নিউইয়র্ক ১২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এক স্লিপ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ মার্চ ২০১৫
  • / ৮৩৯ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে আবারও বরফ। শীতের তীব্রতা কমছেই না। রোববার সকাল। ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করছি এমন সময় এক সিনিয়র সাংবাদিকের ফোন। ফোন ধরে যথারীতি সালাম জানিয়ে বললাম গুড মনিং। ওপার থেকে খানিকটা মজা করেই অগ্রজ সাংবাদিক বললেন, গুড ¯েœা মর্নিং। উভয়ের কুশলাদি বিনিময়ের পর এই কথা, সেই কথা। ১০/১৫ মিনিটের আলাপের এক পর্যায়ে জানানেল গত রাতে (২৮ ফেব্রুয়ারী, শনিবার) জ্যামাইকায় এক জনপ্রিয় শিল্পীর একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত ছিলাম। অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিলো ভালো। অনুষ্ঠানে নির্ধারিত শিল্পীর সঙ্গীতের পাশাপাশি স্থানীয় কয়েকজন শিল্পীর সঙ্গীত পরিবেশনও ছিলো। আরো ছিলো দুই গুণী অভিনেতা-অভিনেত্রীর একটি নাটকের কিছু সংলাপ উপস্থাপন। তবে অনুষ্ঠানে শিল্পী তার গান পরিবেশনের জন্য যতনা সময় পেয়েছেন তার চেয়ে বেশী সময় নিয়েছেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা। তার উপস্থাপনা সুন্দর হলেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত কোন কোন অতিথিকে উপস্থাপন বা তার পক্ষে সাফাই গাওয়া যেনো ছিলো অতিমআত্রায়। যা ‘তৈল মর্দন’ ছাড়া কিছুই নয়। যা অনুষ্ঠানের মানকে যেমন ছোট করেছে, তেমনী অনেক দর্শক-শ্রোতার বিরক্তিরও কারণ হয়েছে। যেকারণে মাঝে-মধ্যেই একাধিক দর্শক-শ্রোতাকে চেয়ার ছেয়ে ব্রেক নিতে হয়েছে। ফোন কর্তার কথায় আশ্চর্য না হয়ে বললাম এ আর এমন কি। উপস্থাপিকারই দোষ কি। যে যেমন চায়, তারাও (নিউইয়র্কের উপস্থাপক-উপস্থাপিকা) তেমনী উপস্থাপনার চেষ্টা করেন বলেই মনে করি। আমরা শুধু গুণ-গানই তো চাই নাকি! তিনি আমার সাথে দ্বিমত করতে পারলেন না। সেই সাথে তাকে স্মরণ করালাম যে, কমিউনিটির অনুষ্ঠানগুলোতে ‘যে যা না, তাকে তাই আবার যার জন্য যা, তা নয়’-এর ‘সংস্কৃতি’ শুরু হয়েছে। কোন কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের নামও বলা শুরু হয়েছে। আর এসব নাম বলতে গিয়ে (উপস্থাপক/উপস্থাপিকার অজ্ঞাতে) অনেকের নামও যেমন বাদ পড়ছে, আবার অনেকের ভুল পদ-পদবী এমনকি কখনো কখনো নামের উচ্চারণও ভুল হচ্ছে। তাতে হিতে বিপরীত হচ্ছে। এই ‘সংস্কৃতি’ থেকে বের হওয়া জরুরী বলে অভিমত দিলে অগ্রজ সাংবাদিক তা দৃঢ়ভাবে সমর্থণ করলে তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলাম। ০১ মার্চ’২০১৫ (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

এক স্লিপ

প্রকাশের সময় : ০৭:৩২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ মার্চ ২০১৫

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে আবারও বরফ। শীতের তীব্রতা কমছেই না। রোববার সকাল। ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করছি এমন সময় এক সিনিয়র সাংবাদিকের ফোন। ফোন ধরে যথারীতি সালাম জানিয়ে বললাম গুড মনিং। ওপার থেকে খানিকটা মজা করেই অগ্রজ সাংবাদিক বললেন, গুড ¯েœা মর্নিং। উভয়ের কুশলাদি বিনিময়ের পর এই কথা, সেই কথা। ১০/১৫ মিনিটের আলাপের এক পর্যায়ে জানানেল গত রাতে (২৮ ফেব্রুয়ারী, শনিবার) জ্যামাইকায় এক জনপ্রিয় শিল্পীর একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত ছিলাম। অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিলো ভালো। অনুষ্ঠানে নির্ধারিত শিল্পীর সঙ্গীতের পাশাপাশি স্থানীয় কয়েকজন শিল্পীর সঙ্গীত পরিবেশনও ছিলো। আরো ছিলো দুই গুণী অভিনেতা-অভিনেত্রীর একটি নাটকের কিছু সংলাপ উপস্থাপন। তবে অনুষ্ঠানে শিল্পী তার গান পরিবেশনের জন্য যতনা সময় পেয়েছেন তার চেয়ে বেশী সময় নিয়েছেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা। তার উপস্থাপনা সুন্দর হলেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত কোন কোন অতিথিকে উপস্থাপন বা তার পক্ষে সাফাই গাওয়া যেনো ছিলো অতিমআত্রায়। যা ‘তৈল মর্দন’ ছাড়া কিছুই নয়। যা অনুষ্ঠানের মানকে যেমন ছোট করেছে, তেমনী অনেক দর্শক-শ্রোতার বিরক্তিরও কারণ হয়েছে। যেকারণে মাঝে-মধ্যেই একাধিক দর্শক-শ্রোতাকে চেয়ার ছেয়ে ব্রেক নিতে হয়েছে। ফোন কর্তার কথায় আশ্চর্য না হয়ে বললাম এ আর এমন কি। উপস্থাপিকারই দোষ কি। যে যেমন চায়, তারাও (নিউইয়র্কের উপস্থাপক-উপস্থাপিকা) তেমনী উপস্থাপনার চেষ্টা করেন বলেই মনে করি। আমরা শুধু গুণ-গানই তো চাই নাকি! তিনি আমার সাথে দ্বিমত করতে পারলেন না। সেই সাথে তাকে স্মরণ করালাম যে, কমিউনিটির অনুষ্ঠানগুলোতে ‘যে যা না, তাকে তাই আবার যার জন্য যা, তা নয়’-এর ‘সংস্কৃতি’ শুরু হয়েছে। কোন কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের নামও বলা শুরু হয়েছে। আর এসব নাম বলতে গিয়ে (উপস্থাপক/উপস্থাপিকার অজ্ঞাতে) অনেকের নামও যেমন বাদ পড়ছে, আবার অনেকের ভুল পদ-পদবী এমনকি কখনো কখনো নামের উচ্চারণও ভুল হচ্ছে। তাতে হিতে বিপরীত হচ্ছে। এই ‘সংস্কৃতি’ থেকে বের হওয়া জরুরী বলে অভিমত দিলে অগ্রজ সাংবাদিক তা দৃঢ়ভাবে সমর্থণ করলে তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলাম। ০১ মার্চ’২০১৫ (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)