নেই। বাংলাদেশের বোলারদের সামনে তারা হাত খুলেই খেলতে পারেননি। উইকেট হাতে রেখেও তারা ব্যাট চালাতে পারেননি। স্পিনার আরাফাত সানি ছাড়া আর কোন বোলারের বিপক্ষেই তারা সাবলিল হতে পারেননি। সানির ২ ওভারে তারা পায় ২৩ রান। আর অভিষেক হওয়া মুস্তাফিজুর রহমান চার ওভারে দেন ২০ রান। সাতক্ষীরার এই বাঁ হাতি বোলার দু’টি দামি উইকেটও নেন। তার প্রথম শিকার ব্যাটিংয়ে আগে নামা শহীদ আফ্রিদি। অপরজন হলেন মোহাম্মদ হাফিজ। আর সাকিব ৪ ওভারে দেন ১৭ রান। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন অভিষেক হওয়া ওপেনার মুকতার আহমেদ। আর ৩০ রান করেন হারিস সোহেল। তিনি ২৪ বলের ইনিংসে একটি ছক্কা মারলেও কোন চার মারতে পারেননি। পাকিস্তানের ইনিংসে চারের মার ছিল ১১টি। আর বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল ঠিক দ্বিগুণ ২২টি। তবে ছক্কায় ওদের তিনটির বিপরীতে বাংলাদেশের দুটি। বাংলাদেশ-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজের প্রথমটি মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) থেকে শুরু হবে খুলনায়। (দৈনিক মানবজমিন)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

টি-২০ তেও বিস্ময়কর জয় : পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা : আফ্রিদিও দেখলো নতুন এক বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০৫:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা: নতুন ফরমেট, নতুন দল। ফল একই, একতরফা। আফ্রিদিও দেখলো নতুন এক বাংলাদেশ। কি ব্যাটে, কি বলে প্রচ- আত্মবিশ্বাসী। ওয়ানডের মতো টি-২০ ট্রফিও জিতে নিলো বাংলাদেশ। সাব্বির-সাকিবের তুলাধুনা করা ব্যাটিং গড়লো নতুন ইতিহাস। দু’জনই মাঠ ছাড়েন হার না মানা অর্ধশত করে। ওয়ানডের অপ্রতিরোধ্য ধারা বজায় রেখে টি-২০তেও পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে টাইগাররা। ওয়ানডের মতো এ খেলাতেও পাকিস্তানের বিশ্বসেরা ক্রিকেটাররা কোন প্রতিদ্বদ্বিতাই গড়তে পারেননি। পাকিস্তানের এ দলটিকে কোনভাবেই দুর্বল ভাবার কারণ নেই। বিশ্বকাপজয়ী দলের অনেকেই খেলেছেন কাল। কিন্তু কেউই তাদের আলো ছড়াতে পারেননি। পাকিস্তানের করা ১৪১ রানের স্কোর বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় ২২ বল হাতে রেখে। টি-২০তে এটিই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম জয় আর টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিরুদ্ধে তৃতীয়। টি-২০’র শতভাগ আমেজ ছড়িয়ে বিশ্বজুড়ে সব বাংলাদেশীর মন মাতিয়ে একেবারেই হেসে-খেলে পাকিস্তানকে হারালো বাংলাদেশ দল। ড্যানকেক সিরিজের শেষ তিন খেলায় বাংলাদেশ জিতলো ৭, ৮ আর ৭ উইকেটের ব্যবধানে।
খেলা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার হাতে টি-২০ ট্রফির পর ওয়ানডে সিরিজ ট্রফিও তুলে দেন। এ সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসানও উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ছবিও তোলেন। মাঠে প্রধানমন্ত্রী খানিকটা সময় কাটান বেশ আনন্দচিত্তে। কথা বলেন ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়, ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনসহ কোচ হাতুরুসিংহের সঙ্গেও।
১৪২ রানের জবাবে বাংলাদেশের সূচনাটা ছিল দুর্দান্ত। মোহাম্মদ হাফিজের করা প্রথম ওভারের ৫ বলে তামিম ইকবাল চার-ছক্কায় ১০ রান তুলে নেন। দেশজুড়ে উল্লাসের জোয়ার বইতে থাকে। কিন্তু শেষ বলটিতেই ঘটলো দুর্ঘটনা। আবেগের চোটে অপ্রয়োজনীয় একটি রান নিতে গিয়ে পতন ঘটে প্রথম উইকেটের। আগের খেলাতে শতরান করা সৌম্য সরকারের টি-২০তে অভিষেক হয় শুক্রবার (২৪ এপ্রিল)। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার, কোন বল খেলার সুযোগ না পেয়েই রানআউট হয়ে ফিরে আসতে হয় তাকে। সাঈদ আজমলের ছোড়া বল সরাসরি তার স্টাম্প ভেঙে দেয়। এরপর উমর গুলের প্রথম ওভারে শিকার হন তামিম। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে সিøপে ক্যাচ তুলে দেন ১০ বলে ১৪ রান করা তামিম। দলের রান তখন ১৭। ওয়ান ডাউনে নামা সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যোগ দেন মুশফিকুর রহীম। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনা হয় খানিকটা। ওয়ানডেতে তিন নম্বরে নামা মাহমুদুল্লাহকে এবার পিছিয়ে দেয়া হয়। তবে সাকিবকে থামিয়ে মুশফিক শুরু করেন তান্ডব। ১৫ বলে ১৯ রান করে উড়ন্ত মুশফিক ওয়াহাব রিয়াজের বলে বোল্ড হয়ে যান। দলের রান তখন ৩৮। মনের অজান্তেই আশঙ্কা জাগে বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু সাব্বির রহমান সুুযোগ পেয়ে নিজেকে জাহির করতে ভুল করেননি। সেই সঙ্গে ওযানডেতে সুযোগ না পাওয়া সাকিবও তার ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করে পাকিস্তানের সব আক্রমণ তুচ্ছ করতে থাকেন। সাকিব-সাব্বির জুটির একের পর এক চারের মারে মাঠের দর্শকরা যেন দম ফেলার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। সারা দেশে টেলিভিশনের সামনেও আঠার মতো লেগে থাকেন দর্শকেরা। অভিজ্ঞ সাকিব আর নবীন সাব্বিরের সামনে পাকিস্তানের অভিজ্ঞ বোলার উমর গুল, হাফিজ, আজমল, ওয়াহাব, সোহেল তানভীর খেই হারিয়ে ফেলছিলেন। সাজ ঘরে নিশ্চয়ই তাদের দলের কর্তারা বাংলাদেশের উন্নতিতে বিস্ময় প্রকাশ করে থাকবেন। পরে নেমেও আগে ৫০ পুরো করেন সাব্বির রহমান। ৩১ বলে তার প্রথম টি-২০ ফিফটি করেন এই ২৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। আগের ৫ খেলার চার ইনিংসে তার মোট রান ছিল ৫০। ৩২ বলের ইনিংসে সাব্বির ৭টি চার একটি ছক্কা হাঁকান। তার ছক্কাটি আসে বিশ্বসেরা টি-২০ বোলার উমর গুলের বলে। ম্যাচের সেরা হিসেবে ১০০০ ডলার পুরস্কারও পান তিনি। সাকিব আল হাসান ৪১ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চারের মার। এটি তার পঞ্চম টি-২০ ফিফটি। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে কেবল সোহেল তানভীর কিছুটা সমীহ পান।
এর আগে টসে জিতে পাকিস্তানের অধিনায়ক অভিজ্ঞ শহীদ আফ্রিদি ব্যাটিং বেছে নেন। ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের দুঃখ ভোলাতে নতুন করে শুরুর প্রত্যয় শুনিয়েছিলেন এই আফ্রিদি। কিন্তু হায়! কোন পরিবর্তন নেই। বাংলাদেশের বোলারদের সামনে তারা হাত খুলেই খেলতে পারেননি। উইকেট হাতে রেখেও তারা ব্যাট চালাতে পারেননি। স্পিনার আরাফাত সানি ছাড়া আর কোন বোলারের বিপক্ষেই তারা সাবলিল হতে পারেননি। সানির ২ ওভারে তারা পায় ২৩ রান। আর অভিষেক হওয়া মুস্তাফিজুর রহমান চার ওভারে দেন ২০ রান। সাতক্ষীরার এই বাঁ হাতি বোলার দু’টি দামি উইকেটও নেন। তার প্রথম শিকার ব্যাটিংয়ে আগে নামা শহীদ আফ্রিদি। অপরজন হলেন মোহাম্মদ হাফিজ। আর সাকিব ৪ ওভারে দেন ১৭ রান। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন অভিষেক হওয়া ওপেনার মুকতার আহমেদ। আর ৩০ রান করেন হারিস সোহেল। তিনি ২৪ বলের ইনিংসে একটি ছক্কা মারলেও কোন চার মারতে পারেননি। পাকিস্তানের ইনিংসে চারের মার ছিল ১১টি। আর বাংলাদেশের ইনিংসে ছিল ঠিক দ্বিগুণ ২২টি। তবে ছক্কায় ওদের তিনটির বিপরীতে বাংলাদেশের দুটি। বাংলাদেশ-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজের প্রথমটি মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) থেকে শুরু হবে খুলনায়। (দৈনিক মানবজমিন)