এক স্লিপ
- প্রকাশের সময় : ০৯:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০১৬
- / ১১০৮ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর অনুষ্ঠানগুলোতে নেতা-কর্মীদের ভীড়ে আসন সঙ্কট মারাত্বক ধারণ করেছে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিষয়টি আমি ছাড়াও আমার সহকর্মীদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আগে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি/বিশেষ অতিথিসহ মূল মঞ্চে হাতে গোনা ৭/৮জন বসার ব্যবস্থা থাকতো। আর এখন ১০/১৫জন মূল মঞ্চে বসার পরও পিছনে অরেকটি আসনের সারি করতে হয়! অনেক সময় এতবড় মঞ্চের ছবি সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণ করাও সম্ভব হয়ে উঠে না। ফলে মূল খবরের সাথে মূল ছবি প্রকাশের সময় মিডিয়ায় বিশেষ করে প্রিন্টি মিডিয়াগুলোতে অনেকের ছবি বাদ পড়ে যায়। এনিয়ে অনেক নেতাকে মনক্ষুন্ন হতেও দেখা যায়। তাদের অভিযোগ- ‘আমার ছবিটি পত্রিকায় আসলো, বা আমার ছবিটি ইচ্ছে করেই বাদ দেয়া হয়েছে, অথচ আমি মঞ্চে ছিলাম’। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কোনকোন মিডিয়ার সংশ্লিস্ট সাংবাদিক মঞ্চের দুই পাশ থেকে দু’টি আর মাঝের একটি ছবি তুলে পরবর্তীতে জোড়া দিয়ে ছবি প্রকাশ করে নিজেদের দায় মুক্ত করার চেষ্টা করেন। যা সবসময় সম্ভব হয়েও উঠে না। ফলে অনেকে সময় সাংবাদিকদের এমনকি কখনো কখনো মাননীয় সম্পাদক মহোদয়কেও বিপাকে পড়তে হয়। কেননা, কমিউনিটি মিডিয়া আর কমিউনিটি সাংবাদিকতা বলে কথা!
সাংবাদিক বন্ধুদের আড্ডায় প্রসঙ্গটি উঠতেই এক সহকর্মী বললেন- আমাদের কমিউনিটিতে কর্মীর চেয়ে নেতার সংখ্যাই বেশী দেখা যাচ্ছে বলেই মঞ্চে স্থান সঙ্কুলান হয় না। আরেক সাংবাদিক রাখ-ঢাক না করেই বরে ফেললেন- অনেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি/বিশেষ অতিথির সামনেই মূল মঞ্চে আসন নেয়াকে কেন্দ্র করে ঠেলা-ঠেলি, ধাক্কা-ধাক্কির মতো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটছে। অনেক সহকর্মী বললেন- কোন কোন অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যেই কেউ কেউ বলেন আমি অনুদান দিয়েছি, চেয়ার পাবো না কেন? বিষয়গুলো আসলেই বিব্রতকর! ২০ মার্চ‘২০১৬ (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)