নিউইয়র্ক: জাতিসংঘের সামনে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালীর চেতনা মঞ্চ এবছর নিউইয়র্কে একুশের গ্রন্থমেলার আয়োজন করে। সিটির জ্যাকসন হাইটস্থ পিএস ৬৯ স্কুলে ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার ও বোববার এই মেলার আয়োজন করা হয়। এই মেলা আয়োজন আর পৃষ্ঠপোষকতায় ত্রুটি না থাকলেও গ্রন্থমেলায় ‘বইয়ের স্টল’ ছিলো হাতেগোনা। মেলায় দর্শক-শ্রোতার সংখ্যা কম দেখা গেলেও উপস্থিত প্রবাসীদের আড্ডা ছিলো চোখে পড়ার মতো। মেলা সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনার চেয়ে ব্যক্তি আলাপচারিতাই এসব আড্ডায় প্রাধান্য ছিলো। মেলার শেষ দিনে দেখা গেলো স্কুলটির ক্যাফেটেরিয়ার এক স্থানে কয়েকজন দু’জন সাংবাদিককে তিন প্রবাসীর সাথে আড্ডায় দেখা গেলো। এসময় তাদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন এক প্রবাসী লেখিকা। লেখিকার কাছে এক সাংবাদিক জানতে চাইলেন ‘গ্রন্থমেলায় আপনার নতুন গ্রন্থ দেখছি না যে’। প্রতিত্তুরে লেখিকা বললেন- ‘ছোট মেলায় নয়, বড় মেলায় দেখবেন’। তার এই কথায় এমন সময় পাশের একজন বললেন- গ্রন্থমেলা আবার ছোট-বড় কি? উল্লেখ্য, একুশে স্মরণে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ও বাঙালীর চেতনা মঞ্চ যৌথভাবে অনেকটা ছোট আকারেই ‘একুশে গ্রন্থমেলা’র আয়োজন করে। অপরদিকে একই আয়োজনে প্রতিবছর অনেকটা বড় আকারে ‘নিউইয়র্ক বইমেলা’র আয়োজন করে আসছে। মেলায় আগত অনেকেই মন্তব্য করেন, যে নামেই হোক নিউইয়র্কে এক নামেই একটি ‘বইমেলা’ হওয়া উচিৎ।
অফিসে ফিরে রিপোর্ট করার তাড়া থাকায় শেষ পর্যন্ত গ্রন্থ মেলায় থাকা সম্ভব হয়নি। তবে ফেরার পথে আরেক পরিচিতজন বললেন, ভাই গ্রন্থমেলায় গ্রন্থ নেই, পাঠক-দর্শক নেই এসব নিয়ে লিখুন, যাদের জন্য গ্রন্থমেলা তাদেরকে মেলায় আনার উদ্যোগ নিন, বই পড়ার পাঠক তৈরী করুন। ০৬ মার্চ’২০১৬ (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)